সারিয়াকান্দি (বগুড়া) প্রতিনিধি
বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে দুটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চলছে একচালা টিনের ঘরে পাঠদান। ঘরগুলোর চারদিকে নেই কোনো বেড়া। সামান্য বৃষ্টি-ঝড়ে ভিজে যাচ্ছে শিক্ষার্থীরা। সেই সঙ্গে ভিজে যায় বইখাতা। প্রখর সূর্যের তাপে ঘেমেই ক্লাস করছে তারা। সেখানে নেই কোনো ব্ল্যাকবোর্ড। শিক্ষকদের জন্য নেই কোনো আলাদা বসার স্থান।
বলা হচ্ছে নদীভাঙনে যমুনায় বিলীন ভাঙ্গরগাছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মানিকদাইড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কথা। বিদ্যালয় দুটি এ বছর বন্যায় সম্পূর্ণরূপে যমুনা নদীতে বিলীন হয়েছে। তাই একচালা টিনের অস্থায়ী ঘরে চলছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান।
যমুনায় বারবার বিলীন হয়ে যাওয়া ভাঙ্গরগাছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি স্থাপিত হয় ১৯৩০ সালে। স্থাপনের ৩০ বছর পর প্রথম ভাঙনের কবলে পড়েছিল ১৯৬০ সালে।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শওকত আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, এরপর বিদ্যালয়টি ছয়বার ভাঙনের কবলে পড়ে। ছয়বারই করা হয়েছে ভাঙা-গড়ার খেলা। প্রথমে এটা ছিল চালুয়াবাড়ী ইউনিয়নের ভাঙ্গরগাছা চরে, নদীভাঙনের পর নেওয়া হয় হাটবাড়ী চরে, হাটবাড়ী চর থেকে শিমুলতাইড় চরে, সেখান থেকে ২০১৬ সালে নেওয়া হয় আবার ভাঙ্গরগাছা চরে, সেখান থেকে ২০১৯ সালে নেওয়া হয়েছিল চরনোয়ারপাড়া চরে।
চরনোয়ারপাড়া এ বছর ভাঙলে কোনোমতে শিমুলতাইড় গুচ্ছগ্রামের ধারে একচালা ছাপরা করে পাঠদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিদ্যালয়টিতে বর্তমান শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৯৪। শিক্ষক আছেন দুজন।
বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক মো. মাসুদ রানা বলেন, ‘আমি ভাঙ্গরগাছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তিন বছর আগে যোগদান করেছি। এই তিন বছরে এটি দুবার নদীভাঙনের শিকার হলো। গত বছরই ৩ লাখ টাকা ব্যয়ে এটি নতুনভাবে নির্মাণ করা হয়েছিল।’
অন্যদিকে কাজলা ইউনিয়নের মানিকদাইড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টিও এ বছর বিলীন হয় যমুনার নদীগর্ভে। ফলে একটি টিনের চালা নির্মাণ করে চলছে পাঠদান। এখানেও কোনো দরজা-জানালা বা বেড়া না থাকায় ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষকেরা সীমাহীন দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। স্কুলের আসবাবপত্র আছে অরক্ষিত।’
মানিকদাইড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ১৯৮০ সালে স্থাপন করা হয় মানিকদাইড় চরে। ২০১৫ সালের ১৭ আগস্ট নদীভাঙনের শিকার হলে বিদ্যালয়টিকে নেওয়া হয় দক্ষিণ মানিকদাইড় চরে। তারপর এ বছরের ৩০ আগস্ট আবার ভাঙনের শিকার হলে কোনোমতে টেংরাকুড়া চরে অস্থায়ী ভিত্তিতে পাঠদান শুরু করা হয়েছে।
মানিকদাইড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. জিন্নাত আলী শেখ বলেন, ‘আমাদের নিজেদের উদ্যোগে অস্থায়ী টিনের চালা নির্মাণ করে পাঠদান করছি। বিদ্যালয়টি পুনর্নির্মাণের জন্য এ পর্যন্ত সরকারি কোনো সহযোগিতা পাওয়া যায়নি।’
এ বিষয়ে কথা হলে সারিয়াকান্দি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. গোলাম কবির বলেন, স্কুল দুটি সরেজমিন পরিদর্শন করে স্থানীয় ব্যক্তিদের সঙ্গে আলোচনা করে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের অস্থায়ী ভিত্তিতে পাঠদান শুরু করা হয়েছে। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। সরকারি কোনো সহযোগিতা পেলে স্কুল দুটি পুনর্নির্মাণের কাজ শুরু করা হবে।
বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে দুটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চলছে একচালা টিনের ঘরে পাঠদান। ঘরগুলোর চারদিকে নেই কোনো বেড়া। সামান্য বৃষ্টি-ঝড়ে ভিজে যাচ্ছে শিক্ষার্থীরা। সেই সঙ্গে ভিজে যায় বইখাতা। প্রখর সূর্যের তাপে ঘেমেই ক্লাস করছে তারা। সেখানে নেই কোনো ব্ল্যাকবোর্ড। শিক্ষকদের জন্য নেই কোনো আলাদা বসার স্থান।
বলা হচ্ছে নদীভাঙনে যমুনায় বিলীন ভাঙ্গরগাছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মানিকদাইড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কথা। বিদ্যালয় দুটি এ বছর বন্যায় সম্পূর্ণরূপে যমুনা নদীতে বিলীন হয়েছে। তাই একচালা টিনের অস্থায়ী ঘরে চলছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান।
যমুনায় বারবার বিলীন হয়ে যাওয়া ভাঙ্গরগাছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি স্থাপিত হয় ১৯৩০ সালে। স্থাপনের ৩০ বছর পর প্রথম ভাঙনের কবলে পড়েছিল ১৯৬০ সালে।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শওকত আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, এরপর বিদ্যালয়টি ছয়বার ভাঙনের কবলে পড়ে। ছয়বারই করা হয়েছে ভাঙা-গড়ার খেলা। প্রথমে এটা ছিল চালুয়াবাড়ী ইউনিয়নের ভাঙ্গরগাছা চরে, নদীভাঙনের পর নেওয়া হয় হাটবাড়ী চরে, হাটবাড়ী চর থেকে শিমুলতাইড় চরে, সেখান থেকে ২০১৬ সালে নেওয়া হয় আবার ভাঙ্গরগাছা চরে, সেখান থেকে ২০১৯ সালে নেওয়া হয়েছিল চরনোয়ারপাড়া চরে।
চরনোয়ারপাড়া এ বছর ভাঙলে কোনোমতে শিমুলতাইড় গুচ্ছগ্রামের ধারে একচালা ছাপরা করে পাঠদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিদ্যালয়টিতে বর্তমান শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৯৪। শিক্ষক আছেন দুজন।
বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক মো. মাসুদ রানা বলেন, ‘আমি ভাঙ্গরগাছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তিন বছর আগে যোগদান করেছি। এই তিন বছরে এটি দুবার নদীভাঙনের শিকার হলো। গত বছরই ৩ লাখ টাকা ব্যয়ে এটি নতুনভাবে নির্মাণ করা হয়েছিল।’
অন্যদিকে কাজলা ইউনিয়নের মানিকদাইড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টিও এ বছর বিলীন হয় যমুনার নদীগর্ভে। ফলে একটি টিনের চালা নির্মাণ করে চলছে পাঠদান। এখানেও কোনো দরজা-জানালা বা বেড়া না থাকায় ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষকেরা সীমাহীন দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। স্কুলের আসবাবপত্র আছে অরক্ষিত।’
মানিকদাইড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ১৯৮০ সালে স্থাপন করা হয় মানিকদাইড় চরে। ২০১৫ সালের ১৭ আগস্ট নদীভাঙনের শিকার হলে বিদ্যালয়টিকে নেওয়া হয় দক্ষিণ মানিকদাইড় চরে। তারপর এ বছরের ৩০ আগস্ট আবার ভাঙনের শিকার হলে কোনোমতে টেংরাকুড়া চরে অস্থায়ী ভিত্তিতে পাঠদান শুরু করা হয়েছে।
মানিকদাইড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. জিন্নাত আলী শেখ বলেন, ‘আমাদের নিজেদের উদ্যোগে অস্থায়ী টিনের চালা নির্মাণ করে পাঠদান করছি। বিদ্যালয়টি পুনর্নির্মাণের জন্য এ পর্যন্ত সরকারি কোনো সহযোগিতা পাওয়া যায়নি।’
এ বিষয়ে কথা হলে সারিয়াকান্দি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. গোলাম কবির বলেন, স্কুল দুটি সরেজমিন পরিদর্শন করে স্থানীয় ব্যক্তিদের সঙ্গে আলোচনা করে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের অস্থায়ী ভিত্তিতে পাঠদান শুরু করা হয়েছে। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। সরকারি কোনো সহযোগিতা পেলে স্কুল দুটি পুনর্নির্মাণের কাজ শুরু করা হবে।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৪ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৪ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৪ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৪ দিন আগে