Ajker Patrika

বেড়িবাঁধ ভেঙে ৭ গ্রাম প্লাবিত, দুর্ভোগে মানুষ

পটুয়াখালী ও বেতাগী (বরগুনা) প্রতিনিধি
বেড়িবাঁধ ভেঙে ৭ গ্রাম প্লাবিত, দুর্ভোগে মানুষ

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে অতিবর্ষণ ও পূর্ণিমার জোয়ারের ফলে বরগুনার বেতাগী এবং পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে বেড়িবাঁধ ভেঙে গেছে। এতে সাতটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। চরম দুর্ভোগে পড়েছেন এসব গ্রামের বাসিন্দারা।

বিষখালী নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বেড়িবাঁধের রাস্তা ভেঙে বরগুনার বেতাগী উপজেলার সরিষামুড়ি ইউনিয়নের দুটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দী হয়েছে ২২টি পরিবার। কৃষকেরা ফসলের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন।

গত মঙ্গলবার রাতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) পুরোনো এ বেড়িবাঁধের ওপর নির্মিত গ্রামীণ রাস্তাটি দুটি পয়েন্টে ভেঙে যায়। এরপর গ্রামে পানি ঢুকে লোকালয় প্লাবিত হচ্ছে। বাঁধ ভেঙে নদীর পানি ধানখেতে প্রবেশ করে আমনের বীজতলার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ভেসে গেছে কয়েকটি মাছের ঘের। 

গতকাল বুধবার সেখানে গিয়ে দেখা গেছে, পাউবোর পুরোনো এ বেড়িবাঁধের ওপর দিয়ে কালিকাবড়ি থেকে ফুলঝুরি যাওয়ার গ্রামীণ রাস্তাটি জোয়ারের পানির চাপে ভেঙে বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ফাটল ধরেছে রাস্তার অন্যান্য অংশেও। স্থানীয় বাসিন্দারা গাছ দিয়ে সেতু বানিয়ে ভাঙা অংশ পার হচ্ছে। জোয়ারের পানি আরও বৃদ্ধি পেলে ফাটল ধরা অংশও নদীতে তলিয়ে যাবে।

কালিকাবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা মো. আব্দুল খালেক বলেন, ‘গত দুই দিনের টানা বৃষ্টি আর জোয়ারের পানির চাপে আমাদের চলাচলের রাস্তাটি ভেঙে বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। জোয়ারের পানি ঢুকে ২২টি পরিবার পানিবন্দী রয়েছে। আমরা আতঙ্কে আছি, যেকোনো সময় এই রাস্তা নদীতে বিলীন হয়ে যেতে পারে।’

একই গ্রামের কৃষক আব্দুল মালেক বলেন, ‘জোয়ারের পানি খেতে ঢুকে আমার ৮০ শতাংশ জমির ইরি ধানের বীজ পানিতে তলিয়ে নষ্ট হয়ে গেছে। দ্রুত জমি থেকে পানি নেমে না গেলে অনেক ক্ষতি হয়ে যাবে।’

বেতাগী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সুহৃদ সালেহীন বলেন, ‘বিষয়টি আমি জেনেছি। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে দ্রুতই রাস্তা সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে।’

এদিকে পায়রা নদীর প্রবল স্রোতে পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে বেড়িবাঁধ ভেঙে গেছে। গত মঙ্গলবার দুপুরের দিকে জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে দুই-তিন ফুট বৃদ্ধি পেয়ে পানির তোড়ে উপজেলার দেউলি সুবিদখালী ইউনিয়নের মেহিন্দাবাদ পয়েন্টের বিভিন্ন স্থানের বেড়িবাঁধ ভেঙে যায়। এতে ওই এলাকার মেহিন্দাবাদ, চরখালী, রানীপুর, দক্ষিণ চত্রা ও তেয়ানি গ্রামে পানি ঢুকে পড়ে এবং তলিয়ে যায় ওই পাঁচ গ্রামের আমনখেতসহ বিস্তীর্ণ জনপদ। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে অন্তত পাঁচ হাজার মানুষ। ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় বসবাসরত সেসব এলাকার বাসিন্দাদের সরিয়ে নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা মাসুদ আহমেদের সব পদ স্থগিত

টিআইএন নেওয়ার পরে কিন্তু ঘুমাইতে পারবেন না: এনবিআর চেয়ারম্যান

আ. লীগ নির্বাচনে অংশ নেবে কি না, তারাই সিদ্ধান্ত নেবে: বিবিসিকে প্রধান উপদেষ্টা

এনআইডির তথ্য ফাঁস করে ২০ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ জিয়াউলের বিরুদ্ধে

সাতকানিয়ায় নিহত জামায়াত কর্মীর লাশের পাশে ব্রাজিলের তৈরি অত্যাধুনিক পিস্তল

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত