হাজার পর্বে ‘কৌন বনেগা ক্রোড়পতি’

বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশ : ২৮ নভেম্বর ২০২১, ০৭: ৩৭
আপডেট : ২৮ নভেম্বর ২০২১, ১১: ৪৭

‘কৌন বনেগা ক্রোড়পতি’র ১০০০তম এপিসোড বলে কথা! স্পেশাল তো হতেই হবে। ফলে বচ্চন পরিবারের দুই সদস্যকে নিয়ে এলেন অমিতাভ। হাজির হচ্ছেন অমিতাভের মেয়ে শ্বেতা ও নাতনি নভ্যা নভেলি নন্দা। শ্বেতাকে ক্যামেরার সামনে আগে খুব একটা পাওয়া যায় না। এই বিশেষ পর্বে তাঁর মুখ থেকে শোনা যাবে পরিবারের অনেক অজানা গল্প, যা শোনার জন্য অধীর আগ্রহে দর্শক। আগামী ৩ ডিসেম্বর দেখা যাবে বিশেষ এই পর্ব। 

জীবন বদলের শো
কোটি টাকা পেয়ে জীবন বদলে যাবে সেটাই তো স্বাভাবিক। কেবিসির প্রথম কোটিপতি হর্ষবর্ধন। পুরস্কার জেতার পরে তিনি যুক্তরাজ্যে পড়তে গিয়েছিলেন। বর্তমানে ভারতে ভালো বেতনে চাকরি করছেন। সিজন ৮-এ দুই ভাই জিতেছিলেন ৭ কোটি রুপি। দিল্লির এই দুই ভাই পুরস্কারে জেতা অর্থ তাঁদের মায়ের ক্যানসারের চিকিৎসার কাজে লাগিয়েছেন। পেশায় শিক্ষক তাজ ৭ কোটি রুপি জিতে মেয়ের চোখের চিকিৎসা করিয়েছেন, বানিয়েছেন বাড়ি। ক্যানসারজয়ী মেঘনা ১ কোটি রুপি জিতে নিজের চিকিৎসা করিয়েছেন। প্রথম নারী হিসেবে কেবিসিতে ৫ কোটি রুপি জিতে রেকর্ড গড়েছিলেন সানমিত। তিনি ফ্যাশন ডিজাইনার হওয়ার স্বপ্ন পূরণ করেছেন পুরস্কারের অর্থ দিয়ে। 

তারকাদের ভিড়
তারার মেলা এই শোয়ের অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য। কে আসেননি এই শোয়ে! শচীন থেকে আলিয়া, শাহরুখ থেকে যুবরাজ—ভারতের সব ক্ষেত্রের ছোট-বড় তারকা হাজির হয়েছেন এই শোয়ে। 

অন‍্য ভাষায় কেবিসি
কেবিসির অনুকরণে বিভিন্ন ভাষায় আরও অনেক গেম শো শুরু হয়। তার মধ্যে একটি তো সবারই জানা। সৌরভ গাঙ্গুলির উপস্থাপনায় ‘কে হবে বাংলার কোটিপতি’। বলিউড অভিনেতা শত্রুঘ্ন সিনহা ‘কে বানে ক্রোড়পতি’ নামে ভোজপুরীতে করেছিলেন শোটি। বাংলাদেশে আসাদুজ্জামান নূরের সঞ্চালনায় হয়েছিল ‘কে হতে চায় কোটিপতি’। 

অমিতাভের অসুস্থতা
‘কেবিসি সিজন ২’ চলাকালীন অসুস্থ হয়ে পড়েন অমিতাভ বচ্চন। তাঁর শারীরিক অসুস্থতার কারণে সিজনটি ৮৫ দিনের জায়গায় ৬৯ দিনে শেষ হয়। এ কারণে ‘সিজন ৩’-এ শাহরুখ খানকে সঞ্চালক হিসেবে দেখা যায়।

আকর্ষণীয় ট‍্যাগলাইন
‘কেবিসি সিজন ১’-এর অভাবনীয় সাফল্যের পর ‘কই সওয়াল ছোটা নেহি হোতা’ ও ‘উমিদ সে দুগনা’র মতো অভিনব উক্তি দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছিল। এ বছর ‘জওয়াব আপ হি হো’ স্লোগান নিয়ে চলছে চলতি মৌসুম।

অদ্ভুত যত নিয়ম

  • প্রতিযোগীর প্রশ্নের উত্তর লক না হওয়া পর্যন্ত অমিতাভ নিজেও উত্তর জানতে পারেন না।
  • কেবিসিতে প্রতিযোগীদের সঙ্গে উপস্থিত দর্শকদেরও একই খাবার দেওয়া হয়।
  • প্রতিযোগী ও অমিতাভের মধ্যে কথোপকথনের সময় একজন প্রম্পটার উপস্থিত থাকেন।
  • শোর স্বচ্ছতা বজায় রাখার জন্য চলতি পর্ব শেষ না হওয়া পর্যন্ত জিতে যাওয়া, হেরে যাওয়া ও মাঝপথে খেলা ছেড়ে দেওয়া
  • প্রতিযোগীদের আলাদা একটি কেবিনে রাখা হয়।
  • প্রত‍্যেক প্রতিযোগীর ব‍্যাকগ্রাউন্ড অমিতাভকে আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়।
  • এই সিজনে ‘ফাস্টেস্ট ফিঙ্গার ফার্স্ট’-এর সুযোগ রাখা হয়নি। তার বদলে প্রতিযোগীদের চারটি বিকল্পসহ তিনটি সাধারণ জ্ঞানের
  • প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। যিনি সেই প্রশ্নের জবাব অতি দ্রুত দিতে পারবেন, তিনিই বসবেন হট সিটে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত