ইলিয়াস আহমেদ ও কামরুল হাসান, ময়মনসিংহ ও ধোবাউড়া
নারী ফুটবলে বাংলাদেশ জিতবে আর কলসিন্দুরে আনন্দ হবে না, তেমনটি হয় না বেশ কিছুদিন ধরে। এবারের বিজয়ী দলে ছিল কলসিন্দুরের আটজন খেলোয়াড়! ফলে স্বাভাবিকভাবে নারী ফুটবল দল সাফ চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় আনন্দে ভাসছে ময়মনসিংহ।
কলসিন্দুর নারী ফুটবল দলের ম্যানেজার ও কলসিন্দুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যাপক মালা রানী সরকার বলেন, ‘নেপালকে ৩-১ গোলে হারিয়ে প্রথমবারের মতো দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলের শিরোপা জিতেছেন বাংলাদেশের মেয়েরা। এই দলের আটজনই কলসিন্দুর গ্রামের।’ এই খেলোয়াড়েরা হলেন সানজিদা আক্তার, মারিয়া মান্দা, শিউলি আজিম, তহুরা খাতুন, শামসুন্নাহার সিনিয়র, শামসুন্নাহার জুনিয়র, সাজেদা খাতুন ও মার্জিয়া আক্তার।
খেলোয়াড়দের পরিবারে এখন চলছে বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস। মেয়েদের খেলাকে ঘিরে গত সোমবার পুরো উপজেলায় বিকেল থেকে টেলিভিশন এবং মোবাইলের দিকে নজর ছিল সব বয়সী মানুষের। বাড়িঘরের পাশাপাশি হাটবাজার ও দোকানপাটে ছিল খেলা দেখার জন্য মানুষের উপচে পড়া ভিড়। মেয়েদের জয় প্রত্যন্ত অঞ্চলের এই মানুষের সবচেয়ে বড় পাওয়া বলে জানিয়েছেন এলাকার মানুষ।
জেলা শহর ময়মনসিংহ থেকে ৬৫ কিলোমিটার উত্তরে ভারতের মেঘালয় রাজ্যঘেঁষা ধোবাউড়া উপজেলার কলসিন্দুর গ্রাম। শিক্ষা-দীক্ষায় পিছিয়ে প্রত্যন্ত অঞ্চলের এ গ্রামটি। মুসলিম, হিন্দুদের পাশাপাশি এ গ্রামে বসবাস করেন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর লোকজন। উন্নয়ন ও শিক্ষা-দীক্ষায় পিছিয়ে থাকা কলসিন্দুর গ্রামটির নাম এখন সারা দেশের মানুষের মুখে মুখে।
শামসুন্নাহার জুনিয়রের বাবা নেকবর আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা সবাই টিভিতে খেলা দেখতেছিলাম, আমার মেয়ে বাংলাদেশের হয়ে যখনই প্রথম গোলটি দিল, আমরা অনেক খুশি হয়েছি। আমার মেয়ে বাংলাদেশের হয়ে ফাইনাল খেলায় প্রথম গোল দেওয়ার গৌরব অর্জন করেছে—এটা যে কী আনন্দের, আমি ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না।’
সানজিদা আক্তারের বাবা লিয়াকত আলী বলেন, ‘খেলায় নেপালকে হারিয়ে বাংলাদেশ জেতার পর পাড়া-মহল্লার লোকজন বলাবলি করতে শুরু করেছে, লিয়াকতের মেয়ে সানজিদারা জিতেছে। বাবা হিসেবে এর চেয়ে বড় পাওয়া আর কী হতে পারে? মেয়ের জন্য আজ আমাদের মুখ উজ্জ্বল হয়েছে।’ লিয়াকত আলী জানান, একটা সময় মেয়ে খেলাধুলা করায় মানুষ বিরূপ মন্তব্য করলেও এখন সানজিদার প্রশংসা সবার মুখে মুখে। এলাকার অনেক নারী ফুটবলার সানিজাকে অনুকরণ করে। মেয়ের জন্য সামাজিকভাবে বেড়েছে তাঁদের গ্রহণযোগ্যতা।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি চাই আমার মেয়ে দেশের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ করুক!’
সানজিদার মা জোসনা খানম বলেন, ‘এলাকার মানুষ সকাল থেকেই বাড়িতে আসছে। তারা আমাকে বলছে, সানজিদাদের খেলা ভালো হয়েছে। তাই তারা জিতেছে। আমাদের কোনো সমস্যা আছে কি না, তা-ও লোকজন জানতে চেয়েছে। ঘরে কোনো কিছু লাগবে কি না। মেয়ের জন্য আমাদের এত নাম-ডাক হইচে।’
তহুরা খাতুনের বাবা ফিরোজ মিয়া বলেন, ‘আমার মেয়ে জয় পেয়েছে, খুব ভালো লাগছে। সবার মুখে মুখে তাদের নাম। আমিও সবার সঙ্গে দোকানে বসে খেলা দেখেছি। যখন খেলা শেষ হয়েছে সবাই আমাকে জাপটে ধরেছে। এ এক অন্য রকম অনুভূতি। মনে হচ্ছে এর চাইতে বড় পাওয়া আর কিছু নেই। আমার মেয়েসহ সবার মেয়েরা ভালো থাকুক, ভালো খেলুক—এটাই প্রত্যাশা।’
কলসিন্দুর নারী ফুটবল দলের ম্যানেজার ও কলসিন্দুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যাপক মালা রানী সরকার বলেন, শুরুতে অজপাড়াগাঁ কলসিন্দুরের মেয়েদের ফুটবল খেলাকে অনেকে ভালো চোখে দেখেনি। পরিবার থেকে খুব একটা সহযোগিতা পায়নি মেয়েরা। প্রাইমারি স্কুলের গণ্ডি পেরিয়ে মাধ্যমিকে যখন মেয়েরা ভর্তি হয়, তখন ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে বড় ধরনের বাধা আসে। তিনি বলেন, ‘মেয়েদের প্রবল আগ্রহ আর আমাদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় আজকের এ সফলতা।’
স্থানীয় বাসিন্দা হজরত আলী বলেন, ‘প্রথমে শামসুন্নাহার জুনিয়র গোল দিলে আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠি—আমাদের মেয়েরাই জিতবে। ঠিক তা-ই হয়েছে। মেয়েদের জেতার কারণে অবহেলিত এলাকার নামটা আবার মানুষের মুখে চলে আসছে। যে মেয়েদের জন্য আজ আমরা গর্বিত হলাম, আসলে আমাদের গ্রামের কী অবস্থা, তা কেউ জানে না।’
ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হক বলেন, ‘আমাদের মেয়েরা ভালো খেলে জিতেছে। আমরা খুব আনন্দিত। সব সময় চেষ্টা করি মেয়েদের খোঁজখবর রাখার জন্য। জয়ের পরেও বেশ কয়েকজনের সঙ্গে মেয়েদের বিষয়ে কথা হয়েছে। ওদের জন্য কিছু করার বিষয়ে আমরাও চিন্তাভাবনা করছি।’
আনন্দের জোয়ারে ভাসছে দেশ। কয়েকজনের অনুভূতিতে ফুটে উঠেছে কিছু অভিব্যক্তি...
তাহাদের কথা
ফিরোজ মিয়া
ফুটবলার তহুরা খাতুনের বাবা
‘আমার মেয়েসহ সবার মেয়ে ভালো থাকুক, ভালো খেলুক এটাই প্রত্যাশা।’
অধ্যাপক মালা রানী সরকার
কলসিন্দুর নারী ফুটবল টিমের ম্যানেজার ও কলসিন্দুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক
‘মেয়েদের প্রবল আগ্রহ আর আমাদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় আজকের এ সফলতা।’
ফুটবলার মারিয়া মান্দার মা
‘আমার মেয়ে বাংলাদেশের হয়ে ফুটবল খেলছে, আমি শুরুতে অনেক অভাব-অনটনের মধ্য দিয়ে দিন কাটিয়েছি। তারপরও মারিয়াকে খেলতে দিয়েছি। ফাইনাল খেলায় মারিয়ারা ভালো খেলেছে। আমি মারিয়াকে নিয়ে গর্ব করি।’
মফিজ উদ্দিন
স্থানীয় শিক্ষক
‘আজকে আমাদের মেয়েরা জাতীয় দলের হয়ে ফুটবল খেলছে, এর চেয়ে আনন্দ আর হতে পারে না। তাদের আরও ওপরে উঠতে হবে। বাংলাদেশের সুনাম পুরো বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে হবে।’
জুয়েল মিয়া
স্থানীয় কোচ, কলসিন্দুর
‘কলসিন্দুরের নারীরা সাফ ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। আমি অনেক আনন্দিত। ফুটবলের সফলতা ধরে রাখার জন্য কলসিন্দুর থেকে আরও নতুন ফুটবলার তৈরি হবে।’
ফৌজিয়া নাজনীন
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, ধোবাউড়া
‘কলসিন্দুরের মেয়েদের মঙ্গল কামনা করি এবং খেলাধুলার পাশাপাশি পড়ালেখায় ভালো করুক, সেই প্রত্যাশা রইল।’
ডেভিড রানা চিসিম
উপজেলা চেয়ারম্যান, ধোবাউড়া
‘জাতীয় দলে খেলে কলসিন্দুরের নারী ফুটবলারেরা ধোবাউড়া উপজেলার অনেক সুনাম বয়ে এনেছে। মেয়েদের খেলা চালিয়ে যাওয়ার জন্য উপজেলা পরিষদ থেকে আরও সহযোগিতা করা হবে।’
নারী ফুটবলে বাংলাদেশ জিতবে আর কলসিন্দুরে আনন্দ হবে না, তেমনটি হয় না বেশ কিছুদিন ধরে। এবারের বিজয়ী দলে ছিল কলসিন্দুরের আটজন খেলোয়াড়! ফলে স্বাভাবিকভাবে নারী ফুটবল দল সাফ চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় আনন্দে ভাসছে ময়মনসিংহ।
কলসিন্দুর নারী ফুটবল দলের ম্যানেজার ও কলসিন্দুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যাপক মালা রানী সরকার বলেন, ‘নেপালকে ৩-১ গোলে হারিয়ে প্রথমবারের মতো দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলের শিরোপা জিতেছেন বাংলাদেশের মেয়েরা। এই দলের আটজনই কলসিন্দুর গ্রামের।’ এই খেলোয়াড়েরা হলেন সানজিদা আক্তার, মারিয়া মান্দা, শিউলি আজিম, তহুরা খাতুন, শামসুন্নাহার সিনিয়র, শামসুন্নাহার জুনিয়র, সাজেদা খাতুন ও মার্জিয়া আক্তার।
খেলোয়াড়দের পরিবারে এখন চলছে বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস। মেয়েদের খেলাকে ঘিরে গত সোমবার পুরো উপজেলায় বিকেল থেকে টেলিভিশন এবং মোবাইলের দিকে নজর ছিল সব বয়সী মানুষের। বাড়িঘরের পাশাপাশি হাটবাজার ও দোকানপাটে ছিল খেলা দেখার জন্য মানুষের উপচে পড়া ভিড়। মেয়েদের জয় প্রত্যন্ত অঞ্চলের এই মানুষের সবচেয়ে বড় পাওয়া বলে জানিয়েছেন এলাকার মানুষ।
জেলা শহর ময়মনসিংহ থেকে ৬৫ কিলোমিটার উত্তরে ভারতের মেঘালয় রাজ্যঘেঁষা ধোবাউড়া উপজেলার কলসিন্দুর গ্রাম। শিক্ষা-দীক্ষায় পিছিয়ে প্রত্যন্ত অঞ্চলের এ গ্রামটি। মুসলিম, হিন্দুদের পাশাপাশি এ গ্রামে বসবাস করেন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর লোকজন। উন্নয়ন ও শিক্ষা-দীক্ষায় পিছিয়ে থাকা কলসিন্দুর গ্রামটির নাম এখন সারা দেশের মানুষের মুখে মুখে।
শামসুন্নাহার জুনিয়রের বাবা নেকবর আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা সবাই টিভিতে খেলা দেখতেছিলাম, আমার মেয়ে বাংলাদেশের হয়ে যখনই প্রথম গোলটি দিল, আমরা অনেক খুশি হয়েছি। আমার মেয়ে বাংলাদেশের হয়ে ফাইনাল খেলায় প্রথম গোল দেওয়ার গৌরব অর্জন করেছে—এটা যে কী আনন্দের, আমি ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না।’
সানজিদা আক্তারের বাবা লিয়াকত আলী বলেন, ‘খেলায় নেপালকে হারিয়ে বাংলাদেশ জেতার পর পাড়া-মহল্লার লোকজন বলাবলি করতে শুরু করেছে, লিয়াকতের মেয়ে সানজিদারা জিতেছে। বাবা হিসেবে এর চেয়ে বড় পাওয়া আর কী হতে পারে? মেয়ের জন্য আজ আমাদের মুখ উজ্জ্বল হয়েছে।’ লিয়াকত আলী জানান, একটা সময় মেয়ে খেলাধুলা করায় মানুষ বিরূপ মন্তব্য করলেও এখন সানজিদার প্রশংসা সবার মুখে মুখে। এলাকার অনেক নারী ফুটবলার সানিজাকে অনুকরণ করে। মেয়ের জন্য সামাজিকভাবে বেড়েছে তাঁদের গ্রহণযোগ্যতা।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি চাই আমার মেয়ে দেশের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ করুক!’
সানজিদার মা জোসনা খানম বলেন, ‘এলাকার মানুষ সকাল থেকেই বাড়িতে আসছে। তারা আমাকে বলছে, সানজিদাদের খেলা ভালো হয়েছে। তাই তারা জিতেছে। আমাদের কোনো সমস্যা আছে কি না, তা-ও লোকজন জানতে চেয়েছে। ঘরে কোনো কিছু লাগবে কি না। মেয়ের জন্য আমাদের এত নাম-ডাক হইচে।’
তহুরা খাতুনের বাবা ফিরোজ মিয়া বলেন, ‘আমার মেয়ে জয় পেয়েছে, খুব ভালো লাগছে। সবার মুখে মুখে তাদের নাম। আমিও সবার সঙ্গে দোকানে বসে খেলা দেখেছি। যখন খেলা শেষ হয়েছে সবাই আমাকে জাপটে ধরেছে। এ এক অন্য রকম অনুভূতি। মনে হচ্ছে এর চাইতে বড় পাওয়া আর কিছু নেই। আমার মেয়েসহ সবার মেয়েরা ভালো থাকুক, ভালো খেলুক—এটাই প্রত্যাশা।’
কলসিন্দুর নারী ফুটবল দলের ম্যানেজার ও কলসিন্দুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যাপক মালা রানী সরকার বলেন, শুরুতে অজপাড়াগাঁ কলসিন্দুরের মেয়েদের ফুটবল খেলাকে অনেকে ভালো চোখে দেখেনি। পরিবার থেকে খুব একটা সহযোগিতা পায়নি মেয়েরা। প্রাইমারি স্কুলের গণ্ডি পেরিয়ে মাধ্যমিকে যখন মেয়েরা ভর্তি হয়, তখন ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে বড় ধরনের বাধা আসে। তিনি বলেন, ‘মেয়েদের প্রবল আগ্রহ আর আমাদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় আজকের এ সফলতা।’
স্থানীয় বাসিন্দা হজরত আলী বলেন, ‘প্রথমে শামসুন্নাহার জুনিয়র গোল দিলে আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠি—আমাদের মেয়েরাই জিতবে। ঠিক তা-ই হয়েছে। মেয়েদের জেতার কারণে অবহেলিত এলাকার নামটা আবার মানুষের মুখে চলে আসছে। যে মেয়েদের জন্য আজ আমরা গর্বিত হলাম, আসলে আমাদের গ্রামের কী অবস্থা, তা কেউ জানে না।’
ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হক বলেন, ‘আমাদের মেয়েরা ভালো খেলে জিতেছে। আমরা খুব আনন্দিত। সব সময় চেষ্টা করি মেয়েদের খোঁজখবর রাখার জন্য। জয়ের পরেও বেশ কয়েকজনের সঙ্গে মেয়েদের বিষয়ে কথা হয়েছে। ওদের জন্য কিছু করার বিষয়ে আমরাও চিন্তাভাবনা করছি।’
আনন্দের জোয়ারে ভাসছে দেশ। কয়েকজনের অনুভূতিতে ফুটে উঠেছে কিছু অভিব্যক্তি...
তাহাদের কথা
ফিরোজ মিয়া
ফুটবলার তহুরা খাতুনের বাবা
‘আমার মেয়েসহ সবার মেয়ে ভালো থাকুক, ভালো খেলুক এটাই প্রত্যাশা।’
অধ্যাপক মালা রানী সরকার
কলসিন্দুর নারী ফুটবল টিমের ম্যানেজার ও কলসিন্দুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক
‘মেয়েদের প্রবল আগ্রহ আর আমাদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় আজকের এ সফলতা।’
ফুটবলার মারিয়া মান্দার মা
‘আমার মেয়ে বাংলাদেশের হয়ে ফুটবল খেলছে, আমি শুরুতে অনেক অভাব-অনটনের মধ্য দিয়ে দিন কাটিয়েছি। তারপরও মারিয়াকে খেলতে দিয়েছি। ফাইনাল খেলায় মারিয়ারা ভালো খেলেছে। আমি মারিয়াকে নিয়ে গর্ব করি।’
মফিজ উদ্দিন
স্থানীয় শিক্ষক
‘আজকে আমাদের মেয়েরা জাতীয় দলের হয়ে ফুটবল খেলছে, এর চেয়ে আনন্দ আর হতে পারে না। তাদের আরও ওপরে উঠতে হবে। বাংলাদেশের সুনাম পুরো বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে হবে।’
জুয়েল মিয়া
স্থানীয় কোচ, কলসিন্দুর
‘কলসিন্দুরের নারীরা সাফ ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। আমি অনেক আনন্দিত। ফুটবলের সফলতা ধরে রাখার জন্য কলসিন্দুর থেকে আরও নতুন ফুটবলার তৈরি হবে।’
ফৌজিয়া নাজনীন
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, ধোবাউড়া
‘কলসিন্দুরের মেয়েদের মঙ্গল কামনা করি এবং খেলাধুলার পাশাপাশি পড়ালেখায় ভালো করুক, সেই প্রত্যাশা রইল।’
ডেভিড রানা চিসিম
উপজেলা চেয়ারম্যান, ধোবাউড়া
‘জাতীয় দলে খেলে কলসিন্দুরের নারী ফুটবলারেরা ধোবাউড়া উপজেলার অনেক সুনাম বয়ে এনেছে। মেয়েদের খেলা চালিয়ে যাওয়ার জন্য উপজেলা পরিষদ থেকে আরও সহযোগিতা করা হবে।’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৪ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৪ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৪ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৪ দিন আগে