মো. জাকিরুল ইসলাম, হালুয়াঘাট (ময়মনসিংহ)
ময়মনসিংহের সীমান্তবর্তী হালুয়াঘাটের প্রান্তিক চাষি আজাহার আলী ধারদেনা করে পাহাড়ি ঢালে ৩০ শতাংশ জমিতে ঝিঙে লাগিয়েছিলেন। ফলনও ভালো হয়েছিল। কিন্তু সবজি বাজারজাত করার কয়েক দিন আগে এক রাতে বন্য হাতির দল হানা দিয়ে মাড়িয়ে ও খেয়ে পুরো খেত সাবাড় করে ফেলে। তখন জানতে পারেন আবেদন করলে বন বিভাগ থেকে ক্ষতিপূরণ পাবেন। এতে কিছুটা স্বস্তি ফিরলেও সেই ক্ষতিপূরণ হাতে পেয়ে হতাশ হন তিনি।
উপজেলার কড়ইতলি গ্রামের বাসিন্দা আজাহার বলেন, খেত প্রস্তুতসহ আনুষঙ্গিক খরচ হয়েছিল প্রায় ৩০ হাজার। সেখানে বন বিভাগ থেকে ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন ১৫ হাজার টাকা। ফসলি জমির এমন অপর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ নিয়ে আজাহারের মতো উপজেলার ভুবনকুড়া ও গাজীরভিটা ইউনিয়নের পাঁচ শতাধিক কৃষক অসন্তুষ্ট।
সীমান্তের কৃষক, জনপ্রতিনিধি ও বন বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট ও ধোবাউড়া এবং শেরপুরের ঝিনাইগাতী ও নালিতাবাড়ীতে বন্য হাতির দল খাদ্যের সন্ধানে লোকালয়ে নেমে তাণ্ডব চালায়। নষ্ট করে ফসলি জমি ও বসতভিটা।
বন বিভাগ বলছে, হাতির আক্রমণে কোনো কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হলে নিয়ম অনুযায়ী আবেদন করতে বলা হয়। যাঁরা আবেদন করেন তাঁদের জমির পরিমাণ অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ দেওয়া হচ্ছে। তবে কৃষকদের দাবি, যে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয় তাতে খরচের অর্ধেকও মিলছে না।
স্থানীয় কৃষক আব্দুল হামিদ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘আত্তি সব শেষ করল। পাইলাম কী? ৪০ হাজার খরচ কইরা ১৫ হাজার। অর্ধেকও পাই নাই। আমরা এখন নিরুপায়। সরকার যদি ক্ষতিপূরণের টাকা বাড়িয়ে দিত তাইলে বিরাট উপকার অইত।’
চলতি অর্থবছরে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট ও ধোবাউড়া এবং শেরপুরের নালিতাবাড়ীর আংশিক এলাকায় হাতির আক্রমণে এখন পর্যন্ত ৯৫ জন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষককে সর্বমোট ১৬ লাখ ৬৭ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে ময়মনসিংহ বন বিভাগের গোপালপুর (হালুয়াঘাট ও নালিতাবাড়ী ‘এ’ বিটের অংশ) বিট কর্মকর্তা মাজাহারুল হক বলেন, ফসলের ধরন অনুযায়ী একরপ্রতি সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়। হাতির আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের আবেদন যাচাই-বাছাই শেষে ৮৬ জনকে ক্ষতিপূরণে দেওয়া হয়েছে। আরও ৩১টি আবেদন যাচাই শেষে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। অন্যদিকে ভেদিকুড়া বিট কর্মকর্তা সাইদুল ইসলাম জানান, ধোবাউড়া উপজেলায় ইতিমধ্যে নয়জন কৃষককে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে।
ময়মনসিংহের সীমান্তবর্তী হালুয়াঘাটের প্রান্তিক চাষি আজাহার আলী ধারদেনা করে পাহাড়ি ঢালে ৩০ শতাংশ জমিতে ঝিঙে লাগিয়েছিলেন। ফলনও ভালো হয়েছিল। কিন্তু সবজি বাজারজাত করার কয়েক দিন আগে এক রাতে বন্য হাতির দল হানা দিয়ে মাড়িয়ে ও খেয়ে পুরো খেত সাবাড় করে ফেলে। তখন জানতে পারেন আবেদন করলে বন বিভাগ থেকে ক্ষতিপূরণ পাবেন। এতে কিছুটা স্বস্তি ফিরলেও সেই ক্ষতিপূরণ হাতে পেয়ে হতাশ হন তিনি।
উপজেলার কড়ইতলি গ্রামের বাসিন্দা আজাহার বলেন, খেত প্রস্তুতসহ আনুষঙ্গিক খরচ হয়েছিল প্রায় ৩০ হাজার। সেখানে বন বিভাগ থেকে ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন ১৫ হাজার টাকা। ফসলি জমির এমন অপর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ নিয়ে আজাহারের মতো উপজেলার ভুবনকুড়া ও গাজীরভিটা ইউনিয়নের পাঁচ শতাধিক কৃষক অসন্তুষ্ট।
সীমান্তের কৃষক, জনপ্রতিনিধি ও বন বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট ও ধোবাউড়া এবং শেরপুরের ঝিনাইগাতী ও নালিতাবাড়ীতে বন্য হাতির দল খাদ্যের সন্ধানে লোকালয়ে নেমে তাণ্ডব চালায়। নষ্ট করে ফসলি জমি ও বসতভিটা।
বন বিভাগ বলছে, হাতির আক্রমণে কোনো কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হলে নিয়ম অনুযায়ী আবেদন করতে বলা হয়। যাঁরা আবেদন করেন তাঁদের জমির পরিমাণ অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ দেওয়া হচ্ছে। তবে কৃষকদের দাবি, যে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয় তাতে খরচের অর্ধেকও মিলছে না।
স্থানীয় কৃষক আব্দুল হামিদ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘আত্তি সব শেষ করল। পাইলাম কী? ৪০ হাজার খরচ কইরা ১৫ হাজার। অর্ধেকও পাই নাই। আমরা এখন নিরুপায়। সরকার যদি ক্ষতিপূরণের টাকা বাড়িয়ে দিত তাইলে বিরাট উপকার অইত।’
চলতি অর্থবছরে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট ও ধোবাউড়া এবং শেরপুরের নালিতাবাড়ীর আংশিক এলাকায় হাতির আক্রমণে এখন পর্যন্ত ৯৫ জন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষককে সর্বমোট ১৬ লাখ ৬৭ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে ময়মনসিংহ বন বিভাগের গোপালপুর (হালুয়াঘাট ও নালিতাবাড়ী ‘এ’ বিটের অংশ) বিট কর্মকর্তা মাজাহারুল হক বলেন, ফসলের ধরন অনুযায়ী একরপ্রতি সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়। হাতির আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের আবেদন যাচাই-বাছাই শেষে ৮৬ জনকে ক্ষতিপূরণে দেওয়া হয়েছে। আরও ৩১টি আবেদন যাচাই শেষে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। অন্যদিকে ভেদিকুড়া বিট কর্মকর্তা সাইদুল ইসলাম জানান, ধোবাউড়া উপজেলায় ইতিমধ্যে নয়জন কৃষককে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
২ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪