লোহাগড়া (নড়াইল) প্রতিনিধি
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায় চলতি মৌসুমে বোরো ধানের ভালো ফলনের আশা করছেন কৃষকেরা। উপজেলা কৃষি কার্যালয় বলছে, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং গত কয়েক বছর ধরে ভালো দাম পাওয়ায় উপজেলার কৃষকেরা দিন দিন বোরো চাষে ঝুঁকছেন। ফলন ঠিক রাখতে কৃষকদের সার্বিক পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা প্রবীর কুমার জানান, চলতি মৌসুমে উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার ১০ হাজার ২৩০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হলেও প্রায় ১০ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে। উপজেলার মরিচ পাশা, চাচই, জয়পুর, গন্ডব, লাহুড়িয়া, মাকড়াইল, আড়পাড়া, কামঠানা, মল্লিকপুর, দেবি, সরুশুনা, দিঘলিয়া, আমডাঙ্গা, ধোপাদাহ, ধানাইড় গ্রামে ধানের আবাদ বেশি হয়েছে।
মরিচ পাশা গ্রামের কৃষক মো. লিন্টু ঠাকুর জানান, প্রতি একর জমিতে বোরো ধান চাষে সব মিলিয়ে ৩০ হাজার টাকা খরচ হয়। ভালো ফলন হলে একরপ্রতি ৬০-৬৫ মণ ধান পাওয়া যায়। প্রতি মণ ধান ১ হাজার ১৫০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা করে বিক্রি করতে পারলে প্রতি একর থেকে প্রায় ৭০ হাজার-৭৫ হাজার টাকা আসে। ধান ঘরে তোলা পর্যন্ত আরও প্রায় ১৫ হাজার টাকা খরচ বাদ দিলেও ৩০-৩৫ হাজার টাকা লাভ থাকে।
লোহাগড়া উপজেলার চাচই গ্রামের কৃষক মো. আয়ুউব হোসেন জানান, কয়েক বছর ধরে ভালো ফলনের পাশাপাশি ভালো দাম পাওয়ায় দিন দিন বোরো ধান চাষে এ উপজেলার কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে। সবকিছু ঠিক থাকলে এ বছর বোরো ধানের ফলন অনেক ভালো হবে। দাম ভালো পেলে কৃষকেরা বেশ লাভবান হবেন।
লোহাগড়া ইউনিয়নের কাউড়িখোলা গ্রামের কৃষক প্রসাদ কুমার গাইন বলেন, ‘গত বছর ধানের ভাল দাম পেয়েছেন কৃষকেরা। তাই অধিক লাভের আশায় এবারও তাঁরা ধান চাষের প্রতি ঝুঁকছেন। তা ছাড়া এবার আবহাওয়া ভালো রয়েছে। প্রাকৃতিক কোনো দুর্যোগ না হলে এবার ধানের ভালো ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। সেচ এবং প্রয়োজন অনুযায়ী সার ও কীটনাশক ঠিকমত দিলেই ভালো ফলন পাওয়া যায়।
কাউড়িখোলা গ্রামের কৃষক প্রসাদ কুমার গাইন বলেন, ‘গত বছর ভালো দাম পাওয়ায় কৃষকেরা এবারও ধান চাষে ঝুঁকেছেন। এবার আবহাওয়াও ভালো রয়েছে। প্রাকৃতিক কোনো দুর্যোগ না হলে এবার ধানের ভালো ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।’
ধোপাদাহ গ্রামের শহিদুল হাসান নামের এক কৃষক বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের কারণে বোরোর আবাদ কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও পর্যাপ্ত জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। আবহাওয়া ও মাটি বরো চাষের জন্য অত্যন্ত উপযোগী হওয়ায় এখানে ফলন খুব ভালো হয়। তা ছাড়া পর পর কয়েক বছর ধরে ধানের দাম বেশ ভালো পাওয়া যাচ্ছে। এমন চলতে থাকলে পুরো উপজেলায় বোরো আবাদ বাড়তে থাকবে।
ইউনিয়ন ভিত্তিক উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন জানান, বর্তমানে লোহাগড়ার কৃষকদের কাছে ধান প্রধান অর্থকরী ফসল। তাই দিন দিন তাঁরা এর আবাদে ঝুঁকছেন। ধান চাষে কৃষকেরা যেন কোনো সমস্যার সম্মুখীন না হন সে জন্য কৃষি কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ে কার্যক্রম চালাচ্ছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. রইচউদ্দিন বলেন, ‘উপজেলায় এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি ধান চাষ হয়েছে। শুরু থেকেই কৃষি বিভাগ কৃষকদের সঠিক সময়ে চারা লাগানো, নিবিড় পর্যবেক্ষণ, সার ও কীটনাশক দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে উপজেলায় ইরি-বোরো ধানের ফলন অন্যান্য বারের থেকে অনেক ভালো হবে। মাঠ পর্যায়ে কৃষি কর্মকর্তরা কৃষকের সঙ্গে ধানের ফলন ঠিক রাখার জন্য প্রয়োজনীয় সব ধরণের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন।’
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায় চলতি মৌসুমে বোরো ধানের ভালো ফলনের আশা করছেন কৃষকেরা। উপজেলা কৃষি কার্যালয় বলছে, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং গত কয়েক বছর ধরে ভালো দাম পাওয়ায় উপজেলার কৃষকেরা দিন দিন বোরো চাষে ঝুঁকছেন। ফলন ঠিক রাখতে কৃষকদের সার্বিক পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা প্রবীর কুমার জানান, চলতি মৌসুমে উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার ১০ হাজার ২৩০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হলেও প্রায় ১০ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে। উপজেলার মরিচ পাশা, চাচই, জয়পুর, গন্ডব, লাহুড়িয়া, মাকড়াইল, আড়পাড়া, কামঠানা, মল্লিকপুর, দেবি, সরুশুনা, দিঘলিয়া, আমডাঙ্গা, ধোপাদাহ, ধানাইড় গ্রামে ধানের আবাদ বেশি হয়েছে।
মরিচ পাশা গ্রামের কৃষক মো. লিন্টু ঠাকুর জানান, প্রতি একর জমিতে বোরো ধান চাষে সব মিলিয়ে ৩০ হাজার টাকা খরচ হয়। ভালো ফলন হলে একরপ্রতি ৬০-৬৫ মণ ধান পাওয়া যায়। প্রতি মণ ধান ১ হাজার ১৫০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা করে বিক্রি করতে পারলে প্রতি একর থেকে প্রায় ৭০ হাজার-৭৫ হাজার টাকা আসে। ধান ঘরে তোলা পর্যন্ত আরও প্রায় ১৫ হাজার টাকা খরচ বাদ দিলেও ৩০-৩৫ হাজার টাকা লাভ থাকে।
লোহাগড়া উপজেলার চাচই গ্রামের কৃষক মো. আয়ুউব হোসেন জানান, কয়েক বছর ধরে ভালো ফলনের পাশাপাশি ভালো দাম পাওয়ায় দিন দিন বোরো ধান চাষে এ উপজেলার কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে। সবকিছু ঠিক থাকলে এ বছর বোরো ধানের ফলন অনেক ভালো হবে। দাম ভালো পেলে কৃষকেরা বেশ লাভবান হবেন।
লোহাগড়া ইউনিয়নের কাউড়িখোলা গ্রামের কৃষক প্রসাদ কুমার গাইন বলেন, ‘গত বছর ধানের ভাল দাম পেয়েছেন কৃষকেরা। তাই অধিক লাভের আশায় এবারও তাঁরা ধান চাষের প্রতি ঝুঁকছেন। তা ছাড়া এবার আবহাওয়া ভালো রয়েছে। প্রাকৃতিক কোনো দুর্যোগ না হলে এবার ধানের ভালো ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। সেচ এবং প্রয়োজন অনুযায়ী সার ও কীটনাশক ঠিকমত দিলেই ভালো ফলন পাওয়া যায়।
কাউড়িখোলা গ্রামের কৃষক প্রসাদ কুমার গাইন বলেন, ‘গত বছর ভালো দাম পাওয়ায় কৃষকেরা এবারও ধান চাষে ঝুঁকেছেন। এবার আবহাওয়াও ভালো রয়েছে। প্রাকৃতিক কোনো দুর্যোগ না হলে এবার ধানের ভালো ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।’
ধোপাদাহ গ্রামের শহিদুল হাসান নামের এক কৃষক বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের কারণে বোরোর আবাদ কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও পর্যাপ্ত জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। আবহাওয়া ও মাটি বরো চাষের জন্য অত্যন্ত উপযোগী হওয়ায় এখানে ফলন খুব ভালো হয়। তা ছাড়া পর পর কয়েক বছর ধরে ধানের দাম বেশ ভালো পাওয়া যাচ্ছে। এমন চলতে থাকলে পুরো উপজেলায় বোরো আবাদ বাড়তে থাকবে।
ইউনিয়ন ভিত্তিক উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন জানান, বর্তমানে লোহাগড়ার কৃষকদের কাছে ধান প্রধান অর্থকরী ফসল। তাই দিন দিন তাঁরা এর আবাদে ঝুঁকছেন। ধান চাষে কৃষকেরা যেন কোনো সমস্যার সম্মুখীন না হন সে জন্য কৃষি কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ে কার্যক্রম চালাচ্ছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. রইচউদ্দিন বলেন, ‘উপজেলায় এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি ধান চাষ হয়েছে। শুরু থেকেই কৃষি বিভাগ কৃষকদের সঠিক সময়ে চারা লাগানো, নিবিড় পর্যবেক্ষণ, সার ও কীটনাশক দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে উপজেলায় ইরি-বোরো ধানের ফলন অন্যান্য বারের থেকে অনেক ভালো হবে। মাঠ পর্যায়ে কৃষি কর্মকর্তরা কৃষকের সঙ্গে ধানের ফলন ঠিক রাখার জন্য প্রয়োজনীয় সব ধরণের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন।’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে