নওরীন ওশিন
আমি সাইকেল চালাই। চেষ্টা করি প্রতিদিনের বাহন হিসেবে সাইকেল ব্যবহার করতে। এতে গণপরিবহনের ওপর চাপ কমে আর নিজের ওপর আত্মনির্ভরশীলতা বাড়ে। সেই সঙ্গে শারীরিক ও মানসিক সুস্থ থাকা যায়।
খুব ছোটবেলায়, দ্বিতীয় বা তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ার সময় আমার বাবা সাইকেল চালানো শিখিয়েছিলেন। তখন ছোট ছোট শহরগুলোতে খুব বেশি মেয়েকে সাইকেল চালাতে দেখা যেত না। মেয়েদের সাইকেল চালানোর অনুকূল পরিবেশও ছিল না তখন। তবুও চেষ্টা করতাম, সুযোগ পেলেই সাইকেল চালাতে। মাঝে অনেক বছর সাইকেলের সঙ্গে সখ্যে ভাটা পড়েছিল। ২০১৪ সালে অপার আহমেদ নামে এক বড় আপা তাঁর নিজের সাইকেল উপহার দিলেন আমাকে। শুরু হলো শহরের রাস্তায় সাইকেলে পথচলা। রোদ-বৃষ্টি, যানজট, চারপাশের মানুষের নানারকম মন্তব্য ইত্যাদি পেরিয়ে পৌঁছে যাই গন্তব্যে। কখনো এমনি চলে যাওয়া যায় উদ্দেশ্যহীন পথে, শুধু সাইকেল সঙ্গী করে।
আমি পড়াশোনা করেছি পরিবেশবিজ্ঞানে। তাই বায়ুদূষণ, শব্দদূষণ, টেকসই উন্নয়ন, বাসযোগ্য শহর, টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা, প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ ইত্যাদি বিষয়ে কিছুটা হলেও সচেতন হওয়া এবং অন্যকে সচেতন করার তাগিদ অনুভব করি। অনেকের মতো আমিও মনে করি, মোটরচালিত বাহনের বদলে সাইকেল চালিয়ে বৈশ্বিক উষ্ণতা রোধে ভূমিকা রাখা যায়। বিশ্বজুড়ে এখন এক আশঙ্কার বিষয় বৈশ্বিক উষ্ণায়ন এবং গ্রিন হাউস ইফেক্ট। এর অন্যতম উপাদান কার্বন ডাই-অক্সাইড।
বিশ্বজুড়ে সচেতন মানুষেরা উৎকণ্ঠিত কীভাবে কার্বন নিঃসরণ কমানো যায়। সাইকেলের ব্যবহার কার্বন নিঃসরণ রোধে সহযোগিতা করে। ঢাকা শহরকে বাসযোগ্য রাখতে হলে যেভাবেই হোক সাইকেল আরোহীদের সংখ্যা আরও বাড়াতে হবে।
সাইকেল একদিকে যেমন কার্বন নিঃসরণ করে না, অন্যদিকে যানজট কমাতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে সাইকেল চালানোর ফলে চালকের শরীর ও মন সুস্থ থাকার পাশাপাশি মনোযোগ ও আত্মবিশ্বাস বাড়ে এবং বিষণ্নতা দূর হয়। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বা এসডিজি’এস-এর কয়েকটি লক্ষ্যের সঙ্গে সাইকেল সরাসরি জড়িত। যেমন, অনেক মানুষ এখন সাইকেল চালিয়ে অর্থ উপার্জন করছেন। এতে তাঁদের দারিদ্র্য দূর হচ্ছে। পুরুষের পাশাপাশি নারী সাইকেল আরোহীর সংখ্যা বাড়ছে ধীরে ধীরে। এতে লিঙ্গবৈষম্য দূর হচ্ছে। আমাদের দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে যেখানে যাতায়াতব্যবস্থা ভালো না, সেখানে ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েরাও সাইকেল চালিয়ে স্কুল-কলেজে যাচ্ছে।
আগে মনে করা হতো শুধু আর্থিকভাবে দুর্বল মানুষেরা সাইকেল চালায় কিন্তু এই ধারণা এখন বদলেছে। প্রায় সব শ্রেণি ও পেশার মানুষের মধ্যে এখন সাইকেল চালানোর প্রবণতা দেখা যায়। এ ছাড়া ক্লাইমেট অ্যাকশন টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার অন্যতম লক্ষ্য। একজন সাইকেল আরোহী এই লক্ষ্য অর্জনে ভূমিকা রাখে কার্বন নিঃসরণ না করে।
ফলে এখন সাইকেল চালানো আর স্বাস্থ্য উদ্ধার বা কম দূরত্বে যাতায়াতের বাহন কিংবা শুধু পরিবেশরক্ষার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। বরং এক সমন্বিত কর্মকাণ্ডে রূপ নিয়েছে।
লেখক: পরিবেশ কর্মী
আমি সাইকেল চালাই। চেষ্টা করি প্রতিদিনের বাহন হিসেবে সাইকেল ব্যবহার করতে। এতে গণপরিবহনের ওপর চাপ কমে আর নিজের ওপর আত্মনির্ভরশীলতা বাড়ে। সেই সঙ্গে শারীরিক ও মানসিক সুস্থ থাকা যায়।
খুব ছোটবেলায়, দ্বিতীয় বা তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ার সময় আমার বাবা সাইকেল চালানো শিখিয়েছিলেন। তখন ছোট ছোট শহরগুলোতে খুব বেশি মেয়েকে সাইকেল চালাতে দেখা যেত না। মেয়েদের সাইকেল চালানোর অনুকূল পরিবেশও ছিল না তখন। তবুও চেষ্টা করতাম, সুযোগ পেলেই সাইকেল চালাতে। মাঝে অনেক বছর সাইকেলের সঙ্গে সখ্যে ভাটা পড়েছিল। ২০১৪ সালে অপার আহমেদ নামে এক বড় আপা তাঁর নিজের সাইকেল উপহার দিলেন আমাকে। শুরু হলো শহরের রাস্তায় সাইকেলে পথচলা। রোদ-বৃষ্টি, যানজট, চারপাশের মানুষের নানারকম মন্তব্য ইত্যাদি পেরিয়ে পৌঁছে যাই গন্তব্যে। কখনো এমনি চলে যাওয়া যায় উদ্দেশ্যহীন পথে, শুধু সাইকেল সঙ্গী করে।
আমি পড়াশোনা করেছি পরিবেশবিজ্ঞানে। তাই বায়ুদূষণ, শব্দদূষণ, টেকসই উন্নয়ন, বাসযোগ্য শহর, টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা, প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ ইত্যাদি বিষয়ে কিছুটা হলেও সচেতন হওয়া এবং অন্যকে সচেতন করার তাগিদ অনুভব করি। অনেকের মতো আমিও মনে করি, মোটরচালিত বাহনের বদলে সাইকেল চালিয়ে বৈশ্বিক উষ্ণতা রোধে ভূমিকা রাখা যায়। বিশ্বজুড়ে এখন এক আশঙ্কার বিষয় বৈশ্বিক উষ্ণায়ন এবং গ্রিন হাউস ইফেক্ট। এর অন্যতম উপাদান কার্বন ডাই-অক্সাইড।
বিশ্বজুড়ে সচেতন মানুষেরা উৎকণ্ঠিত কীভাবে কার্বন নিঃসরণ কমানো যায়। সাইকেলের ব্যবহার কার্বন নিঃসরণ রোধে সহযোগিতা করে। ঢাকা শহরকে বাসযোগ্য রাখতে হলে যেভাবেই হোক সাইকেল আরোহীদের সংখ্যা আরও বাড়াতে হবে।
সাইকেল একদিকে যেমন কার্বন নিঃসরণ করে না, অন্যদিকে যানজট কমাতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে সাইকেল চালানোর ফলে চালকের শরীর ও মন সুস্থ থাকার পাশাপাশি মনোযোগ ও আত্মবিশ্বাস বাড়ে এবং বিষণ্নতা দূর হয়। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বা এসডিজি’এস-এর কয়েকটি লক্ষ্যের সঙ্গে সাইকেল সরাসরি জড়িত। যেমন, অনেক মানুষ এখন সাইকেল চালিয়ে অর্থ উপার্জন করছেন। এতে তাঁদের দারিদ্র্য দূর হচ্ছে। পুরুষের পাশাপাশি নারী সাইকেল আরোহীর সংখ্যা বাড়ছে ধীরে ধীরে। এতে লিঙ্গবৈষম্য দূর হচ্ছে। আমাদের দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে যেখানে যাতায়াতব্যবস্থা ভালো না, সেখানে ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েরাও সাইকেল চালিয়ে স্কুল-কলেজে যাচ্ছে।
আগে মনে করা হতো শুধু আর্থিকভাবে দুর্বল মানুষেরা সাইকেল চালায় কিন্তু এই ধারণা এখন বদলেছে। প্রায় সব শ্রেণি ও পেশার মানুষের মধ্যে এখন সাইকেল চালানোর প্রবণতা দেখা যায়। এ ছাড়া ক্লাইমেট অ্যাকশন টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার অন্যতম লক্ষ্য। একজন সাইকেল আরোহী এই লক্ষ্য অর্জনে ভূমিকা রাখে কার্বন নিঃসরণ না করে।
ফলে এখন সাইকেল চালানো আর স্বাস্থ্য উদ্ধার বা কম দূরত্বে যাতায়াতের বাহন কিংবা শুধু পরিবেশরক্ষার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। বরং এক সমন্বিত কর্মকাণ্ডে রূপ নিয়েছে।
লেখক: পরিবেশ কর্মী
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
২ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
২ দিন আগে