ফেরি চলাচলের জন্য বলেশ্বরে খনন শুরু

শরণখোলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৬ মার্চ ২০২২, ১৫: ৪১
Thumbnail image

অবশেষে বলেশ্বর নদের মাঝে জেগে ওঠা চর কাটতে খননকাজ (ড্রেজিং) শুরু করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ। গত বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে সাঙ্গু নামের একটি খননযন্ত্র (ড্রেজার) দিয়ে ওই চর কাটা শুরু হয়। চর কাটা হলে বাগেরহাটের শরণখোলা থেকে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার বড় মাছুয়া ফেরি পার হতে দেড় ঘণ্টার স্থলে ২০ মিনিট সময় লাগবে।

জানা গেছে, শরণখোলা ও মঠবাড়িয়াবাসীর দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে গত ১০ নভেম্বর থেকে বলেশ্বর নদে ফেরি চলাচল শুরু হয়। পিরোজপুর-৩ আসনের সাংসদ ডা. রুস্তুম আলী ফরাজী ও বাগেরহাট-৪ আসনের সাংসদ অ্যাডভোকেট আমিরুল আলম মিলন ফেরি চলাচলের উদ্বোধন করেন।

কিন্তু তিন কিলোমিটার চওড়া নদের মাঝে বিশাল আকারের চর থাকায় ফেরি ঘুরে যেতে প্রায় দেড় ঘণ্টা সময় লাগে। এতে যেমন বাড়তি জ্বালানি খরচ হয়, তেমনি যাত্রীদের সময় নষ্ট হয়। এ অবস্থায় গত ১৪ নভেম্বর দুর্ভোগ লাঘবের জন্য বাগেরহাট-৪ আসনের সাংসদ নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বরাবরে একটি পাঠান। ওই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রণালয় থেকে বলেশ্বর নদে খননকাজের সিদ্ধান্ত নেয়।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. কামাল হোসেন বলেন, বলেশ্বর নদের মাঝে জেগে ওঠা ২ হাজার ৮০০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ১২০ ফুট প্রস্থের চর কেটে নদের নাব্যতা ফিরিয়ে আনা হবে। এতে প্রায় ২০ / ২৫ দিন সময় লাগতে পারে। তবে স্রোতের কারণে কাজে বেগ পেতে হচ্ছে, তাই কিছুটা সময় বেশি লাগতে পারে।

ফেরির সুপারভাইজার মিন্টু অধিকারি বলেন, বলেশ্বর নদের চর কাটা হলে ফেরি পার হতে দেড় ঘণ্টার স্থানে মাত্র ২০ মিনিট লাগবে। তাতে জ্বালানি ও সময় উভয়ই সাশ্রয় হবে।

বাগেরহাট-৪ আসনের সাংসদ অ্যাডভোকেট আমিরুল আলম মিলন বলেন, বলেশ্বর নদে ফেরি চালু হওয়ায় দক্ষিণাঞ্চলের জেলার মানুষসহ সুন্দরবন ও কুয়াকাটাগামী দর্শনার্থীদের সময় এবং অর্থ উভয়ই সাশ্রয় হচ্ছে। খনন করা হলে ফেরি চলাচল আরও সহজ ও দুর্ভোগ লাগব হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শপথ নিয়েই বাইডেনের নীতি বাতিল ও ১০০ নির্বাহী আদেশের ঘোষণা ট্রাম্পের

শাহজালাল বিমানবন্দরে চাকরি নেননি মনোজ কুমার, বিজ্ঞাপনচিত্র নিয়ে বিভ্রান্তি

বিপিএলে আতশি কাচের নিচে চল্লিশের বেশি ক্রিকেটার

নতুন ভোটার যাচাই: জনপ্রতিনিধির দায়িত্ব পাচ্ছেন শিক্ষকেরা

বিদ্যালয়ে একই পরিবারের ১৬ জনের চাকরি, তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত