আজ শোকাবহ ১৫ আগস্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ১৫ আগস্ট ২০২২, ০০: ০৪

আজ ১৫ আগস্ট। জাতীয় শোক দিবস। বাংলাদেশের ইতিহাসে অন্যতম নৃশংস হত্যাকাণ্ডের একটি দিন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ভোররাতে সেনাবাহিনীর কিছু বিপথগামী উচ্ছৃঙ্খল সদস্যের নির্মম বুলেটে নিহত হন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

ঘাতকেরা শুধু বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করেনি, তাদের হাতে একে একে প্রাণ হারিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর স্ত্রী শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব, পুত্র শেখ কামাল, শেখ জামাল, শেখ রাসেল, শেখ কামালের স্ত্রী সুলতানা কামাল, শেখ জামালের স্ত্রী রোজী জামাল, বঙ্গবন্ধুর ভাই শেখ নাসের, এসবি কর্মকর্তা সিদ্দিকুর রহমান, কর্নেল জামিল উদ্দিন আহমদ, সেনা সদস্য সৈয়দ মাহবুবুল হক, বঙ্গবন্ধুর ভাগনে যুবলীগের নেতা শেখ ফজলুল হক মণি, তাঁর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মণি, বঙ্গবন্ধুর ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত, তাঁর কন্যা বেবী, পুত্র আরিফ সেরনিয়াবাত, নাতি সুকান্ত বাবু, আবদুর রব সেরনিয়াবাতের বড় ভাইয়ের ছেলে সজীব সেরনিয়াবাত ও এক আত্মীয় রেন্টু খান। এ সময় বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় প্রাণে রক্ষা পান।

জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আজ সরকারি ছুটি। অর্ধনমিত থাকবে জাতীয় পতাকা। সরকারি ও বেসরকারি ভবনে উড়বে কালো পতাকা। দিবসটি উপলক্ষে পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাষ্ট্রপতি তাঁর বাণীতে জাতির পিতাকে হারানোর শোককে শক্তিতে রূপান্তর করে তাঁর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে আত্মনিয়োগ করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘আমাদের দায়িত্ব হবে জ্ঞান-গরিমায় সমৃদ্ধ হয়ে বঙ্গবন্ধুর অসম্পূর্ণ কাজকে সম্পূর্ণ করে বাংলাদেশকে একটি সুখী ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করা। তাহলেই চিরঞ্জীব এই মহান নেতার প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করা হবে।’

প্রধানমন্ত্রী তাঁর বাণীতে বলেন, ‘ঘাতকচক্র বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে হত্যা করলেও তাঁর স্বপ্ন ও আদর্শের মৃত্যু ঘটাতে পারেনি। কিন্তু স্বাধীনতাবিরোধী সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী এবং গণতন্ত্রবিরোধী চক্র এখনো নানাভাবে চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। এই অপশক্তির যেকোনো অপতৎপরতা-ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করে দেশের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা ও গণতন্ত্র রক্ষার জন্য সর্বদা প্রস্তুত থাকতে আমি সকলের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’

জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনসহ বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক সংগঠন, সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় পৃথক পৃথক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এ ছাড়া রয়েছে সারা দেশে দলটির নেতা-কর্মীদের উদ্যোগে  অসচ্ছল, এতিম ও দুস্থ মানুষের মাঝে খাদ্য বিতরণ ও গণভোজের আয়োজন।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত