বরুড়া প্রতিনিধি
বড়ুরায় সেচের পানির বিল বাবদ প্রায় দ্বিগুণ টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সেচযন্ত্রের মালিকদের বিরুদ্ধে। এ পরিস্থিতির ভুক্তভোগী উপজেলার প্রায় ৭৮ হাজার কৃষক। কৃষকেরা বলছেন, এক দিকে নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধি, সার ও বীজের দাম বৃদ্ধি অন্যদিকে পানির বিল বাবদ অতিরিক্ত টাকা দিতে গিয়ে নাভিশ্বাস অবস্থা তাঁদের।
কৃষকদের অভিযোগ, কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) নিয়মিত তদারকি না করার সুযোগটি কাজে লাগিয়ে সেচযন্ত্রের মালিকেরা উপজেলার প্রায় ৭৮ হাজার কৃষকদের কাছ থেকে প্রায় দ্বিগুণ টাকা নিচ্ছেন।
বিএডিসি সূত্রমতে, ২০১৮ সালে উপজেলা সেচ কমিটির শেষ সভায় প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকদের জন্য প্রতি গন্ডা (১.৯৮ শতাংশ) জমির জন্য পানির বিল ৩৬৮ টাকা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। কিন্তু সেচযন্ত্রের মালিকেরা গন্ডাপ্রতি ৭০০ টাকা নিচ্ছেন। কেউ কম দিতে চাইলে তাঁদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করা হয়, এমনকি পানি না দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়।
পল্লি বিদ্যুতের তথ্যমতে, বরুড়ায় বর্তমানে ১ হাজার ২৭৫টি সেচ প্রকল্প রয়েছে, যার সবগুলোই সচল। সরকার প্রত্যেক সেচ গ্রাহককে ব্যবহৃত বিদ্যুৎ বিল বাবদ ২০ শতাংশ ভর্তুকি দেয়। ওই হিসেব অনুযায়ী, প্রত্যেক সেচ গ্রাহক প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ বিল দেন ৪ টাকা ১৬ পয়সা। কিছু কিছু সেচযন্ত্র আছে যেগুলো থেকে অবৈধভাবে পানি নিয়ে ব্যক্তিগত বাড়ি, মার্কেট এবং মাছের ঘেরে ব্যবহার করছেন অনেকে।
কৃষকদের অভিযোগ, এমন পরিস্থিতে উপজেলা কাছ থেকেও মিলছেন না কোনো সহযোগিতা। বিএডিসির কার্যালয়ের দরজায় সব সময় তালা ঝুলে থাকে। স্বল্পমূল্যে ভালো জাতের বীজ পান না কৃষকেরা। ন্যায্য মূল্যে সারও সরবরাহ করা হচ্ছে না। স্থানীয় ডিলারেরা বিএডিসি নির্ধারিত মূল্যে সার ও বীজ বিক্রি করছেন না। এতে সরকারি ভর্তুকির সুবিধা ভোগ করতে পারছেন না তাঁরা।
কৃষক তাজুল ইসলাম বলেন, এবার প্রায় বিশ শতাংশ জমিতে আউশ ধান রোপণ করেছি। এ সপ্তাহে সেচযন্ত্রের মালিক সেলিম মিয়াকে পানির বিল বাবদ ৬ হাজার টাকা দিয়েছি। কিন্তু সেলিম মিয়া ১ হাজার ৩০০ টাকা দাবি করছেন। এ টাকা না দিলে ভবিষ্যতে আমাকে আর পানি দেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এমনিতেই দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে জীবন অসহনীয়, অন্যদিকে সারের দাম ও পানির বিল বৃদ্ধি পাওয়ায় আমার মতো কৃষকেরা চরম বিপাকে পড়েছেন।’ তিনি এ বিষয়ে নজরদারির জন্য উপজেলা সেচ কমিটির প্রতি আহ্বান জানান।
আরেক কৃষক নিমাই দত্ত জানান, ‘এ বছর প্রায় ১৪ শতাংশ জমিতে ধান রোপণ করেছি। আমার কাছ থেকেও পানির বিল বাবদ ৭০০ টাকা নেওয়া হয়েছে। সেচযন্ত্রের মালিকেরা সিন্ডিকেট তৈরি করে পানি বিক্রি করছেন। তাঁরা কেউই বিল কম রাখছেন না। প্রতিবাদ জানালে পানি না দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়।’
বিএডিসির, বরুড়া শাখার অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা উপসহকারী প্রকৌশলী সুজন আহমেদ বলেন, ‘আমি বিএডিসির চান্দিনা ইউনিটের দায়িত্বে আছি। বরুড়ায় অতিরিক্ত প্রকৌশলী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। আমার নিজের ইউনিটেই জনবল সংকট থাকায় বরুড়ায় খুব কম যাওয়া হয়। কৃষকদের কাছ থেকে সেচযন্ত্রের মালিকেরা কত টাকা নেবেন সে বিষয়ে আমরা ২০১৮ সালে উপজেলা সেচ কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত দিয়েছিলাম। বিদ্যুৎ চালিত সেচযন্ত্রের ক্ষেত্রে প্রতি শতাংশে ৪৬ টাকা আর ডিজেলচালিত সেচযন্ত্রের ক্ষেত্রে প্রতি শতকে ৬০ টাকা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। কেউ যদি অতিরিক্ত টাকা আদায় করে সে ক্ষেত্রে ইউএনও বরাবর অভিযোগ দিয়ে আমাদের কাছে সেই অভিযোগের অনুলিপি দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জেলা কৃষি কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, ‘অতিরিক্ত টাকা আদায়ের বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। এগুলো তদারকি করার দায়িত্ব বিএডিসি কর্মকর্তার। যেহেতু আমি সেচ কমিটিতে আছি সে হিসেবে কোনো কৃষক যদি লিখিত অভিযোগ দেন তাহলে আমরা খোঁজখবর নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেব।’
বড়ুরায় সেচের পানির বিল বাবদ প্রায় দ্বিগুণ টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সেচযন্ত্রের মালিকদের বিরুদ্ধে। এ পরিস্থিতির ভুক্তভোগী উপজেলার প্রায় ৭৮ হাজার কৃষক। কৃষকেরা বলছেন, এক দিকে নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধি, সার ও বীজের দাম বৃদ্ধি অন্যদিকে পানির বিল বাবদ অতিরিক্ত টাকা দিতে গিয়ে নাভিশ্বাস অবস্থা তাঁদের।
কৃষকদের অভিযোগ, কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) নিয়মিত তদারকি না করার সুযোগটি কাজে লাগিয়ে সেচযন্ত্রের মালিকেরা উপজেলার প্রায় ৭৮ হাজার কৃষকদের কাছ থেকে প্রায় দ্বিগুণ টাকা নিচ্ছেন।
বিএডিসি সূত্রমতে, ২০১৮ সালে উপজেলা সেচ কমিটির শেষ সভায় প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকদের জন্য প্রতি গন্ডা (১.৯৮ শতাংশ) জমির জন্য পানির বিল ৩৬৮ টাকা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। কিন্তু সেচযন্ত্রের মালিকেরা গন্ডাপ্রতি ৭০০ টাকা নিচ্ছেন। কেউ কম দিতে চাইলে তাঁদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করা হয়, এমনকি পানি না দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়।
পল্লি বিদ্যুতের তথ্যমতে, বরুড়ায় বর্তমানে ১ হাজার ২৭৫টি সেচ প্রকল্প রয়েছে, যার সবগুলোই সচল। সরকার প্রত্যেক সেচ গ্রাহককে ব্যবহৃত বিদ্যুৎ বিল বাবদ ২০ শতাংশ ভর্তুকি দেয়। ওই হিসেব অনুযায়ী, প্রত্যেক সেচ গ্রাহক প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ বিল দেন ৪ টাকা ১৬ পয়সা। কিছু কিছু সেচযন্ত্র আছে যেগুলো থেকে অবৈধভাবে পানি নিয়ে ব্যক্তিগত বাড়ি, মার্কেট এবং মাছের ঘেরে ব্যবহার করছেন অনেকে।
কৃষকদের অভিযোগ, এমন পরিস্থিতে উপজেলা কাছ থেকেও মিলছেন না কোনো সহযোগিতা। বিএডিসির কার্যালয়ের দরজায় সব সময় তালা ঝুলে থাকে। স্বল্পমূল্যে ভালো জাতের বীজ পান না কৃষকেরা। ন্যায্য মূল্যে সারও সরবরাহ করা হচ্ছে না। স্থানীয় ডিলারেরা বিএডিসি নির্ধারিত মূল্যে সার ও বীজ বিক্রি করছেন না। এতে সরকারি ভর্তুকির সুবিধা ভোগ করতে পারছেন না তাঁরা।
কৃষক তাজুল ইসলাম বলেন, এবার প্রায় বিশ শতাংশ জমিতে আউশ ধান রোপণ করেছি। এ সপ্তাহে সেচযন্ত্রের মালিক সেলিম মিয়াকে পানির বিল বাবদ ৬ হাজার টাকা দিয়েছি। কিন্তু সেলিম মিয়া ১ হাজার ৩০০ টাকা দাবি করছেন। এ টাকা না দিলে ভবিষ্যতে আমাকে আর পানি দেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এমনিতেই দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে জীবন অসহনীয়, অন্যদিকে সারের দাম ও পানির বিল বৃদ্ধি পাওয়ায় আমার মতো কৃষকেরা চরম বিপাকে পড়েছেন।’ তিনি এ বিষয়ে নজরদারির জন্য উপজেলা সেচ কমিটির প্রতি আহ্বান জানান।
আরেক কৃষক নিমাই দত্ত জানান, ‘এ বছর প্রায় ১৪ শতাংশ জমিতে ধান রোপণ করেছি। আমার কাছ থেকেও পানির বিল বাবদ ৭০০ টাকা নেওয়া হয়েছে। সেচযন্ত্রের মালিকেরা সিন্ডিকেট তৈরি করে পানি বিক্রি করছেন। তাঁরা কেউই বিল কম রাখছেন না। প্রতিবাদ জানালে পানি না দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়।’
বিএডিসির, বরুড়া শাখার অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা উপসহকারী প্রকৌশলী সুজন আহমেদ বলেন, ‘আমি বিএডিসির চান্দিনা ইউনিটের দায়িত্বে আছি। বরুড়ায় অতিরিক্ত প্রকৌশলী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। আমার নিজের ইউনিটেই জনবল সংকট থাকায় বরুড়ায় খুব কম যাওয়া হয়। কৃষকদের কাছ থেকে সেচযন্ত্রের মালিকেরা কত টাকা নেবেন সে বিষয়ে আমরা ২০১৮ সালে উপজেলা সেচ কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত দিয়েছিলাম। বিদ্যুৎ চালিত সেচযন্ত্রের ক্ষেত্রে প্রতি শতাংশে ৪৬ টাকা আর ডিজেলচালিত সেচযন্ত্রের ক্ষেত্রে প্রতি শতকে ৬০ টাকা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। কেউ যদি অতিরিক্ত টাকা আদায় করে সে ক্ষেত্রে ইউএনও বরাবর অভিযোগ দিয়ে আমাদের কাছে সেই অভিযোগের অনুলিপি দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জেলা কৃষি কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, ‘অতিরিক্ত টাকা আদায়ের বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। এগুলো তদারকি করার দায়িত্ব বিএডিসি কর্মকর্তার। যেহেতু আমি সেচ কমিটিতে আছি সে হিসেবে কোনো কৃষক যদি লিখিত অভিযোগ দেন তাহলে আমরা খোঁজখবর নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেব।’
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
৪ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪