জমির উদ্দিন, চট্টগ্রাম
কারও হাত পুড়ে অঙ্গার, কারও পা। কারও-বা আবার ঝলছে গেছে পুরো শরীর। এমন মানুষজনকে নিয়ে দু-চার মিনিট পরপর হাসপাতালে ঢুকছে অ্যাম্বুলেন্স। ছুটে যাচ্ছেন স্বজন-সহকর্মী এবং এগিয়ে আসছেন চিকিৎসক-নার্স। তার মধ্য থেকেই হয়তো কেউ চিৎকার করে বলে উঠছেন ‘এখনো নিশ্বাস আছে, বাঁচান বাঁচান।’
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণের পর গত শনিবার মাঝরাত থেকে গতকাল রোববার প্রায় দিনভর এই দৃশ্য ছিল চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক)। আসতে থাকে একের পর এক অ্যাম্বুলেন্স। হাসপাতাল যেন একটি যুদ্ধক্ষেত্র। সেখানে লড়াই চলছে জীবন রক্ষার। যে যার অবস্থান থেকে সাধ্যমতো চেষ্টা করছেন মুমূর্ষু ব্যক্তিদের সেবা করতে।
এর মধ্যেই জরুরি বিভাগের লাশঘরের সামনে ঠাঁই দাঁড়িয়ে এক ছোট ভাইয়ের বুকফাটা আর্তনাদ আর আক্ষেপ–‘ভাই, তোকে বাঁচাতে পারলাম না।’ কেউ কেউ স্বজনের খোঁজে হাসপাতালেই রাত কাটিয়ে দিন পার করছেন। তবুও মনের মধ্যে নিদারুণ কষ্ট চেপে রেখে দীর্ঘ অপেক্ষা। জরুরি বিভাগের লাশঘরে মরদেহের স্তূপ আর বাতাসে পোড়া লাশের গন্ধ।
শনিবার রাতে বিস্ফোরণের পর থেকে চমেকে আসতে থাকে একের পর এক অ্যাম্বুলেন্স। রাত সাড়ে ১১টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত শুধু এক ঘণ্টাতেই ৪০টি অ্যাম্বুলেন্স আহত ব্যক্তিদের নিয়ে হাসপাতালে পৌঁছায়। রাত তিনটা পর্যন্ত তিনজন নিহত ও দুই শতাধিক আহত রোগী ভর্তি হয় হাসপাতালে। এই যেন এক মৃত্যুপুরী। সময় যত গড়িয়েছে আহত ও নিহতের সংখ্যা ততই বেড়েছে। রোববার বিকেল ৫টা পর্যন্ত নিহত ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়ায় ৪৯-এ।
চমেক হাসপাতালের দায়িত্বরত পুলিশ ও রেড ক্রিসেন্টের তথ্যমতে, রোববার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ঘণ্টায় চার-পাঁচজনের মরদেহ এসেছে হাসপাতালে। সন্ধ্যা পর্যন্ত ৫০ জনের মরদেহের বিষয়টি নিশ্চিত করেন চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন মো. ইলিয়াস চৌধুরী। নিহত ৫০ জনের মধ্যে পরিচয় শনাক্ত হয় মাত্র ১৫ জনের। তাঁদের মধ্যে ৮ জন ফায়ার সার্ভিসের কর্মী। যাঁরা আগুন নেভানোর সময় বিস্ফোরণে আহত হয়ে মারা যান।
বাকি ৩৫ জনের পরিচয় শনাক্ত করা যাচ্ছে না। কারণ শনাক্ত করার মতো দেহের কোনো অবশিষ্ট নেই। অর্থাৎ পুড়ে কয়লা হয়েছে এসব মরদেহ। এর মধ্যে এক মহিলা ও এক শিশুর মৃতদেহও আছে বলে জানান চমেক পুলিশ ফাঁড়ির কর্মকর্তা বাবুল চাকমা।
চমেক হাসপাতালে বার্ন ইউনিটের পাশাপাশি আহত রোগীদের ভর্তি করা হয় বিভিন্ন ওয়ার্ডে। অবস্থার অবনতি হলে, রাতেই সিভিল সার্জন ইলিয়াস চৌধুরী নির্দেশনা দেন চট্টগ্রাম শহরের বেসরকারি সব চিকিৎসককে চমেকে এসে চিকিৎসা দেওয়ার। তারপর বেসরকারি চিকিৎসকেরা চমেকে ছুটে এসে আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসাসেবা দেন।
মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের চট্টগ্রাম শাখার সাধারণ সম্পাদক ফায়সাল ইকবাল চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রামের সব ক্লিনিক, হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের চিকিৎসকেরা চমেকে কাজে যোগ দিয়েছেন। তাঁরা সাধ্যমতো রোগীদের সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছেন।
হাসপাতালে পরিদর্শনে এসে শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী জানান, মুমূর্ষু রোগীদের হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হবে। ঘটনার পর তদন্ত কমিটি হয়েছে। রিপোর্টের ভিত্তিতে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে চমেক হাসপাতালে স্বেচ্ছাসেবকদের দায়িত্ব পালন করছেন যুবলীগ-ছাত্রলীগ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, গাউসিয়া কমিটি, রেড ক্রিসেন্টসহ বিভিন্ন সেবা সংস্থা। আহত ব্যক্তিদের পাশে দাঁড়িয়ে রক্তও দিচ্ছেন কেউ কেউ।
কারও হাত পুড়ে অঙ্গার, কারও পা। কারও-বা আবার ঝলছে গেছে পুরো শরীর। এমন মানুষজনকে নিয়ে দু-চার মিনিট পরপর হাসপাতালে ঢুকছে অ্যাম্বুলেন্স। ছুটে যাচ্ছেন স্বজন-সহকর্মী এবং এগিয়ে আসছেন চিকিৎসক-নার্স। তার মধ্য থেকেই হয়তো কেউ চিৎকার করে বলে উঠছেন ‘এখনো নিশ্বাস আছে, বাঁচান বাঁচান।’
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণের পর গত শনিবার মাঝরাত থেকে গতকাল রোববার প্রায় দিনভর এই দৃশ্য ছিল চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক)। আসতে থাকে একের পর এক অ্যাম্বুলেন্স। হাসপাতাল যেন একটি যুদ্ধক্ষেত্র। সেখানে লড়াই চলছে জীবন রক্ষার। যে যার অবস্থান থেকে সাধ্যমতো চেষ্টা করছেন মুমূর্ষু ব্যক্তিদের সেবা করতে।
এর মধ্যেই জরুরি বিভাগের লাশঘরের সামনে ঠাঁই দাঁড়িয়ে এক ছোট ভাইয়ের বুকফাটা আর্তনাদ আর আক্ষেপ–‘ভাই, তোকে বাঁচাতে পারলাম না।’ কেউ কেউ স্বজনের খোঁজে হাসপাতালেই রাত কাটিয়ে দিন পার করছেন। তবুও মনের মধ্যে নিদারুণ কষ্ট চেপে রেখে দীর্ঘ অপেক্ষা। জরুরি বিভাগের লাশঘরে মরদেহের স্তূপ আর বাতাসে পোড়া লাশের গন্ধ।
শনিবার রাতে বিস্ফোরণের পর থেকে চমেকে আসতে থাকে একের পর এক অ্যাম্বুলেন্স। রাত সাড়ে ১১টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত শুধু এক ঘণ্টাতেই ৪০টি অ্যাম্বুলেন্স আহত ব্যক্তিদের নিয়ে হাসপাতালে পৌঁছায়। রাত তিনটা পর্যন্ত তিনজন নিহত ও দুই শতাধিক আহত রোগী ভর্তি হয় হাসপাতালে। এই যেন এক মৃত্যুপুরী। সময় যত গড়িয়েছে আহত ও নিহতের সংখ্যা ততই বেড়েছে। রোববার বিকেল ৫টা পর্যন্ত নিহত ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়ায় ৪৯-এ।
চমেক হাসপাতালের দায়িত্বরত পুলিশ ও রেড ক্রিসেন্টের তথ্যমতে, রোববার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ঘণ্টায় চার-পাঁচজনের মরদেহ এসেছে হাসপাতালে। সন্ধ্যা পর্যন্ত ৫০ জনের মরদেহের বিষয়টি নিশ্চিত করেন চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন মো. ইলিয়াস চৌধুরী। নিহত ৫০ জনের মধ্যে পরিচয় শনাক্ত হয় মাত্র ১৫ জনের। তাঁদের মধ্যে ৮ জন ফায়ার সার্ভিসের কর্মী। যাঁরা আগুন নেভানোর সময় বিস্ফোরণে আহত হয়ে মারা যান।
বাকি ৩৫ জনের পরিচয় শনাক্ত করা যাচ্ছে না। কারণ শনাক্ত করার মতো দেহের কোনো অবশিষ্ট নেই। অর্থাৎ পুড়ে কয়লা হয়েছে এসব মরদেহ। এর মধ্যে এক মহিলা ও এক শিশুর মৃতদেহও আছে বলে জানান চমেক পুলিশ ফাঁড়ির কর্মকর্তা বাবুল চাকমা।
চমেক হাসপাতালে বার্ন ইউনিটের পাশাপাশি আহত রোগীদের ভর্তি করা হয় বিভিন্ন ওয়ার্ডে। অবস্থার অবনতি হলে, রাতেই সিভিল সার্জন ইলিয়াস চৌধুরী নির্দেশনা দেন চট্টগ্রাম শহরের বেসরকারি সব চিকিৎসককে চমেকে এসে চিকিৎসা দেওয়ার। তারপর বেসরকারি চিকিৎসকেরা চমেকে ছুটে এসে আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসাসেবা দেন।
মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের চট্টগ্রাম শাখার সাধারণ সম্পাদক ফায়সাল ইকবাল চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রামের সব ক্লিনিক, হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের চিকিৎসকেরা চমেকে কাজে যোগ দিয়েছেন। তাঁরা সাধ্যমতো রোগীদের সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছেন।
হাসপাতালে পরিদর্শনে এসে শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী জানান, মুমূর্ষু রোগীদের হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হবে। ঘটনার পর তদন্ত কমিটি হয়েছে। রিপোর্টের ভিত্তিতে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে চমেক হাসপাতালে স্বেচ্ছাসেবকদের দায়িত্ব পালন করছেন যুবলীগ-ছাত্রলীগ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, গাউসিয়া কমিটি, রেড ক্রিসেন্টসহ বিভিন্ন সেবা সংস্থা। আহত ব্যক্তিদের পাশে দাঁড়িয়ে রক্তও দিচ্ছেন কেউ কেউ।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৬ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৬ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৬ দিন আগে