ঘিওর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি
গ্রীষ্মকালীন ফলগুলোর অন্যতম বাঙ্গি। মানিকগঞ্জের ঘিওর এ বছর বাঙ্গির ভালো ফলন হয়েছে। স্বল্প খরচে ভালো মুনাফা প্রাপ্তিতে দিন দিন এই অঞ্চলে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে বাঙ্গির চাষ। চাহিদা ও দাম ভালো হওয়ায় হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে।
উপজেলার সাতটি ইউনিয়নেই কমবেশি বাঙ্গির চাষ হচ্ছে। এর মধ্যে বানিয়াজুরী, বালিয়াখোড়া, ঘিওর সদর, সিংজুরী ইউনিয়নে চাষিরা বেশি বাঙ্গি চাষ করেছেন কৃষকেরা। এককভাবে বাঙ্গি চাষের করার পাশাপাশি এ এলাকার চাষিরা অন্যান্য ফসলের সঙ্গে সাথি ফসল হিসেবে বাঙ্গির চাষ করে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন।
চাষিদের সঙ্গে আলাপকালে জানা যায়, এ বছর কোনো প্রকার প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হওয়ায় এবং পোকার উপদ্রব কম থাকায় বাঙ্গির ভালো ফলন হয়েছে। বাঙ্গির ফলন শুরু হলে প্রতিদিন জমি থেকে বাঙ্গি সংগ্রহ করতে হয়। সময়মতো বাঙ্গি সংগ্রহ না করলে তা জমিতেই নষ্ট হয়ে যায়।
গতকাল শনিবার সরেজমিনে বানিয়াজুরী বাসস্ট্যান্ড, ঘিওর উপজেলা মোড় বাজার, পঞ্চ রাস্তা, তরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে প্রতিটি বড় আকারের বাঙ্গির দাম ১৫০ থেকে ২০০ টাকা, মাঝারি আকৃতির বাঙ্গির দাম ৭০ থেকে ১২০ টাকা আর ছোট আকৃতির বাঙ্গি বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৫০ টাকায়।
ঘিওর সদর ইউনিয়নের রাধাকান্তপুর গ্রামের কৃষক মুন্নাফ মিয়া বলেন, ‘এ বছর ৪০ শতাংশ জমিতে মরিচ চাষ করেছি। তার সঙ্গে সাথী ফসল হিসেবে বাঙ্গি চাষ করেছি। এতে বাড়তি কোনো খরচ লাগে না। মরিচ চাষের খরচেই হয়ে যায়। ইতিমধ্যে ১৫ হাজার টাকার বাঙ্গি বিক্রি করেছি।’
উপজেলার বানিয়াজুরী ইউনিয়নের শোলধারা গ্রামের আ. ছালাম বলেন, ‘চলতি মৌসুমে পেঁয়াজের সঙ্গে বাড়তি ফসল হিসেবে বাঙ্গি চাষ করেছি। এতে খরচ হয়েছে সাত হাজার টাকা। এরই মধ্যে ২০ হাজার টাকার পেঁয়াজ এবং প্রায় ১০ হাজার টাকার বাঙ্গি বিক্রি করেছি। আবহাওয়া ভালো থাকলে আরও ১০ থেকে ১২ হাজার টাকার বাঙ্গি বিক্রি করা সম্ভব হবে।’
ঘিওরের বরটিয়া এলাকার বাবু মিয়া বলেন, ‘বাঙ্গির বেশ চাহিদা বেড়েছে। ৬০ শতাংশ জমির বাঙ্গি পাইকারী বিক্রি করেছি ৪০ হাজার টাকায়। যা অন্যান্য ফসল থেকে আসতো না।’
ঢাকা আরিচা মহাসড়কের বানিয়াজুরী বাসস্ট্যান্ডে বাঙ্গি বিক্রেতা আব্দুল করিম হোসেন বলেন, অন্য বছরের তুলনায় এ মৌসুমে মানুষের বাঙ্গি কেনার চাহিদা বেড়েছে। দাম যাই থাকুক না কেন, ইফতারের জন্য সুস্বাদু ফল হিসেবে সবাই কেনেন।
এ সময় লোকমান মোল্লা নামের এক বাঙ্গি ক্রেতা বলেন, ‘সারা দিন রোজা রাখার পর ইফতারে অন্য ফলের চেয়ে বাঙ্গি খেতে বেশি ভালো লাগে। বাঙ্গি পেট ঠান্ডা রাখে। তা ছাড়া এর মধ্যে কোনো প্রকার ফরমালিন নেই। তাই দাম একটু বেশি হলেও ইফতারে নিয়মিত বাঙ্গি খাই।’
ঘিওর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক সুজিত সরকার বলেন, বাঙ্গিতে রয়েছে উচ্চ পরিমাণে ভিটামিন সি এবং বিটা ক্যারোটিন, এ দুয়ের সংমিশ্রণে শরীরের কাটা-ছেঁড়া দ্রুত শুকায়। প্রচুর পরিমাণে আঁশ বা ডায়াটারি ফাইবার রয়েছে বাঙ্গিতে যা খাবার হজমে সাহায্য করে।
ঘিওর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শেখ বিপুল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, পেঁয়াজ, মরিচ, উচ্ছেসহ অন্য ফসলের সঙ্গে বাঙ্গি সাথী ফসল হিসেবে চাষ করে এ এলাকার কৃষকেরা বেশ লাভবান হচ্ছেন। অল্প খরচে অধিক মুনাফা হওয়ায় বাঙ্গি চাষে কৃষকেরা দিন দিন আগ্রহী হয়ে উঠছেন চাষিরা।
গ্রীষ্মকালীন ফলগুলোর অন্যতম বাঙ্গি। মানিকগঞ্জের ঘিওর এ বছর বাঙ্গির ভালো ফলন হয়েছে। স্বল্প খরচে ভালো মুনাফা প্রাপ্তিতে দিন দিন এই অঞ্চলে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে বাঙ্গির চাষ। চাহিদা ও দাম ভালো হওয়ায় হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে।
উপজেলার সাতটি ইউনিয়নেই কমবেশি বাঙ্গির চাষ হচ্ছে। এর মধ্যে বানিয়াজুরী, বালিয়াখোড়া, ঘিওর সদর, সিংজুরী ইউনিয়নে চাষিরা বেশি বাঙ্গি চাষ করেছেন কৃষকেরা। এককভাবে বাঙ্গি চাষের করার পাশাপাশি এ এলাকার চাষিরা অন্যান্য ফসলের সঙ্গে সাথি ফসল হিসেবে বাঙ্গির চাষ করে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন।
চাষিদের সঙ্গে আলাপকালে জানা যায়, এ বছর কোনো প্রকার প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হওয়ায় এবং পোকার উপদ্রব কম থাকায় বাঙ্গির ভালো ফলন হয়েছে। বাঙ্গির ফলন শুরু হলে প্রতিদিন জমি থেকে বাঙ্গি সংগ্রহ করতে হয়। সময়মতো বাঙ্গি সংগ্রহ না করলে তা জমিতেই নষ্ট হয়ে যায়।
গতকাল শনিবার সরেজমিনে বানিয়াজুরী বাসস্ট্যান্ড, ঘিওর উপজেলা মোড় বাজার, পঞ্চ রাস্তা, তরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে প্রতিটি বড় আকারের বাঙ্গির দাম ১৫০ থেকে ২০০ টাকা, মাঝারি আকৃতির বাঙ্গির দাম ৭০ থেকে ১২০ টাকা আর ছোট আকৃতির বাঙ্গি বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৫০ টাকায়।
ঘিওর সদর ইউনিয়নের রাধাকান্তপুর গ্রামের কৃষক মুন্নাফ মিয়া বলেন, ‘এ বছর ৪০ শতাংশ জমিতে মরিচ চাষ করেছি। তার সঙ্গে সাথী ফসল হিসেবে বাঙ্গি চাষ করেছি। এতে বাড়তি কোনো খরচ লাগে না। মরিচ চাষের খরচেই হয়ে যায়। ইতিমধ্যে ১৫ হাজার টাকার বাঙ্গি বিক্রি করেছি।’
উপজেলার বানিয়াজুরী ইউনিয়নের শোলধারা গ্রামের আ. ছালাম বলেন, ‘চলতি মৌসুমে পেঁয়াজের সঙ্গে বাড়তি ফসল হিসেবে বাঙ্গি চাষ করেছি। এতে খরচ হয়েছে সাত হাজার টাকা। এরই মধ্যে ২০ হাজার টাকার পেঁয়াজ এবং প্রায় ১০ হাজার টাকার বাঙ্গি বিক্রি করেছি। আবহাওয়া ভালো থাকলে আরও ১০ থেকে ১২ হাজার টাকার বাঙ্গি বিক্রি করা সম্ভব হবে।’
ঘিওরের বরটিয়া এলাকার বাবু মিয়া বলেন, ‘বাঙ্গির বেশ চাহিদা বেড়েছে। ৬০ শতাংশ জমির বাঙ্গি পাইকারী বিক্রি করেছি ৪০ হাজার টাকায়। যা অন্যান্য ফসল থেকে আসতো না।’
ঢাকা আরিচা মহাসড়কের বানিয়াজুরী বাসস্ট্যান্ডে বাঙ্গি বিক্রেতা আব্দুল করিম হোসেন বলেন, অন্য বছরের তুলনায় এ মৌসুমে মানুষের বাঙ্গি কেনার চাহিদা বেড়েছে। দাম যাই থাকুক না কেন, ইফতারের জন্য সুস্বাদু ফল হিসেবে সবাই কেনেন।
এ সময় লোকমান মোল্লা নামের এক বাঙ্গি ক্রেতা বলেন, ‘সারা দিন রোজা রাখার পর ইফতারে অন্য ফলের চেয়ে বাঙ্গি খেতে বেশি ভালো লাগে। বাঙ্গি পেট ঠান্ডা রাখে। তা ছাড়া এর মধ্যে কোনো প্রকার ফরমালিন নেই। তাই দাম একটু বেশি হলেও ইফতারে নিয়মিত বাঙ্গি খাই।’
ঘিওর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক সুজিত সরকার বলেন, বাঙ্গিতে রয়েছে উচ্চ পরিমাণে ভিটামিন সি এবং বিটা ক্যারোটিন, এ দুয়ের সংমিশ্রণে শরীরের কাটা-ছেঁড়া দ্রুত শুকায়। প্রচুর পরিমাণে আঁশ বা ডায়াটারি ফাইবার রয়েছে বাঙ্গিতে যা খাবার হজমে সাহায্য করে।
ঘিওর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শেখ বিপুল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, পেঁয়াজ, মরিচ, উচ্ছেসহ অন্য ফসলের সঙ্গে বাঙ্গি সাথী ফসল হিসেবে চাষ করে এ এলাকার কৃষকেরা বেশ লাভবান হচ্ছেন। অল্প খরচে অধিক মুনাফা হওয়ায় বাঙ্গি চাষে কৃষকেরা দিন দিন আগ্রহী হয়ে উঠছেন চাষিরা।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৬ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৬ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৬ দিন আগে