কাজল সরকার, হবিগঞ্জ
অনুমোদনের দীর্ঘ আড়াই বছরেও হবিগঞ্জে পিসিআর ল্যাব স্থাপন হয়নি। ল্যাবের জন্য নির্ধারিত ভবনের নির্মাণকাজ শেষ হলেও গণপূর্ত বিভাগের কাছ থেকে তা গ্রহণ করছে না স্বাস্থ্য বিভাগ। ভবন গ্রহণ নিয়ে জেলা সিভিল সার্জন, হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতাল এবং শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষের মধ্যে চলছে ঠেলাঠেলি।
হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ৭ জুলাই স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের এক সভায় হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ২০ শয্যার আইসোলেশন, ১০ শয্যার সিসিইউ, আইসিইউ বর্জ্য প্ল্যান্ট ও পিসিআর ল্যাবসহ মডার্ন মাইক্রোবায়োলজি ল্যাব, কিডনি ডায়ালাইসিস সেন্টার স্থাপনের সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় তা বেশি দূর এগোয়নি।
এদিকে মহামারি করোনা প্রাদুর্ভাব বাড়ায় সিলেট থেকে নমুনা পরীক্ষা করে আনতে চার-পাঁচ দিন সময় লাগে। জেলাবাসীর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সরকার ইমারজেন্সি রেসপন্স অ্যান্ড পেনডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস প্রকল্পের আওতায় পিসিআর ল্যাব জরুরি ভিত্তিতে স্থাপনের পদক্ষেপ নেয়। নিয়োগ দেওয়া হয় পাঁচজন টেকনিশিয়ান।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ল্যাবটি হবিগঞ্জ শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ পরিচালিত করবে বলে মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন আসে। অনুমোদনের সেই চিঠিতে লেখা হয় ‘হবিগঞ্জ শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল’। এ কারণে মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ সেটি গ্রহণ করতে অনীহা প্রকাশ করে। এ ছাড়া তারা জানিয়েছিল পিসিআর ল্যাব স্থাপনের জন্য তাদের কাছে জায়গা নেই।
পরে হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত হয় জেলা সদর হাসপাতালের সংক্রমণ রোগ প্রতিরোধ ইউনিটে ল্যাব স্থাপন করা হবে। ২০২১ সালের এপ্রিলে ল্যাব স্থাপনের ভবন পুনর্নির্মাণের জন্য ৫০ লাখ টাকার দরপত্র (টেন্ডার) আহ্বান করে গণপূর্ত বিভাগ। ওই বছরের ১১ মে দরপত্র খোলা হলে সিলেটের মেসার্স জালাল এন্টারপ্রাইজ কার্যাদেশ পায় গত ৩০ জুলাই।
হবিগঞ্জ গণপূর্ত বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী মাহবুবুল আলম শামীম বলেন, ‘ইতিমধ্যে ভবন পুনর্নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ভবন বুঝে নিয়েছি। কিন্তু প্রত্যাশিত প্রতিষ্ঠান শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ সেটি গ্রহণ করছে না। আমরা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। এখন এ ব্যাপারে তারাই সিদ্ধান্ত নেবেন।’
শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রধান সহকারী অধ্যাপক ডা. কান্তিপ্রিয় দাশ বলেন, ‘ল্যাবের অনুমোদন এবং বাস্তবায়ন করেছে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ। আমাদের মেডিকেল কলেজ রয়েছে স্বাস্থ্যশিক্ষা বিভাগের আওতায়। কিছুদিন আগে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ থেকে ভবন গ্রহণের চিঠির অনুলিপি এসেছে। এতে লেখা ছিল প্রত্যাশিত প্রতিষ্ঠান ভবন গ্রহণ করবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘কথা হলো আমাদের কাছে সরাসরি কোনো চিঠি আসেনি এবং আমরা প্রত্যাশিত প্রতিষ্ঠান না। এ ছাড়া স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ থেকে চিঠি এলেও আমরা সেটি গ্রহণ করতে পারব না। যদি স্বাস্থ্যশিক্ষা বিভাগ থেকে আমাদের নির্দেশনা দেয়, তাহলে গ্রহণ করব।’
শুধু ভবন গ্রহণ করলেই হবে না। ল্যাব পরিচালনার জন্য এখনো প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি আসেনি। দক্ষ জনবলের প্রয়োজন, সেটিও নেই। যে পাঁচজনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল, তাঁদের অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে জানান কান্তিপ্রিয় দাশ।
জেলা ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মুখলেছুর রহমান উজ্জ্বল বলেন, ‘এর সঙ্গে আমরা সরাসরি যুক্ত না। ভবনটি সদর হাসপাতালের, এ ব্যাপারে তত্ত্বাবধায়ক ভালো বলতে পারবেন।’ তবে ল্যাবের কোনো যন্ত্রপাতি এখনো আসেনি। কবে আসতে পারে—সেটিও জানেন না তিনি।
জেলা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আমিনুল হক সরকার বলেন, ‘এর দায়িত্ব মেডিকেল কলেজের। এতে সংশ্লিষ্টতা আমাদের নেই।’
অনুমোদনের দীর্ঘ আড়াই বছরেও হবিগঞ্জে পিসিআর ল্যাব স্থাপন হয়নি। ল্যাবের জন্য নির্ধারিত ভবনের নির্মাণকাজ শেষ হলেও গণপূর্ত বিভাগের কাছ থেকে তা গ্রহণ করছে না স্বাস্থ্য বিভাগ। ভবন গ্রহণ নিয়ে জেলা সিভিল সার্জন, হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতাল এবং শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষের মধ্যে চলছে ঠেলাঠেলি।
হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ৭ জুলাই স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের এক সভায় হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ২০ শয্যার আইসোলেশন, ১০ শয্যার সিসিইউ, আইসিইউ বর্জ্য প্ল্যান্ট ও পিসিআর ল্যাবসহ মডার্ন মাইক্রোবায়োলজি ল্যাব, কিডনি ডায়ালাইসিস সেন্টার স্থাপনের সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় তা বেশি দূর এগোয়নি।
এদিকে মহামারি করোনা প্রাদুর্ভাব বাড়ায় সিলেট থেকে নমুনা পরীক্ষা করে আনতে চার-পাঁচ দিন সময় লাগে। জেলাবাসীর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সরকার ইমারজেন্সি রেসপন্স অ্যান্ড পেনডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস প্রকল্পের আওতায় পিসিআর ল্যাব জরুরি ভিত্তিতে স্থাপনের পদক্ষেপ নেয়। নিয়োগ দেওয়া হয় পাঁচজন টেকনিশিয়ান।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ল্যাবটি হবিগঞ্জ শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ পরিচালিত করবে বলে মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন আসে। অনুমোদনের সেই চিঠিতে লেখা হয় ‘হবিগঞ্জ শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল’। এ কারণে মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ সেটি গ্রহণ করতে অনীহা প্রকাশ করে। এ ছাড়া তারা জানিয়েছিল পিসিআর ল্যাব স্থাপনের জন্য তাদের কাছে জায়গা নেই।
পরে হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত হয় জেলা সদর হাসপাতালের সংক্রমণ রোগ প্রতিরোধ ইউনিটে ল্যাব স্থাপন করা হবে। ২০২১ সালের এপ্রিলে ল্যাব স্থাপনের ভবন পুনর্নির্মাণের জন্য ৫০ লাখ টাকার দরপত্র (টেন্ডার) আহ্বান করে গণপূর্ত বিভাগ। ওই বছরের ১১ মে দরপত্র খোলা হলে সিলেটের মেসার্স জালাল এন্টারপ্রাইজ কার্যাদেশ পায় গত ৩০ জুলাই।
হবিগঞ্জ গণপূর্ত বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী মাহবুবুল আলম শামীম বলেন, ‘ইতিমধ্যে ভবন পুনর্নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ভবন বুঝে নিয়েছি। কিন্তু প্রত্যাশিত প্রতিষ্ঠান শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ সেটি গ্রহণ করছে না। আমরা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। এখন এ ব্যাপারে তারাই সিদ্ধান্ত নেবেন।’
শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রধান সহকারী অধ্যাপক ডা. কান্তিপ্রিয় দাশ বলেন, ‘ল্যাবের অনুমোদন এবং বাস্তবায়ন করেছে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ। আমাদের মেডিকেল কলেজ রয়েছে স্বাস্থ্যশিক্ষা বিভাগের আওতায়। কিছুদিন আগে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ থেকে ভবন গ্রহণের চিঠির অনুলিপি এসেছে। এতে লেখা ছিল প্রত্যাশিত প্রতিষ্ঠান ভবন গ্রহণ করবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘কথা হলো আমাদের কাছে সরাসরি কোনো চিঠি আসেনি এবং আমরা প্রত্যাশিত প্রতিষ্ঠান না। এ ছাড়া স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ থেকে চিঠি এলেও আমরা সেটি গ্রহণ করতে পারব না। যদি স্বাস্থ্যশিক্ষা বিভাগ থেকে আমাদের নির্দেশনা দেয়, তাহলে গ্রহণ করব।’
শুধু ভবন গ্রহণ করলেই হবে না। ল্যাব পরিচালনার জন্য এখনো প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি আসেনি। দক্ষ জনবলের প্রয়োজন, সেটিও নেই। যে পাঁচজনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল, তাঁদের অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে জানান কান্তিপ্রিয় দাশ।
জেলা ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মুখলেছুর রহমান উজ্জ্বল বলেন, ‘এর সঙ্গে আমরা সরাসরি যুক্ত না। ভবনটি সদর হাসপাতালের, এ ব্যাপারে তত্ত্বাবধায়ক ভালো বলতে পারবেন।’ তবে ল্যাবের কোনো যন্ত্রপাতি এখনো আসেনি। কবে আসতে পারে—সেটিও জানেন না তিনি।
জেলা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আমিনুল হক সরকার বলেন, ‘এর দায়িত্ব মেডিকেল কলেজের। এতে সংশ্লিষ্টতা আমাদের নেই।’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে