তামান্না-ই-জাহান, ঢাকা
কে ছিলেন মায়া অ্যাঞ্জেলো, এই ব্যাখ্যার চেয়ে বরং বলা সহজ, কী ছিলেন না তিনি! মায়া অ্যাঞ্জেলো ছিলেন একাধারে কবি, বিখ্যাত স্মৃতি লেখক, সমাজকর্মী, গায়িকা, নৃত্যশিল্পী ও অভিনেত্রী। ১৯২৮ সালের ৪ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট লুইসে জন্ম তাঁর।
পুরুষের অহং, সাদাদের অযৌক্তিক ঘৃণা আর ক্ষমতার খামতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে মায়া অ্যাঞ্জেলো গড়েছিলেন আত্মপরিচয়। ২০১৪ সালে শারীরিক মৃত্যু হলেও মানুষের মধ্যে তাঁর ভাবনা-উপস্থিতি আজও দারুণভাবে রয়ে গেছে। বিশেষ করে কৃষ্ণাঙ্গ নারীদের কাছে মায়া অ্যাঞ্জেলো এক বড় আশ্রয়।
অনেক লেখালেখি করলেও আট খণ্ডের আত্মজীবনীর জন্য মায়া অ্যাঞ্জেলো এখন পর্যন্ত প্রশংসিত। ১৯৬৯ সালে প্রকাশিত হয় সে আত্মজীবনীর প্রথম খণ্ড ‘আই নো হোয়াই দ্য কেজড বার্ড সিংস’ নামে। শৈশবের বেড়ে ওঠার দিনগুলোর কথাই তিনি বলেছেন বইটিতে। যেখানে বর্ণনা করা হয়েছে তিন বছরের মায়া এবং তাঁর বড় ভাইকে আরকানসাসে দাদির সঙ্গে থাকার জন্য পাঠানো, আট বছর বয়সে মায়ের প্রেমিকের হাতে যৌন নিপীড়নের শিকার হওয়া, নিপীড়কের অস্বাভাবিক মৃত্যু এবং ১৬ বছর বয়সে মায়ার অন্তঃসত্ত্বা হওয়া। বইটিতে একটি চরিত্রের শক্তি এবং সাহিত্যের প্রতি প্রেম কীভাবে বর্ণবাদ ও ভয়াবহ ট্রমা অতিক্রমে সামর্থ্য জোগায় তার নিখুঁত ছবি রয়েছে।
লেখার মধ্য দিয়ে মায়া অ্যাঞ্জেলো আমেরিকায় বেড়ে ওঠা প্রতিটি কৃষ্ণাঙ্গ নারীর প্রতীকী চরিত্র হিসেবে নিজেকে এঁকেছেন। বর্ণবাদের শিকার আর হীনম্মন্যতার জটিলতা ছিল যার নিত্যসঙ্গী। সেই চরম দুর্দশা থেকে ধীরে ধীরে আত্মসচেতন ও ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যের অধিকারী এক নারীতে পরিণত হন তিনি। সারা জীবন মাতৃত্ব উদ্যাপন, বর্ণবাদের সমালোচনা, পরিবারের গুরুত্ব, ভালোবাসায় মুক্তির অনুসন্ধান, ব্যক্তি মর্যাদা ও জ্ঞানের গূঢ় অনুসন্ধান চালিয়েছেন মায়া অ্যাঞ্জেলো।
মাধ্যমিকে থাকতে সাময়িকভাবে পড়াশোনা ফেলে কেব্ল কারের প্রথম আফ্রিকান-আমেরিকান নারী কন্ডাক্টর হিসেবে চাকরি নেন মায়া। পরে আবারও মাধ্যমিকে ভর্তি হন এবং সন্তান জন্ম দেওয়ার আগে কোর্স সম্পন্ন করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে পা মাড়ানো না হলেও বিশ্বের বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মায়াকে সম্মানজনক ডক্টরেট ডিগ্রি দেওয়া হয়। তাঁর ঝুলিতে রয়েছে টনি অ্যাওয়ার্ডস ও গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ডসের মতো সম্মাননা।
বর্ণবাদবিরোধী নেতা ম্যালকম এক্সের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে মায়া লড়াই করেছেন কালোদের পক্ষে। ক্ষমতাশালী ‘সাদা বিশ্বে’ আমেরিকা-আফ্রিকান মানুষেরা সাহিত্যজগতে মায়া অ্যাঞ্জেলোর মতো একটি শক্তিশালী কণ্ঠস্বর পেয়েছিল। কৃষ্ণাঙ্গ সচেতনতা, তাদের হতাশা, প্রেম, কৃষ্ণাঙ্গ নারীদের সচেতনতা আর নিজের জীবন—এসব বিষয় ঘুরেফিরে অ্যাঞ্জেলোর লেখালেখিতে উঠে এসেছে।
২০১১ সালে সে সময়কার মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার কাছ থেকে সে দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক রাষ্ট্রীয় সম্মাননা ‘প্রেসিডেনশিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম’ পান মায়া। ২০১৩ সালে প্রকাশিত হয় তাঁর আত্মজীবনীমূলক শেষ বই ‘মম অ্যান্ড মি অ্যান্ড মম’। এর পরের বছর মে মাসের ২৮ তারিখে চিরতরে থেমে যায় কালো কোকিলের কণ্ঠস্বর।
তথ্যসূত্র: নিউইয়র্ক টাইমস, ব্রিটানিকা ডট কম, টাইম ম্যাগাজিন
কে ছিলেন মায়া অ্যাঞ্জেলো, এই ব্যাখ্যার চেয়ে বরং বলা সহজ, কী ছিলেন না তিনি! মায়া অ্যাঞ্জেলো ছিলেন একাধারে কবি, বিখ্যাত স্মৃতি লেখক, সমাজকর্মী, গায়িকা, নৃত্যশিল্পী ও অভিনেত্রী। ১৯২৮ সালের ৪ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট লুইসে জন্ম তাঁর।
পুরুষের অহং, সাদাদের অযৌক্তিক ঘৃণা আর ক্ষমতার খামতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে মায়া অ্যাঞ্জেলো গড়েছিলেন আত্মপরিচয়। ২০১৪ সালে শারীরিক মৃত্যু হলেও মানুষের মধ্যে তাঁর ভাবনা-উপস্থিতি আজও দারুণভাবে রয়ে গেছে। বিশেষ করে কৃষ্ণাঙ্গ নারীদের কাছে মায়া অ্যাঞ্জেলো এক বড় আশ্রয়।
অনেক লেখালেখি করলেও আট খণ্ডের আত্মজীবনীর জন্য মায়া অ্যাঞ্জেলো এখন পর্যন্ত প্রশংসিত। ১৯৬৯ সালে প্রকাশিত হয় সে আত্মজীবনীর প্রথম খণ্ড ‘আই নো হোয়াই দ্য কেজড বার্ড সিংস’ নামে। শৈশবের বেড়ে ওঠার দিনগুলোর কথাই তিনি বলেছেন বইটিতে। যেখানে বর্ণনা করা হয়েছে তিন বছরের মায়া এবং তাঁর বড় ভাইকে আরকানসাসে দাদির সঙ্গে থাকার জন্য পাঠানো, আট বছর বয়সে মায়ের প্রেমিকের হাতে যৌন নিপীড়নের শিকার হওয়া, নিপীড়কের অস্বাভাবিক মৃত্যু এবং ১৬ বছর বয়সে মায়ার অন্তঃসত্ত্বা হওয়া। বইটিতে একটি চরিত্রের শক্তি এবং সাহিত্যের প্রতি প্রেম কীভাবে বর্ণবাদ ও ভয়াবহ ট্রমা অতিক্রমে সামর্থ্য জোগায় তার নিখুঁত ছবি রয়েছে।
লেখার মধ্য দিয়ে মায়া অ্যাঞ্জেলো আমেরিকায় বেড়ে ওঠা প্রতিটি কৃষ্ণাঙ্গ নারীর প্রতীকী চরিত্র হিসেবে নিজেকে এঁকেছেন। বর্ণবাদের শিকার আর হীনম্মন্যতার জটিলতা ছিল যার নিত্যসঙ্গী। সেই চরম দুর্দশা থেকে ধীরে ধীরে আত্মসচেতন ও ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যের অধিকারী এক নারীতে পরিণত হন তিনি। সারা জীবন মাতৃত্ব উদ্যাপন, বর্ণবাদের সমালোচনা, পরিবারের গুরুত্ব, ভালোবাসায় মুক্তির অনুসন্ধান, ব্যক্তি মর্যাদা ও জ্ঞানের গূঢ় অনুসন্ধান চালিয়েছেন মায়া অ্যাঞ্জেলো।
মাধ্যমিকে থাকতে সাময়িকভাবে পড়াশোনা ফেলে কেব্ল কারের প্রথম আফ্রিকান-আমেরিকান নারী কন্ডাক্টর হিসেবে চাকরি নেন মায়া। পরে আবারও মাধ্যমিকে ভর্তি হন এবং সন্তান জন্ম দেওয়ার আগে কোর্স সম্পন্ন করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে পা মাড়ানো না হলেও বিশ্বের বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মায়াকে সম্মানজনক ডক্টরেট ডিগ্রি দেওয়া হয়। তাঁর ঝুলিতে রয়েছে টনি অ্যাওয়ার্ডস ও গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ডসের মতো সম্মাননা।
বর্ণবাদবিরোধী নেতা ম্যালকম এক্সের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে মায়া লড়াই করেছেন কালোদের পক্ষে। ক্ষমতাশালী ‘সাদা বিশ্বে’ আমেরিকা-আফ্রিকান মানুষেরা সাহিত্যজগতে মায়া অ্যাঞ্জেলোর মতো একটি শক্তিশালী কণ্ঠস্বর পেয়েছিল। কৃষ্ণাঙ্গ সচেতনতা, তাদের হতাশা, প্রেম, কৃষ্ণাঙ্গ নারীদের সচেতনতা আর নিজের জীবন—এসব বিষয় ঘুরেফিরে অ্যাঞ্জেলোর লেখালেখিতে উঠে এসেছে।
২০১১ সালে সে সময়কার মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার কাছ থেকে সে দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক রাষ্ট্রীয় সম্মাননা ‘প্রেসিডেনশিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম’ পান মায়া। ২০১৩ সালে প্রকাশিত হয় তাঁর আত্মজীবনীমূলক শেষ বই ‘মম অ্যান্ড মি অ্যান্ড মম’। এর পরের বছর মে মাসের ২৮ তারিখে চিরতরে থেমে যায় কালো কোকিলের কণ্ঠস্বর।
তথ্যসূত্র: নিউইয়র্ক টাইমস, ব্রিটানিকা ডট কম, টাইম ম্যাগাজিন
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে