বেড়েছে অপরাধ, ক্ষোভ জনমনে

কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৭: ৩৬
আপডেট : ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৫: ৪৭

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে গত কদিনে মারামারি, বাড়িঘর ভাঙচুর, লুট, অগ্নিসংযোগ, ছিনতাই, একাধিক অপহরণসহ বেশ কয়েকটি চুরির ঘটনায় জনমনে ক্ষোভ ও আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। তবে পুলিশ বলছে, গত বছরের তুলনায় এবার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনেক ভালো আছে।

গত রোববার রাতে উপজেলার চরফকিরা ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধা বাজার এলাকায় অটোরিকশা ছিনতাইয়ের ঘটনায় জনতার হাতে আটক হন নোয়াখালীর পুলিশ লাইনে কর্মরত সদস্য জিয়া উদ্দিন পারভেজ (২৩)। তিনি চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার কচুয়া গ্রামের বাসিন্দা।

একই রাতে গ্রেপ্তার করা হয় সিরাজপুর ইউনিয়নের বিরাহিমপুর গ্রামের বাসিন্দা রকি মজুমদার (১৮), নাজিম (২১) ও নিজাম উদ্দিনকে (২২)। ছিনতাইকারী রকির কাছ থেকে একটি মোবাইল ফোন ও ২ হাজার টাকা উদ্ধার করে পুলিশ। এরা গত বৃহস্পতিবার রাতে দুধমুখা-ভূঞারহাট সড়কে সিএনজি থামিয়ে আরোহী কবিরহাট পৌরসভার শাহেদ আলীসহ যাত্রীদের কাজ থেকে অস্ত্রের মুখে ছয়টি মোবাইল ফোন সেট, স্বর্ণালংকার, নগদসহ প্রায় সোয়া ২ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।

গত ৯ ফেব্রুয়ারি দশম এক শ্রেণির ছাত্রীকে (১৫) দিনে-দুপুরে অপহরণ করে নিয়ে যায় শাহজাদপুর এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে আকাশ (২০) ও বসুরহাট পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের জামাল উদ্দিনের ছেলে বখাটে জয়নাল আবেদীন জয় (২২)। মামলার পর আট দিন অতিবাহিত হলেও ওই স্কুলছাত্রী এখনো উদ্ধার হয়নি। অপহরণকারীরা এ মামলার বাদী ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের মামলা উঠিয়ে নিতে চাপ দিচ্ছে। অন্যথায় হত্যা ও লাশ গুমের হুমকি দিচ্ছে।

গত শনিবার রাতে আরেক স্কুলছাত্রীকে (১২) অপহরণ করে কয়েকজন কিশোর গ্যাং সদস্য। পরে স্থানীয়রা ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে। কিন্তু ওই ছাত্রীর মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

একই সময়ে ওই গ্যাং সদস্যরা বসুরহাট হাসপাতাল এলাকা থেকে মোটরসাইকেল আরোহী তিন স্কুলছাত্রকে পিটিয়ে তাদের মোটরসাইকেল, মোবাইল ফোন ও টাকা ছিনিয়ে নেয়। পরে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের মধ্যস্থতায় মোটরসাইকেলসহ মোবাইল ফোন ফিরিয়ে দেওয়া হয়।

গত শনিবার লোহার পোলে হাঁস-মোরগ চুরির ঘটনায় তিনজনকে শাস্তি দেওয়ার পাশাপাশি ৯ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

নির্বাচনের আগের দিন থেকে উপজেলার লোহার পোল, শাহজাদপুর, বিদ্যানগর (জালিয়াপুকুর), কবিরপুকুর, চরকাঁকড়া, মুছাপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় মারামারি, হাঙ্গামা, বাড়িঘর ভাঙচুর, লুটপাটের ঘটনায় প্রায় অর্ধশত মানুষ আহত হয়।

গত রোববার রাতে জালিয়া পুকুর এলাকায় খড়ে আগুন দেওয়াকে কেন্দ্র করে মারামারিতে এক নারীসহ তিনজন আহত হয়। দুজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

উপজেলার চরফকিরা এলাকার বাসিন্দা আবদুর রাজ্জাক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এভাবে চলতে পারে না। প্রশাসনকে কঠোর হাতে এসব অন্যায়ের লাগাম টেনে ধরা উচিত।

এ বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাজ্জাদ রোমন বলেন, ‘ইতিমধ্যে অটোরিকশা ছিনতাইকারীসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অনেক অপরাধীকে ধরেছি। লুট করা মোবাইল ফোন সেট ও টাকা উদ্ধার করেছি। গত বছরের তুলনায় উপজেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনেক ভালো আছে।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টাঙ্গাইলে দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার

পুলিশ ফাঁড়ি দখল করে অফিস বানিয়েছেন সন্ত্রাসী নুরু

ঢাকার রাস্তায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকদের বিক্ষোভ, জনদুর্ভোগ চরমে

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ সুরক্ষায় নতুন উদ্যোগ

জাতিকে ফ্রি, ফেয়ার অ্যান্ড ক্রেডিবল নির্বাচন উপহার দিতে চাই: নতুন সিইসি

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত