সাবিত আল হাসান, নারায়ণগঞ্জ
নারায়ণগঞ্জের সদর উপজেলার ফতুল্লা ইউনিয়ন। এর ভেতর ৪ নম্বর ওয়ার্ডটি লালপুর এলাকা হিসেবে পরিচিত। জেলার অন্যান্য উপজেলার মানুষ বিশেষ একটি কারণে এ এলাকাটি চিনে থাকেন। আর তা হচ্ছে, বর্ষা মৌসুমে এই এলাকার বাসিন্দাদের নৌকার মাধ্যমে চলাচল করতে হয়। শুষ্ক মৌসুমে যেখানে আরসিসি পাকা সড়ক, বর্ষায় সেই সড়ক পরিণত হয় খালে।
গত ছয়-সাত বছর ধরে এভাবেই পরিচিতি লাভ করেছে লালপুর। ডিএনডি বাঁধের ভেতরে জলাবদ্ধতার সমস্যা প্রকট। তবে লালপুর সেই সমস্যাকেও ছাপিয়ে গেছে। এর অন্যতম কারণ হিসেবে নিচু এলাকা ও বাড়িঘর নির্মাণে অব্যবস্থাপনাকে দায়ী করে থাকেন জনপ্রতিনিধিরা। প্রতি বর্ষায় পানিতে সড়কের পাশাপাশি বাড়িঘর তলিয়ে যায়। গত বছর এমন ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করে। পরে এর তীব্র সমালোচনা শুরু হলে পানি সরানোর জন্য ড্রেজার বসাতে বাধ্য হন নেতারা।
সম্প্রতি লালপুর এলাকা ঘুরে দেখা যায়, শুষ্ক মৌসুমে জলাবদ্ধতার সমস্যা নেই। ভারী বৃষ্টিপাত না হওয়ায় জলাবদ্ধতা থেকে সাময়িকভাবে নিস্তার পেয়েছেন তাঁরা। তবে সামনের বর্ষায় আবারও জলাবদ্ধতায় ডুববেন কি না, সেই শঙ্কা এখনো তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে তাঁদের। গত বছরের মতো এবারও ড্রেজার চালু হবে কি না তা নিয়েও রয়েছে সন্দেহ। বাসিন্দারা বলছেন, গতবারের ভোগান্তি আর পোহাতে চান না তাঁরা। আগে থেকেই ড্রেজার প্রস্তুত করে পানি নিষ্কাশন করার দাবি তুলেছেন তাঁরা। দীর্ঘদিন ফতুল্লায় নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি না থাকলেও এবার তাঁরা পেয়েছেন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। আর তাই, জলাবদ্ধতা নিরসনের গুরুদায়িত্ব জনপ্রতিনিধিরা পালন করবেন এমন প্রত্যাশা তাঁদের।
স্থানীয় বাসিন্দা আবিদ হোসেন বলেন, ‘লালপুরের জলাবদ্ধতা থেকে উত্তরণের জন্য ২০২১ সালে কেনা হয় ড্রেজার। প্রায় ৯ লাখ টাকা ব্যয় করে ড্রেজার কেনা হয়েছিল। ড্রেজার চালুর তিন দিনের মাথায় কোমর সমান পানি নেমে এসেছিল পায়ের পাতায়। এ ছাড়া আগে থেকেই চলমান ছিল তিনটি শক্তিশালী পাম্প। তবে সেই পাম্প দিয়ে পানি নিষ্কাশন ছিল অপ্রতুল।’
লালপুরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, লালপুরের সড়কগুলো পুরোপুরি শুকনো। বর্ষাকালে এই সড়কে কোমর সমান পানি জমে কিংবা নৌকা চলাচল করে তা অনেকে বিশ্বাস করতে চাইবেন না।
লালপুর এলাকার বাসিন্দা মনসুর বলেন, ‘যদি এবার ড্রেজার চালানো হয় তাহলে জলাবদ্ধতার সমস্যা হবে না। কিন্তু ড্রেজার যদি বন্ধ রাখা হয় তাহলে পানি উঠবেই। মোটর দিয়ে কাজ হয় না এটা সবাই জানেন। ড্রেজার সরিয়ে নিয়েছে শুনলাম। বর্ষার আগে যদি ড্রেজার না বসায় তাহলে এবারও দুর্গতি আছে।
এ বিষয়ে ড্রেজার কেনা ও পরিচালনার সঙ্গে জড়িত জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর সোহেল বলেন, ‘ড্রেজার এখন কই আছে সেটা আমি জানি না। নতুন নির্বাচন হয়ে ইউনিয়নে নতুন পরিষদ এসেছে। আমি ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বারের কাছে ড্রেজার বুঝিয়ে দিয়েছি। তাঁরা সম্ভবত বাংলাদেশ খাদ এলাকায় ড্রেজার রেখেছেন।’
এ বিষয়ে ফতুল্লার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য কাজী মঈন উদ্দিন বলেন, ‘ড্রেজারটি বাংলাদেশ খাদ এলাকার পাম্প হাউসের পাশে রাখা হয়েছে। এর বেশ কিছু সংস্কার প্রয়োজন। যেমন ব্যাটারি পরিবর্তন করতে হবে। নতুন ভাবে পাইপ সংযোজন করতে হবে। এসবের জন্য অর্থ প্রয়োজন। আমরা চেষ্টা করছি চেয়ারম্যান ও সাংসদের সহায়তায় অর্থ বরাদ্দ পেতে। যদি প্রয়োজন হয় তাহলে আবার ড্রেজার চালু করার চেষ্টা করব।’
নারায়ণগঞ্জের সদর উপজেলার ফতুল্লা ইউনিয়ন। এর ভেতর ৪ নম্বর ওয়ার্ডটি লালপুর এলাকা হিসেবে পরিচিত। জেলার অন্যান্য উপজেলার মানুষ বিশেষ একটি কারণে এ এলাকাটি চিনে থাকেন। আর তা হচ্ছে, বর্ষা মৌসুমে এই এলাকার বাসিন্দাদের নৌকার মাধ্যমে চলাচল করতে হয়। শুষ্ক মৌসুমে যেখানে আরসিসি পাকা সড়ক, বর্ষায় সেই সড়ক পরিণত হয় খালে।
গত ছয়-সাত বছর ধরে এভাবেই পরিচিতি লাভ করেছে লালপুর। ডিএনডি বাঁধের ভেতরে জলাবদ্ধতার সমস্যা প্রকট। তবে লালপুর সেই সমস্যাকেও ছাপিয়ে গেছে। এর অন্যতম কারণ হিসেবে নিচু এলাকা ও বাড়িঘর নির্মাণে অব্যবস্থাপনাকে দায়ী করে থাকেন জনপ্রতিনিধিরা। প্রতি বর্ষায় পানিতে সড়কের পাশাপাশি বাড়িঘর তলিয়ে যায়। গত বছর এমন ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করে। পরে এর তীব্র সমালোচনা শুরু হলে পানি সরানোর জন্য ড্রেজার বসাতে বাধ্য হন নেতারা।
সম্প্রতি লালপুর এলাকা ঘুরে দেখা যায়, শুষ্ক মৌসুমে জলাবদ্ধতার সমস্যা নেই। ভারী বৃষ্টিপাত না হওয়ায় জলাবদ্ধতা থেকে সাময়িকভাবে নিস্তার পেয়েছেন তাঁরা। তবে সামনের বর্ষায় আবারও জলাবদ্ধতায় ডুববেন কি না, সেই শঙ্কা এখনো তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে তাঁদের। গত বছরের মতো এবারও ড্রেজার চালু হবে কি না তা নিয়েও রয়েছে সন্দেহ। বাসিন্দারা বলছেন, গতবারের ভোগান্তি আর পোহাতে চান না তাঁরা। আগে থেকেই ড্রেজার প্রস্তুত করে পানি নিষ্কাশন করার দাবি তুলেছেন তাঁরা। দীর্ঘদিন ফতুল্লায় নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি না থাকলেও এবার তাঁরা পেয়েছেন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। আর তাই, জলাবদ্ধতা নিরসনের গুরুদায়িত্ব জনপ্রতিনিধিরা পালন করবেন এমন প্রত্যাশা তাঁদের।
স্থানীয় বাসিন্দা আবিদ হোসেন বলেন, ‘লালপুরের জলাবদ্ধতা থেকে উত্তরণের জন্য ২০২১ সালে কেনা হয় ড্রেজার। প্রায় ৯ লাখ টাকা ব্যয় করে ড্রেজার কেনা হয়েছিল। ড্রেজার চালুর তিন দিনের মাথায় কোমর সমান পানি নেমে এসেছিল পায়ের পাতায়। এ ছাড়া আগে থেকেই চলমান ছিল তিনটি শক্তিশালী পাম্প। তবে সেই পাম্প দিয়ে পানি নিষ্কাশন ছিল অপ্রতুল।’
লালপুরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, লালপুরের সড়কগুলো পুরোপুরি শুকনো। বর্ষাকালে এই সড়কে কোমর সমান পানি জমে কিংবা নৌকা চলাচল করে তা অনেকে বিশ্বাস করতে চাইবেন না।
লালপুর এলাকার বাসিন্দা মনসুর বলেন, ‘যদি এবার ড্রেজার চালানো হয় তাহলে জলাবদ্ধতার সমস্যা হবে না। কিন্তু ড্রেজার যদি বন্ধ রাখা হয় তাহলে পানি উঠবেই। মোটর দিয়ে কাজ হয় না এটা সবাই জানেন। ড্রেজার সরিয়ে নিয়েছে শুনলাম। বর্ষার আগে যদি ড্রেজার না বসায় তাহলে এবারও দুর্গতি আছে।
এ বিষয়ে ড্রেজার কেনা ও পরিচালনার সঙ্গে জড়িত জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর সোহেল বলেন, ‘ড্রেজার এখন কই আছে সেটা আমি জানি না। নতুন নির্বাচন হয়ে ইউনিয়নে নতুন পরিষদ এসেছে। আমি ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বারের কাছে ড্রেজার বুঝিয়ে দিয়েছি। তাঁরা সম্ভবত বাংলাদেশ খাদ এলাকায় ড্রেজার রেখেছেন।’
এ বিষয়ে ফতুল্লার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য কাজী মঈন উদ্দিন বলেন, ‘ড্রেজারটি বাংলাদেশ খাদ এলাকার পাম্প হাউসের পাশে রাখা হয়েছে। এর বেশ কিছু সংস্কার প্রয়োজন। যেমন ব্যাটারি পরিবর্তন করতে হবে। নতুন ভাবে পাইপ সংযোজন করতে হবে। এসবের জন্য অর্থ প্রয়োজন। আমরা চেষ্টা করছি চেয়ারম্যান ও সাংসদের সহায়তায় অর্থ বরাদ্দ পেতে। যদি প্রয়োজন হয় তাহলে আবার ড্রেজার চালু করার চেষ্টা করব।’
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৪ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৮ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৮ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৮ দিন আগে