জসিম উদ্দিন, নীলফামারী
নীলফামারীর ডোমারে বিএডিসির ভিত্তি বীজ আলু উৎপাদন খামারের ২৪০ একর জমিতে আউশ ধানের ভিত্তি বীজ উৎপাদন করা হয়েছে। ভালো ফলন হওয়ায় সেখানে ৩৫০ মেট্রিক টন ভিত্তি আউশ ধানবীজ উৎপাদনের আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এতে বীজ বাদেও অবীজ ধান পাওয়া যাবে প্রায় ৭০ মেট্রিক টন। সব মিলিয়ে এর বাজারমূল্য দুই কোটি টাকার ওপরে। এ পরিমাণ বীজ দিয়ে আউশ ধান চাষ করা যাবে ৩৫ হাজার একর জমিতে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ভিত্তি বীজ আলু উৎপাদনের জন্য ৬৫০ একর জমিতে বিএডিসির বিশেষায়িত খামার এটি। প্রতিবছর আলু চাষের পর সীমিত আকারে গম এবং কিছু জমিতে ধঞ্চে চাষ হলেও বেশির ভাগ জমি পড়ে থাকত। ‘এক ইঞ্চি জমি পতিত থাকবে না’—প্রধানমন্ত্রীর এমন নির্দেশনায় এবার খামারের ২৪০ একর জমিতে আউশের ভিত্তি বীজ উৎপাদনের লক্ষ্যে বিনা-২১, ব্রি-৪৮ এবং ব্রি-৯৮ ধান চাষ করা হয়। এ ছাড়া আমন চাষ করা হয়েছে ৫৩ একর জমিতে। এতে একদিকে খরাসহিষ্ণু আউশ ধান বীজের সংকট কাটবে, অন্যদিকে বোরো–আমন মৌসুমের মধ্যবর্তী সময়ে কর্মহীন থাকা কৃষিশ্রমিকদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। তা ছাড়া খামারে অসময়ে একটি ফসল উৎপাদনে বাড়তি আয় আসবে। কর্মকর্তারা ধারণা করছেন, এতে জমির উর্বরতা শক্তি বৃদ্ধি পাবে, আগাছা কম হবে, বীজ আলু আবাদে চাষ কম লাগবে এবং রোগবালাই কমবে।
গত শনিবার দুপুরে ডোমার উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নে অবস্থিত ডোমার ভিত্তি বীজ আলু খামারে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে সোনালি পাকা ধানের মাঠ। কোথাও ধান কেটে জমিতে চাষ দেওয়া হয়েছে।
কথা হয় খামারের সহকারী পরিচালক সুব্রত মজুমদারের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আগে খামারে জমিতে বছরে দুটি ফসল হতো। একটি ভিত্তি বীজ আলু, অন্যটি গম। এখন আউশ বীজধান আবাদ শুরু হওয়ায় বছরে তিনটি ফসল উৎপাদিত হচ্ছে।’
সুব্রত মজুমদার জানান, এখানে পাওয়া প্রতি টন বীজ ধানের দাম ৫০ হাজার টাকা হিসাবে প্রায় দুই কোটি টাকা আয় করা সম্ভব হবে। তিনি আরও জানান, অসময়ে ধান আবাদে দুই থেকে তিন শ শ্রমিকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে।
খামারের কৃষিশ্রমিক সোনারায় ইউনিয়নের খামাতপাড়া গ্রামের আজিজুল হক বলেন, ‘আমরা ২৫০ থেকে ৩০০ শ্রমিক ৫০০ টাকা দিনমজুরিতে খামারে কাজ করি। কাজ থাকলে মজুরি পাই, না থাকলে পাই না। প্রতিবছর এ সময়টাতে খামারে কোনো কাজ থাকে না। ফলে অভাব-অনটনের মধ্যে দিন কাটত আমাদের। এবারে খামারে আউশ ধানের আবাদ হওয়ায় কাজ করতে পারছি, অভাব-অনটনও কেটে গেছে।’
খামারের উপপরিচালক মো. আবু তালেব মিঞা বলেন, ‘আউশ চাষের পর এই জমিগুলোতে আলু চাষ করলে ব্যাকটেরিয়া–জাতীয় রোগবালাই কমবে; পাশাপাশি মানসম্মত আউশ বীজের সংকট কাটবে।’
এ বিষয়ে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক মো. আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, ‘কৃষকেরা সব সময় লাভ খোঁজেন। তাঁরা ধানের চেয়ে লাভ বেশি হওয়ায় ভুট্টা চাষ করছেন। কিন্তু আউশ আবাদে অনেক উর্বর জমির প্রয়োজন হয় না। সেচ খুবই কম লাগে। সে কারণে উৎপাদন খরচও কম। আউশ তুলে ওই জমিতে আগাম আলুসহ শীতকালীন সবজি চাষ করলে কৃষকেরা বেশি লাভবান হবেন। আউশ ধানের আবাদ বাড়ানোর ব্যাপারে আমরা কৃষকদের উৎসাহিত করছি।’
নীলফামারীর ডোমারে বিএডিসির ভিত্তি বীজ আলু উৎপাদন খামারের ২৪০ একর জমিতে আউশ ধানের ভিত্তি বীজ উৎপাদন করা হয়েছে। ভালো ফলন হওয়ায় সেখানে ৩৫০ মেট্রিক টন ভিত্তি আউশ ধানবীজ উৎপাদনের আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এতে বীজ বাদেও অবীজ ধান পাওয়া যাবে প্রায় ৭০ মেট্রিক টন। সব মিলিয়ে এর বাজারমূল্য দুই কোটি টাকার ওপরে। এ পরিমাণ বীজ দিয়ে আউশ ধান চাষ করা যাবে ৩৫ হাজার একর জমিতে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ভিত্তি বীজ আলু উৎপাদনের জন্য ৬৫০ একর জমিতে বিএডিসির বিশেষায়িত খামার এটি। প্রতিবছর আলু চাষের পর সীমিত আকারে গম এবং কিছু জমিতে ধঞ্চে চাষ হলেও বেশির ভাগ জমি পড়ে থাকত। ‘এক ইঞ্চি জমি পতিত থাকবে না’—প্রধানমন্ত্রীর এমন নির্দেশনায় এবার খামারের ২৪০ একর জমিতে আউশের ভিত্তি বীজ উৎপাদনের লক্ষ্যে বিনা-২১, ব্রি-৪৮ এবং ব্রি-৯৮ ধান চাষ করা হয়। এ ছাড়া আমন চাষ করা হয়েছে ৫৩ একর জমিতে। এতে একদিকে খরাসহিষ্ণু আউশ ধান বীজের সংকট কাটবে, অন্যদিকে বোরো–আমন মৌসুমের মধ্যবর্তী সময়ে কর্মহীন থাকা কৃষিশ্রমিকদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। তা ছাড়া খামারে অসময়ে একটি ফসল উৎপাদনে বাড়তি আয় আসবে। কর্মকর্তারা ধারণা করছেন, এতে জমির উর্বরতা শক্তি বৃদ্ধি পাবে, আগাছা কম হবে, বীজ আলু আবাদে চাষ কম লাগবে এবং রোগবালাই কমবে।
গত শনিবার দুপুরে ডোমার উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নে অবস্থিত ডোমার ভিত্তি বীজ আলু খামারে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে সোনালি পাকা ধানের মাঠ। কোথাও ধান কেটে জমিতে চাষ দেওয়া হয়েছে।
কথা হয় খামারের সহকারী পরিচালক সুব্রত মজুমদারের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আগে খামারে জমিতে বছরে দুটি ফসল হতো। একটি ভিত্তি বীজ আলু, অন্যটি গম। এখন আউশ বীজধান আবাদ শুরু হওয়ায় বছরে তিনটি ফসল উৎপাদিত হচ্ছে।’
সুব্রত মজুমদার জানান, এখানে পাওয়া প্রতি টন বীজ ধানের দাম ৫০ হাজার টাকা হিসাবে প্রায় দুই কোটি টাকা আয় করা সম্ভব হবে। তিনি আরও জানান, অসময়ে ধান আবাদে দুই থেকে তিন শ শ্রমিকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে।
খামারের কৃষিশ্রমিক সোনারায় ইউনিয়নের খামাতপাড়া গ্রামের আজিজুল হক বলেন, ‘আমরা ২৫০ থেকে ৩০০ শ্রমিক ৫০০ টাকা দিনমজুরিতে খামারে কাজ করি। কাজ থাকলে মজুরি পাই, না থাকলে পাই না। প্রতিবছর এ সময়টাতে খামারে কোনো কাজ থাকে না। ফলে অভাব-অনটনের মধ্যে দিন কাটত আমাদের। এবারে খামারে আউশ ধানের আবাদ হওয়ায় কাজ করতে পারছি, অভাব-অনটনও কেটে গেছে।’
খামারের উপপরিচালক মো. আবু তালেব মিঞা বলেন, ‘আউশ চাষের পর এই জমিগুলোতে আলু চাষ করলে ব্যাকটেরিয়া–জাতীয় রোগবালাই কমবে; পাশাপাশি মানসম্মত আউশ বীজের সংকট কাটবে।’
এ বিষয়ে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক মো. আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, ‘কৃষকেরা সব সময় লাভ খোঁজেন। তাঁরা ধানের চেয়ে লাভ বেশি হওয়ায় ভুট্টা চাষ করছেন। কিন্তু আউশ আবাদে অনেক উর্বর জমির প্রয়োজন হয় না। সেচ খুবই কম লাগে। সে কারণে উৎপাদন খরচও কম। আউশ তুলে ওই জমিতে আগাম আলুসহ শীতকালীন সবজি চাষ করলে কৃষকেরা বেশি লাভবান হবেন। আউশ ধানের আবাদ বাড়ানোর ব্যাপারে আমরা কৃষকদের উৎসাহিত করছি।’
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৫ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪