Ajker Patrika

বেকারি পণ্যের দাম চড়া, কমেছে বিক্রি

রোবেল মাহমুদ, গফরগাঁও (ময়মনসিংহ) 
আপডেট : ২১ আগস্ট ২০২২, ১২: ২২
বেকারি পণ্যের দাম চড়া, কমেছে বিক্রি

ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে বেকারি পণ্যের দাম বেড়েছে। বেকারি তৈরির অন্যতম উপাদান হচ্ছে ময়দা, চিনি ও তেল। জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার পর এই তিনটি পণ্যের দামই বেড়েছে। যে কারণে বেকারি পণ্যের উৎপাদন খরচ বেড়েছে। তাই বিক্রিও করতে হচ্ছে বেশি দামে। বেকারি পণ্যের দাম বাড়ায় কমেছে বিক্রি। এ কারণে উৎপাদিত পণ্য বিক্রি নিয়ে বিড়ম্বনায় কারাখানা মালিকেরা।

বেকারি কারখানা মালিকেরা বলছেন, গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রায় সব পণ্যের দাম বেড়েছে। বেকারিতে ব্যবহৃত জিনিসের মূল্য বেড়েছে অস্বাভাবিক হারে। পাশাপাশি বেকারি শ্রমিকদের মজুরি, বিদ্যুৎ বিল, জ্বালানি—সবকিছুর দাম বেড়েছে। যে কারণে বেকারি পণ্য বেশি দামে বিক্রি করতে তারা বাধ্য হচ্ছেন।

জানা গেছে, গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে ৫০ কেজি ময়দার বস্তায় দাম বেড়েছে ২০০ টাকা পর্যন্ত। পাম তেল ড্রামপ্রতি (১৮২ কেজি) ২২ হাজার থেকে বেড়ে হয়েছে ২৭ হাজার টাকা। চিনি ৫০ কেজির বস্তা ৩ হাজার ৮০০ থেকে বেড়ে ৪ হাজার ৩০০ টাকা হয়েছে। বেড়েছে ঘি, ডালডাসহ সব ধরনের উপকরণের দাম।

বেকারি পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় শ্রমজীবী মানুষ ও স্কুলের শিক্ষার্থীদের টিফিন খরচ বেড়েছে। শ্রমজীবী মানুষের কাজের ফাঁকে বেকারির কেক, রুটি, বিস্কুট দিয়ে নাশতা সারতেন। মফস্বল এলাকার স্কুলের শিক্ষার্থীদের টিফিন হিসেবে স্থানীয় বেকারির পণ্য বেশ জনপ্রিয়। এখন এসব পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় ভোক্তারা পরিমাণে কম খাচ্ছেন।

পৌর এলাকার রড-সিমেন্ট দোকানের শ্রমিক তাফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘কাজের ফাঁকে প্রতিদিনের নাশতা বনরুটি, চা-খরচ ছিল ৪৫ টাকা। বেকারি জিনিসের দাম বেড়ে যাওয়ায় আরও ২০ টাকা বাড়তি খরচ হচ্ছে।’ পৌরশহরসহ বিভিন্ন স্কুলের সামনের দোকানদাররা বলেন, আগে প্রতিদিন যে পরিমাণ বেকারির মাল বিক্রি করতেন, এখন তা অনেক কমে গেছে। শহরতলির তেঁতুলিয়া উচ্চবিদ্যালয়ের পাশের এক দোকানি বলেন, ‘স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা টিফিন হিসেবে বেকারির পণ্য কিনে খেত। আগে বেশি বেশি কিনে খেলেও এখন পরিমাণে কম কিনে খায়। দাম বাড়ার আগে প্রতিদিন মালের প্রচুর চাহিদা থাকত, এখন অনেক কম।’

পৌর এলাকার মহিলা কলেজের সামনে চায়ের দোকানের পাশের চাতাল শ্রমিক, করাতকল শ্রমিক, হকার, দিনমজুর শ্রেণির লোকজন প্রতিদিন কাজের ফাঁকে এসে নাশতা করেন। তারা কয়েকজন জানান, আগের চেয়ে রোজকার নাশতার খরচ বেড়েছে।

শফিকুল ইসলাম নামে বিমাকর্মী বলেন, ‘সপ্তাহে পাঁচ সদস্যের পরিবার ও মেহমানদারিতে বাসায় নাশতার জন্য বেকারি থেকে কেক, রুটি, বিস্কুট কিনতেন ৫০০ টাকার। বাচ্চাদের স্কুলের টিফিনে রুটি, বিস্কুট বাবদ ২০০ টাকার মতো খরচ হতো। এখন এই খরচ বেড়ে ৯০০ টাকায় ঠেকেছে।

গফরগাঁও বেকারি মালিক সমিতির সভাপতি ও মায়ামি বেকারির স্বত্বাধিকারী নাজমুল হক বলেন, ‘গত এক সপ্তাহে সব পণ্যের দাম বেড়েছে। বেকারিতে ব্যবহৃত জিনিসের মূল্য বেড়েছে অস্বাভাবিক হারে। সে তুলনায় আমাদের উৎপাদিত পণ্যের দাম সামান্য বাড়ানো হয়েছে। পাশাপাশি বেকারি শ্রমিকদের মজুরি, বিদ্যুৎ বিল, জ্বালানিসহ সবকিছুর দাম বেড়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

চীন সফরে সেভেন সিস্টার্স নিয়ে ড. ইউনূসের বক্তব্যে ভারতে তোলপাড়

বাংলাদেশের ১৮ বছরের সেই অপেক্ষা তবে ফুরোচ্ছে

খাবারে চেতনানাশক মিশিয়ে সিঁধ কেটে চুরির সময় গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ

জুলাই আন্দোলনের নারীদের সম্মাননা নিয়ে প্রশ্নে যা বলল মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর

চোর সন্দেহে যুবককে পিটুনি, প্রতিবাদ করায় দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত