আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি
১৯৭১ সালের ১৩ ডিসেম্বর। বগুড়ার আদমদীঘির সান্তাহারে পাকিস্তানি সেনাদের সঙ্গে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের তুমুল লড়াই। একপর্যায়ে পিছু হটে সেনারা। সিদ্ধান্ত হয় রেললাইন উড়িয়ে দেওয়ার। দায়িত্ব পড়ে বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ সুজীতের কাঁধে। প্রথম মাইনের বিস্ফোরণ সফল হয়। কিন্তু দ্বিতীয়টির বিস্ফোরণ ঘটাতে গিয়ে সুজীত শহীদ হন। তাঁর শরীরের সঙ্গে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় কাঁধের ব্যাগটিও। ওই ব্যাগেই ছিল মুক্তিযোদ্ধা দলটির সবার বিস্তারিত ঠিকানা। সহযোদ্ধারা শুধু জানতেন, সুজীতের পৈতৃক বাড়ি ময়মনসিংহে। দেশ স্বাধীন হলে সহযোদ্ধারা তাঁর স্বজনদের খোঁজে ময়মনসিংহ যান।
কিন্তু তাঁর ঠিকানা কিংবা স্বজনদের কাউকে খুঁজে বের করতে পারেননি। স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও তাঁরা জানেন না শহীদ সুজীতের স্বজনেরা কারা। তাঁরা এখন কোথায়?
রণাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধারা জানিয়েছেন, ১৯৭১ সালের ১২ ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনী মুক্ত হয় আদমদীঘি সদর। ৭ নম্বর সেক্টরের ৬৮ নম্বর দলের কয়েক শ বীর মুক্তিযোদ্ধা সান্তাহার শহর মুক্ত করতে পশ্চিম ঢাকা রোড থেকে সামনের দিকে যেতে থাকেন। দলটির নেতৃত্বে ছিলেন কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা এল কে আবুল, মেজর (অব.) আব্দুল হাকিম ও মো. হায়াত। একপর্যায়ে পাকিস্তানি সেনারা সান্তাহার থেকে মিটার গ্রেজ লাইনে ট্রেনে করে এসে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে থাকে।
বীর মুক্তিযোদ্ধারা প্রতিরোধ গড়ে তুললে পাকিস্তানি সেনাদের ট্রেনটি সান্তাহারে ফিরে আসে। পরে সান্তাহার ওয়ার্কশপ থেকে প্রচণ্ড বেগে গোলা ছুড়তে থাকে। এ সময় বীর মুক্তিযোদ্ধারা সিদ্ধান্ত নেন, সান্তাহার থেকে ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ করতে রেললাইন উড়িয়ে দেওয়া হবে। এর দায়িত্ব দেওয়া হয় বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ বীর মুক্তিযোদ্ধা সুজীত বর্মণকে।
৬৮ নম্বর দলের কমান্ডার এল কে আবুলের পরামর্শে দুটি অ্যান্টি মাইন রেললাইনে লাগানো হয়। প্রথমটির বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এতে উড়ে যায় একটি লাইনের বেশ কিছু অংশ। দ্বিতীয় মাইনটি বিস্ফোরণ করতে সুতার মাথায় টান দেন সুজীত বর্মণ। কিন্তু মাইনটি বিস্ফোরিত হয়নি। তিনি সেটি পরীক্ষা করতে যান। আর তখনই মাইনটির বিস্ফোরণ ঘটে। এতে সুজীতের দেহ ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রশিদ বলেন, ‘সুজীতের বয়স যুদ্ধের সময় ছিল ২২ থেকে ২৪ বছর। ময়মনসিংহের এই কৃতী সন্তানের স্বজনের খোঁজ করছি আমরা। কেউ থাকলে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।’
বীর মুক্তিযোদ্ধা আজমল হোসেন বলেন, ‘সুজীত বর্মণের বাড়ি ময়মনসিংহে। সে ছিল স্নাতক পাস। মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিতে সে ভারতে গিয়ে ট্রেনিং নিয়েছিল। পরে সান্তাহার এলাকায় ৬৮ নম্বর দলের হয়ে যুদ্ধ করেছে। মুক্তিযুদ্ধের পর আমরা কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ সুজীতের মা-বাবাসহ স্বজনদের খোঁজে ময়মনসিংহ গিয়েছিলাম। কিন্তু তাঁর কোনো ঠিকানা পাইনি।’
মুক্তিযুদ্ধকালীন কমান্ডার ও ৬৮ নম্বর দলের কমান্ডার এল কে আবুল বলেন, ‘সুজীত বর্মণে কাঁধে সব সময় একটা ব্যাগ থাকত। সেই ব্যাগে আমাদের দলের সব সদস্যের নাম-ঠিকানা ছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্য ক্রমে সেই ব্যাগসহ সুজীত ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়। এ কারণে তার বিস্তারিত পরিচয় জানতে পারিনি।’ তিনি বলেন, সুজীত বর্মণ যেখানে শহীদ হয়েছিলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর নাম রাখা হয় সুজীত রেলগেট।
১৯৭১ সালের ১৩ ডিসেম্বর। বগুড়ার আদমদীঘির সান্তাহারে পাকিস্তানি সেনাদের সঙ্গে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের তুমুল লড়াই। একপর্যায়ে পিছু হটে সেনারা। সিদ্ধান্ত হয় রেললাইন উড়িয়ে দেওয়ার। দায়িত্ব পড়ে বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ সুজীতের কাঁধে। প্রথম মাইনের বিস্ফোরণ সফল হয়। কিন্তু দ্বিতীয়টির বিস্ফোরণ ঘটাতে গিয়ে সুজীত শহীদ হন। তাঁর শরীরের সঙ্গে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় কাঁধের ব্যাগটিও। ওই ব্যাগেই ছিল মুক্তিযোদ্ধা দলটির সবার বিস্তারিত ঠিকানা। সহযোদ্ধারা শুধু জানতেন, সুজীতের পৈতৃক বাড়ি ময়মনসিংহে। দেশ স্বাধীন হলে সহযোদ্ধারা তাঁর স্বজনদের খোঁজে ময়মনসিংহ যান।
কিন্তু তাঁর ঠিকানা কিংবা স্বজনদের কাউকে খুঁজে বের করতে পারেননি। স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও তাঁরা জানেন না শহীদ সুজীতের স্বজনেরা কারা। তাঁরা এখন কোথায়?
রণাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধারা জানিয়েছেন, ১৯৭১ সালের ১২ ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনী মুক্ত হয় আদমদীঘি সদর। ৭ নম্বর সেক্টরের ৬৮ নম্বর দলের কয়েক শ বীর মুক্তিযোদ্ধা সান্তাহার শহর মুক্ত করতে পশ্চিম ঢাকা রোড থেকে সামনের দিকে যেতে থাকেন। দলটির নেতৃত্বে ছিলেন কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা এল কে আবুল, মেজর (অব.) আব্দুল হাকিম ও মো. হায়াত। একপর্যায়ে পাকিস্তানি সেনারা সান্তাহার থেকে মিটার গ্রেজ লাইনে ট্রেনে করে এসে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে থাকে।
বীর মুক্তিযোদ্ধারা প্রতিরোধ গড়ে তুললে পাকিস্তানি সেনাদের ট্রেনটি সান্তাহারে ফিরে আসে। পরে সান্তাহার ওয়ার্কশপ থেকে প্রচণ্ড বেগে গোলা ছুড়তে থাকে। এ সময় বীর মুক্তিযোদ্ধারা সিদ্ধান্ত নেন, সান্তাহার থেকে ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ করতে রেললাইন উড়িয়ে দেওয়া হবে। এর দায়িত্ব দেওয়া হয় বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ বীর মুক্তিযোদ্ধা সুজীত বর্মণকে।
৬৮ নম্বর দলের কমান্ডার এল কে আবুলের পরামর্শে দুটি অ্যান্টি মাইন রেললাইনে লাগানো হয়। প্রথমটির বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এতে উড়ে যায় একটি লাইনের বেশ কিছু অংশ। দ্বিতীয় মাইনটি বিস্ফোরণ করতে সুতার মাথায় টান দেন সুজীত বর্মণ। কিন্তু মাইনটি বিস্ফোরিত হয়নি। তিনি সেটি পরীক্ষা করতে যান। আর তখনই মাইনটির বিস্ফোরণ ঘটে। এতে সুজীতের দেহ ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রশিদ বলেন, ‘সুজীতের বয়স যুদ্ধের সময় ছিল ২২ থেকে ২৪ বছর। ময়মনসিংহের এই কৃতী সন্তানের স্বজনের খোঁজ করছি আমরা। কেউ থাকলে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।’
বীর মুক্তিযোদ্ধা আজমল হোসেন বলেন, ‘সুজীত বর্মণের বাড়ি ময়মনসিংহে। সে ছিল স্নাতক পাস। মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিতে সে ভারতে গিয়ে ট্রেনিং নিয়েছিল। পরে সান্তাহার এলাকায় ৬৮ নম্বর দলের হয়ে যুদ্ধ করেছে। মুক্তিযুদ্ধের পর আমরা কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ সুজীতের মা-বাবাসহ স্বজনদের খোঁজে ময়মনসিংহ গিয়েছিলাম। কিন্তু তাঁর কোনো ঠিকানা পাইনি।’
মুক্তিযুদ্ধকালীন কমান্ডার ও ৬৮ নম্বর দলের কমান্ডার এল কে আবুল বলেন, ‘সুজীত বর্মণে কাঁধে সব সময় একটা ব্যাগ থাকত। সেই ব্যাগে আমাদের দলের সব সদস্যের নাম-ঠিকানা ছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্য ক্রমে সেই ব্যাগসহ সুজীত ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়। এ কারণে তার বিস্তারিত পরিচয় জানতে পারিনি।’ তিনি বলেন, সুজীত বর্মণ যেখানে শহীদ হয়েছিলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর নাম রাখা হয় সুজীত রেলগেট।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১ ঘণ্টা আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৪ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৪ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৪ দিন আগে