সবুজ শর্মা শাকিল, সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম)
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তিন মাস পার হলেও হাসপাতালের মর্গে থাকা ১৪টি মরদেহের পরিচয় শনাক্ত হয়নি। বিস্ফোরণে পুড়ে অঙ্গার হওয়া এসব মরদেহ নিজেদের নিকটজন দাবি করে ৩৫ স্বজন তাঁদের ডিএনএ নমুনা দিয়েছেন। তবে তাঁদের অপেক্ষা শেষ হয়নি। ফলে যতই দিন যাচ্ছে, ততই পরিচয় শনাক্ত নিয়ে বাড়ছে স্বজনদের শঙ্কা।
কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণে নিহত কাভার্ড ভ্যানচালক মাইন উদ্দিনের বাবা হেমায়েত উল্লাহ গতকাল সোমবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সেদিনের বিস্ফোরণের ঘণ্টাখানেক আগেও আমি আমার ছেলের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলেছি। কিন্তু বিস্ফোরণের ঘটনা জানতে পেরে ছেলের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁর কোনো সন্ধান পাইনি। ছেলেকে ফিরে পেতে বিস্ফোরণের রাতে নোয়াখালী থেকে সীতাকুণ্ডে ছুটে আসি। ছেলের মরদেহ ফিরে পেতে সারা রাত ঘটনাস্থলে অপেক্ষা করি। কিন্তু দীর্ঘ অপেক্ষার পরও ডিপো থেকে বের করা সারি সারি মরদেহের ভিড়ে ছেলেকে খুঁজে পাইনি।’
নোয়াখালীর বাসিন্দা হেমায়েত উল্লাহ আরও বলেন, ‘ছেলের মরদেহ ফিরে পাওয়ার আশায় বেশ কয়েক দিন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের বারান্দায় ঘুরেছি। মর্গে পড়ে থাকা মরদেহের মধ্যে প্রিয় ছেলেকে শনাক্ত করতে ডিএনএ নমুনাও জমা দিয়েছি। কিন্তু নমুনা দেওয়ার তিন মাস অতিবাহিত হলেও ছেলের মরদেহ খুঁজে পাইনি। ছেলে তো শেষ, তিন মাস হয় ছেলের মরদেহটাও পেলাম না। ছেলেকে কবর দেওয়ার জন্য মরদেহটা আদৌ পাব কি না, তাও জানি না।’
সীতাকুণ্ড থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুমন বণিক বলেন, গত ৪ জুন রাতে বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে মারা যাওয়া ৫১ জনের মরদেহ উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। সেখানে আইনি প্রক্রিয়া শেষে ২৯টি মরদেহ নিহত ব্যক্তির স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তবে মর্গে থাকা ২২টি মরদেহের বেশির ভাগই দগ্ধ হয়ে যাওয়ায় চেহারা বিকৃত হওয়ায় তাঁদের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি। তাঁদের স্বজনেরা কোনোভাবেই মরদেহ শনাক্ত করতে পারেননি।
সুমন বণিক আরও বলেন, ৭ জুন এসব মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তরের জন্য স্বজনদের কাছ থেকে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এতে আগুনে পুড়ে অঙ্গার হওয়া ২২টি মরদেহ ফিরে পেতে ডিএনএ নমুনা দেন ৩৫ জন। নমুনা সংগ্রহের এক মাস পর ৮টি মরদেহের পরিচয় শনাক্ত শেষে তাঁদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বাকি থাকে আরও ১৪ মরদেহ।
সীতাকুণ্ড থানার পরিদর্শক আরও বলেন, আগুনে মরদেহগুলোর শরীর একেবারে পুড়ে অঙ্গার হয়ে যাওয়ায় পরিচয় শনাক্তে বেগ পেতে হচ্ছে সিআইডিকে। মরদেহ ফিরে পেতে অপেক্ষমাণ স্বজনেরা ডিএনএ নমুনা দিলেও কবে নাগাদ পরিচয় শনাক্ত হতে পারে, সে ব্যাপারে নিশ্চিত করে বলতে পারেননি তিনি।
৪ জুন রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নের কাশেম জুটমিল গেট এলাকায় অবস্থিত বিএম কনটেইনার ডিপো বিস্ফোরণের পর আগুন লাগে। খবর পেয়ে কুমিরা ও সীতাকুণ্ড ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আগুন নেভাতে যান। আগুন নেভানোর কাজ করার সময় রাসায়নিকে ভর্তি একটি কনটেইনার বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত সীতাকুণ্ড ও কুমিরা ফায়ার সার্ভিসের ১০ জন ফায়ার ফাইটারসহ ৫১ জন মারা গেছেন। আহত হয়েছেন ২৩০ জনেরও অধিক মানুষ।
এ ঘটনায় গঠিত বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের তদন্ত কমিটি গত বুধবার প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। তারা প্রতিবেদনে বলেছে, ডিপোতে থাকা হাইড্রোজেন পার-অক্সাইডভর্তি কনটেইনার থেকে আগুন এবং বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। বিস্ফোরণের ঘটনায় মামলা করা হলেও তিন মাসেও মামলার কোনো অগ্রগতি হয়নি। এখনো কেউ গ্রেপ্তার হননি। এমনকি কাউকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়নি।
বিস্ফোরণের পর এ ঘটনায় সাতটি পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। বিভাগীয় কমিশনার ও বন্দর কর্তৃপক্ষের তদন্ত কমিটি কনটেইনার ডিপোকে দায়ী করে প্রতিবেদন দাখিল করে।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তিন মাস পার হলেও হাসপাতালের মর্গে থাকা ১৪টি মরদেহের পরিচয় শনাক্ত হয়নি। বিস্ফোরণে পুড়ে অঙ্গার হওয়া এসব মরদেহ নিজেদের নিকটজন দাবি করে ৩৫ স্বজন তাঁদের ডিএনএ নমুনা দিয়েছেন। তবে তাঁদের অপেক্ষা শেষ হয়নি। ফলে যতই দিন যাচ্ছে, ততই পরিচয় শনাক্ত নিয়ে বাড়ছে স্বজনদের শঙ্কা।
কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণে নিহত কাভার্ড ভ্যানচালক মাইন উদ্দিনের বাবা হেমায়েত উল্লাহ গতকাল সোমবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সেদিনের বিস্ফোরণের ঘণ্টাখানেক আগেও আমি আমার ছেলের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলেছি। কিন্তু বিস্ফোরণের ঘটনা জানতে পেরে ছেলের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁর কোনো সন্ধান পাইনি। ছেলেকে ফিরে পেতে বিস্ফোরণের রাতে নোয়াখালী থেকে সীতাকুণ্ডে ছুটে আসি। ছেলের মরদেহ ফিরে পেতে সারা রাত ঘটনাস্থলে অপেক্ষা করি। কিন্তু দীর্ঘ অপেক্ষার পরও ডিপো থেকে বের করা সারি সারি মরদেহের ভিড়ে ছেলেকে খুঁজে পাইনি।’
নোয়াখালীর বাসিন্দা হেমায়েত উল্লাহ আরও বলেন, ‘ছেলের মরদেহ ফিরে পাওয়ার আশায় বেশ কয়েক দিন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের বারান্দায় ঘুরেছি। মর্গে পড়ে থাকা মরদেহের মধ্যে প্রিয় ছেলেকে শনাক্ত করতে ডিএনএ নমুনাও জমা দিয়েছি। কিন্তু নমুনা দেওয়ার তিন মাস অতিবাহিত হলেও ছেলের মরদেহ খুঁজে পাইনি। ছেলে তো শেষ, তিন মাস হয় ছেলের মরদেহটাও পেলাম না। ছেলেকে কবর দেওয়ার জন্য মরদেহটা আদৌ পাব কি না, তাও জানি না।’
সীতাকুণ্ড থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুমন বণিক বলেন, গত ৪ জুন রাতে বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে মারা যাওয়া ৫১ জনের মরদেহ উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। সেখানে আইনি প্রক্রিয়া শেষে ২৯টি মরদেহ নিহত ব্যক্তির স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তবে মর্গে থাকা ২২টি মরদেহের বেশির ভাগই দগ্ধ হয়ে যাওয়ায় চেহারা বিকৃত হওয়ায় তাঁদের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি। তাঁদের স্বজনেরা কোনোভাবেই মরদেহ শনাক্ত করতে পারেননি।
সুমন বণিক আরও বলেন, ৭ জুন এসব মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তরের জন্য স্বজনদের কাছ থেকে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এতে আগুনে পুড়ে অঙ্গার হওয়া ২২টি মরদেহ ফিরে পেতে ডিএনএ নমুনা দেন ৩৫ জন। নমুনা সংগ্রহের এক মাস পর ৮টি মরদেহের পরিচয় শনাক্ত শেষে তাঁদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বাকি থাকে আরও ১৪ মরদেহ।
সীতাকুণ্ড থানার পরিদর্শক আরও বলেন, আগুনে মরদেহগুলোর শরীর একেবারে পুড়ে অঙ্গার হয়ে যাওয়ায় পরিচয় শনাক্তে বেগ পেতে হচ্ছে সিআইডিকে। মরদেহ ফিরে পেতে অপেক্ষমাণ স্বজনেরা ডিএনএ নমুনা দিলেও কবে নাগাদ পরিচয় শনাক্ত হতে পারে, সে ব্যাপারে নিশ্চিত করে বলতে পারেননি তিনি।
৪ জুন রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নের কাশেম জুটমিল গেট এলাকায় অবস্থিত বিএম কনটেইনার ডিপো বিস্ফোরণের পর আগুন লাগে। খবর পেয়ে কুমিরা ও সীতাকুণ্ড ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আগুন নেভাতে যান। আগুন নেভানোর কাজ করার সময় রাসায়নিকে ভর্তি একটি কনটেইনার বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত সীতাকুণ্ড ও কুমিরা ফায়ার সার্ভিসের ১০ জন ফায়ার ফাইটারসহ ৫১ জন মারা গেছেন। আহত হয়েছেন ২৩০ জনেরও অধিক মানুষ।
এ ঘটনায় গঠিত বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের তদন্ত কমিটি গত বুধবার প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। তারা প্রতিবেদনে বলেছে, ডিপোতে থাকা হাইড্রোজেন পার-অক্সাইডভর্তি কনটেইনার থেকে আগুন এবং বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। বিস্ফোরণের ঘটনায় মামলা করা হলেও তিন মাসেও মামলার কোনো অগ্রগতি হয়নি। এখনো কেউ গ্রেপ্তার হননি। এমনকি কাউকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়নি।
বিস্ফোরণের পর এ ঘটনায় সাতটি পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। বিভাগীয় কমিশনার ও বন্দর কর্তৃপক্ষের তদন্ত কমিটি কনটেইনার ডিপোকে দায়ী করে প্রতিবেদন দাখিল করে।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে