মির্জাপুর প্রতিনিধি
মির্জাপুর পৌরশহরের থানা রোডে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের এক সময়ের গুদামঘরটি দীর্ঘদিন ধরে অযত্ন-অবহেলায় পড়ে রয়েছে। গত পাঁচ বছরে এখানকার সরকারি জমির ৬ দশমিক ৫ শতাংশ বেদখল হয়ে গেছে। জমির একটা অংশ চলে গেছে স্থানীয় বাসিন্দাদের নির্মাণ করা ভবনের পেটে। সরকারি জমি এভাবে বেদখল হওয়ার পেছনে কর্তৃপক্ষের উদাসীনতাকেই দায়ী করছেন স্থানীয় সচেতনমহল।
এদিকে পরিত্যক্ত ওই গুদাম ঘরটি এখন স্থানীয় বাসিন্দাদের ফেলানো ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। এতে করে আশপাশের পরিবেশ অস্বাস্থ্যকর হয়ে পড়েছে। ফলে দুর্ভোগে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
কৃষি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, পৌরশহরের থানা রোডের শহীদ মিনারের উত্তর পাশে ৩০ দাগে মির্জাপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ২৪ শতাংশ জমি ছিল। এর বর্তমান বাজার মূল্য কমপক্ষে ১০ কোটি টাকা। এই জমির ওপর রয়েছে একটি ভবন, যেটি পিপি গোডাউন নামে পরিচিত। তবে দীর্ঘদিন ধরে অযত্ন-অবহেলায় জরাজীর্ণ হয়ে পড়ে আছে ভবনটি। ইতিমধ্যে এটিকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে।
জানা যায়, স্বাধীনতার পর এই জমির ওপর কৃষি বিভাগ পিপি গোডাউনটি নির্মাণ করে। এখান থেকে বীজ বিতরণ এবং ফসলে কীটনাশক প্রয়োগের কাজ চলত। আশির দশকে কীটনাশক বাজারে বিক্রি শুরু হলে পিপি গোডাউনটির কার্যক্রম আস্তে আস্তে বন্ধ হয়ে যায়। কার্যক্রম বন্ধ হওয়ার পর কয়েক বছর গোডাউনটিতে জনবলও ছিল।
তবে ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ায় তাদের প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। এরপর নৈশপ্রহরী কয়েক বছর ওখানে দায়িত্ব পালন করেন। গত ৫-৬ বছর ধরে নৈশপ্রহরীও জরাজীর্ণ ভবনে আর থাকছেন না। এ অবস্থায় ভবনটি পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে আছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেছে, ভবনটি পরিত্যক্ত হওয়ার পর থেকেই এর জায়গা বেদখল হতে শুরু করেছে। এই সুযোগে ভবনের দুই পাশের ফাঁকা জায়গা দখল হয়ে গেছে।
সম্প্রতি সীমানা প্রাচীর নির্মাণের উদ্দেশ্যে জায়গাটি পরিমাপের উদ্যোগ নেয় কৃষি বিভাগ। পরিমাপে দেখা যায়, ২৪ শতাংশ জমির মধ্যে রয়েছে ১৭ দশমিক ৫ শতাংশ। ভবনের দুই পাশে থাকা বাকি জায়গা দখল করে বহুতল ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। এই পিপি ভবনের পূর্ব পাশ দিয়ে রয়েছে সরকারি রাস্তা, যা নিয়ে কৃষি বিভাগের কোনো অভিযোগ নেই।
দক্ষিণ পাশের ভবনের মালিক বেল্লাল হোসেন বলেন, ‘আমি আমার কেনা জমির ওপরই ভবন নির্মাণ করেছি। এখানে কৃষি বিভাগের কোনো জায়গা নেই।’
একই ভবনের দক্ষিণ পাশে নির্মিত হয়েছে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল আজিজের চারতলা একটি বাড়ি। তিনি মারা যাওয়ার পর তাঁর উত্তরাধিকারীরা এ ব্যাপারে কিছু বলতে পারেননি। এ ছাড়া ভবনের উত্তর পাশের একটি ছয়তলা ভবন নির্মিত হয়েছে যার মালিক অরুন, বরুন এবং করুন সাহা। যোগাযোগ করা হলে তাঁরা জানান, ছয় শতাংশ জমি কৃষি বিভাগের লোকজনের উপস্থিতিতে পরিমাপ করা হয়েছে। তবে পশ্চিম পাশে কোনো স্থাপনা নির্মিত না হওয়ায় জমির মালিককে তা জানা সম্ভব হয়নি। পশ্চিম পাশে অব্যবহৃত ছোট একটি পুকুরও রয়েছে।
এদিকে ওই পরিত্যক্ত গুদাম ঘরটির সামনে পৌরসভার ময়লা ফেলার ভাগাড় করা হয়েছে। এতে আশপাশের পরিবেশ অস্বাস্থ্যকর হয়ে পড়েছে। ময়লা-আবর্জনার গন্ধে দুর্ভোগে পড়েছেন আশপাশের বাসিন্দারা।
জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার পাল বলেন, ‘সম্প্রতি কৃষি বিভাগের ওই জায়গাটি পরিমাপ করতে গিয়ে আশপাশের জায়গা দখল হওয়ার বিষয়টি বোঝা গেছে। এ কারণে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করা সম্ভব হয়নি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। দখলদারদের উচ্ছেদ করতে আইনগত প্রক্রিয়া চলমান।’
মির্জাপুর পৌরশহরের থানা রোডে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের এক সময়ের গুদামঘরটি দীর্ঘদিন ধরে অযত্ন-অবহেলায় পড়ে রয়েছে। গত পাঁচ বছরে এখানকার সরকারি জমির ৬ দশমিক ৫ শতাংশ বেদখল হয়ে গেছে। জমির একটা অংশ চলে গেছে স্থানীয় বাসিন্দাদের নির্মাণ করা ভবনের পেটে। সরকারি জমি এভাবে বেদখল হওয়ার পেছনে কর্তৃপক্ষের উদাসীনতাকেই দায়ী করছেন স্থানীয় সচেতনমহল।
এদিকে পরিত্যক্ত ওই গুদাম ঘরটি এখন স্থানীয় বাসিন্দাদের ফেলানো ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। এতে করে আশপাশের পরিবেশ অস্বাস্থ্যকর হয়ে পড়েছে। ফলে দুর্ভোগে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
কৃষি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, পৌরশহরের থানা রোডের শহীদ মিনারের উত্তর পাশে ৩০ দাগে মির্জাপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ২৪ শতাংশ জমি ছিল। এর বর্তমান বাজার মূল্য কমপক্ষে ১০ কোটি টাকা। এই জমির ওপর রয়েছে একটি ভবন, যেটি পিপি গোডাউন নামে পরিচিত। তবে দীর্ঘদিন ধরে অযত্ন-অবহেলায় জরাজীর্ণ হয়ে পড়ে আছে ভবনটি। ইতিমধ্যে এটিকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে।
জানা যায়, স্বাধীনতার পর এই জমির ওপর কৃষি বিভাগ পিপি গোডাউনটি নির্মাণ করে। এখান থেকে বীজ বিতরণ এবং ফসলে কীটনাশক প্রয়োগের কাজ চলত। আশির দশকে কীটনাশক বাজারে বিক্রি শুরু হলে পিপি গোডাউনটির কার্যক্রম আস্তে আস্তে বন্ধ হয়ে যায়। কার্যক্রম বন্ধ হওয়ার পর কয়েক বছর গোডাউনটিতে জনবলও ছিল।
তবে ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ায় তাদের প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। এরপর নৈশপ্রহরী কয়েক বছর ওখানে দায়িত্ব পালন করেন। গত ৫-৬ বছর ধরে নৈশপ্রহরীও জরাজীর্ণ ভবনে আর থাকছেন না। এ অবস্থায় ভবনটি পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে আছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেছে, ভবনটি পরিত্যক্ত হওয়ার পর থেকেই এর জায়গা বেদখল হতে শুরু করেছে। এই সুযোগে ভবনের দুই পাশের ফাঁকা জায়গা দখল হয়ে গেছে।
সম্প্রতি সীমানা প্রাচীর নির্মাণের উদ্দেশ্যে জায়গাটি পরিমাপের উদ্যোগ নেয় কৃষি বিভাগ। পরিমাপে দেখা যায়, ২৪ শতাংশ জমির মধ্যে রয়েছে ১৭ দশমিক ৫ শতাংশ। ভবনের দুই পাশে থাকা বাকি জায়গা দখল করে বহুতল ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। এই পিপি ভবনের পূর্ব পাশ দিয়ে রয়েছে সরকারি রাস্তা, যা নিয়ে কৃষি বিভাগের কোনো অভিযোগ নেই।
দক্ষিণ পাশের ভবনের মালিক বেল্লাল হোসেন বলেন, ‘আমি আমার কেনা জমির ওপরই ভবন নির্মাণ করেছি। এখানে কৃষি বিভাগের কোনো জায়গা নেই।’
একই ভবনের দক্ষিণ পাশে নির্মিত হয়েছে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল আজিজের চারতলা একটি বাড়ি। তিনি মারা যাওয়ার পর তাঁর উত্তরাধিকারীরা এ ব্যাপারে কিছু বলতে পারেননি। এ ছাড়া ভবনের উত্তর পাশের একটি ছয়তলা ভবন নির্মিত হয়েছে যার মালিক অরুন, বরুন এবং করুন সাহা। যোগাযোগ করা হলে তাঁরা জানান, ছয় শতাংশ জমি কৃষি বিভাগের লোকজনের উপস্থিতিতে পরিমাপ করা হয়েছে। তবে পশ্চিম পাশে কোনো স্থাপনা নির্মিত না হওয়ায় জমির মালিককে তা জানা সম্ভব হয়নি। পশ্চিম পাশে অব্যবহৃত ছোট একটি পুকুরও রয়েছে।
এদিকে ওই পরিত্যক্ত গুদাম ঘরটির সামনে পৌরসভার ময়লা ফেলার ভাগাড় করা হয়েছে। এতে আশপাশের পরিবেশ অস্বাস্থ্যকর হয়ে পড়েছে। ময়লা-আবর্জনার গন্ধে দুর্ভোগে পড়েছেন আশপাশের বাসিন্দারা।
জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার পাল বলেন, ‘সম্প্রতি কৃষি বিভাগের ওই জায়গাটি পরিমাপ করতে গিয়ে আশপাশের জায়গা দখল হওয়ার বিষয়টি বোঝা গেছে। এ কারণে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করা সম্ভব হয়নি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। দখলদারদের উচ্ছেদ করতে আইনগত প্রক্রিয়া চলমান।’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে