মিরসরাই ও ফটিকছড়ি (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে অসময়ের বৃষ্টিতে চট্টগ্রামের মিরসরাই ও ফটিকছড়ি উপজেলার ইটভাটাগুলোতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। মালিকদের দাবি, গত রোববার রাত থেকে গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে অধিকাংশ কাঁচা ইট গলে গেছে। এতে তাঁদের অন্তত ৪ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার মিরসরাই উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ইটভাটায় গিয়ে দেখা গেছে, বৃষ্টিতে ভাটার কাঁচা ইট গলে কাদা হয়ে গেছে। কিছু কাঁচা ইট পলিথিন দিয়ে ঢেকে রক্ষা করার চেষ্টা করেন শ্রমিকেরা। পোড়ানোর জন্য চুল্লিতে সাজানো ইটেও পানি পড়ে গলে গেছে। প্রায় সব কটি ভাটার কয়লা ভিজে নষ্ট হয়েছে। প্রতিটি ভাটায় ৫ থেকে ১০ লাখ পর্যন্ত কাঁচা ইট নষ্ট হয়ে গেছে। এতে প্রতিটিতে ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন মালিকেরা। সব মিলিয়ে উপজেলার ১২টি ভাটায় অন্তত ২ কোটি টাকার ক্ষতির শঙ্কা করছেন তাঁরা।
উপজেলার মিঠাছড়া অবস্থিত এসবিকে-২ ভাটার মালিক মাহমুদুল হক বলেন, তাঁদের ভাটায় ১০ লাখ কাঁচা ইট ছিল। এ ছাড়া চিমনির মধ্যেও বেশ কিছু কাঁচা ইট ছিল। সবই নষ্ট হয়ে গেছে। এর মূল্য প্রায় ৩০ লাখ টাকা। সেই সঙ্গে রয়েছে ভাটা পরিষ্কার করার কাজ। এতেও ২ থেকে ৩ লাখ টাকা খরচ হবে।
সুফিয়া রোডের এমএইচ অ্যান্ড ব্রাদার্স ব্রিকের মালিক জুয়েল বলেন, তাঁদের তিনটি ভাটায় প্রায় ৩০ লাখ কাঁচা ইট ছিল। হঠাৎ যে বৃষ্টি হবে, তা তাঁরা বুঝতে পারেননি। যে কারণে ইট সরানো যায়নি।
মস্তাননগরের এমএনবি ব্রিকের মালিক মো. মুসলিম উদ্দিন খান বলেন, ‘আমাদের দুটি ইটের ভাটায় প্রায় ২০ লাখ কাঁচা ইট বৃষ্টিতে নষ্ট হয়েছে। এমনিতে এ বছর মাটির দাম, শ্রমিক খরচ ও কয়লার মূল্য আকাশছোঁয়া। তার ওপর বৃষ্টির ক্ষতি কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে না। অন্য বছর যে কয়লা ৮ লাখ টাকায় কিনতাম, এখন বেড়ে হয়েছে ২৪ লাখ টাকা।’
গত বছর তাঁরা প্রতি ১০০ ফুট মাটি ১০০ টাকায় কিনেছেন, এ বছর তা বেড়ে হয়েছে ১ হাজার ১০০ টাকা। শ্রমিক খরচ অন্যান্য বছরের তুলনায় তিনগুণ বেশি দিতে হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
করেরহাট সাইবেনিখীলে অবস্থিত আরবিএম ব্রিকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মানবি মুরাদ জানান, তাঁর ভাটায় ১০ লাখ কাঁচা ইট নষ্ট হয়েছে। নতুন করে উৎপাদনে যেতে ১০ দিনের বেশি সময় লাগবে।
উপজেলা ইটভাটা মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম খোকা বলেন, প্রতিটি কাঁচা ইট তৈরিতে ২-৩ টাকা খরচ হয়। হঠাৎ বৃষ্টিপাতে ভাটার মালিকদের যে লোকসান হয়েছে, তা পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব নয়।
ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি আজহারুল হক চৌধুরী নওশা মিয়া বলেন, নষ্ট হওয়া কাঁচা ইটের মাটি সরিয়ে নতুন করে ইট তৈরি করতে হবে। এতে বাড়তি শ্রমিক লাগবে, বাড়বে খরচ। ভাটাগুলোর প্রতিটির ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ক্ষতি হবে।
এদিকে ফটিকছড়ি উপজেলার ৪০টি ইটভাটায় প্রায় ৪০ লাখ কাঁচা ইট নষ্ট হয়ে গেছে বলে দাবি করেছেন মালিকেরা। গতকাল মঙ্গলবার উপজেলার সুয়াবিল, হারুয়ালছড়ি ও পাইন্দং ইউনিয়নের কয়েকটি ভাটা ঘুরে এ সব তথ্য পাওয়া গেছে। দেখা যায়, সাজানো কাঁচা ইটগুলো বৃষ্টির পানিতে ভেঙে গেছে। ভেজা ইট পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে। অন্যদিকে, নষ্ট ইটগুলো শ্রমিকেরা সরিয়ে নতুন করে তৈরির কাজ শুরু করেছেন।
পূর্ব-সুয়াবিল গ্রামের এবিসি ইটভাটার মালিক মোহাম্মদ আমিনুল হক চৌধুরী বলেন, প্রায় দুই লাখ ইট বৃষ্টিতে নষ্ট হয়েছে। এতে অন্তত ১০ লাখ টাকার মতো লোকসান গুনতে হবে।
কাঞ্চননগরের কেবিএম ইটভাটার মালিক মো. নাজিম উদ্দিন জানান, অসময়ের বৃষ্টিতে তাঁর ভাটায় প্রায় ১ লাখ কাঁচা ইট নষ্ট হয়েছে। এসব নষ্ট ইট সরানোর জন্য আরও ২৫ হাজার টাকা খরচ হবে। সব মিলিয়ে তার প্রায় ৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
পাইন্দং গ্রামের পিবিএম ব্রিকসে কাঁচা ইট তৈরির কাজে নিয়োজিত শ্রমিক নজিবুল ইসলাম বলেন, ‘কাঁচা ইট তৈরির জন্য মৌসুমের শুরুতে ভাটার মালিকের কাছ থেকে অগ্রিম টাকা নিয়েছি। ঠিকমতো ইট তৈরি করে দিতে না পারলে টাকা ফেরত দিতে হবে।’
উপজেলা ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি ও ফটিকছড়ি পৌরসভার মেয়র মুহাম্মদ ইসমাইল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, সমিতির আওতায় উপজেলায় ৪০টি ইটভাটা রয়েছে। প্রাথমিক হিসাবে প্রায় ৪০ লাখ কাঁচা ইট নষ্ট হয়েছে। এতে প্রতিটি ভাটায় ৫ লাখ টাকা করে হলে অন্তত দুই কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। নষ্ট হওয়া এসব কাঁচা ইটের মাটি সরিয়ে নিয়ে আবারও নতুন করে ইট তৈরি করতে হবে। এতে বাড়তি শ্রমিক লাগবে, বাড়বে খরচ।
ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে অসময়ের বৃষ্টিতে চট্টগ্রামের মিরসরাই ও ফটিকছড়ি উপজেলার ইটভাটাগুলোতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। মালিকদের দাবি, গত রোববার রাত থেকে গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে অধিকাংশ কাঁচা ইট গলে গেছে। এতে তাঁদের অন্তত ৪ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার মিরসরাই উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ইটভাটায় গিয়ে দেখা গেছে, বৃষ্টিতে ভাটার কাঁচা ইট গলে কাদা হয়ে গেছে। কিছু কাঁচা ইট পলিথিন দিয়ে ঢেকে রক্ষা করার চেষ্টা করেন শ্রমিকেরা। পোড়ানোর জন্য চুল্লিতে সাজানো ইটেও পানি পড়ে গলে গেছে। প্রায় সব কটি ভাটার কয়লা ভিজে নষ্ট হয়েছে। প্রতিটি ভাটায় ৫ থেকে ১০ লাখ পর্যন্ত কাঁচা ইট নষ্ট হয়ে গেছে। এতে প্রতিটিতে ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন মালিকেরা। সব মিলিয়ে উপজেলার ১২টি ভাটায় অন্তত ২ কোটি টাকার ক্ষতির শঙ্কা করছেন তাঁরা।
উপজেলার মিঠাছড়া অবস্থিত এসবিকে-২ ভাটার মালিক মাহমুদুল হক বলেন, তাঁদের ভাটায় ১০ লাখ কাঁচা ইট ছিল। এ ছাড়া চিমনির মধ্যেও বেশ কিছু কাঁচা ইট ছিল। সবই নষ্ট হয়ে গেছে। এর মূল্য প্রায় ৩০ লাখ টাকা। সেই সঙ্গে রয়েছে ভাটা পরিষ্কার করার কাজ। এতেও ২ থেকে ৩ লাখ টাকা খরচ হবে।
সুফিয়া রোডের এমএইচ অ্যান্ড ব্রাদার্স ব্রিকের মালিক জুয়েল বলেন, তাঁদের তিনটি ভাটায় প্রায় ৩০ লাখ কাঁচা ইট ছিল। হঠাৎ যে বৃষ্টি হবে, তা তাঁরা বুঝতে পারেননি। যে কারণে ইট সরানো যায়নি।
মস্তাননগরের এমএনবি ব্রিকের মালিক মো. মুসলিম উদ্দিন খান বলেন, ‘আমাদের দুটি ইটের ভাটায় প্রায় ২০ লাখ কাঁচা ইট বৃষ্টিতে নষ্ট হয়েছে। এমনিতে এ বছর মাটির দাম, শ্রমিক খরচ ও কয়লার মূল্য আকাশছোঁয়া। তার ওপর বৃষ্টির ক্ষতি কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে না। অন্য বছর যে কয়লা ৮ লাখ টাকায় কিনতাম, এখন বেড়ে হয়েছে ২৪ লাখ টাকা।’
গত বছর তাঁরা প্রতি ১০০ ফুট মাটি ১০০ টাকায় কিনেছেন, এ বছর তা বেড়ে হয়েছে ১ হাজার ১০০ টাকা। শ্রমিক খরচ অন্যান্য বছরের তুলনায় তিনগুণ বেশি দিতে হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
করেরহাট সাইবেনিখীলে অবস্থিত আরবিএম ব্রিকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মানবি মুরাদ জানান, তাঁর ভাটায় ১০ লাখ কাঁচা ইট নষ্ট হয়েছে। নতুন করে উৎপাদনে যেতে ১০ দিনের বেশি সময় লাগবে।
উপজেলা ইটভাটা মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম খোকা বলেন, প্রতিটি কাঁচা ইট তৈরিতে ২-৩ টাকা খরচ হয়। হঠাৎ বৃষ্টিপাতে ভাটার মালিকদের যে লোকসান হয়েছে, তা পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব নয়।
ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি আজহারুল হক চৌধুরী নওশা মিয়া বলেন, নষ্ট হওয়া কাঁচা ইটের মাটি সরিয়ে নতুন করে ইট তৈরি করতে হবে। এতে বাড়তি শ্রমিক লাগবে, বাড়বে খরচ। ভাটাগুলোর প্রতিটির ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ক্ষতি হবে।
এদিকে ফটিকছড়ি উপজেলার ৪০টি ইটভাটায় প্রায় ৪০ লাখ কাঁচা ইট নষ্ট হয়ে গেছে বলে দাবি করেছেন মালিকেরা। গতকাল মঙ্গলবার উপজেলার সুয়াবিল, হারুয়ালছড়ি ও পাইন্দং ইউনিয়নের কয়েকটি ভাটা ঘুরে এ সব তথ্য পাওয়া গেছে। দেখা যায়, সাজানো কাঁচা ইটগুলো বৃষ্টির পানিতে ভেঙে গেছে। ভেজা ইট পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে। অন্যদিকে, নষ্ট ইটগুলো শ্রমিকেরা সরিয়ে নতুন করে তৈরির কাজ শুরু করেছেন।
পূর্ব-সুয়াবিল গ্রামের এবিসি ইটভাটার মালিক মোহাম্মদ আমিনুল হক চৌধুরী বলেন, প্রায় দুই লাখ ইট বৃষ্টিতে নষ্ট হয়েছে। এতে অন্তত ১০ লাখ টাকার মতো লোকসান গুনতে হবে।
কাঞ্চননগরের কেবিএম ইটভাটার মালিক মো. নাজিম উদ্দিন জানান, অসময়ের বৃষ্টিতে তাঁর ভাটায় প্রায় ১ লাখ কাঁচা ইট নষ্ট হয়েছে। এসব নষ্ট ইট সরানোর জন্য আরও ২৫ হাজার টাকা খরচ হবে। সব মিলিয়ে তার প্রায় ৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
পাইন্দং গ্রামের পিবিএম ব্রিকসে কাঁচা ইট তৈরির কাজে নিয়োজিত শ্রমিক নজিবুল ইসলাম বলেন, ‘কাঁচা ইট তৈরির জন্য মৌসুমের শুরুতে ভাটার মালিকের কাছ থেকে অগ্রিম টাকা নিয়েছি। ঠিকমতো ইট তৈরি করে দিতে না পারলে টাকা ফেরত দিতে হবে।’
উপজেলা ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি ও ফটিকছড়ি পৌরসভার মেয়র মুহাম্মদ ইসমাইল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, সমিতির আওতায় উপজেলায় ৪০টি ইটভাটা রয়েছে। প্রাথমিক হিসাবে প্রায় ৪০ লাখ কাঁচা ইট নষ্ট হয়েছে। এতে প্রতিটি ভাটায় ৫ লাখ টাকা করে হলে অন্তত দুই কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। নষ্ট হওয়া এসব কাঁচা ইটের মাটি সরিয়ে নিয়ে আবারও নতুন করে ইট তৈরি করতে হবে। এতে বাড়তি শ্রমিক লাগবে, বাড়বে খরচ।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে