জিয়াউল হক, যশোর
শিশুদের বিনা মূল্যে পাঠ্যবই বিতরণ উৎসবের আর মাত্র ১৫ দিন বাকি। অথচ যশোরে এখন পর্যন্ত মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যবই এসেছে চাহিদার মাত্র ৫ ভাগ।
প্রাথমিক স্তরের পাঠ্যবই এসেছে অর্ধেক। এর মধ্যে কেশবপুর, বাঘারপাড়া ও শার্শায় প্রাক–প্রাথমিকের বই ছাড়া অন্য শ্রেণির কোনো পাঠ্যবই আসেনি।
জেলা প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের উভয় দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত বছর করোনার কারণে কিছুটা ব্যত্যয় ঘটলেও ২০১৯ সালে এই সময়ে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের প্রায় ৬০ ভাগ বই চলে এসেছিল। যদিও নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই চাহিদা অনুযায়ী পাঠ্যবই পাওয়ার আশা করছে শিক্ষা দপ্তর দুটি।
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্র বলছে, সরকারিভাবে বই ছাপার কাজ এখনো শেষ হয়নি। এ জন্য এবার নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সব পাঠ্যবই হাতে পাওয়া নিয়ে সংশয় রয়েছে।
নতুন বছরের প্রথম দিনই সরকার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের হাতে বিনা মূল্যে পাঠ্যবই বিতরণ করে আসছে সম্প্রতি বছরগুলোতে। এবারও সেই প্রস্তুতি চলছে।
যশোর মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, যশোরের ৮ উপজেলায় এবার ৪১ লাখ ৪৯ হাজার ৯০২টি পাঠ্যবইয়ের চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি চাহিদা রয়েছে যশোর সদরে। এখানে ১১ লাখ ৭৭ হাজার ৫৩০টি পাঠ্যবইয়ের চাহিদা রয়েছে। এ ছাড়া মনিরামপুরে ৬ লাখ ৪৯ হাজার ১০০ টি, শার্শায় ৪ লাখ ৭১ হাজার ৬১৭, অভয়নগরে ৪ লাখ ১৬ হাজার ৯০, ঝিকরগাছায় ৪ লাখ ৪ হাজার ৩৭৫, কেশবপুরে ৩ লাখ ৯৪ হাজার ৩৩২, চৌগাছায় ৩ লাখ ৪৭ হাজার ৮৬৩ এবং বাঘারপাড়ায় ২ লাখ ৮৮ হাজার ৯৯৫ পাঠ্যবইয়ের চাহিদা রয়েছে।
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এ কে এম গোলাম আযম বলেন, ‘এ পর্যন্ত আমরা ঝিকরগাছায় ৫০ হাজার ও চৌগাছার জন্য ৮১ হাজার পাঠ্যবই পেয়েছি। সদরে নবম শ্রেণির ব্যাকরণ বই এবং মনিরামপুরে অল্প কিছু বই পেয়েছি। এ ছাড়া মাধ্যমিকের ইংরেজি বিষয়ের ২ হাজার ৯৪০টি ও দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির ৫১ সেট পাঠ্যবই এসেছে।’
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এ কে এম গোলাম আযম আরও বলেন, ‘ইতিমধ্যে আসন্ন শিক্ষাবর্ষের বইয়ের চাহিদা অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে। সে অনুযায়ী কিছু বইও আমাদের হাতে পৌঁছেছে। আশা করছি আগামী সপ্তাহের মধ্যে চাহিদা অনুযায়ী পাঠ্যবই চলে আসবে।’
এদিকে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, জেলায় প্রাথমিকে বইয়ের চাহিদা রয়েছে ১৪ লাখ ৮৫ হাজার ৫৪৭ টি। এর মধ্যে সদর উপজেলায় সর্বোচ্চ ৪ লাখ ২১ হাজার ৩৮৫টি পাঠ্যবইয়ের চাহিদা রয়েছে। এ ছাড়া অভয়নগরে ১ লাখ ১৭ হাজার ১৩৫ টি, কেশবপুরে ১ লাখ ২৭ হাজার ৫৯৫, চৌগাছায় ১ লাখ ১৭ হাজার ৪২৪, ঝিকরগাছায় ১ লাখ ৯০ হাজার ২৫০, বাঘারপাড়ায় ৯৯ হাজার ৭৬৬, মনিরামপুরে ২ লাখ ৯ হাজার ৩৭২ ও শার্শায় ১ লাখ ৯৭ হাজার ২২৯ বইয়ের চাহিদা আছে।
সূত্রটি জানিয়েছে, চাহিদার হিসাবে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেলায় মোট বই এসেছে সদরে ৩ লাখ ১০ হাজার ৬২৫ টি। তা ছাড়া অভয়নগরে এসেছে ৮৬ হাজার ৭৯৬, কেশবপুরে ৬ হাজর ৫, চৌগাছায় ৮৫ হাজার ৯৩৯, ঝিকরগাছায় ১ লাখ ৪১ হাজার ৩৪৩, বাঘারপাড়ায় ৩ হাজার ১৮৪, মনিরামপুরে ১ লাখ ৫৩ হাজার ৭৭৭ ও শার্শায় ৮ হাজার ৬৫২ টি।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শেখ অহিদুল আলম বলেন, ‘ইতিমধ্যে আমরা অর্ধেক বই হাতে পেয়েছি। এখনো সব বই ছাপা হয়নি। সেগুলো ছাপার কাজ চলছে। চাহিদা অনুযায়ী ছাপা বই প্রতিনিয়তই আমাদের হাতে আসছে। আমরা সেগুলো বিদ্যালয়ে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা নিচ্ছি।’
শেখ অহিদুল আলম বলেন, ‘আশা করছি বছরের প্রথম দিনই যশোরের সব শিশু বই উৎসবে মেতে উঠতে পারবে। নতুন বই নিয়েই তারা বিদ্যালয়ে আসতে পারবে।’
শিশুদের বিনা মূল্যে পাঠ্যবই বিতরণ উৎসবের আর মাত্র ১৫ দিন বাকি। অথচ যশোরে এখন পর্যন্ত মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যবই এসেছে চাহিদার মাত্র ৫ ভাগ।
প্রাথমিক স্তরের পাঠ্যবই এসেছে অর্ধেক। এর মধ্যে কেশবপুর, বাঘারপাড়া ও শার্শায় প্রাক–প্রাথমিকের বই ছাড়া অন্য শ্রেণির কোনো পাঠ্যবই আসেনি।
জেলা প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের উভয় দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত বছর করোনার কারণে কিছুটা ব্যত্যয় ঘটলেও ২০১৯ সালে এই সময়ে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের প্রায় ৬০ ভাগ বই চলে এসেছিল। যদিও নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই চাহিদা অনুযায়ী পাঠ্যবই পাওয়ার আশা করছে শিক্ষা দপ্তর দুটি।
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্র বলছে, সরকারিভাবে বই ছাপার কাজ এখনো শেষ হয়নি। এ জন্য এবার নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সব পাঠ্যবই হাতে পাওয়া নিয়ে সংশয় রয়েছে।
নতুন বছরের প্রথম দিনই সরকার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের হাতে বিনা মূল্যে পাঠ্যবই বিতরণ করে আসছে সম্প্রতি বছরগুলোতে। এবারও সেই প্রস্তুতি চলছে।
যশোর মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, যশোরের ৮ উপজেলায় এবার ৪১ লাখ ৪৯ হাজার ৯০২টি পাঠ্যবইয়ের চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি চাহিদা রয়েছে যশোর সদরে। এখানে ১১ লাখ ৭৭ হাজার ৫৩০টি পাঠ্যবইয়ের চাহিদা রয়েছে। এ ছাড়া মনিরামপুরে ৬ লাখ ৪৯ হাজার ১০০ টি, শার্শায় ৪ লাখ ৭১ হাজার ৬১৭, অভয়নগরে ৪ লাখ ১৬ হাজার ৯০, ঝিকরগাছায় ৪ লাখ ৪ হাজার ৩৭৫, কেশবপুরে ৩ লাখ ৯৪ হাজার ৩৩২, চৌগাছায় ৩ লাখ ৪৭ হাজার ৮৬৩ এবং বাঘারপাড়ায় ২ লাখ ৮৮ হাজার ৯৯৫ পাঠ্যবইয়ের চাহিদা রয়েছে।
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এ কে এম গোলাম আযম বলেন, ‘এ পর্যন্ত আমরা ঝিকরগাছায় ৫০ হাজার ও চৌগাছার জন্য ৮১ হাজার পাঠ্যবই পেয়েছি। সদরে নবম শ্রেণির ব্যাকরণ বই এবং মনিরামপুরে অল্প কিছু বই পেয়েছি। এ ছাড়া মাধ্যমিকের ইংরেজি বিষয়ের ২ হাজার ৯৪০টি ও দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির ৫১ সেট পাঠ্যবই এসেছে।’
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এ কে এম গোলাম আযম আরও বলেন, ‘ইতিমধ্যে আসন্ন শিক্ষাবর্ষের বইয়ের চাহিদা অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে। সে অনুযায়ী কিছু বইও আমাদের হাতে পৌঁছেছে। আশা করছি আগামী সপ্তাহের মধ্যে চাহিদা অনুযায়ী পাঠ্যবই চলে আসবে।’
এদিকে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, জেলায় প্রাথমিকে বইয়ের চাহিদা রয়েছে ১৪ লাখ ৮৫ হাজার ৫৪৭ টি। এর মধ্যে সদর উপজেলায় সর্বোচ্চ ৪ লাখ ২১ হাজার ৩৮৫টি পাঠ্যবইয়ের চাহিদা রয়েছে। এ ছাড়া অভয়নগরে ১ লাখ ১৭ হাজার ১৩৫ টি, কেশবপুরে ১ লাখ ২৭ হাজার ৫৯৫, চৌগাছায় ১ লাখ ১৭ হাজার ৪২৪, ঝিকরগাছায় ১ লাখ ৯০ হাজার ২৫০, বাঘারপাড়ায় ৯৯ হাজার ৭৬৬, মনিরামপুরে ২ লাখ ৯ হাজার ৩৭২ ও শার্শায় ১ লাখ ৯৭ হাজার ২২৯ বইয়ের চাহিদা আছে।
সূত্রটি জানিয়েছে, চাহিদার হিসাবে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেলায় মোট বই এসেছে সদরে ৩ লাখ ১০ হাজার ৬২৫ টি। তা ছাড়া অভয়নগরে এসেছে ৮৬ হাজার ৭৯৬, কেশবপুরে ৬ হাজর ৫, চৌগাছায় ৮৫ হাজার ৯৩৯, ঝিকরগাছায় ১ লাখ ৪১ হাজার ৩৪৩, বাঘারপাড়ায় ৩ হাজার ১৮৪, মনিরামপুরে ১ লাখ ৫৩ হাজার ৭৭৭ ও শার্শায় ৮ হাজার ৬৫২ টি।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শেখ অহিদুল আলম বলেন, ‘ইতিমধ্যে আমরা অর্ধেক বই হাতে পেয়েছি। এখনো সব বই ছাপা হয়নি। সেগুলো ছাপার কাজ চলছে। চাহিদা অনুযায়ী ছাপা বই প্রতিনিয়তই আমাদের হাতে আসছে। আমরা সেগুলো বিদ্যালয়ে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা নিচ্ছি।’
শেখ অহিদুল আলম বলেন, ‘আশা করছি বছরের প্রথম দিনই যশোরের সব শিশু বই উৎসবে মেতে উঠতে পারবে। নতুন বই নিয়েই তারা বিদ্যালয়ে আসতে পারবে।’
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৬ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৬ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৬ দিন আগে