Ajker Patrika

মডেল তিন্নি হত্যা মামলার রায় পেছাল

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৬ নভেম্বর ২০২১, ১০: ৫১
মডেল তিন্নি হত্যা মামলার রায় পেছাল

মডেল সৈয়দা তানিয়া মাহবুব তিন্নি হত্যা মামলার রায় পিছিয়ে দিয়েছেন আদালত। গতকাল সোমবার আলোচিত এই মামলার রায় ঘোষণার তারিখ ছিল। তবে এ দিন রায় ঘোষণা না করে এই মামলায় পুনরায় সাক্ষ্য গ্রহণ করা হবে বলে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন আদালত।

বাদীর একটি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক কেশব রায় চৌধুরী মামলাটি রায় ঘোষণা থেকে উত্তোলনপূর্বক আগামী ৫ জানুয়ারি পুনরায় সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেছেন।

গতকাল সকালে মামলার বাদী তিন্নির বাবা সৈয়দ মাহবুব করীম ও চাচা সৈয়দ রেজাউল করিম পুনরায় আদালতে জবানবন্দি দিতে আবেদন করেন। আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করে সাক্ষ্যগ্রহণের নতুন তারিখ ধার্য করেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা জানান, তিন্নির বাবা ও চাচার আংশিক সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছিল। তারা তাদের সাক্ষ্য পুনরায় গ্রহণের আবেদন করেন।

তিন্নির চাচা সৈয়দ রেজাউল করিম জানান, তারা এই মামলায় সম্পূর্ণ বক্তব্য দিতে পারেননি। আগে রাষ্ট্রপক্ষ যারা মামলা পরিচালনা করতেন তারা যোগাযোগ না করায় অসম্পূর্ণ রয়ে গেছে। তিন্নির রায়ের তারিখ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে এই খবর পেয়ে তারা আদালতে এসে পুনরায় সাক্ষ্য দেওয়ার ইচ্ছা ব্যক্ত করেছেন।

১৯ বছর আগে তিন্নি হত্যাকাণ্ডের একমাত্র আসামি সাবেক ছাত্রনেতা ও বরিশাল-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক অভি। অভি পলাতক রয়েছেন। তার অনুপস্থিতিতেই বিচারকাজ চলছে।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০২ সালের ১০ নভেম্বর রাতে খুন হন তিন্নি। পরের দিন সকালে তিন্নির লাশ পাওয়া যায় বুড়িগঙ্গা এক নম্বর চীন মৈত্রী সেতুর নিচে পিলারের ওপরে ঝুলন্ত অবস্থায়। এ ঘটনায় কেরানীগঞ্জ থানার সহকারী উপ-পুলিশ পরিদর্শক(এএসআই) মো. শফি উদ্দিন বাদী হয়ে অজ্ঞাত নামা আসামির নামে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলাটি বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তা তদন্ত করেন। তদন্ত করতে গিয়ে জানা যায়, তিন্নি হত্যাকাণ্ডের আগে ২০০২ সালের ৬ নভেম্বর তিন্নিকে তার স্বামী সাফায়েত হোসেন পিয়ালের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে বাধ্য করেন অভি। তিন্নিও তাকে তালাক দেন। ওই দিনই পিয়ালকে তার দেড় বছর বয়সী কন্যাসন্তানসহ রাজধানীর বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়। এরপর বিয়ে করার জন্য অভিকে চাপ দিতে থাকেন তিন্নি। কিন্তু অভি বিয়ে করতে অস্বীকার করেন। এক পর্যায়ে তিন্নি বিষয়টি সাংবাদিকদের কাছে ফাঁস করে দেওয়ার হুমকি দেন। পরে ১০ নভেম্বর রাতে মাথায় আঘাত করে তিন্নিকে হত্যা করা হয়। এরপর লাশ গুমের উদ্দেশ্যে ওই রাতে বুড়িগঙ্গার ১ নম্বর চীন মৈত্রী সেতুর ওপর থেকে নদীতে ফেলে দেওয়া হয় লাশ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত