ঝালকাঠি প্রতিনিধি
বরিশাল-খুলনা মহাসড়কের ঝালকাঠির বাসন্ডা নদীর ওপর ১২০ মিটার দীর্ঘ বেইলি সেতুতে জোড়াতালি দিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। সেতুটির প্লেটে প্রায় ৫৮৮টি তালি দেওয়া হয়েছে। বছর পাঁচেক আগে ‘ঝুঁকিপূর্ণ সেতু’ ঘোষণাও করেছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। এরপরও প্রতিদিন সেতুটির ওপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলছে ভারীসহ বিভিন্ন যানবাহন।
ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করলেও নতুন সেতু নির্মাণে কার্যকর উদ্যোগ নেয়নি সড়ক ও সেতু বিভাগ, বরং প্রতিবছর সেতু সংস্কারে ব্যয় করা হচ্ছে বিপুল পরিমাণ অর্থ। শেষ পাঁচ বছরেই সেতুটি সংস্কারে ব্যয় হয়েছে প্রায় এক কোটি টাকা। এ কারণে স্থানীয়রা সেতুটির নাম দিয়েছেন ‘সড়ক বিভাগের ডিম পাড়া হাঁস’। তাঁদের অভিযোগ, এটি যতবার মেরামত করা হয় ততবারই লাভবান হয় ঝালকাঠি সড়ক বিভাগ।
সেতু কর্তৃপক্ষ জানান, দরপত্র ছাড়া নিজস্ব তত্ত্বাবধানে বছরে তিনবার সেতুটি মেরামত করে সড়ক বিভাগ। প্রতিবার মেরামতে খরচ হয় ৬ লাখ টাকা।
ঝালকাঠি সড়ক উপবিভাগের প্রকৌশলী হুমায়ুন কবিরের দেওয়া হিসাব অনুযায়ী, সেতুটির কিছু প্লেট পরিবর্তন ও ঝালাইয়ের কাজে গত পাঁচ বছরে তাদের ব্যয় হয়েছে প্রায় ১ কোটি টাকা।
গাবখান টোলপ্লাজা থেকে জানা যায়, ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটি দিয়ে প্রতিদিন ৫ থেকে ৭ শতাধিক ভারী যানবাহন চলাচল করে। বারবার মেরামত করা হলেও সেতুটি কয়েক দিনের মধ্যেই ফের যান চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। নাট-বল্টু খুলে পড়ার পাশাপাশি ফেটে যাচ্ছে প্লেট।
স্থানীয়রা জানান, সেতুটি ভেঙে পড়লে ঝালকাঠি থেকে পিরোজপুর, বাগেরহাট, খুলনা ও যশোরের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যাবে।
পিরোজপুর থেকে ভোলাগামী ট্রাকচালক ওবায়দুর রহমান বলেন, ‘লোড (পণ্যবোঝাই) গাড়ি লইয়া ব্রিজে উঠলে বুকটা ধড়ফড় করতে থাহে, কুনসুমজানি (কখন যেন) ভাইঙা পড়ি।’
বরিশাল থেকে খুলনাগামী ধানসিঁড়ি পরিবহনের বাসচালক ইদ্রিস হাওলাদার বলেন, ‘ব্রিজে গাড়ি উঠলে দুলতে থাকে। মনে হয় ভূমিকম্প হইতেছে, এখানে দ্রুত নতুন ব্রিজ বানানো দরকার, তা না হইলে যেকোনো সময় এইটা ভাইঙা পড়বে।’
এ রুটে নিয়মিত চলাচলকারী বাস ডলফিন পরিবহনের চালক মালেক হাওলাদার বলেন, ‘রাতে ব্রিজ পার হওয়ার সময় যে শব্দ হয়, তাতে মনে হয় গাড়ির চাকা থেকে টায়ার খুলে গেছে। ব্রিজটি ভেঙে পড়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। মেরামতে আর কাজ হবে না। এখন নতুন করে নির্মাণ করা দরকার।’
সেতু এলাকার বাসিন্দারা জানান, রাতে সেতুতে ভারী গাড়ি উঠলে প্লেটের বিকট শব্দে ঘুমন্ত শিশুরা কেঁপে ওঠে। শব্দ থামানোর জন্য মাঝে মাঝে প্লেটের জয়েন্টগুলো কর্তৃপক্ষ দায়সারাভাবে ঝালাই করে। সেতুটি যেকোনো সময় ভেঙে পড়তে পারে। গাড়ি নিয়ে ভেঙে পড়লে বড় ধরনের প্রাণহানি হবে।
ঝালকাঠি সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী নাবিল হাসান বলেন, ‘ঝুঁকিপূর্ণ বাসন্ডা বেইলি সেতুটি কংক্রিট দিয়ে নির্মাণ করার জন্য ডিজাইন (নকশা) ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। ডিপিপি বাস্তবায়ন হলে শিগগিরই এখানে নতুন সেতু নির্মাণ করা হবে।’
সওজের বরিশাল জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আবু হেনা মো. তারেক ইকবাল বলেন, ‘ফলোআপ প্রকল্প প্রস্তাব তৈরির জন্য ওয়েস্টার্ন বাংলাদেশ ব্রিজ ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্টের প্রকল্প পরিচালকের কাছে সম্ভাব্য সেতুর যে তালিকা চূড়ান্ত করার জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে বাসন্ডা সেতুটি রয়েছে। অনুমোদন পেলেই নতুন সেতু নির্মাণ করা হবে।’
বরিশাল-খুলনা মহাসড়কের ঝালকাঠির বাসন্ডা নদীর ওপর ১২০ মিটার দীর্ঘ বেইলি সেতুতে জোড়াতালি দিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। সেতুটির প্লেটে প্রায় ৫৮৮টি তালি দেওয়া হয়েছে। বছর পাঁচেক আগে ‘ঝুঁকিপূর্ণ সেতু’ ঘোষণাও করেছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। এরপরও প্রতিদিন সেতুটির ওপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলছে ভারীসহ বিভিন্ন যানবাহন।
ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করলেও নতুন সেতু নির্মাণে কার্যকর উদ্যোগ নেয়নি সড়ক ও সেতু বিভাগ, বরং প্রতিবছর সেতু সংস্কারে ব্যয় করা হচ্ছে বিপুল পরিমাণ অর্থ। শেষ পাঁচ বছরেই সেতুটি সংস্কারে ব্যয় হয়েছে প্রায় এক কোটি টাকা। এ কারণে স্থানীয়রা সেতুটির নাম দিয়েছেন ‘সড়ক বিভাগের ডিম পাড়া হাঁস’। তাঁদের অভিযোগ, এটি যতবার মেরামত করা হয় ততবারই লাভবান হয় ঝালকাঠি সড়ক বিভাগ।
সেতু কর্তৃপক্ষ জানান, দরপত্র ছাড়া নিজস্ব তত্ত্বাবধানে বছরে তিনবার সেতুটি মেরামত করে সড়ক বিভাগ। প্রতিবার মেরামতে খরচ হয় ৬ লাখ টাকা।
ঝালকাঠি সড়ক উপবিভাগের প্রকৌশলী হুমায়ুন কবিরের দেওয়া হিসাব অনুযায়ী, সেতুটির কিছু প্লেট পরিবর্তন ও ঝালাইয়ের কাজে গত পাঁচ বছরে তাদের ব্যয় হয়েছে প্রায় ১ কোটি টাকা।
গাবখান টোলপ্লাজা থেকে জানা যায়, ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটি দিয়ে প্রতিদিন ৫ থেকে ৭ শতাধিক ভারী যানবাহন চলাচল করে। বারবার মেরামত করা হলেও সেতুটি কয়েক দিনের মধ্যেই ফের যান চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। নাট-বল্টু খুলে পড়ার পাশাপাশি ফেটে যাচ্ছে প্লেট।
স্থানীয়রা জানান, সেতুটি ভেঙে পড়লে ঝালকাঠি থেকে পিরোজপুর, বাগেরহাট, খুলনা ও যশোরের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যাবে।
পিরোজপুর থেকে ভোলাগামী ট্রাকচালক ওবায়দুর রহমান বলেন, ‘লোড (পণ্যবোঝাই) গাড়ি লইয়া ব্রিজে উঠলে বুকটা ধড়ফড় করতে থাহে, কুনসুমজানি (কখন যেন) ভাইঙা পড়ি।’
বরিশাল থেকে খুলনাগামী ধানসিঁড়ি পরিবহনের বাসচালক ইদ্রিস হাওলাদার বলেন, ‘ব্রিজে গাড়ি উঠলে দুলতে থাকে। মনে হয় ভূমিকম্প হইতেছে, এখানে দ্রুত নতুন ব্রিজ বানানো দরকার, তা না হইলে যেকোনো সময় এইটা ভাইঙা পড়বে।’
এ রুটে নিয়মিত চলাচলকারী বাস ডলফিন পরিবহনের চালক মালেক হাওলাদার বলেন, ‘রাতে ব্রিজ পার হওয়ার সময় যে শব্দ হয়, তাতে মনে হয় গাড়ির চাকা থেকে টায়ার খুলে গেছে। ব্রিজটি ভেঙে পড়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। মেরামতে আর কাজ হবে না। এখন নতুন করে নির্মাণ করা দরকার।’
সেতু এলাকার বাসিন্দারা জানান, রাতে সেতুতে ভারী গাড়ি উঠলে প্লেটের বিকট শব্দে ঘুমন্ত শিশুরা কেঁপে ওঠে। শব্দ থামানোর জন্য মাঝে মাঝে প্লেটের জয়েন্টগুলো কর্তৃপক্ষ দায়সারাভাবে ঝালাই করে। সেতুটি যেকোনো সময় ভেঙে পড়তে পারে। গাড়ি নিয়ে ভেঙে পড়লে বড় ধরনের প্রাণহানি হবে।
ঝালকাঠি সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী নাবিল হাসান বলেন, ‘ঝুঁকিপূর্ণ বাসন্ডা বেইলি সেতুটি কংক্রিট দিয়ে নির্মাণ করার জন্য ডিজাইন (নকশা) ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। ডিপিপি বাস্তবায়ন হলে শিগগিরই এখানে নতুন সেতু নির্মাণ করা হবে।’
সওজের বরিশাল জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আবু হেনা মো. তারেক ইকবাল বলেন, ‘ফলোআপ প্রকল্প প্রস্তাব তৈরির জন্য ওয়েস্টার্ন বাংলাদেশ ব্রিজ ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্টের প্রকল্প পরিচালকের কাছে সম্ভাব্য সেতুর যে তালিকা চূড়ান্ত করার জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে বাসন্ডা সেতুটি রয়েছে। অনুমোদন পেলেই নতুন সেতু নির্মাণ করা হবে।’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে