এম এস রানা
সম্প্রতি বেশ কিছু সম্মাননা পেলেন। সর্বশেষ ২৭ মার্চ বিশ্ব নাট্যদিবস সম্মাননা পেলেন। অনুভূতি কেমন?
গত চার মাসে পাঁচটি সম্মাননা পেলাম। মমতাজউদ্দীন আহমদ সম্মাননা, নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়ের আলী যাকের উৎসবে সৈয়দ শামসুল হক সম্মাননা, শুকচর রেপার্টরি সম্মাননা, কলকাতায় পেলাম অনিক সম্মাননা আর সেদিন বিশ্বনাট্য দিবস সম্মাননা। সম্মাননা পেলে তো ভালোই লাগে। এটা কাজের স্বীকৃতি।
কামাল বায়েজিদকে গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন থেকে বহিষ্কারের প্রতিক্রিয়ায় ফেডারেশন ছাড়ল নাট্য সংগঠন ‘ঢাকা থিয়েটার’। আপনার প্রতিক্রিয়া কী?
আমি এ বিষয়ে প্রকাশ্যেই বলেছি, এটা হওয়া উচিত নয়। এটা মিটিয়ে ফেলা উচিত। ঢাকা থিয়েটারের নাসির উদ্দীন ইউসুফ অবশ্য মিটিয়ে ফেলার অনেক উদ্যোগ, অনেক কথা বলেছে। আমি, আসাদুজ্জামান নূর, আব্দুস সেলিম—আমরা সবাই দুই পক্ষের সঙ্গে বসেছি। কিন্তু এক পক্ষ চাচ্ছে একটা নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি হোক। অন্য পক্ষ বলছে, আমরা ফেডারেশনের ৫৩টি দল মিলে যেটা করেছি, সেটাই সঠিক।
মূল সমস্যাটা কী বলে মনে হয়?
প্রসিডিউরগত কিছু ত্রুটি আছে। কামাল বায়েজিদ সেক্রেটারি জেনারেল থাকাকালীন যে টাকা খরচ করেছে ফেডারেশনের জন্য, তার সঠিক রেকর্ড রাখা উচিত ছিল। এবং সে যখন টাকাটা নেয়, তখন যদি চেয়ারম্যানের দস্তখতটা নিত, তাহলে আজ এমন পরিস্থিতি হতো না।
আরেকটা বিষয় হলো, সেক্রেটারি জেনারেলকে যদি অব্যাহতি দিতে হয়, তাহলে কিছু লিখিত এবং অলিখিত প্রসেস মানতে হয়, যেটা ফেডারেশন করেনি। অবশ্য তারা বলছে, তারা মেনেছে।
চেক সাইন নিয়ে কী সমস্যা হয়েছে?
তিনজন সিগনেটরি ছিলেন, এর মাঝে যেকোনো দুইজন সিগনেচার করলেই চেক পাস হয়। ফলে চেক সাইন করত সাধারণ সম্পাদক ও অর্থ সম্পাদক।
চেয়ারম্যানের কোনো সাইন তারা কখনোই নেওয়ার প্রয়োজন বোধ করেনি। যদি তারা চেয়ারম্যানের সাইনটা নিত, তাহলে কিন্তু বায়েজিদকে আজ অর্থ কেলেঙ্কারির এই দায় নিতে হতো না।
এই সমস্যা সমাধানের উপায় কী?
ফেডারেশনের চেয়ারম্যান, ঢাকা থিয়েটারের নাসির উদ্দীন ইউসুফ—এরা সবাই মিলে আলাপ-আলোচনা করে সুষ্ঠু সমাধানে আসা উচিত। আমাদের ডাকলে আমরা থাকব, চাপ দেব দুই পক্ষকে। তবে ফেডারেশনকেই উদ্যোগটা নিতে হবে।
সম্প্রতি রুচির দুর্ভিক্ষ প্রসঙ্গে আপনি হিরো আলমের কথা বলেছেন। যতটা বুঝেছি, তিনি ছিলেন বক্তব্যের একটা উদাহরণমাত্র। তাই কি?
যাঁরা বুঝদার তাঁরা বুঝেছেন, যাঁরা বোঝেননি তাঁরা তর্কে জড়িয়েছেন। এখানে হিরো আলম একটা উদাহরণমাত্র। এই যে এখন হিরো আলম নিজেও অবতীর্ণ হয়ে গেছে ফেসবুকে। সে বলছে, আত্মহত্যা করবে। ‘আমাকে মারি ফেলান, আমি তো শিখি নাই’—তো শিখতে হয় তো! এটা তো এমন একটা বিদ্যা না, যেটা শেখা যায় না।
শিল্পী কি তৈরি করা যায়? নাকি চর্চার মাধ্যমে শিল্পী হয়ে উঠতে হয়?
অবশ্যই চর্চার মধ্য দিয়ে তৈরি হতে হয়। আমরা শিখেছি। পৃথিবীর সবাই শিখেছে।
অনেকেই শ্রেণিবৈষম্যের কথা বলছেন?
এই একটা বিশ্রী ব্যাপার এসেছে, অনেকে শ্রেণিসংগ্রামের একটা ভুল ব্যাখ্যা দিচ্ছে সে (হিরো আলম) দরিদ্র বলে। আরে, একটা দরিদ্র লোক ডাকাত হবে, এটা সমর্থনযোগ্য? এটা সমর্থন করব? তার মানে কী? কাজী নজরুল ইসলাম কি কোটিপতি ছিলেন? তিনি তো ওর চাইতেও দরিদ্র ছিলেন। তাঁর বাবা মারা গেছেন, তিনি লেটোর দলে যোগ দিয়েছেন, তাঁর যে আকুতি লেখাপড়ার জন্য! রুটির দোকানে কাজ করে লেখাপড়া শিখেছেন, ফারসি শিখেছেন, আরবি শিখেছেন, গান শেখার জন্য যে কত লোকের কাছে গিয়েছেন, এভাবে তিনি নিজেকে তৈরি করে বিদ্রোহীর মতো কবিতা লিখেছেন।
আপনারাও তো দীর্ঘদিন চর্চা করে অভিনয়ে এসেছেন?
আমরা তো গ্রামের নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবার থেকে এসেছি। এই শহরে এসে কত লোকের বারান্দায় বসে থেকেছি শেখার আশায়। খান আতাউর রহমানের সঙ্গে একটু দেখা করার জন্য গুলিস্তানে তিনি যে অফিসে আসতেন, সেই অফিসের নিচে দাঁড়িয়ে থেকেছি। আমজাদ হোসেনের বাসার দরজায় কত বসে থেকেছি, তাঁর কাছে জানার চেষ্টা করেছি কী করে নাটক লিখব, কী করে একটা ভালো স্ক্রিপ্ট লিখব। অভিনয় শেখার জন্য যাঁরা ভালো অভিনয় করেন, তাঁদের পেছন পেছন ঘুরেছি। এভাবে কাজ শিখে তবে কাজ করতে এসেছি। কতটা পেরেছি সেটা এখনো পরীক্ষাযোগ্য।
এই যে রুচির দুর্ভিক্ষের কথা বলেছেন, এটা কী কেবল মিডিয়াতেই ঘটেছে?
আমি যে রুচির দুর্ভিক্ষের কথা বলেছি, সেটা কেবল মিডিয়াতে নয়, আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায়, আমাদের রাজনীতিতে, প্রায় সবখানেই। কে নেতা হচ্ছে, কাকে ভোট দিচ্ছে, অর্থ, পেশিশক্তির ব্যবহার হচ্ছে। যেটা সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সেটা শিক্ষা। স্কুলে লেখাপড়া হয় না, কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের দুর্নীতি—এগুলো আমরা চোখের সামনে দেখছি। একজন ভাইস চ্যান্সেলর, তাঁর দুর্নীতি করার দরকার আছে? একটা গ্রামের প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক বিপুল টাকা ঘুষ দিয়ে চাকরি নিচ্ছে। এই টাকা সে তুলবেই চাকরি করতে গিয়ে!
এই কারণেই কী এখন স্যার না বলে ভাই বললে সমস্যা হয়ে যাচ্ছে?
হ্যাঁ, স্যার বলতে হবে। এসবই তো রুচির দুর্ভিক্ষ।
সোশ্যাল মিডিয়ায় মানুষ নানা ধরনের মন্তব্য করছেন। পড়েছেন সব?
সব তো পড়া সম্ভব নয়। অনেকেই আমাকে বলছে আমি শ্রেণিসংগ্রামের মানুষ হয়ে নাকি ভুল ব্যাখ্যা দিচ্ছি। আরে ওকে (হিরো আলম) একা বলব না, ওর মতো লোকেরা তো লুম্পেন। এরা তো কিছু না বুঝে সমাজটাকে ধ্বংসের পথে নিয়ে যাচ্ছে। দরিদ্র হলেই সে শ্রেণিসংগ্রামের লোক হয়ে গেল? তাকে প্রমাণ করতে হবে তার কাজ দিয়ে। যাঁরা মন্তব্য করছেন, তাঁদের অধিকাংশই বলছেন, তার কোনো কাজ দেখেননি। কাজ দেখেননি তো তাকে নিয়ে কথা বলছেন কেন?
তসলিমা নাসরিনও কথা বলেছেন, পড়েছেন সে কথা?
আমি তসলিমা নাসরিনকে বলতে চাই, তসলিমা কি হিরো আলমের কোনো কাজ দেখেছে? কাজ দেখে কথা বলুক! কেবল আমাকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করার জন্য এসব করার তো কোনো মানে হয় না।
এ বিষয়ে আর কিছু বলতে চান?
আমাদের গ্রামবাংলা হচ্ছে লোকসংগীতের, লোকসাহিত্যের, লোকজ ঐতিহ্যের একটা বিশাল ভান্ডার। এসব নিয়ে গ্রামগঞ্জে কত বড় বড় শিল্পীর জন্ম হয়েছে! পবনদাস বাউল শিল্পপতির ছেলে নাকি? সে খেতে পায় না, অথচ তাঁর গান দিয়ে সারা বিশ্ব দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। মমতাজের যে কণ্ঠ, মমতাজ কোথা থেকে এসেছে? তার বাবা যাত্রাপালায় বিবেকের গান গাইত, সেখান থেকে মমতাজ নিজেকে পরিশীলিত করে, সাধনা করে আজকের এই অবস্থানে এসেছে। আরজ আলী মাতুব্বর কোটিপতি নাকি? অথচ তথাকথিত কিছু শিক্ষিত লোক আজ ফাজলামো করে বেড়াচ্ছে। এগুলো বন্ধ করা দরকার। এখন হাতের কাছে একটা ফেসবুক পেয়েছে, সেখানে যখন যা ইচ্ছা লিখে দিল। এই যে ধৃষ্টতা, এটাই তো রুচির দুর্ভিক্ষ।
সম্প্রতি বেশ কিছু সম্মাননা পেলেন। সর্বশেষ ২৭ মার্চ বিশ্ব নাট্যদিবস সম্মাননা পেলেন। অনুভূতি কেমন?
গত চার মাসে পাঁচটি সম্মাননা পেলাম। মমতাজউদ্দীন আহমদ সম্মাননা, নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়ের আলী যাকের উৎসবে সৈয়দ শামসুল হক সম্মাননা, শুকচর রেপার্টরি সম্মাননা, কলকাতায় পেলাম অনিক সম্মাননা আর সেদিন বিশ্বনাট্য দিবস সম্মাননা। সম্মাননা পেলে তো ভালোই লাগে। এটা কাজের স্বীকৃতি।
কামাল বায়েজিদকে গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন থেকে বহিষ্কারের প্রতিক্রিয়ায় ফেডারেশন ছাড়ল নাট্য সংগঠন ‘ঢাকা থিয়েটার’। আপনার প্রতিক্রিয়া কী?
আমি এ বিষয়ে প্রকাশ্যেই বলেছি, এটা হওয়া উচিত নয়। এটা মিটিয়ে ফেলা উচিত। ঢাকা থিয়েটারের নাসির উদ্দীন ইউসুফ অবশ্য মিটিয়ে ফেলার অনেক উদ্যোগ, অনেক কথা বলেছে। আমি, আসাদুজ্জামান নূর, আব্দুস সেলিম—আমরা সবাই দুই পক্ষের সঙ্গে বসেছি। কিন্তু এক পক্ষ চাচ্ছে একটা নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি হোক। অন্য পক্ষ বলছে, আমরা ফেডারেশনের ৫৩টি দল মিলে যেটা করেছি, সেটাই সঠিক।
মূল সমস্যাটা কী বলে মনে হয়?
প্রসিডিউরগত কিছু ত্রুটি আছে। কামাল বায়েজিদ সেক্রেটারি জেনারেল থাকাকালীন যে টাকা খরচ করেছে ফেডারেশনের জন্য, তার সঠিক রেকর্ড রাখা উচিত ছিল। এবং সে যখন টাকাটা নেয়, তখন যদি চেয়ারম্যানের দস্তখতটা নিত, তাহলে আজ এমন পরিস্থিতি হতো না।
আরেকটা বিষয় হলো, সেক্রেটারি জেনারেলকে যদি অব্যাহতি দিতে হয়, তাহলে কিছু লিখিত এবং অলিখিত প্রসেস মানতে হয়, যেটা ফেডারেশন করেনি। অবশ্য তারা বলছে, তারা মেনেছে।
চেক সাইন নিয়ে কী সমস্যা হয়েছে?
তিনজন সিগনেটরি ছিলেন, এর মাঝে যেকোনো দুইজন সিগনেচার করলেই চেক পাস হয়। ফলে চেক সাইন করত সাধারণ সম্পাদক ও অর্থ সম্পাদক।
চেয়ারম্যানের কোনো সাইন তারা কখনোই নেওয়ার প্রয়োজন বোধ করেনি। যদি তারা চেয়ারম্যানের সাইনটা নিত, তাহলে কিন্তু বায়েজিদকে আজ অর্থ কেলেঙ্কারির এই দায় নিতে হতো না।
এই সমস্যা সমাধানের উপায় কী?
ফেডারেশনের চেয়ারম্যান, ঢাকা থিয়েটারের নাসির উদ্দীন ইউসুফ—এরা সবাই মিলে আলাপ-আলোচনা করে সুষ্ঠু সমাধানে আসা উচিত। আমাদের ডাকলে আমরা থাকব, চাপ দেব দুই পক্ষকে। তবে ফেডারেশনকেই উদ্যোগটা নিতে হবে।
সম্প্রতি রুচির দুর্ভিক্ষ প্রসঙ্গে আপনি হিরো আলমের কথা বলেছেন। যতটা বুঝেছি, তিনি ছিলেন বক্তব্যের একটা উদাহরণমাত্র। তাই কি?
যাঁরা বুঝদার তাঁরা বুঝেছেন, যাঁরা বোঝেননি তাঁরা তর্কে জড়িয়েছেন। এখানে হিরো আলম একটা উদাহরণমাত্র। এই যে এখন হিরো আলম নিজেও অবতীর্ণ হয়ে গেছে ফেসবুকে। সে বলছে, আত্মহত্যা করবে। ‘আমাকে মারি ফেলান, আমি তো শিখি নাই’—তো শিখতে হয় তো! এটা তো এমন একটা বিদ্যা না, যেটা শেখা যায় না।
শিল্পী কি তৈরি করা যায়? নাকি চর্চার মাধ্যমে শিল্পী হয়ে উঠতে হয়?
অবশ্যই চর্চার মধ্য দিয়ে তৈরি হতে হয়। আমরা শিখেছি। পৃথিবীর সবাই শিখেছে।
অনেকেই শ্রেণিবৈষম্যের কথা বলছেন?
এই একটা বিশ্রী ব্যাপার এসেছে, অনেকে শ্রেণিসংগ্রামের একটা ভুল ব্যাখ্যা দিচ্ছে সে (হিরো আলম) দরিদ্র বলে। আরে, একটা দরিদ্র লোক ডাকাত হবে, এটা সমর্থনযোগ্য? এটা সমর্থন করব? তার মানে কী? কাজী নজরুল ইসলাম কি কোটিপতি ছিলেন? তিনি তো ওর চাইতেও দরিদ্র ছিলেন। তাঁর বাবা মারা গেছেন, তিনি লেটোর দলে যোগ দিয়েছেন, তাঁর যে আকুতি লেখাপড়ার জন্য! রুটির দোকানে কাজ করে লেখাপড়া শিখেছেন, ফারসি শিখেছেন, আরবি শিখেছেন, গান শেখার জন্য যে কত লোকের কাছে গিয়েছেন, এভাবে তিনি নিজেকে তৈরি করে বিদ্রোহীর মতো কবিতা লিখেছেন।
আপনারাও তো দীর্ঘদিন চর্চা করে অভিনয়ে এসেছেন?
আমরা তো গ্রামের নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবার থেকে এসেছি। এই শহরে এসে কত লোকের বারান্দায় বসে থেকেছি শেখার আশায়। খান আতাউর রহমানের সঙ্গে একটু দেখা করার জন্য গুলিস্তানে তিনি যে অফিসে আসতেন, সেই অফিসের নিচে দাঁড়িয়ে থেকেছি। আমজাদ হোসেনের বাসার দরজায় কত বসে থেকেছি, তাঁর কাছে জানার চেষ্টা করেছি কী করে নাটক লিখব, কী করে একটা ভালো স্ক্রিপ্ট লিখব। অভিনয় শেখার জন্য যাঁরা ভালো অভিনয় করেন, তাঁদের পেছন পেছন ঘুরেছি। এভাবে কাজ শিখে তবে কাজ করতে এসেছি। কতটা পেরেছি সেটা এখনো পরীক্ষাযোগ্য।
এই যে রুচির দুর্ভিক্ষের কথা বলেছেন, এটা কী কেবল মিডিয়াতেই ঘটেছে?
আমি যে রুচির দুর্ভিক্ষের কথা বলেছি, সেটা কেবল মিডিয়াতে নয়, আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায়, আমাদের রাজনীতিতে, প্রায় সবখানেই। কে নেতা হচ্ছে, কাকে ভোট দিচ্ছে, অর্থ, পেশিশক্তির ব্যবহার হচ্ছে। যেটা সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সেটা শিক্ষা। স্কুলে লেখাপড়া হয় না, কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের দুর্নীতি—এগুলো আমরা চোখের সামনে দেখছি। একজন ভাইস চ্যান্সেলর, তাঁর দুর্নীতি করার দরকার আছে? একটা গ্রামের প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক বিপুল টাকা ঘুষ দিয়ে চাকরি নিচ্ছে। এই টাকা সে তুলবেই চাকরি করতে গিয়ে!
এই কারণেই কী এখন স্যার না বলে ভাই বললে সমস্যা হয়ে যাচ্ছে?
হ্যাঁ, স্যার বলতে হবে। এসবই তো রুচির দুর্ভিক্ষ।
সোশ্যাল মিডিয়ায় মানুষ নানা ধরনের মন্তব্য করছেন। পড়েছেন সব?
সব তো পড়া সম্ভব নয়। অনেকেই আমাকে বলছে আমি শ্রেণিসংগ্রামের মানুষ হয়ে নাকি ভুল ব্যাখ্যা দিচ্ছি। আরে ওকে (হিরো আলম) একা বলব না, ওর মতো লোকেরা তো লুম্পেন। এরা তো কিছু না বুঝে সমাজটাকে ধ্বংসের পথে নিয়ে যাচ্ছে। দরিদ্র হলেই সে শ্রেণিসংগ্রামের লোক হয়ে গেল? তাকে প্রমাণ করতে হবে তার কাজ দিয়ে। যাঁরা মন্তব্য করছেন, তাঁদের অধিকাংশই বলছেন, তার কোনো কাজ দেখেননি। কাজ দেখেননি তো তাকে নিয়ে কথা বলছেন কেন?
তসলিমা নাসরিনও কথা বলেছেন, পড়েছেন সে কথা?
আমি তসলিমা নাসরিনকে বলতে চাই, তসলিমা কি হিরো আলমের কোনো কাজ দেখেছে? কাজ দেখে কথা বলুক! কেবল আমাকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করার জন্য এসব করার তো কোনো মানে হয় না।
এ বিষয়ে আর কিছু বলতে চান?
আমাদের গ্রামবাংলা হচ্ছে লোকসংগীতের, লোকসাহিত্যের, লোকজ ঐতিহ্যের একটা বিশাল ভান্ডার। এসব নিয়ে গ্রামগঞ্জে কত বড় বড় শিল্পীর জন্ম হয়েছে! পবনদাস বাউল শিল্পপতির ছেলে নাকি? সে খেতে পায় না, অথচ তাঁর গান দিয়ে সারা বিশ্ব দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। মমতাজের যে কণ্ঠ, মমতাজ কোথা থেকে এসেছে? তার বাবা যাত্রাপালায় বিবেকের গান গাইত, সেখান থেকে মমতাজ নিজেকে পরিশীলিত করে, সাধনা করে আজকের এই অবস্থানে এসেছে। আরজ আলী মাতুব্বর কোটিপতি নাকি? অথচ তথাকথিত কিছু শিক্ষিত লোক আজ ফাজলামো করে বেড়াচ্ছে। এগুলো বন্ধ করা দরকার। এখন হাতের কাছে একটা ফেসবুক পেয়েছে, সেখানে যখন যা ইচ্ছা লিখে দিল। এই যে ধৃষ্টতা, এটাই তো রুচির দুর্ভিক্ষ।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
২ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
২ দিন আগে