জেগে ওঠা ডুবোচরে ফেরি চলাচল ব্যাহত

পিরোজপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১০ জানুয়ারি ২০২২, ০৭: ১৫
আপডেট : ১০ জানুয়ারি ২০২২, ১২: ১৮

পিরোজপুরের কচা নদীর বিভিন্ন স্থানে জেগে ওঠা ডুবোচরে মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে টগড়া-চরখালী নৌ পথে ফেরি চলাচল। এতে একদিকে যেমন বিপাকে পড়েছে ঢাকাসহ দক্ষিণাঞ্চলের ১৪টি পথের যানবাহন চলাচল, তেমনি হুমকির মুখে পড়েছে জেলা শহরের সঙ্গে উপজেলার যোগাযোগব্যবস্থা।

জানা গেছে, স্রোত কমে যাওয়া ও যথাযথ ড্রেজিংয়ের অভাবে কচা নদীর টগরা পয়েন্টে আরও প্রায় এক দশক আগে থেকে চর পড়া শুরু হয়েছে। বর্তমানে ফেরিঘাট পয়েন্টের ৪ কিলোমিটার উজানে বেকুটিয়া ফেরিঘাট নির্মিত হওয়ায় চরের অবস্থা আরও প্রকট আকারে দেখা দিয়েছে। শীতের সময় নদীতে পানি কমে যাওয়ায় প্রায়ই ফেরি আটকা পড়ে ডুবোচরে। এতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ফেরি আটকে থাকে নদীর মাঝেই। ফলে ব্যাহত হচ্ছে প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড ও জরুরি চিকিৎসাসেবা। যতক্ষণ নদীতে জোয়ার না আসে, ততক্ষণ এ অপেক্ষা চলতে থাকে।

যাত্রী আব্দুল মতিন বলেন, চরের জন্য বেশি সমস্যা হচ্ছে ফেরি চলাচলে। দিনে ও রাতে প্রায়ই ফেরি চরে আটকা পড়ে। ফলে দীর্ঘসময় ধরে অপেক্ষা করতে হয় যাত্রীদের।

ফেরিচালক জালাল বলেন, অতি দ্রুত এ সমস্যার সমাধান করা প্রয়োজন। শীতের রাতে নদীর চরে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকতে হয়।

ইজারাদার আজমীর হোসেন মাঝি বলেন, ডুবোচরের কারণে যাত্রীদের যেমন ভোগান্তি, তেমনি ফেরি কর্তৃপক্ষের চরম ভোগান্তি হচ্ছে। ভাটার সময় ফেরি চালানো প্রায় অসম্ভব। ফলে জোয়ারের জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়। এ অবস্থার কোনো ব্যবস্থা নেওয়া না হলে ফেরি চলাচল অসম্ভব হয়ে পড়বে।

পিরোজপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, কচা নদীর নাব্যতা সংকটের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনামতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জেলা প্রশাসক আবু আলী মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘নাব্যতা সংকটের বিষয়টি আমরা জানি, এ বিষয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে।আমরা নৌপরিবহন অধিদপ্তরে কথা বলে সমস্যা সমাধানে চেষ্টা করব।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত