বরগুনা প্রতিনিধি
‘মোর মা বুইনে এহন আর বাইচ্চা নাই। পোড়া লাশের ছাই পাইলেও সান্ত্বনা পাইতাম। ছাই হইলেও দ্যান, কবরে দিয়া কবরডা দেখতাম। মোর মা বুইনে কোম্মে আছে কেউ এট্টু সন্ধান আইনা দেন।’
গতকাল সোমবার সকালে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের সামনে কান্নাজড়িত কণ্ঠে কথাগুলো বলছিলেন এম বালিয়াতলির তানজিলা। বাবা ইসমাইল আকনের সঙ্গে ডিএনএ নমুনা দিতে সেখানে গিয়েছিলন তিনি। ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে যাত্রীবাহী লঞ্চে আগুন লেগে হতাহতের ঘটনার এখনো খোঁজ মেলেনি তাঁর মা ও ছোট বোনের।
ঝালকাঠিতে লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের সময় বৃদ্ধ মাসহ নদীতে ঝাঁপ দিয়ে প্রাণে বেঁচে গেছেন ইসমাইল আকন (৪৮)। ঢাকা থেকে বরগুনাগামী অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের পর থেকেই নিখোঁজ তাঁর স্ত্রী রাজিয়া সুলতানা (৩৫) ও ৯ বছর বয়সী মেয়ে নুসরাত। অপর দিকে তাঁর বৃদ্ধা মাসহ আরেক মেয়ে বরিশালের শের-ই–বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
পোড়া মরদেহ শনাক্ত ও নিখোঁজদের তথ্য সংগ্রহে লঞ্চে আগুনের পরদিন শনিবার থেকে কন্ট্রোল রুম চালু করে বরগুনা জেলা প্রশাসন। ডিএনএ নমুনা সংগ্রহের জন্য রবিবার এলাকায় মাইকিং করে স্বজনদের সোমবার সকালে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে আসার অনুরোধ জানায় জেলা প্রশাসন। সোমবার সকাল থেকে নিখোঁজদের স্বজনরা বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভিড় করেন।
ইসমাইল আকন এবং তার মেয়ে তানজিলাও যায় ডিএনএ নমুনা দিতে।
দুই মেয়ে ফাহমিদা, সাদিয়া ও স্ত্রী রোকেয়া আক্তারকে নিতে ঢাকা থেকে লঞ্চে বরগুনা আসছিলেন ব্যবসায়ী আবদুল হক। শেষ কথা হয় ২৪ তারিখ রাত দুটার দিকে। লঞ্চে আগুনের ঘটনায় নিখোঁজ আবদুল হকের মরদেহ শনাক্তের জন্য দুই মেয়েসহ স্ত্রী রোকেয়া আক্তার সকাল থেকেই জেনারেল হাসপাতালে অপেক্ষা করছিলেন।
ইসমাইল আকন, তানজিলা ও রোকেয়া বেগমের মতোই সোমবার বরগুনা জেনারেল হাসপাতাল প্রাঙ্গণে ভিড় করেছেন নিখোঁজদের প্রায় অর্ধশতাধিক স্বজন। এদের মধ্যে একই পরিবারের একাধিক স্বজন নিখোঁজের সংখ্যাই বেশি। যে করেই হোক অন্তত এতটুকু তাঁরা জানতে চান যে, নিখোঁজ ব্যক্তিদের ভাগ্য কি ঘটেছে? পুড়ে ছাই নাকি সলিলসমাধি।
সোমবার অজ্ঞাতদের লাশ শনাক্ত করতে ৩১ জনের তথ্য বরগুনা জেলা প্রশাসনের কন্ট্রোল রুম নম্বরে জমা দিয়েছেন স্বজনরা। কন্ট্রোল রুমের সমন্বয়কারী সাইদুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ফরেনসিক ডিএনএ ল্যাবরেটরির সহকারী মেডিকেল টেকনোলজিস্ট তাজুল ইসলাম জানান, গতকাল সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ১২ জনের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবারও নমুনা সংগ্রহ করা হবে বলে জানান তিনি।তাজুল ইসলাম বলেন, সংগ্রহ করা নমুনাগুলোর প্রতিবেদন পেতে মাসখানেক সময় লাগবে।
এদিকে সোমবার দুপুরে বিষখালী নদীর ঝালকাঠি নাপিতের হাট এলাকা থেকে আরও একজনের ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। উদ্ধার হওয়া মরদেহটি বরগুনা সদরের বুড়িরচরের হাকিম শরীফের বলে নিশ্চিত করেছেন সদর থানা ওসি কেএম তারিকুল ইসলাম। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় মোট ৪১ জনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। এ ছাড়া আহত ৮৩ জন বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ ও ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন।
‘মোর মা বুইনে এহন আর বাইচ্চা নাই। পোড়া লাশের ছাই পাইলেও সান্ত্বনা পাইতাম। ছাই হইলেও দ্যান, কবরে দিয়া কবরডা দেখতাম। মোর মা বুইনে কোম্মে আছে কেউ এট্টু সন্ধান আইনা দেন।’
গতকাল সোমবার সকালে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের সামনে কান্নাজড়িত কণ্ঠে কথাগুলো বলছিলেন এম বালিয়াতলির তানজিলা। বাবা ইসমাইল আকনের সঙ্গে ডিএনএ নমুনা দিতে সেখানে গিয়েছিলন তিনি। ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে যাত্রীবাহী লঞ্চে আগুন লেগে হতাহতের ঘটনার এখনো খোঁজ মেলেনি তাঁর মা ও ছোট বোনের।
ঝালকাঠিতে লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের সময় বৃদ্ধ মাসহ নদীতে ঝাঁপ দিয়ে প্রাণে বেঁচে গেছেন ইসমাইল আকন (৪৮)। ঢাকা থেকে বরগুনাগামী অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের পর থেকেই নিখোঁজ তাঁর স্ত্রী রাজিয়া সুলতানা (৩৫) ও ৯ বছর বয়সী মেয়ে নুসরাত। অপর দিকে তাঁর বৃদ্ধা মাসহ আরেক মেয়ে বরিশালের শের-ই–বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
পোড়া মরদেহ শনাক্ত ও নিখোঁজদের তথ্য সংগ্রহে লঞ্চে আগুনের পরদিন শনিবার থেকে কন্ট্রোল রুম চালু করে বরগুনা জেলা প্রশাসন। ডিএনএ নমুনা সংগ্রহের জন্য রবিবার এলাকায় মাইকিং করে স্বজনদের সোমবার সকালে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে আসার অনুরোধ জানায় জেলা প্রশাসন। সোমবার সকাল থেকে নিখোঁজদের স্বজনরা বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভিড় করেন।
ইসমাইল আকন এবং তার মেয়ে তানজিলাও যায় ডিএনএ নমুনা দিতে।
দুই মেয়ে ফাহমিদা, সাদিয়া ও স্ত্রী রোকেয়া আক্তারকে নিতে ঢাকা থেকে লঞ্চে বরগুনা আসছিলেন ব্যবসায়ী আবদুল হক। শেষ কথা হয় ২৪ তারিখ রাত দুটার দিকে। লঞ্চে আগুনের ঘটনায় নিখোঁজ আবদুল হকের মরদেহ শনাক্তের জন্য দুই মেয়েসহ স্ত্রী রোকেয়া আক্তার সকাল থেকেই জেনারেল হাসপাতালে অপেক্ষা করছিলেন।
ইসমাইল আকন, তানজিলা ও রোকেয়া বেগমের মতোই সোমবার বরগুনা জেনারেল হাসপাতাল প্রাঙ্গণে ভিড় করেছেন নিখোঁজদের প্রায় অর্ধশতাধিক স্বজন। এদের মধ্যে একই পরিবারের একাধিক স্বজন নিখোঁজের সংখ্যাই বেশি। যে করেই হোক অন্তত এতটুকু তাঁরা জানতে চান যে, নিখোঁজ ব্যক্তিদের ভাগ্য কি ঘটেছে? পুড়ে ছাই নাকি সলিলসমাধি।
সোমবার অজ্ঞাতদের লাশ শনাক্ত করতে ৩১ জনের তথ্য বরগুনা জেলা প্রশাসনের কন্ট্রোল রুম নম্বরে জমা দিয়েছেন স্বজনরা। কন্ট্রোল রুমের সমন্বয়কারী সাইদুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ফরেনসিক ডিএনএ ল্যাবরেটরির সহকারী মেডিকেল টেকনোলজিস্ট তাজুল ইসলাম জানান, গতকাল সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ১২ জনের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবারও নমুনা সংগ্রহ করা হবে বলে জানান তিনি।তাজুল ইসলাম বলেন, সংগ্রহ করা নমুনাগুলোর প্রতিবেদন পেতে মাসখানেক সময় লাগবে।
এদিকে সোমবার দুপুরে বিষখালী নদীর ঝালকাঠি নাপিতের হাট এলাকা থেকে আরও একজনের ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। উদ্ধার হওয়া মরদেহটি বরগুনা সদরের বুড়িরচরের হাকিম শরীফের বলে নিশ্চিত করেছেন সদর থানা ওসি কেএম তারিকুল ইসলাম। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় মোট ৪১ জনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। এ ছাড়া আহত ৮৩ জন বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ ও ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
৫ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪