দেওয়ানগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি
শেষ রাতে ঘুম থেকে উঠতে হয় জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার রোজিনা, সালেকা, জবেদাদের। ঘুম থেকে উঠে পরিবারের কাজ শেষ করে সকাল সকাল জীবিকার তাগিদে ছুটতে হয় তাঁদের। কেউ যান মরিচ তোলার কাজে, কেউ যান ভুট্টা সংগ্রহে, কেউ ইটভাটায়, আবার কেউ সড়ক মেরামতের কাজ করেন। এসব কাজে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত হাড়ভাঙা খাটুনি ও কঠোর শ্রম দিতে হয় তাঁদের। তবে পুরুষের সমান কাজ করলেও তাঁদের ভাগ্যে জোটে পুরুষের অর্ধেক মজুরি।
শুধু রোজিনা, সালেকা কিংবা জবেদাই নন, জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে নারী শ্রমিকদের সার্বিক চিত্র এমনই। এ অঞ্চলে এ সময় রবিশস্য মরিচ ও ভুট্টা চাষ বেশি হয়। মরিচ গাছ থেকে ছাড়িয়ে নেওয়া, ভুট্টার মোচা গাছ থেকে ছাড়িয়ে নেওয়া এবং খোসা ছাড়ানোর কাজে দুই-তৃতীয়াংশ নারী শ্রমিক কাজ করে থাকেন। পুরুষ শ্রমিকের এসব কাজে মজুরি হয় দিনে জনপ্রতি ৪০০ টাকা। সেখানে পুরুষের অর্ধেক মজুরি অর্থাৎ ২০০ টাকা দেওয়া হয় নারী শ্রমিকদের।
মজুরি তুলনামূলক কম হওয়ায় এ অঞ্চলের কৃষকেরা এসব কাজে নারী শ্রমিকদের নির্বাচন করে থাকেন। সংসারের অভাব-অনটন আর টানাপোড়েনে পড়ে পুরুষ শ্রমিকের সমান কাজ করেও অর্ধেক মজুরিতে কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন এসব নারী শ্রমিক।
উপজেলার চর মাগুরীহাট গ্রামের নারী শ্রমিক হাসিনা, মরিচফুল, অজিফা ও রত্না বেগম জানান, অভাব-অনটনের সংসার তাঁদের। এ বাজারে একজনের আয়ে সংসার চালানো কঠিন। বাধ্য হয়ে পুরুষের পাশাপাশি তাঁরাও শ্রম বিক্রি করছেন। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত শ্রম দিয়েও মজুরি পাচ্ছেন পুরুষ শ্রমিকের অর্ধেক। খোলাবাড়ী গ্রামের নারী শ্রমিক হেলেনা, কুলসুম ও আমিরন জানান, এ অঞ্চলের নারী শ্রমিকদের কদর থাকলেও মজুরির বেলায় বৈষম্য টানা হচ্ছে। প্রতি নারী শ্রমিককে দৈনিক মজুরি দেওয়া হয় ২০০ টাকা। পুরুষ শ্রমিকেরা সমান কাজ করেও দৈনিক মজুরি পাচ্ছেন ৪০০ টাকা।
একদিকে অভাব-অনটন মেটাতে এ অঞ্চলের নারী শ্রমিকদের জীবিকার কঠোর সংগ্রাম, অন্যদিকে খেতখামারে ধুলাবালুতে কাজ করতে গিয়ে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছেন এসব নারী। প্রায়ই জ্বর, সর্দি-কাশিসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন তাঁরা।
শিখা রানী ও মর্জিনা জানান, স্বামী নেই। ছেলেরা আলাদা সংসার পেতেছেন। অভাব-অনটনে তাঁদের সংসার জর্জরিত। এ কারণে নিজেই কাজ করে সংসার চালাচ্ছেন তাঁরা। শিখা বলেন, ‘এ অঞ্চলে আমাদের মতো নারী শ্রমিকদের মজুরি পুরুষদের অর্ধেক। জীবন বাঁচানোর তাগিদে বাধ্য হয়ে ওই অর্ধেক মজুরিতেই কাজ করতে হচ্ছে আমাদের। স্বল্প মজুরিতেই সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে।’
উপজেলার মাছেনিরচরের নারী শ্রমিক ইরানি, ফুলভান, পারুল ও বিনা ফুল বলেন, ‘সারা দিন ধুলাবালুতে কাজ করে বাড়িতে ফিরলে শরীরে বিভিন্ন রকমের সমস্যা দেখা দেয়। সর্দি-কাশি হয়, শরীরে জ্বর-জ্বর ভাব দেখা দেয়। কোনো কিছু খেতে ভালো লাগে না। পুরো শরীর ব্যথা করে। অভাবের সংসার, কাজ না করে কি করব? তাই পেটের দায়ে কাজ করতে হচ্ছে।’
জাহেদা জেগম বলেন, ‘পুরুষের সমান কাজ করেও তাঁদের সমান মজুরি পাই না। আমাদের মজুরি পুরুষের সমান করার দাবি জানাচ্ছি।’
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আহসান হাবীব জানান, পুরুষের মতো নারীর শরীর ধুলাবালুতে শ্রমসহনীয় নয়। এ কারণেই এ অঞ্চলের বেশির ভাগ নারী শ্রমিকের প্রাণঘাতী সিলিকোসিস ব্যাধিতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
শেষ রাতে ঘুম থেকে উঠতে হয় জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার রোজিনা, সালেকা, জবেদাদের। ঘুম থেকে উঠে পরিবারের কাজ শেষ করে সকাল সকাল জীবিকার তাগিদে ছুটতে হয় তাঁদের। কেউ যান মরিচ তোলার কাজে, কেউ যান ভুট্টা সংগ্রহে, কেউ ইটভাটায়, আবার কেউ সড়ক মেরামতের কাজ করেন। এসব কাজে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত হাড়ভাঙা খাটুনি ও কঠোর শ্রম দিতে হয় তাঁদের। তবে পুরুষের সমান কাজ করলেও তাঁদের ভাগ্যে জোটে পুরুষের অর্ধেক মজুরি।
শুধু রোজিনা, সালেকা কিংবা জবেদাই নন, জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে নারী শ্রমিকদের সার্বিক চিত্র এমনই। এ অঞ্চলে এ সময় রবিশস্য মরিচ ও ভুট্টা চাষ বেশি হয়। মরিচ গাছ থেকে ছাড়িয়ে নেওয়া, ভুট্টার মোচা গাছ থেকে ছাড়িয়ে নেওয়া এবং খোসা ছাড়ানোর কাজে দুই-তৃতীয়াংশ নারী শ্রমিক কাজ করে থাকেন। পুরুষ শ্রমিকের এসব কাজে মজুরি হয় দিনে জনপ্রতি ৪০০ টাকা। সেখানে পুরুষের অর্ধেক মজুরি অর্থাৎ ২০০ টাকা দেওয়া হয় নারী শ্রমিকদের।
মজুরি তুলনামূলক কম হওয়ায় এ অঞ্চলের কৃষকেরা এসব কাজে নারী শ্রমিকদের নির্বাচন করে থাকেন। সংসারের অভাব-অনটন আর টানাপোড়েনে পড়ে পুরুষ শ্রমিকের সমান কাজ করেও অর্ধেক মজুরিতে কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন এসব নারী শ্রমিক।
উপজেলার চর মাগুরীহাট গ্রামের নারী শ্রমিক হাসিনা, মরিচফুল, অজিফা ও রত্না বেগম জানান, অভাব-অনটনের সংসার তাঁদের। এ বাজারে একজনের আয়ে সংসার চালানো কঠিন। বাধ্য হয়ে পুরুষের পাশাপাশি তাঁরাও শ্রম বিক্রি করছেন। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত শ্রম দিয়েও মজুরি পাচ্ছেন পুরুষ শ্রমিকের অর্ধেক। খোলাবাড়ী গ্রামের নারী শ্রমিক হেলেনা, কুলসুম ও আমিরন জানান, এ অঞ্চলের নারী শ্রমিকদের কদর থাকলেও মজুরির বেলায় বৈষম্য টানা হচ্ছে। প্রতি নারী শ্রমিককে দৈনিক মজুরি দেওয়া হয় ২০০ টাকা। পুরুষ শ্রমিকেরা সমান কাজ করেও দৈনিক মজুরি পাচ্ছেন ৪০০ টাকা।
একদিকে অভাব-অনটন মেটাতে এ অঞ্চলের নারী শ্রমিকদের জীবিকার কঠোর সংগ্রাম, অন্যদিকে খেতখামারে ধুলাবালুতে কাজ করতে গিয়ে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছেন এসব নারী। প্রায়ই জ্বর, সর্দি-কাশিসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন তাঁরা।
শিখা রানী ও মর্জিনা জানান, স্বামী নেই। ছেলেরা আলাদা সংসার পেতেছেন। অভাব-অনটনে তাঁদের সংসার জর্জরিত। এ কারণে নিজেই কাজ করে সংসার চালাচ্ছেন তাঁরা। শিখা বলেন, ‘এ অঞ্চলে আমাদের মতো নারী শ্রমিকদের মজুরি পুরুষদের অর্ধেক। জীবন বাঁচানোর তাগিদে বাধ্য হয়ে ওই অর্ধেক মজুরিতেই কাজ করতে হচ্ছে আমাদের। স্বল্প মজুরিতেই সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে।’
উপজেলার মাছেনিরচরের নারী শ্রমিক ইরানি, ফুলভান, পারুল ও বিনা ফুল বলেন, ‘সারা দিন ধুলাবালুতে কাজ করে বাড়িতে ফিরলে শরীরে বিভিন্ন রকমের সমস্যা দেখা দেয়। সর্দি-কাশি হয়, শরীরে জ্বর-জ্বর ভাব দেখা দেয়। কোনো কিছু খেতে ভালো লাগে না। পুরো শরীর ব্যথা করে। অভাবের সংসার, কাজ না করে কি করব? তাই পেটের দায়ে কাজ করতে হচ্ছে।’
জাহেদা জেগম বলেন, ‘পুরুষের সমান কাজ করেও তাঁদের সমান মজুরি পাই না। আমাদের মজুরি পুরুষের সমান করার দাবি জানাচ্ছি।’
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আহসান হাবীব জানান, পুরুষের মতো নারীর শরীর ধুলাবালুতে শ্রমসহনীয় নয়। এ কারণেই এ অঞ্চলের বেশির ভাগ নারী শ্রমিকের প্রাণঘাতী সিলিকোসিস ব্যাধিতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে