১৪ কিমি সড়কে শতাধিক স্থানে খানাখন্দ, দুর্ভোগ

দোলন বিশ্বাস, ইসলামপুর (জামালপুর)
প্রকাশ : ২২ আগস্ট ২০২২, ০৭: ২৩
আপডেট : ২২ আগস্ট ২০২২, ১২: ৪৪

জামালপুরের ইসলামপুর-ঝগড়ারচর সড়কের প্রায় ১৪ কিলোমিটারে শতাধিক জায়গায় সৃষ্টি হয়েছে খানাখন্দ। এমনকি সড়কের বিভিন্ন স্থানে দেখা দিয়েছে ভাঙন। এতে দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে পথচারী ও যানবাহনচালকদের। প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। এমন অবস্থায় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। দ্রুত সড়ক মেরামতের দাবি তাঁদের।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না রেখেই সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। ফলে জলাবদ্ধতার কারণে দেখা দিয়েছে খানাখন্দ। এছাড়া ভারী যানবাহন (লোড ট্রাক) চলাচলের কারণে অনেক যায়গার মাটি ধসে গেছে। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময়ে নানান প্রতিশ্রুতি ও আশ্বাস দেওয়া হলেও কোনো উদ্যোগ নেই।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) উপজেলা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ইসলামপুর হেডকোয়ার্টার থেকে ঝগড়ারচর বাজার পর্যন্ত প্রায় ১৪ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের সড়কটি ২০১৭ সালে তৈরি করা হয়। ২০২০ সালের জুন মাসে সড়ক মেরামতের কাজ শুরু হয়। ২০২১ সালের মে মাসে কাজ সম্পন্ন হয়। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৬ কোটি ২ লাখ ৬৬ হাজার ৬৯৮ টাকা। সড়কের মেরামতকাজ শেষ করে এলই অ্যান্ড এমডব্লিউ (জেভি) নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

সরেজমিনে দেখা গেছে, সড়কটির পোড়ারচর দাখিল মাদ্রাসা সেতুর পশ্চিম পাশে, পোড়ারচর বাজার, টুংরাপাড়া মোড়, মরাকান্দী নছিমুন্নেছন দাখিল মাদ্রাসাসংলগ্ন পোড়াবাড়ি মোড়, চন্দনপুর বন্দেআলী ফুটওবারব্রিজের সংযোগ সড়কে খানাখন্দ। চন্দনপুর পশ্চিমপাড়া মোড়, কড়ইতলা মোল্লাবাজারসহ বিভিন্ন পয়েন্টে ছোট-বড় অন্তত ১০০টি গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। উঠে গেছে ইট ও পিচ। এ ছাড়া সড়কটির চন্দনপুর এলাকায় প্যালাইসাইডিংয়ের সিসি ব্লক ধসে পড়ছে।

অটোরিকশাচালক ফিরোজ, মিজান ও আকবর আলী জানান, সড়কে খানাখন্দের কারণে দুর্ঘটনার শিকার হতে হয়। জলাবদ্ধতা নিরসন করে সড়কের মেরামতকাজ করা জরুরি হয়ে পড়ছে।

বটচর গ্রামের বাসিন্দা আপেল মিয়া, জুলহাস আলী, দিপা আক্তার জানান, পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না রেখেই সড়কের নির্মাণকাজ করা হয়েছে। ফলে সামান্য বৃষ্টিতেই সড়কে জলাবদ্ধতায় সৃষ্টি হয় গর্তের।

শেরপুর থেকে আসা ট্রাকচালক আবু মিয়া বলেন, ‘সড়কে বড় বড় গর্ত হওয়ায় ট্রাক নিয়ে ইসলামপুরে যাওয়া যায় না। গর্তের কারণে ৬ কিলোমিটারের পথ পাড়ি দিতে জামালপুর হয়ে প্রায় ১০০ কিলোমিটার ঘুর যেতে হয়।’

স্থানীয় গাইবান্ধা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মাকছুদুর রহমান আনছারী বলেন, ‘এই সড়কের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। আমরা সড়কটির মেরামতকাজ করে আসছি। প্রয়োজন বড় বরাদ্দের।’

এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী মো. আমিনুল হক বলেন, ‘সড়কটি মেরামতের জন্য ইতিমধ্যে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানিয়েছি। সড়কের জলাবদ্ধতাপ্রবণ এলাকাগুলো চিহ্নিত করে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হবে।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মু. তানভীর হাসান রুমান বলেন, খোঁজ নিয়ে সড়কটি মেরামতের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত