সবুজ শর্মা শাকিল, সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম)
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের জঙ্গল সলিমপুরের আলীনগরে সরকারি খাসজমি দখলমুক্ত করতে প্রশাসন কয়েক দফা অভিযান চালালেও অনড় অবস্থানে রয়েছেন দখলকারীরা।
মাসখানেক আগে প্রশাসন সেখানে কয়েকবার অভিযান চালালে ৭০-৮০টি পরিবার আলীনগর ছেড়ে যায়। কিন্তু এখনো সেখানে অন্তত ৭৫০-৮০০টি পরিবার অনড় রয়েছে। কয়েকটি সন্ত্রাসী চক্র তাঁদের ওই এলাকা ছেড়ে যেতে দিচ্ছে না, আবার কেউ কেউ নিজের থেকেই অন্য কোথাও যাচ্ছে না বলে অভিযোগ রয়েছে।
এদিকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদসহ দুষ্কৃতকারীদের বিরুদ্ধে মামলার পর মামলা এবং বসতি সরিয়ে নিতে বারবার সময় দিলেও তাতে খুব বেশি সাড়া মেলেনি। বরং ওই এলাকায় প্রশাসনের কর্মকর্তাদের প্রবেশ বন্ধ করতে নানা কৌশল নেওয়াসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ওপর হামলার ঘটনাও ঘটেছে সেখানে।
জানা গেছে, সীতাকুণ্ডের জঙ্গল সলিমপুরের আলীনগরের অন্ধকার যুগ শেষ করে আলো ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য গত ১২ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউসের সভাপতিত্বে ঢাকায় বৈঠক হয়। বৈঠকে জঙ্গল সলিমপুরের ৩ হাজার ১০০ একর খাসজমি উদ্ধার ও পরিবেশ-প্রতিবেশের ভারসাম্যসহ জীববৈচিত্র্য রক্ষাসহ সরকারের পরিবেশবান্ধব উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন ও মহাপরিকল্পনা তৈরিতে কয়েকটি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়।
বৈঠকে এক মাসের মধ্যে জঙ্গল সলিমপুরকে ঘিরে সরকারের মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে কাজ শুরু করার কথা থাকলেও তা আজও বাস্তবায়িত হয়নি। সরকারের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের পরও তা বাস্তবায়িত না হওয়ায় অবৈধ স্থাপনা আদৌ সরানো সম্ভব হবে কিনা তা নিয়ে স্থানীয় মানুষের মধ্যে সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে।
তবে সহসাই উচ্ছেদ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সন্ত্রাসীদের মদদে থাকা অবৈধ দখলদারদের সরিয়ে বহুমুখী উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসন।
স্থানীয় ও প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, সীতাকুণ্ড উপজেলার সর্ব দক্ষিণের গহিন পাহাড়ি এলাকার নাম জঙ্গল সলিমপুর। এক সময় ঘন জঙ্গলে ঘেরা ওই এলাকাটি খুবই দুর্গম হওয়ায় সেখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনো তৎপরতা ছিল না। এ সুযোগে সন্ত্রাসী ও ভূমিদস্যু আলী আক্কাস বাহিনী সেখানে গিয়ে আস্তানা গড়ে তোলেন। পরে সেখানে পাহাড় কেটে প্লট তৈরি ও নিম্ন আয়ের মানুষের কাছে অল্প টাকায় প্লট (সরকারি পাহাড় কেটে দখল দেওয়া) বিক্রি শুরু করেন। এভাবে ধীরে ধীরে ওই এলাকাটি ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় পরিণত হলে প্লট বিক্রির কোটি কোটি টাকায় আঙুল ফুলে কলাগাছ হন আক্কাস।
এদিকে সরকারি পাহাড় বিক্রিতে বিপুল আয় দেখে এক সময় সন্ত্রাসীদের মধ্যে ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে দ্বন্দ্ব ও শুরু হয় খুন-ধর্ষণ, লুটপাটসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান চালিয়ে বারবার বিপুল অস্ত্র উদ্ধার করে। সব শেষে র্যাবের অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে ক্রসফায়ারে মারা যান আলী আক্কাস। আক্কাসের মৃত্যুর পর জঙ্গল সলিমপুরের দুই অংশ ছিন্নমূল বস্তি ও আলীনগর ভাগ করে নেয় সন্ত্রাসীরা। বর্তমানে ছিন্নমূল বস্তি এলাকার নিয়ন্ত্রণে আছে সন্ত্রাসী মশিউর রহমান ও তাঁর দলবল। আর আলীনগরের নিয়ন্ত্রণ আরেক সন্ত্রাসী ইয়াছিন মিয়া ও তাঁর লোকজন। এই দুই এলাকায় সরকারি খাস পাহাড় আছে ১০ হাজার একরেরও বেশি। এ পাহাড় কেটে প্লট তৈরি ও বিক্রি করে প্রতিবছর কোটি কোটি টাকা আয় করছে দল দুটি। এ ছাড়া চাঁদা সংগ্রহের জন্য গড়ে তোলা হয়েছে ১৫টি সমিতি।
স্থানীয়দের তথ্য মতে, এ পাহাড়ে দুটি এলাকায় বসবাস করছেন লক্ষাধিক মানুষ। এর মধ্যে আলীনগরে খাসজমি আছে ৩১০০ একর জমি। এসব জমিতে সহস্রাধিক পরিবারের বসবাস আছে।
সরকার আলীনগরে দখল বাণিজ্য বন্ধ করে বেশ কিছু উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ করার উদ্যোগ নেয়। এর অংশ হিসেবে গত ২ আগস্ট চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান সেখানে অভিযান চালিয়ে প্রায় অন্তত ২০০ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেন। এরপর ৪০০ পরিবারের বিদ্যুৎসংযোগ বিচ্ছিন্ন করাসহ আরও নানা স্থাপনা উচ্ছেদ শুরু হলে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয় দখলদারদের মধ্যে।
সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘জঙ্গল সলিমপুরের আলীনগরে প্রশাসনকে যেতে নানা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে দখলদাররা। বিশাল গর্ত করে রেখেছেন তাঁরা।’
সীতাকুণ্ডের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘সরকারের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে পাহাড় দখলমুক্ত করতে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। খুব দ্রুত সেসব পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করা হবে।’
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের জঙ্গল সলিমপুরের আলীনগরে সরকারি খাসজমি দখলমুক্ত করতে প্রশাসন কয়েক দফা অভিযান চালালেও অনড় অবস্থানে রয়েছেন দখলকারীরা।
মাসখানেক আগে প্রশাসন সেখানে কয়েকবার অভিযান চালালে ৭০-৮০টি পরিবার আলীনগর ছেড়ে যায়। কিন্তু এখনো সেখানে অন্তত ৭৫০-৮০০টি পরিবার অনড় রয়েছে। কয়েকটি সন্ত্রাসী চক্র তাঁদের ওই এলাকা ছেড়ে যেতে দিচ্ছে না, আবার কেউ কেউ নিজের থেকেই অন্য কোথাও যাচ্ছে না বলে অভিযোগ রয়েছে।
এদিকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদসহ দুষ্কৃতকারীদের বিরুদ্ধে মামলার পর মামলা এবং বসতি সরিয়ে নিতে বারবার সময় দিলেও তাতে খুব বেশি সাড়া মেলেনি। বরং ওই এলাকায় প্রশাসনের কর্মকর্তাদের প্রবেশ বন্ধ করতে নানা কৌশল নেওয়াসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ওপর হামলার ঘটনাও ঘটেছে সেখানে।
জানা গেছে, সীতাকুণ্ডের জঙ্গল সলিমপুরের আলীনগরের অন্ধকার যুগ শেষ করে আলো ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য গত ১২ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউসের সভাপতিত্বে ঢাকায় বৈঠক হয়। বৈঠকে জঙ্গল সলিমপুরের ৩ হাজার ১০০ একর খাসজমি উদ্ধার ও পরিবেশ-প্রতিবেশের ভারসাম্যসহ জীববৈচিত্র্য রক্ষাসহ সরকারের পরিবেশবান্ধব উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন ও মহাপরিকল্পনা তৈরিতে কয়েকটি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়।
বৈঠকে এক মাসের মধ্যে জঙ্গল সলিমপুরকে ঘিরে সরকারের মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে কাজ শুরু করার কথা থাকলেও তা আজও বাস্তবায়িত হয়নি। সরকারের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের পরও তা বাস্তবায়িত না হওয়ায় অবৈধ স্থাপনা আদৌ সরানো সম্ভব হবে কিনা তা নিয়ে স্থানীয় মানুষের মধ্যে সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে।
তবে সহসাই উচ্ছেদ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সন্ত্রাসীদের মদদে থাকা অবৈধ দখলদারদের সরিয়ে বহুমুখী উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসন।
স্থানীয় ও প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, সীতাকুণ্ড উপজেলার সর্ব দক্ষিণের গহিন পাহাড়ি এলাকার নাম জঙ্গল সলিমপুর। এক সময় ঘন জঙ্গলে ঘেরা ওই এলাকাটি খুবই দুর্গম হওয়ায় সেখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনো তৎপরতা ছিল না। এ সুযোগে সন্ত্রাসী ও ভূমিদস্যু আলী আক্কাস বাহিনী সেখানে গিয়ে আস্তানা গড়ে তোলেন। পরে সেখানে পাহাড় কেটে প্লট তৈরি ও নিম্ন আয়ের মানুষের কাছে অল্প টাকায় প্লট (সরকারি পাহাড় কেটে দখল দেওয়া) বিক্রি শুরু করেন। এভাবে ধীরে ধীরে ওই এলাকাটি ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় পরিণত হলে প্লট বিক্রির কোটি কোটি টাকায় আঙুল ফুলে কলাগাছ হন আক্কাস।
এদিকে সরকারি পাহাড় বিক্রিতে বিপুল আয় দেখে এক সময় সন্ত্রাসীদের মধ্যে ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে দ্বন্দ্ব ও শুরু হয় খুন-ধর্ষণ, লুটপাটসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান চালিয়ে বারবার বিপুল অস্ত্র উদ্ধার করে। সব শেষে র্যাবের অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে ক্রসফায়ারে মারা যান আলী আক্কাস। আক্কাসের মৃত্যুর পর জঙ্গল সলিমপুরের দুই অংশ ছিন্নমূল বস্তি ও আলীনগর ভাগ করে নেয় সন্ত্রাসীরা। বর্তমানে ছিন্নমূল বস্তি এলাকার নিয়ন্ত্রণে আছে সন্ত্রাসী মশিউর রহমান ও তাঁর দলবল। আর আলীনগরের নিয়ন্ত্রণ আরেক সন্ত্রাসী ইয়াছিন মিয়া ও তাঁর লোকজন। এই দুই এলাকায় সরকারি খাস পাহাড় আছে ১০ হাজার একরেরও বেশি। এ পাহাড় কেটে প্লট তৈরি ও বিক্রি করে প্রতিবছর কোটি কোটি টাকা আয় করছে দল দুটি। এ ছাড়া চাঁদা সংগ্রহের জন্য গড়ে তোলা হয়েছে ১৫টি সমিতি।
স্থানীয়দের তথ্য মতে, এ পাহাড়ে দুটি এলাকায় বসবাস করছেন লক্ষাধিক মানুষ। এর মধ্যে আলীনগরে খাসজমি আছে ৩১০০ একর জমি। এসব জমিতে সহস্রাধিক পরিবারের বসবাস আছে।
সরকার আলীনগরে দখল বাণিজ্য বন্ধ করে বেশ কিছু উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ করার উদ্যোগ নেয়। এর অংশ হিসেবে গত ২ আগস্ট চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান সেখানে অভিযান চালিয়ে প্রায় অন্তত ২০০ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেন। এরপর ৪০০ পরিবারের বিদ্যুৎসংযোগ বিচ্ছিন্ন করাসহ আরও নানা স্থাপনা উচ্ছেদ শুরু হলে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয় দখলদারদের মধ্যে।
সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘জঙ্গল সলিমপুরের আলীনগরে প্রশাসনকে যেতে নানা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে দখলদাররা। বিশাল গর্ত করে রেখেছেন তাঁরা।’
সীতাকুণ্ডের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘সরকারের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে পাহাড় দখলমুক্ত করতে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। খুব দ্রুত সেসব পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করা হবে।’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৪ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৪ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৪ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৪ দিন আগে