রাঙামাটি প্রতিনিধি
রাঙামাটি সদরের সঙ্গে জেলার পাঁচ উপজেলার যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল প্রায় দেড় মাস বন্ধ রয়েছে। এতে ইঞ্জিনচালিত ছোট নৌকায় যাতায়াত করছে ওই উপজেলার মানুষ। কাপ্তাই হ্রদের পানি শুকিয়ে নৌপথের বিভিন্ন স্থানে চর জেগে ওঠায় এ অবস্থা তৈরি হয়েছে।
লঞ্চ যোগাযোগ বন্ধ হওয়া উপজেলাগুলো হলো বাঘাইছড়ি, নানিয়ারচর, বরকল, জুরাছড়ি ও বিলাইছড়ি।
যাত্রীরা জানান, বিগত বছরের চেয়ে এ বছর বেশি খারাপ অবস্থা হয়েছে। ভারী বৃষ্টিপাত না হলে যাতায়াতের দুর্ভোগ আরও বাড়বে। নদী রক্ষা জাতীয় কমিটি, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় ও জেলা প্রশাসনকে একাধিকার জানিয়েও এর সমাধান পায়নি লঞ্চ মালিক সমিতি।
জুরাছড়ি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কৌশিক চাকমা বলেন, ‘জুরাছড়ির যাতায়াতব্যবস্থা একেবারে ভেঙে পড়েছে। যাত্রীরা খুব কষ্ট পাচ্ছে। কিছু দূর যেতেই নৌকা থেকে নেমে ঠেলতে হচ্ছে। একদিকে কাদা, অন্যদিকে মালামাল কাঁধে করে নিতে হয়। রোগী বহনের ট্রলারগুলোকে করুণ অবস্থায় পড়তে হচ্ছে। দুর্ভোগ এখন শেষ সীমানা অতিক্রম করেছে।’
বরকল উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শ্যাম রতন চাকমা বলছেন, ‘বরকলে যাওয়ার পথে বোটগুলো নদীর বিভিন্ন স্থানে চরে আটকে যাচ্ছে। সবচেয়ে বেশি কষ্ট পাচ্ছে ভূষণছড়া, বড় হরিণা ও আইমাছড়া ইউনিয়নের মানুষ। কর্ণফুলী নদী দিয়ে ছোট নৌকা চলতে পারলেও এর শাখা ছড়া, বিল শুকিয়ে যাওয়ায় নৌ চলাচল একেবারে বন্ধ হয়ে গেছে। এখন মানুষজনকে মাইলের পর মাইল হেঁটে যেতে হচ্ছে।’
বাঘাইছড়ি প্রেসক্লাবের সভাপতি দীলিপ কুমার দাশ বলেন, ‘বড় ধরনের বৃষ্টিপাত না হলে আমরা আগামী কয়েক মাস লঞ্চে রাঙামাটিতে যাতায়াত করতে পারব না। আমাদের সড়ক ও নৌপথ, দুটোই দীর্ঘ। প্রতিবছর শুষ্ক মৌসুমে প্রায় ছয় মাস কাপ্তাই হ্রদের পানি শুকিয়ে যায়। লঞ্চ চলাচলে সমস্যা হলে যাত্রীদের পার্শ্ববর্তী জেলা খাগড়াছড়ির ওপর দিয়ে রাঙামাটি সদরের যেতে হয়। কিন্তু বাসে যাতায়াতব্যবস্থা ভালো না হওয়ায় যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়েন। এখন নৌ ও সড়কপথে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে বাঘাইছড়িবাসী।’
রাঙামাটি লঞ্চ মালিক সমিতি সভাপতি মো. মঈন উদ্দিন সেলিম বলেন, ‘গত মার্চের প্রথম দিক জেলা সদরের সঙ্গে থেকে প্রায় পাঁচ উপজেলার লঞ্চ যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। লঞ্চগুলো বিভিন্ন স্থানে চরে আটকে যাচ্ছে। তাই ছোট বোট দিয়ে যাত্রী ও মালামাল পরিবহন করা হচ্ছে। বৃষ্টি না হলে এই দুর্ভোগ আরও বাড়বে।’
মালিক সমিতি সভাপতি বলেন, ‘বিগত সময়ে এসব বিষয়ে নদী রক্ষা জাতীয় কমিটি ও নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ে অনেকবার চিঠি লিখেছি। জেলা প্রশাসকেরা অনেকবার প্রস্তাব পাঠিয়েছেন। তারপরও কাপ্তাই হ্রদ ক্যাপিটাল ড্রেজিং করা হচ্ছে না। বর্তমানে আমাদের লঞ্চগুলো বসে আছে। বেকার হয়ে পড়েছেন লঞ্চ স্টাফরা।’
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, ‘কাপ্তাই হ্রদ খনন ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কোনো সুখবর নেই। তাই এখন প্রকৃতির ওপর তাকিয়ে ছাড়া আমাদের পথ খোলা নেই। কাপ্তাই হ্রদের নৌপথ ড্রেজিং করার ব্যাপারে সরকারের সিদ্ধান্ত রয়েছে। কাপ্তাই হ্রদ রক্ষায় সবার দায়িত্ব রয়েছে।’
জেলা প্রশাসক জানান, নানিয়ারচর, লংগদু হয়ে বাঘাইছড়ি সড়ক যোগাযোগ ব্যাপারে সরকারের উন্নয়ন অব্যাহত রয়েছে। তবে এটি সমাপ্ত হতে আরও কিছু সময় লাগবে।
১৯৬০ সালে কাপ্তাই এলাকায় কর্ণফুলী নদীতে বাঁধ দিয়ে কাপ্তাই পানিবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের ফলে কাপ্তাই হ্রদ সৃষ্টি হয়। ৭২৫ বর্গকিলোমিটার এই হ্রদ থেকে প্রতিবছর কোটি টাকার মাছ আহরণ করেন জেলেরা। বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের তত্ত্বাবধানে কাপ্তাই হ্রদ থেকে মাছ ধরা থেকে বিপুল রাজস্ব পেয়ে থাকে সরকার।
রাঙামাটি সদরের সঙ্গে জেলার পাঁচ উপজেলার যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল প্রায় দেড় মাস বন্ধ রয়েছে। এতে ইঞ্জিনচালিত ছোট নৌকায় যাতায়াত করছে ওই উপজেলার মানুষ। কাপ্তাই হ্রদের পানি শুকিয়ে নৌপথের বিভিন্ন স্থানে চর জেগে ওঠায় এ অবস্থা তৈরি হয়েছে।
লঞ্চ যোগাযোগ বন্ধ হওয়া উপজেলাগুলো হলো বাঘাইছড়ি, নানিয়ারচর, বরকল, জুরাছড়ি ও বিলাইছড়ি।
যাত্রীরা জানান, বিগত বছরের চেয়ে এ বছর বেশি খারাপ অবস্থা হয়েছে। ভারী বৃষ্টিপাত না হলে যাতায়াতের দুর্ভোগ আরও বাড়বে। নদী রক্ষা জাতীয় কমিটি, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় ও জেলা প্রশাসনকে একাধিকার জানিয়েও এর সমাধান পায়নি লঞ্চ মালিক সমিতি।
জুরাছড়ি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কৌশিক চাকমা বলেন, ‘জুরাছড়ির যাতায়াতব্যবস্থা একেবারে ভেঙে পড়েছে। যাত্রীরা খুব কষ্ট পাচ্ছে। কিছু দূর যেতেই নৌকা থেকে নেমে ঠেলতে হচ্ছে। একদিকে কাদা, অন্যদিকে মালামাল কাঁধে করে নিতে হয়। রোগী বহনের ট্রলারগুলোকে করুণ অবস্থায় পড়তে হচ্ছে। দুর্ভোগ এখন শেষ সীমানা অতিক্রম করেছে।’
বরকল উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শ্যাম রতন চাকমা বলছেন, ‘বরকলে যাওয়ার পথে বোটগুলো নদীর বিভিন্ন স্থানে চরে আটকে যাচ্ছে। সবচেয়ে বেশি কষ্ট পাচ্ছে ভূষণছড়া, বড় হরিণা ও আইমাছড়া ইউনিয়নের মানুষ। কর্ণফুলী নদী দিয়ে ছোট নৌকা চলতে পারলেও এর শাখা ছড়া, বিল শুকিয়ে যাওয়ায় নৌ চলাচল একেবারে বন্ধ হয়ে গেছে। এখন মানুষজনকে মাইলের পর মাইল হেঁটে যেতে হচ্ছে।’
বাঘাইছড়ি প্রেসক্লাবের সভাপতি দীলিপ কুমার দাশ বলেন, ‘বড় ধরনের বৃষ্টিপাত না হলে আমরা আগামী কয়েক মাস লঞ্চে রাঙামাটিতে যাতায়াত করতে পারব না। আমাদের সড়ক ও নৌপথ, দুটোই দীর্ঘ। প্রতিবছর শুষ্ক মৌসুমে প্রায় ছয় মাস কাপ্তাই হ্রদের পানি শুকিয়ে যায়। লঞ্চ চলাচলে সমস্যা হলে যাত্রীদের পার্শ্ববর্তী জেলা খাগড়াছড়ির ওপর দিয়ে রাঙামাটি সদরের যেতে হয়। কিন্তু বাসে যাতায়াতব্যবস্থা ভালো না হওয়ায় যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়েন। এখন নৌ ও সড়কপথে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে বাঘাইছড়িবাসী।’
রাঙামাটি লঞ্চ মালিক সমিতি সভাপতি মো. মঈন উদ্দিন সেলিম বলেন, ‘গত মার্চের প্রথম দিক জেলা সদরের সঙ্গে থেকে প্রায় পাঁচ উপজেলার লঞ্চ যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। লঞ্চগুলো বিভিন্ন স্থানে চরে আটকে যাচ্ছে। তাই ছোট বোট দিয়ে যাত্রী ও মালামাল পরিবহন করা হচ্ছে। বৃষ্টি না হলে এই দুর্ভোগ আরও বাড়বে।’
মালিক সমিতি সভাপতি বলেন, ‘বিগত সময়ে এসব বিষয়ে নদী রক্ষা জাতীয় কমিটি ও নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ে অনেকবার চিঠি লিখেছি। জেলা প্রশাসকেরা অনেকবার প্রস্তাব পাঠিয়েছেন। তারপরও কাপ্তাই হ্রদ ক্যাপিটাল ড্রেজিং করা হচ্ছে না। বর্তমানে আমাদের লঞ্চগুলো বসে আছে। বেকার হয়ে পড়েছেন লঞ্চ স্টাফরা।’
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, ‘কাপ্তাই হ্রদ খনন ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কোনো সুখবর নেই। তাই এখন প্রকৃতির ওপর তাকিয়ে ছাড়া আমাদের পথ খোলা নেই। কাপ্তাই হ্রদের নৌপথ ড্রেজিং করার ব্যাপারে সরকারের সিদ্ধান্ত রয়েছে। কাপ্তাই হ্রদ রক্ষায় সবার দায়িত্ব রয়েছে।’
জেলা প্রশাসক জানান, নানিয়ারচর, লংগদু হয়ে বাঘাইছড়ি সড়ক যোগাযোগ ব্যাপারে সরকারের উন্নয়ন অব্যাহত রয়েছে। তবে এটি সমাপ্ত হতে আরও কিছু সময় লাগবে।
১৯৬০ সালে কাপ্তাই এলাকায় কর্ণফুলী নদীতে বাঁধ দিয়ে কাপ্তাই পানিবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের ফলে কাপ্তাই হ্রদ সৃষ্টি হয়। ৭২৫ বর্গকিলোমিটার এই হ্রদ থেকে প্রতিবছর কোটি টাকার মাছ আহরণ করেন জেলেরা। বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের তত্ত্বাবধানে কাপ্তাই হ্রদ থেকে মাছ ধরা থেকে বিপুল রাজস্ব পেয়ে থাকে সরকার।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
২ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
২ দিন আগে