ঢাকা জেলার দোহার পৌরসভায় পৌর টোল আদায়ের নামে চাঁদাবাজির অভিযোগে আওয়ামী মোটরচালক লীগের মানববন্ধন ও কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর আগে তারা গত ২৫ জানুয়ারি একই দাবিতে মানববন্ধন ও কর্মসূচি পালন করেছেন।

গতকাল রোববার সকাল ১০টায় লটাখোলা পালবাড়ি থেকে জয়পাড়া বাজারে মিছিল নিয়ে আসার সময় দোহার থানা-পুলিশ মিছিলে বাধা দেয়। সে সময় আওয়ামী মোটরচালক লীগের লোকজন পুলিশের ওপর ক্ষুব্ধ হন।

পরে বিক্ষোভ মিছিলটি দোহার উপজেলা লটাখোলা বাজারে আসলে উপপরিদর্শক (এসআই) ইব্রাহিম তাঁদের থানায় আসতে বলেন এবং তাঁদের আশ্বাস দেন বিষয়টি দেখবেন বলে।

সে সময় বিক্ষোভকারীদের কয়েকজন বলেন, ‘দোহার পৌরসভা কর্তৃপক্ষ অবৈধভাবে চাঁদা তুলছে। তাঁরা চাঁদা তুলতে গিয়ে আমাদের লোকজনের গায়ে বারবার হাত তুলছে। আমরা দিন আনি, দিন খাই। আমাদের পেটে লাথি দিচ্ছেন তাঁরা। দলের জন্য আমরা জীবনবাজি রেখে মিছিল-মিটিং করি। আর এখন আমাদের ওপরই চাঁদাবাজি করা হচ্ছে। আর এই চাঁদার ভাগ প্রভাবশালী একজন রাজনৈতিক নেতা এবং বাজার কমিটির একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি পৌরসভার সঙ্গে যোগসাজশ করে তুলছেন।’ সব টাকা পৌর ফান্ডে জমা হচ্ছে না বলেও অভিযোগ করেন তাঁরা।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী মোটরচালক লীগ দোহার উপজেলার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিপন শিকদার বলেন, ‘আমরা কামাই করে খাই। আমরা কেন তাঁদের টাকা দেব? প্রয়োজনে একটা বার্ষিক লাইসেন্স ফি নিক তাঁরা, আমরা সেটা দেব। তাঁরা প্রতিদিন আমাদের কাছ থেকে প্রতি অটোরিকশা বাবদ ১০ টাকা করে নেন। এভাবে তাঁরা অন্যায়ভাবে চাঁদা আদায় করেন আমাদের কাছে থেকে। তাঁরা আমাদের কাছ থেকে সময় নিয়েছিলেন, কিন্তু আমাদের না জানিয়ে আবার টাকা তুলছেন তাঁরা। সে জন্য আমরা আজ এই বিক্ষোভ মিছিল করেছি।’

শিপন শিকদার আরও বলেন, ‘আমরা তদন্ত কর্মকর্তা এসএম কামরুজ্জামানের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি জানিয়েছেন, প্রতিদিন একটা অটোরিকশা বাবদ ১০ টাকা করে নেওয়া হবে, এটা সরকারি আইন।’

এ সময় বিক্ষোভকারীরা উপজেলার লটাখোলা রোডে কোনো অটোরিকশা ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা ঢুকতে দেননি।

এ বিষয়ে দোহার থানার পুলিশ কর্মকর্তা এসএম কামরুজ্জামান বলেন, ‘তাঁদের বলা হয়েছে পৌরসভার ভেতরে টুকলেই ১০ টাকা করে টোল দিতে হবে গাড়ি প্রতি। এ বিষয় নিয়ে তাঁরা গত মাসে লিখিত অভিযোগ করেছেন।’