আবির হাকিম, ঢাকা
ঈদুল আজহা সামনে রেখে দুই সিটি করপোরেশনের অস্থায়ী ১৯টিসহ রাজধানীর মোট ২১ হাটে ৬ জুলাই থেকে পশু বিকিকিনির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদিও বেশির ভাগ হাটে আগেভাগেই পশু আনা শুরু হয়েছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ঢাকায় চাহিদার তুলনায় কোরবানির পশুর সংখ্যা কম হওয়ায় এবার ক্রেতাদের বাড়তি দাম গুনতে হবে।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এবার ঈদুল আজহা সামনে রেখে ঢাকা বিভাগে ৯৬ হাজার ৮২৭ জন খামারি কোরবানির জন্য ৪ লাখ ৩০ হাজার ৩২৩টি গরু এবং ৩ লাখ ৮১ হাজার ৬১১টি ছাগলসহ ৮ লাখ ৬৯ হাজার ৫৫০টি পশু প্রতিপালন করেছেন। অন্যদিকে ঢাকায় কোরবানির পশুর চাহিদা রয়েছে ২৪ লাখ ৭ হাজার ১৯৬। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের এ হিসাব মতে, ঢাকায় কোরবানির পশুর ঘাটতি রয়েছে ১৫ লাখ ৩৭ হাজার ৬৪৬টি।
ঢাকার পশুর হাটগুলোর ইজারাদার, খামারি এবং ব্যবসায়ীরা বলছেন, অতিরিক্ত চাহিদা মেটাতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে কোরবানির পশু ঢাকায় আনা হয়। কিন্তু গত কয়েক মাসে পশুখাদ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি, পরিবহন খরচ, রাস্তায় চাঁদাবাজিসহ সব ধরনের খরচ বেড়ে যাওয়ায় অতিরিক্ত দামে পশু বিক্রি করতে হবে। তাঁদের মতে, ছয় মাস আগে গো-খাদ্যের যে দাম ছিল, তা এখন বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। এ ছাড়া ঈদ সামনে রেখে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে দাম। বিশেষ করে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর পশুখাদ্যের দাম বেড়েছে কয়েক দফা।
রাজধানীর খামারিরাও ঈদে বিক্রির জন্য খামারেই পশু রেখেছেন। তবে খামারগুলোতে ক্রেতাদের আনাগোনা থাকলেও তেমন বিক্রি নেই। খামারিদের আশা, ঈদের আগে বিক্রি বাড়বে।
রাজধানীর বছিলায় ‘সাদিক এগ্রো’ নামে খামার রয়েছে বাংলাদেশ ডেইরি ফারমার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ইমরান হোসেনের। তাঁর খামারে এরই মধ্যে কোরবানির পশু বিক্রি শুরু হয়েছে। তিনি জানালেন, সব জিনিসের দাম একসঙ্গে বেড়ে যাওয়ায় তাঁরা অতিরিক্ত দামে গরু বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। তাঁর মতে, সিন্ডিকেট ও চাঁদাবাজি বন্ধ, পরিবহন নির্বিঘ্ন করা এবং পশুবাহী গাড়ি টোলমুক্ত করা গেলে ঢাকায় কোরবানির পশুর দাম কিছুটা হলেও কমানো সম্ভব।
রাজশাহী থেকে লালবাগের রহমতগঞ্জ মাঠসংলগ্ন অস্থায়ী হাটে ২৬টি গরু এনেছেন ব্যবসায়ী শাখাওয়াত আলী জুয়েল। তিনি জানান, তিন মাস আগে থেকে এ গরুগুলোর বাড়তি যত্ন নিচ্ছেন তিনি। এখন ভালো দামের আশায় ঢাকায় নিয়ে এসেছেন। তিনি বলেন, রাজশাহী থেকে ঢাকায় আসতে রাস্তায় অনেক জায়গায় চাঁদা দিতে হয়েছে। এ ছাড়া প্রতিদিনই পশুখাদ্যের দাম বাড়ছে। এসব খরচ আর নিজের লাভসহ দাম একটু বেশি হওয়াই স্বাভাবিক বলে মনে করছেন তিনি।
পশু সংকটের ব্যাপারে জানতে চাইলে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের খামার শাখার উপপরিচালক জিনাত সুলতানা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সারা দেশের হিসাবে আমাদের অনেক উদ্বৃত্ত পশু আছে। ঢাকায় চাহিদার তুলনায় পশু কম থাকলেও সারা দেশ থেকে আসা পশুর কারণে কোনো সংকট হবে না।’
পশুর বাড়তি দাম প্রসঙ্গে জিনাত সুলতানা বলেন, ‘ঢাকায় আসা পশুবাহী ট্রাকগুলো থেকে যাতে চাঁদাবাজি না হয়, আমরা সে উদ্যোগ নিয়েছি। এ ছাড়া কোনো খামার থেকে যদি কেউ পশু কেনেন, তাদের কাছ থেকে কোনো হাসিল আদায় করা যাবে না বলেও আমরা জানিয়েছি।’
ঈদুল আজহা সামনে রেখে দুই সিটি করপোরেশনের অস্থায়ী ১৯টিসহ রাজধানীর মোট ২১ হাটে ৬ জুলাই থেকে পশু বিকিকিনির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদিও বেশির ভাগ হাটে আগেভাগেই পশু আনা শুরু হয়েছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ঢাকায় চাহিদার তুলনায় কোরবানির পশুর সংখ্যা কম হওয়ায় এবার ক্রেতাদের বাড়তি দাম গুনতে হবে।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এবার ঈদুল আজহা সামনে রেখে ঢাকা বিভাগে ৯৬ হাজার ৮২৭ জন খামারি কোরবানির জন্য ৪ লাখ ৩০ হাজার ৩২৩টি গরু এবং ৩ লাখ ৮১ হাজার ৬১১টি ছাগলসহ ৮ লাখ ৬৯ হাজার ৫৫০টি পশু প্রতিপালন করেছেন। অন্যদিকে ঢাকায় কোরবানির পশুর চাহিদা রয়েছে ২৪ লাখ ৭ হাজার ১৯৬। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের এ হিসাব মতে, ঢাকায় কোরবানির পশুর ঘাটতি রয়েছে ১৫ লাখ ৩৭ হাজার ৬৪৬টি।
ঢাকার পশুর হাটগুলোর ইজারাদার, খামারি এবং ব্যবসায়ীরা বলছেন, অতিরিক্ত চাহিদা মেটাতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে কোরবানির পশু ঢাকায় আনা হয়। কিন্তু গত কয়েক মাসে পশুখাদ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি, পরিবহন খরচ, রাস্তায় চাঁদাবাজিসহ সব ধরনের খরচ বেড়ে যাওয়ায় অতিরিক্ত দামে পশু বিক্রি করতে হবে। তাঁদের মতে, ছয় মাস আগে গো-খাদ্যের যে দাম ছিল, তা এখন বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। এ ছাড়া ঈদ সামনে রেখে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে দাম। বিশেষ করে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর পশুখাদ্যের দাম বেড়েছে কয়েক দফা।
রাজধানীর খামারিরাও ঈদে বিক্রির জন্য খামারেই পশু রেখেছেন। তবে খামারগুলোতে ক্রেতাদের আনাগোনা থাকলেও তেমন বিক্রি নেই। খামারিদের আশা, ঈদের আগে বিক্রি বাড়বে।
রাজধানীর বছিলায় ‘সাদিক এগ্রো’ নামে খামার রয়েছে বাংলাদেশ ডেইরি ফারমার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ইমরান হোসেনের। তাঁর খামারে এরই মধ্যে কোরবানির পশু বিক্রি শুরু হয়েছে। তিনি জানালেন, সব জিনিসের দাম একসঙ্গে বেড়ে যাওয়ায় তাঁরা অতিরিক্ত দামে গরু বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। তাঁর মতে, সিন্ডিকেট ও চাঁদাবাজি বন্ধ, পরিবহন নির্বিঘ্ন করা এবং পশুবাহী গাড়ি টোলমুক্ত করা গেলে ঢাকায় কোরবানির পশুর দাম কিছুটা হলেও কমানো সম্ভব।
রাজশাহী থেকে লালবাগের রহমতগঞ্জ মাঠসংলগ্ন অস্থায়ী হাটে ২৬টি গরু এনেছেন ব্যবসায়ী শাখাওয়াত আলী জুয়েল। তিনি জানান, তিন মাস আগে থেকে এ গরুগুলোর বাড়তি যত্ন নিচ্ছেন তিনি। এখন ভালো দামের আশায় ঢাকায় নিয়ে এসেছেন। তিনি বলেন, রাজশাহী থেকে ঢাকায় আসতে রাস্তায় অনেক জায়গায় চাঁদা দিতে হয়েছে। এ ছাড়া প্রতিদিনই পশুখাদ্যের দাম বাড়ছে। এসব খরচ আর নিজের লাভসহ দাম একটু বেশি হওয়াই স্বাভাবিক বলে মনে করছেন তিনি।
পশু সংকটের ব্যাপারে জানতে চাইলে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের খামার শাখার উপপরিচালক জিনাত সুলতানা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সারা দেশের হিসাবে আমাদের অনেক উদ্বৃত্ত পশু আছে। ঢাকায় চাহিদার তুলনায় পশু কম থাকলেও সারা দেশ থেকে আসা পশুর কারণে কোনো সংকট হবে না।’
পশুর বাড়তি দাম প্রসঙ্গে জিনাত সুলতানা বলেন, ‘ঢাকায় আসা পশুবাহী ট্রাকগুলো থেকে যাতে চাঁদাবাজি না হয়, আমরা সে উদ্যোগ নিয়েছি। এ ছাড়া কোনো খামার থেকে যদি কেউ পশু কেনেন, তাদের কাছ থেকে কোনো হাসিল আদায় করা যাবে না বলেও আমরা জানিয়েছি।’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে