সম্পাদকীয়
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যে আওয়ামী লীগেরই একচেটিয়া বিজয় হবে, তা নিয়ে কারও মনে কোনো সংশয় ছিল না। তবে সংসদে বিরোধী দলের মর্যাদা পাবে কোন দল, সেটা নিয়ে প্রশ্ন ছিল। নির্বাচনের ফলাফলে দেখা যায়, দলগতভাবে সংসদে আওয়ামী লীগের পর বেশি আসন পেয়েছে জাতীয় পার্টি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৯৯টি আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ ২২৩টি আসনে, জাতীয় পার্টি ১১টি, জাসদ, ওয়ার্কার্স পার্টি, কল্যাণ পার্টি ১টি করে আসনে বিজয়ী হয়। একই সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা বিজয়ী হওয়া ৬২ জনের মধ্যে তিন-চারজন ছাড়া সবাই আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেন।
স্বতন্ত্র এমপিরা সংসদে কী ভূমিকা পালন করবেন, সেটাই এখন গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সুযোগ আছে স্পিকারের কাছে চিঠি লিখে নির্দলীয় জোট করে প্রধান বিরোধী দলের ভূমিকা পালনের। কিন্তু খবরাখবর যা পাওয়া যাচ্ছে, তা থেকে মনে হচ্ছে, স্বতন্ত্র সদস্যদের দু-চারজন ছাড়া সবাই আওয়ামী লীগের সঙ্গে থাকতেই বেশি আগ্রহী। তাঁরা এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর দিকে চেয়ে আছেন। প্রধানমন্ত্রী যা চাইবেন, তাই হবে।
এর মধ্যে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, দল হিসেবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্থানে থাকা জাতীয় পার্টিই হবে প্রধান বিরোধী দল। এরপর প্রশ্ন এসেছে, তাহলে শেষ পর্যন্ত স্বতন্ত্র জোট কী হচ্ছে না? যদি না হয়, তাহলে সংসদে তাঁদের অবস্থান কী হবে?
তবে প্রায় সব স্বতন্ত্র এমপি বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা আমাদের প্রধান নেতা। আমরা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গেই আছি। আমাদের আদর্শ-উদ্দেশ্য এক ও অভিন্ন। সুতরাং দলীয়প্রধান যে সিদ্ধান্ত দেবেন, সেটাই আমরা মেনে নিয়ে পরবর্তী সময়ে পদক্ষেপ নেব।’
এ অবস্থায় আগামী রোববার স্বতন্ত্র এমপিদের গণভবনে ডেকেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই দিন সন্ধ্যায় এমপিরা গণভবনে যাবেন। প্রধানমন্ত্রী কী নির্দেশনা দেন, সেই অপেক্ষায় আছেন তাঁরা। এরপরই সিদ্ধান্ত নেবেন স্বতন্ত্র এমপিরা কী করবেন? এই এমপিদের সামনে কিন্তু সুযোগ এসেছে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপনের। আমাদের দেশে ঢালাও বিরোধিতার যে রাজনীতি, তা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য স্বতন্ত্র এমপিরা কিছু উদাহরণ তৈরি করতে পারেন এই সংসদে। স্বাধীনতার পর সংসদে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত একাই এক শর ভূমিকা পালন করে সবার দৃষ্টি আকর্ষণে সক্ষম হয়েছিলেন। এবার স্বতন্ত্র এমপিদের সামনে তেমন সুযোগ এসেছে।
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন অংশগ্রহণ ও প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৌশল অবলম্বন করে সফল হয়েছেন। জাতীয় সংসদেও একই কৌশল অবলম্বন করে তিনি একটি কার্যকর সংসদ প্রতিষ্ঠা করবেন বলে অনেকের বিশ্বাস। এটা এখন সবারই জানা যে দ্বাদশ সংসদ একদলীয় সংসদে পরিণত হয়েছে। শক্তিশালী বিরোধী দলের অনুপস্থিতিতে সংসদ কার্যকর ও প্রাণবন্ত হতে পারে না। এদিক বিবেচনায় রেখে আমরা আশা করব, রোববারের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী স্বতন্ত্র এমপিদের স্বতন্ত্র অবস্থানে থেকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের নির্দেশনা দেবেন। সবাইকে আত্তীকরণের প্রয়োজন নেই।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যে আওয়ামী লীগেরই একচেটিয়া বিজয় হবে, তা নিয়ে কারও মনে কোনো সংশয় ছিল না। তবে সংসদে বিরোধী দলের মর্যাদা পাবে কোন দল, সেটা নিয়ে প্রশ্ন ছিল। নির্বাচনের ফলাফলে দেখা যায়, দলগতভাবে সংসদে আওয়ামী লীগের পর বেশি আসন পেয়েছে জাতীয় পার্টি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৯৯টি আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ ২২৩টি আসনে, জাতীয় পার্টি ১১টি, জাসদ, ওয়ার্কার্স পার্টি, কল্যাণ পার্টি ১টি করে আসনে বিজয়ী হয়। একই সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা বিজয়ী হওয়া ৬২ জনের মধ্যে তিন-চারজন ছাড়া সবাই আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেন।
স্বতন্ত্র এমপিরা সংসদে কী ভূমিকা পালন করবেন, সেটাই এখন গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সুযোগ আছে স্পিকারের কাছে চিঠি লিখে নির্দলীয় জোট করে প্রধান বিরোধী দলের ভূমিকা পালনের। কিন্তু খবরাখবর যা পাওয়া যাচ্ছে, তা থেকে মনে হচ্ছে, স্বতন্ত্র সদস্যদের দু-চারজন ছাড়া সবাই আওয়ামী লীগের সঙ্গে থাকতেই বেশি আগ্রহী। তাঁরা এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর দিকে চেয়ে আছেন। প্রধানমন্ত্রী যা চাইবেন, তাই হবে।
এর মধ্যে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, দল হিসেবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্থানে থাকা জাতীয় পার্টিই হবে প্রধান বিরোধী দল। এরপর প্রশ্ন এসেছে, তাহলে শেষ পর্যন্ত স্বতন্ত্র জোট কী হচ্ছে না? যদি না হয়, তাহলে সংসদে তাঁদের অবস্থান কী হবে?
তবে প্রায় সব স্বতন্ত্র এমপি বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা আমাদের প্রধান নেতা। আমরা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গেই আছি। আমাদের আদর্শ-উদ্দেশ্য এক ও অভিন্ন। সুতরাং দলীয়প্রধান যে সিদ্ধান্ত দেবেন, সেটাই আমরা মেনে নিয়ে পরবর্তী সময়ে পদক্ষেপ নেব।’
এ অবস্থায় আগামী রোববার স্বতন্ত্র এমপিদের গণভবনে ডেকেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই দিন সন্ধ্যায় এমপিরা গণভবনে যাবেন। প্রধানমন্ত্রী কী নির্দেশনা দেন, সেই অপেক্ষায় আছেন তাঁরা। এরপরই সিদ্ধান্ত নেবেন স্বতন্ত্র এমপিরা কী করবেন? এই এমপিদের সামনে কিন্তু সুযোগ এসেছে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপনের। আমাদের দেশে ঢালাও বিরোধিতার যে রাজনীতি, তা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য স্বতন্ত্র এমপিরা কিছু উদাহরণ তৈরি করতে পারেন এই সংসদে। স্বাধীনতার পর সংসদে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত একাই এক শর ভূমিকা পালন করে সবার দৃষ্টি আকর্ষণে সক্ষম হয়েছিলেন। এবার স্বতন্ত্র এমপিদের সামনে তেমন সুযোগ এসেছে।
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন অংশগ্রহণ ও প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৌশল অবলম্বন করে সফল হয়েছেন। জাতীয় সংসদেও একই কৌশল অবলম্বন করে তিনি একটি কার্যকর সংসদ প্রতিষ্ঠা করবেন বলে অনেকের বিশ্বাস। এটা এখন সবারই জানা যে দ্বাদশ সংসদ একদলীয় সংসদে পরিণত হয়েছে। শক্তিশালী বিরোধী দলের অনুপস্থিতিতে সংসদ কার্যকর ও প্রাণবন্ত হতে পারে না। এদিক বিবেচনায় রেখে আমরা আশা করব, রোববারের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী স্বতন্ত্র এমপিদের স্বতন্ত্র অবস্থানে থেকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের নির্দেশনা দেবেন। সবাইকে আত্তীকরণের প্রয়োজন নেই।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১১ ঘণ্টা আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৪ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৪ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৪ দিন আগে