নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
কক্সবাজারে বিভিন্ন ক্যাম্পে থাকা স্বজনদের সঙ্গে দেখা করতে নোয়াখালীর ভাসানচরের রোহিঙ্গারা ৫ শতাধিক আবেদন করেছেন। ভাসানচর থেকে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নে সরকারের ইতিবাচক মনোভাবের কারণে রোহিঙ্গারা এই আবেদন করেছেন। কক্সবাজার শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয় সূত্রে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ মোয়াজ্জম হোসাইন ভাসানচরের রোহিঙ্গাদের করা কয়েক শ আবেদনের কথা স্বীকার করে বলেন, ‘এটি সরকারের নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ে আলোচনা চলছে। সরকার মানবিক বিবেচনায় চিন্তা করছে। মন্ত্রণালয়ের অনুমতি পেলে প্রক্রিয়া শুরু হবে।’
ভাসানচরের শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনের ক্যাম্প ইনচার্জ মো. নওশের ইবনে হামিম আজকের পত্রিকাকে জানান, ভাসানচরে থাকা অনেকের আত্মীয়-স্বজন কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বসবাস করছেন। মানবিক কারণে এসব স্বজনের সঙ্গে দেখা করা, মৃত স্বজনের জানাজায় অংশ নেওয়া ও বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশ নিতে ভাসানচরের রোহিঙ্গাদের কক্সবাজারের ক্যাম্পে আসা-যাওয়ার সুযোগ করে দেওয়ার চিন্তা করছে সরকার।
নওশের ইবনে হামিম বলেন, ‘আগে আমরা কখনো আবেদন গ্রহণ করিনি। এ পর্যন্ত পাঁচ শর বেশি আবেদন জমা পড়েছে। এগুলো যাচাই-বাছাই চলছে।’
জানা গেছে, ভাসানচরের রোহিঙ্গারা ক্যাম্প ইনচার্জের কাছে দরখাস্ত জমা দিচ্ছেন। দরখাস্তে আবেদনকারীর নাম, ক্লাস্টার নম্বর, রুম নম্বর, এফসিএম নম্বর, মোবাইল নম্বর ও মাঝির নাম লেখা হচ্ছে। এ ছাড়া আবেদনপত্রে কক্সবাজার কার কাছে যাবেন তার নাম, সম্পর্ক, বিষয়, ক্লাস্টার নম্বর ও মোবাইল নম্বর লিখতে হয়।
ভাসানচরের রোহিঙ্গা মাঝি মো. জিয়া জানান, পাঁচ শর বেশি আবেদন করছে। তিনি নিজে কক্সবাজারে থাকা স্বজনদের সঙ্গে দেখা করতে আবেদন করেনি বলে জানান।
ভাসানচরের ক্লাস্টার ৫-এ থাকা রোহিঙ্গা নারী মাজেদা বেগম জানান, সপ্তাহখানেক আগে তাঁর বাবা মারা গেছেন, এ জন্য মা, ভাই-বোনদের সঙ্গে দেখা করতে কক্সবাজার যাওয়ার দরখাস্ত করেছেন।
শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার কার্যালয়ের তথ্য মতে, রোহিঙ্গাদের উন্নত জীবন-যাপনের ব্যবস্থা করার লক্ষ্যে কক্সবাজারের বিভিন্ন ক্যাম্প থেকে এ পর্যন্ত ২০ হাজার রোহিঙ্গাকে নোয়াখালীর ভাসানচরে স্থানান্তর করেছে সরকার। সেখানে পর্যায়ক্রমে ১ লাখ রোহিঙ্গাকে স্থানান্তর করা হবে। কিন্তু সম্প্রতি কক্সবাজারের বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অবস্থানরত স্বজনদের কাছে ফেরত যাওয়ার উদ্দেশ্যে ভাসনচর থেকে পালিয়ে যাচ্ছেন রোহিঙ্গারা।
ভাসানচর থানা-পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, গত তিন মাসে অন্তত ২৫০ রোহিঙ্গা ভাসানচর থেকে পালিয়েছে। সর্বশেষ ২৬ নভেম্বর ভাসানচর থেকে পালানোর সময় ৫ দালালসহ ২৩ রোহিঙ্গাকে আটক করেছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
এদিকে ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভাসানচরে একটি স্বতন্ত্র থানার উদ্বোধন করেছে। ওই থানায় একজন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নেতৃত্বে ৪১ পুলিশ সদস্য ও ২৪৭ এপিবিএন সদস্য কর্মরত আছেন। পাশাপাশি নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড সদস্যরাও দায়িত্ব পালন করছেন।
কক্সবাজারে বিভিন্ন ক্যাম্পে থাকা স্বজনদের সঙ্গে দেখা করতে নোয়াখালীর ভাসানচরের রোহিঙ্গারা ৫ শতাধিক আবেদন করেছেন। ভাসানচর থেকে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নে সরকারের ইতিবাচক মনোভাবের কারণে রোহিঙ্গারা এই আবেদন করেছেন। কক্সবাজার শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয় সূত্রে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ মোয়াজ্জম হোসাইন ভাসানচরের রোহিঙ্গাদের করা কয়েক শ আবেদনের কথা স্বীকার করে বলেন, ‘এটি সরকারের নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ে আলোচনা চলছে। সরকার মানবিক বিবেচনায় চিন্তা করছে। মন্ত্রণালয়ের অনুমতি পেলে প্রক্রিয়া শুরু হবে।’
ভাসানচরের শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনের ক্যাম্প ইনচার্জ মো. নওশের ইবনে হামিম আজকের পত্রিকাকে জানান, ভাসানচরে থাকা অনেকের আত্মীয়-স্বজন কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বসবাস করছেন। মানবিক কারণে এসব স্বজনের সঙ্গে দেখা করা, মৃত স্বজনের জানাজায় অংশ নেওয়া ও বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশ নিতে ভাসানচরের রোহিঙ্গাদের কক্সবাজারের ক্যাম্পে আসা-যাওয়ার সুযোগ করে দেওয়ার চিন্তা করছে সরকার।
নওশের ইবনে হামিম বলেন, ‘আগে আমরা কখনো আবেদন গ্রহণ করিনি। এ পর্যন্ত পাঁচ শর বেশি আবেদন জমা পড়েছে। এগুলো যাচাই-বাছাই চলছে।’
জানা গেছে, ভাসানচরের রোহিঙ্গারা ক্যাম্প ইনচার্জের কাছে দরখাস্ত জমা দিচ্ছেন। দরখাস্তে আবেদনকারীর নাম, ক্লাস্টার নম্বর, রুম নম্বর, এফসিএম নম্বর, মোবাইল নম্বর ও মাঝির নাম লেখা হচ্ছে। এ ছাড়া আবেদনপত্রে কক্সবাজার কার কাছে যাবেন তার নাম, সম্পর্ক, বিষয়, ক্লাস্টার নম্বর ও মোবাইল নম্বর লিখতে হয়।
ভাসানচরের রোহিঙ্গা মাঝি মো. জিয়া জানান, পাঁচ শর বেশি আবেদন করছে। তিনি নিজে কক্সবাজারে থাকা স্বজনদের সঙ্গে দেখা করতে আবেদন করেনি বলে জানান।
ভাসানচরের ক্লাস্টার ৫-এ থাকা রোহিঙ্গা নারী মাজেদা বেগম জানান, সপ্তাহখানেক আগে তাঁর বাবা মারা গেছেন, এ জন্য মা, ভাই-বোনদের সঙ্গে দেখা করতে কক্সবাজার যাওয়ার দরখাস্ত করেছেন।
শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার কার্যালয়ের তথ্য মতে, রোহিঙ্গাদের উন্নত জীবন-যাপনের ব্যবস্থা করার লক্ষ্যে কক্সবাজারের বিভিন্ন ক্যাম্প থেকে এ পর্যন্ত ২০ হাজার রোহিঙ্গাকে নোয়াখালীর ভাসানচরে স্থানান্তর করেছে সরকার। সেখানে পর্যায়ক্রমে ১ লাখ রোহিঙ্গাকে স্থানান্তর করা হবে। কিন্তু সম্প্রতি কক্সবাজারের বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অবস্থানরত স্বজনদের কাছে ফেরত যাওয়ার উদ্দেশ্যে ভাসনচর থেকে পালিয়ে যাচ্ছেন রোহিঙ্গারা।
ভাসানচর থানা-পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, গত তিন মাসে অন্তত ২৫০ রোহিঙ্গা ভাসানচর থেকে পালিয়েছে। সর্বশেষ ২৬ নভেম্বর ভাসানচর থেকে পালানোর সময় ৫ দালালসহ ২৩ রোহিঙ্গাকে আটক করেছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
এদিকে ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভাসানচরে একটি স্বতন্ত্র থানার উদ্বোধন করেছে। ওই থানায় একজন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নেতৃত্বে ৪১ পুলিশ সদস্য ও ২৪৭ এপিবিএন সদস্য কর্মরত আছেন। পাশাপাশি নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড সদস্যরাও দায়িত্ব পালন করছেন।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৪ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৮ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৮ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৮ দিন আগে