Ajker Patrika

চিনির দামে নিরুপায় ক্রেতারা

শামিমুজ্জামান, খুলনা
চিনির দামে নিরুপায় ক্রেতারা

এক সপ্তাহের ব্যবধানে খুলনার খুচরা বাজারে আবারও বেড়েছে চিনির দাম। কমেছে সবজির দাম। তবে তেল, চাল, আটাসহ অন্যান্য পণ্যের দাম চড়া ও স্থিতিশীল রয়েছে। নিত্যপণ্যের এমন ঊর্ধ্বগতিতে সাধারণ ক্রেতারা অনেকটাই দিশেহারা।

জানা গেছে, খুলনায় চিনির দাম বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। গত সপ্তাহের চেয়ে কেজিতে পাঁচ টাকা বেড়ে চিনি বিক্রি হচ্ছে ১১৫ টাকা কেজি। প্রতি হালিতে ডিমের দাম কমেছে চার টাকা। কমেছে সব ধরনের শীতের সবজির দামও। মুলা, ফুলকপি, খিরা, বেগুন, বাঁধাকপি, মুলা, উচ্ছে, লালশাক, ফুলকপি, বরবটি ও ঢ্যাঁড়স বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে।

এ ব্যাপারে খুলনা শেখপাড়া বাজারের বিক্রেতা মো. সালাম বলেন, শীতের সবজি বাজারে আসায় দাম কমতে শুরু করেছে। এ ছাড়া ডিমের দামও হালিতে কমেছে চার টাকা।

এদিকে দাম বাড়ার পর স্থিতিশীল রয়েছে আটা, চাল ও তেলের দাম।

পাঁচ লিটারের তেল বিক্রি হচ্ছে ৯৪৫ টাকা। গত সপ্তাহেও একই দাম ছিল। চাল মোট ৪৮ থেকে ৫০ টাকা কেজি, মাঝারি ৫৬ থেকে ৫৯ এবং চিকন চাল ৭০ থেকে ৭৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

গত সপ্তাহেও একই দাম ছিল। এদিকে দামের ঊর্ধ্বগতির কারণে নিত্যপণ্য কেনা এখন পর্যন্ত সাধারণ ক্রেতাদের সামর্থ্যের বাইরে রয়েছে। এ ব্যাপারে মো. আলাউদ্দিন হক বলেন, ‘শীতকালীন সবজির দাম কিছুটা কমেছে, তা সত্য। চালের দাম স্থিতিশীল থাকলেও তা সাধারণ ক্রেতাদের সামর্থ্যের বাইরে রয়েছে। বাজার নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত অভিযান চালানো প্রয়োজন।’

এ ব্যাপারে নগরীর নতুন বাজারের নূর মোহাম্মাদ নামের এক বিক্রেতা বলেন, চিনির কেজি ১১৫ টাকা অস্বাভাবিক ঘটনা। পণ্যের দাম বাড়ায় বিক্রিও কমে গেছে বলে জানান এই বিক্রেতা। তিনি বলেন, ‘দুই মাস আগেও সব মিলিয়ে দিনে ১০ হাজার টাকা বিক্রি হলেও বর্তমানে সাত থেকে আট হাজার টাকার বেশি বিক্রি হয় না। ক্রেতারা যে পণ্য না কিনলেই নয়, শুধু তা-ই কিনছেন। তা-ও পরিমাণে কম।’

রাশেদ নামের এক ক্রেতা বলেন, ‘নিত্যপণ্যের দাম প্রতিদিনই বাড়ছে। সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে। সংসার চালাতে বাধ্য হয়ে বিভিন্ন খরচ কমাতে হচ্ছে। শুধু যেটুকু প্রয়োজনীয়, সেটুকুই কিনছি। বাজার নিয়ন্ত্রণে মনিটরিংয়ের প্রয়োজন।’

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক (শস্য) মোসাদ্দেক হোসেন বলেন, ‘এ মুহূর্তে চিনির দাম বৃদ্ধির কোনো কারণ নেই। একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী কৃত্রিম সংকটের মাধ্যমে মূল্যবৃদ্ধি করছেন।’

অপর দিকে চিনি ও তেলের দাম বৃদ্ধির বিষয়ে খুলনা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক চৌধুরী মিনহাজ উজ জামান সজল, একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী সব সময়ই সুযোগের অপেক্ষায় থাকেন। সেই ব্যবসায়ীরা দাম বৃদ্ধি করছেন। অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযানের দাবি করেন তিনি।

খুলনার সিনিয়র কৃষি বিপণন কর্মকর্তা শাহরিয়ার আকুঞ্জি বলেন, ‘জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির বিরূপ প্রভাব পড়েছে সর্বক্ষেত্রে। সে কারণে বৃদ্ধি পেয়েছে নিত্যপণ্যের দাম।

তবে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অতিরিক্ত মুনাফায় পণ্য বিক্রি করছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে গত সপ্তাহ থেকে অভিযান শুরু হয়েছে।’

গত সপ্তাহে অভিযান চালিয়ে পণ্যের মূল্যতালিকা না টানানো, অতিরিক্ত দাম নেওয়া, মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য বিক্রিসহ বিভিন্ন অভিযোগে ১১ জনকে মোট ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অভিযান আরও জোরদার করা হবে বলে তিনি জানান। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আ. লীগ নির্বাচনে অংশ নেবে কি না, তারাই সিদ্ধান্ত নেবে: বিবিসিকে প্রধান উপদেষ্টা

‘মবের হাত থেকে বাঁচাতে’ পলকের বাড়ি হয়ে গেল অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প

স্বাধীনতা পদক পাচ্ছেন এম এ জি ওসমানীসহ ৮ জন

কনের বাড়িতে প্রবেশের আগমুহূর্তে হৃদ্‌রোগে বরের মৃত্যু

বগুড়ায় মোবাইল ফোনে কথা বলার সময় ছাদ থেকে পড়ে নার্সিং শিক্ষার্থীর মৃত্যু

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত