মধ্যনগর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি
জামালপুরের ইসলামপুরে হাটবাজার ইজারার প্রক্রিয়া সিন্ডিকেটের কবলে পড়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রভাবশালী ব্যক্তিরা ‘ডামি দরদাতা’ ব্যবহার করে বেশি দরপত্র কিনলেও জমা দিয়েছেন হাতে গোনা কয়েকটি। সেখানে সমঝোতা করে তাঁরা অল্প টাকায় ইজারা বাগিয়ে নিয়ে এখন বেশি টাকায় এর অংশ বিক্রি করছেন। এতে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সিরাজুল ইসলামের স্বাক্ষরে ৭ জানুয়ারি ইজারার বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। ১৩টি হাটবাজারের জন্য ২১৮টি দরপত্র বিক্রি হয়। এর মধ্যে মাত্র চারটি হাটেই বিক্রি হয় ১৯৮টি দরপত্র। কিন্তু রহস্যজনক কারণে জমা পড়ে মাত্র ১৩টি।
উপজেলায় কৃষিপণ্যের বৃহত্তম ব্যবসাকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত যমুনা নদীর পাড়ের গুঠাইল হাট। এই হাট ইজারার জন্য ১৫টি দরপত্র বিক্রি হলেও তিনটি জমা পড়ে। ৩৮ লাখ ২০ হাজার টাকা দর দিয়ে হাটটি ইজারা পান স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতা জাহিদুল ইসলাম
গুঠাইল হাটের ব্যবসায়ী মাহমুদুল্লাহ অভিযোগ করেন, সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বাজার ইজারা নেওয়া হয়েছে। এতে সরকারকে রাজস্ব বঞ্চিত করা হয়েছে।
গবাদিপশু বিক্রির অন্যতম জায়গা নাপিতের চর হাট ইজারায় ৪৫টি দরপত্র বিক্রি হলেও জমা পড়ে মাত্র দুটি। ২১ লাখ ২৫ হাজার টাকা সর্বোচ্চ দর দিয়ে এ হাট ইজারা পান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের এক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। সেখানে দরপত্র সংগ্রহ করা সাইফুল ইসলাম নামের একজন বলেন, ‘সমঝোতার কথা বলে সবগুলো দরপত্র জমা নেন দলীয় নেতা-কর্মীরা। পরে পছন্দমতো দর বসিয়ে জমা দেন ইউএনও অফিসে। সমঝোতা না হলে ৫০-৬০ লাখ টাকায় হাটটি ইজারা নেওয়া যেত। যিনি হাটটি ইজারা নিয়েছেন তিনি ৫২-৬০ লাখ টাকা দর হাঁকিয়ে ইজারা শেয়ার বিক্রি করছেন।’
মহলগিরী বাজারের ১২৪টি দরপত্র বিক্রি হলেও মাত্র তিনটি জমা পড়ে। এ বাজারটি গতবারের চেয়ে মাত্র ৪০০ টাকা বেশিতে ইজারা পান গোয়ালেরচর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আনোয়ার হোসেন। অন্যদিকে ডিগ্রিরচর বাজারের ১৪টি দরপত্র বিক্রি হলেও জমা পড়ে পাঁচটি। ৮০ হাজার টাকায় ইজারা পান চরপুটিমারী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মোস্তফা কামাল। অথচ তিন বছর আগে বাজারটি ২ লাখ টাকায় ইজারা দেওয়া হয়েছিল।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিগ্রিরচর বাজারের ইজারাদার মোস্তফা বলেন, ‘আমরা সিন্ডিকেট করিনি। নিয়ম অনুযায়ী দরপত্র জমা দিয়ে ইজারা পেয়েছি।’ একই কথা বলেন মহলগিরী বাজারের ইজারাদার আনোয়ার। তিনি বলেন, ‘আইন অনুসারে দরপত্রে দর উল্লেখ করে ইজারা পেয়েছি। এতে সরকার রাজস্ব বঞ্চিত হলো কি না, সেটা জানি না।’
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এস এম জামাল আব্দুন নাছের বাবুল বলেন, ‘হাটবাজার ইজারায় কালো থাবা পড়ার কথা শুনেছি। সরকারকে রাজস্ব বঞ্চিত করা বেইমানি কাজ। গুঞ্জন উঠেছে, লাখ লাখ টাকার হাতবদলের মাধ্যমে ডামি দরদাতা দাঁড় করিয়ে নাকি ইজারা নেওয়া হয়েছে। এটা অন্যায়।’
যোগাযোগ করা হলে উপজেলা হাটবাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির আহ্বায়ক ও ইউএনও সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘তিন বছরের ইজারামূল্য গড় করে দর নির্ধারণ করা হয়েছে। আশা ছিল, গতবারের চেয়ে রাজস্ব বেশি আয় হবে কিন্তু তা হয়নি। বাইরে সিন্ডিকেট করলে আমাদের তো কিছু করার নেই। তবে আইন অনুসারে হাটবাজার ইজারা দেওয়া হয়েছে।’
জামালপুরের ইসলামপুরে হাটবাজার ইজারার প্রক্রিয়া সিন্ডিকেটের কবলে পড়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রভাবশালী ব্যক্তিরা ‘ডামি দরদাতা’ ব্যবহার করে বেশি দরপত্র কিনলেও জমা দিয়েছেন হাতে গোনা কয়েকটি। সেখানে সমঝোতা করে তাঁরা অল্প টাকায় ইজারা বাগিয়ে নিয়ে এখন বেশি টাকায় এর অংশ বিক্রি করছেন। এতে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সিরাজুল ইসলামের স্বাক্ষরে ৭ জানুয়ারি ইজারার বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। ১৩টি হাটবাজারের জন্য ২১৮টি দরপত্র বিক্রি হয়। এর মধ্যে মাত্র চারটি হাটেই বিক্রি হয় ১৯৮টি দরপত্র। কিন্তু রহস্যজনক কারণে জমা পড়ে মাত্র ১৩টি।
উপজেলায় কৃষিপণ্যের বৃহত্তম ব্যবসাকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত যমুনা নদীর পাড়ের গুঠাইল হাট। এই হাট ইজারার জন্য ১৫টি দরপত্র বিক্রি হলেও তিনটি জমা পড়ে। ৩৮ লাখ ২০ হাজার টাকা দর দিয়ে হাটটি ইজারা পান স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতা জাহিদুল ইসলাম
গুঠাইল হাটের ব্যবসায়ী মাহমুদুল্লাহ অভিযোগ করেন, সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বাজার ইজারা নেওয়া হয়েছে। এতে সরকারকে রাজস্ব বঞ্চিত করা হয়েছে।
গবাদিপশু বিক্রির অন্যতম জায়গা নাপিতের চর হাট ইজারায় ৪৫টি দরপত্র বিক্রি হলেও জমা পড়ে মাত্র দুটি। ২১ লাখ ২৫ হাজার টাকা সর্বোচ্চ দর দিয়ে এ হাট ইজারা পান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের এক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। সেখানে দরপত্র সংগ্রহ করা সাইফুল ইসলাম নামের একজন বলেন, ‘সমঝোতার কথা বলে সবগুলো দরপত্র জমা নেন দলীয় নেতা-কর্মীরা। পরে পছন্দমতো দর বসিয়ে জমা দেন ইউএনও অফিসে। সমঝোতা না হলে ৫০-৬০ লাখ টাকায় হাটটি ইজারা নেওয়া যেত। যিনি হাটটি ইজারা নিয়েছেন তিনি ৫২-৬০ লাখ টাকা দর হাঁকিয়ে ইজারা শেয়ার বিক্রি করছেন।’
মহলগিরী বাজারের ১২৪টি দরপত্র বিক্রি হলেও মাত্র তিনটি জমা পড়ে। এ বাজারটি গতবারের চেয়ে মাত্র ৪০০ টাকা বেশিতে ইজারা পান গোয়ালেরচর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আনোয়ার হোসেন। অন্যদিকে ডিগ্রিরচর বাজারের ১৪টি দরপত্র বিক্রি হলেও জমা পড়ে পাঁচটি। ৮০ হাজার টাকায় ইজারা পান চরপুটিমারী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মোস্তফা কামাল। অথচ তিন বছর আগে বাজারটি ২ লাখ টাকায় ইজারা দেওয়া হয়েছিল।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিগ্রিরচর বাজারের ইজারাদার মোস্তফা বলেন, ‘আমরা সিন্ডিকেট করিনি। নিয়ম অনুযায়ী দরপত্র জমা দিয়ে ইজারা পেয়েছি।’ একই কথা বলেন মহলগিরী বাজারের ইজারাদার আনোয়ার। তিনি বলেন, ‘আইন অনুসারে দরপত্রে দর উল্লেখ করে ইজারা পেয়েছি। এতে সরকার রাজস্ব বঞ্চিত হলো কি না, সেটা জানি না।’
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এস এম জামাল আব্দুন নাছের বাবুল বলেন, ‘হাটবাজার ইজারায় কালো থাবা পড়ার কথা শুনেছি। সরকারকে রাজস্ব বঞ্চিত করা বেইমানি কাজ। গুঞ্জন উঠেছে, লাখ লাখ টাকার হাতবদলের মাধ্যমে ডামি দরদাতা দাঁড় করিয়ে নাকি ইজারা নেওয়া হয়েছে। এটা অন্যায়।’
যোগাযোগ করা হলে উপজেলা হাটবাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির আহ্বায়ক ও ইউএনও সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘তিন বছরের ইজারামূল্য গড় করে দর নির্ধারণ করা হয়েছে। আশা ছিল, গতবারের চেয়ে রাজস্ব বেশি আয় হবে কিন্তু তা হয়নি। বাইরে সিন্ডিকেট করলে আমাদের তো কিছু করার নেই। তবে আইন অনুসারে হাটবাজার ইজারা দেওয়া হয়েছে।’
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
২ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪