মো. জহিরুল হক বাবু, বুড়িচং
ঢাকার একটি বেসরকারি কোম্পানির সেলস ম্যানেজার পদে চাকরি করতেন হুমায়ূন কবির। নিজের কর্মক্ষমতা ও পরিশ্রমে অল্প দিনেই সিনিয়র এরিয়া সেলস ম্যানেজার পদে পদোন্নতি পান। সব ভালোই চলছিল। হঠাৎ ২০১৫ সালের অক্টোবর মাসে স্ট্রোক করেন তিনি। ছয় মাস চিকিৎসা শেষে ডান হাত ও পা প্যারালাইসিস অবস্থায় হাসপাতাল ছাড়েন। এই অবস্থায় কোম্পানি স্বপদে বহাল রাখে হুমায়ূনকে। কিন্তু অসুস্থতার কারণে আগের মতো কর্মদক্ষতার পরিচয় দিতে পারছিলেন না তিনি। এরপর শুরু হয় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। বাধ্য হয়ে চাকরি ছেড়ে গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার মিথিলাপুর গ্রামে ফিরে আসেন। বর্তমানে সেখানে ফলবাগান, সবজি চাষ ও গরুর খামার করে স্বাচ্ছন্দ্যে আছেন তিনি। এতে তাঁকে সহযোগিতা করেছেন উপজেলা কৃষি অফিসের কর্মকর্তারা।
চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়ার বিষয়ে হুমায়ূন কবির বলছিলেন, অসুস্থতার মধ্যেও কোম্পানি চাকরিতে বহাল রাখে। একসময় করোনা সংক্রমণে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাব পড়ে কোম্পানির ওপর। কমতে থাকে উৎপাদন ও বিক্রি। কর্মীদের ছাঁটাই করছিল কোম্পানি। মানবিক দিক বিবেচনা করে আমাকে রাখলেও কোম্পানির কথা চিন্তা করে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে চাকরি থেকে অব্যাহতি নিই।
উপজেলার মিথিলাপুর গ্রামটি সবুজ-শ্যামল হিসেবে পরিচিত। সেখানে কাটতে থাকে হুমায়ূনের সময়। সাত মাস বাড়িতে থেকে দুশ্চিন্তা হুমায়ূনকে আরও অসুস্থতার দিকে ঠেলে দিচ্ছিল। অলস না থেকে কিছু একটা করার চিন্তা আসে হুমায়ূনের মাথায়। বাড়ির আঙিনা ও পরিত্যক্ত জমিতে ফসল করার চিন্তা করেন তিনি।
২০২১ সালের শেষের দিকে স্ত্রীকে নিয়ে বুড়িচং উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয়ে যান হুমায়ূন। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ বানিন রায়ের কাছে খুলে বলেন সবকিছু। সব শুনে হুমায়ূনের বাড়ি পরিদর্শনে আসেন কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা বানিন রায়। বাড়ি পরিদর্শন শেষে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ইসরাফিল আলমকে নির্দেশ দেন বাড়ির আঙিনাসহ পরিত্যক্ত জমিগুলো চাষাবাদের আওতায় আনতে হুমায়ূনকে সহায়তা দেওয়ার জন্য।
হুমায়ূন কৃষি বিভাগের পরামর্শ ও সহযোগিতায় বাড়ির আঙিনা ও পরিত্যক্ত জমিগুলোকে কাজে লাগাতে শুরু করেন। প্রথমে আঙিনায় আম, কাঁঠাল, লেবু, জাম্বুরা, কলা, বিলিম্বু গাছ লাগান। পাশেই বিভিন্ন মৌসুমি সবজি করলা, বেগুন, টমেটো, ঢ্যাঁড়সের চাষ শুরু করেন। এই কাজে সহযোগিতা করেন স্ত্রী ও ছোট ভাই।
পরে জানুয়ারি মাসে কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় বাড়ির পাশের পরিত্যক্ত ৬০ শতক জমিতে ভুট্টা চাষ করেন হুমায়ূন। ভুট্টা গাছের পাতা গবাদিপশুর উৎকৃষ্ট খাদ্য হিসেবে ব্যবহার হয়। তাই হুমায়ূন মনস্থির করলেন, একটি গরুর খামার করবেন। বাড়ি আঙিনার একপাশে পুরোনো একটি ঘর সংস্কার করে গরুর খামার তৈরি করলেন তিনি। প্রথম ধাপে পাঁচটি গরু দিয়ে খামারের যাত্রা শুরু। গরুর খাবার হিসেবে ভুট্টাগাছের পাতা ব্যবহার করেন তিনি।
এদিকে ৬০ শতক জমিতে লাগানো ভুট্টার বাম্পার ফলন হয়েছে। প্রতিটি গাছে দুই থেকে তিনটি মোচা হয়েছে। আর প্রতিটি মোচায় ২০০ থেকে ২৫০ গ্রাম ভুট্টা হবে। হুমায়ূন জানান, এখন পর্যন্ত ১৬ হাজার ৫০০ টাকা খরচ হয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যেই ভুট্টা সংগ্রহ করা যাবে। ৬০ শতক জমিতে প্রায় ৭০ থেকে ৮০ মণ ভুট্টা হবে; যা দিয়ে আগামী এক বছর তিনি গরুর খাদ্যের চাহিদা মেটাতে পারবেন।
হুমায়ূন কবির আরও বলেন, একটা সময় নিজেকে পরিবারের বোঝা মনে হতো। কিন্তু কৃষি বিভাগের পরামর্শে আজ আমি স্বাভাবিকভাবে চলছি।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা বানিন রায় বলেন, হুমায়ূন কবির যখন আমার অফিসে এসেছিলেন, তিনি ভালোভাবে হাঁটতে পারতেন না, কথা বলতেও কষ্ট হতো। কিন্তু তাঁর আগ্রহ ছিল।
ঢাকার একটি বেসরকারি কোম্পানির সেলস ম্যানেজার পদে চাকরি করতেন হুমায়ূন কবির। নিজের কর্মক্ষমতা ও পরিশ্রমে অল্প দিনেই সিনিয়র এরিয়া সেলস ম্যানেজার পদে পদোন্নতি পান। সব ভালোই চলছিল। হঠাৎ ২০১৫ সালের অক্টোবর মাসে স্ট্রোক করেন তিনি। ছয় মাস চিকিৎসা শেষে ডান হাত ও পা প্যারালাইসিস অবস্থায় হাসপাতাল ছাড়েন। এই অবস্থায় কোম্পানি স্বপদে বহাল রাখে হুমায়ূনকে। কিন্তু অসুস্থতার কারণে আগের মতো কর্মদক্ষতার পরিচয় দিতে পারছিলেন না তিনি। এরপর শুরু হয় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। বাধ্য হয়ে চাকরি ছেড়ে গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার মিথিলাপুর গ্রামে ফিরে আসেন। বর্তমানে সেখানে ফলবাগান, সবজি চাষ ও গরুর খামার করে স্বাচ্ছন্দ্যে আছেন তিনি। এতে তাঁকে সহযোগিতা করেছেন উপজেলা কৃষি অফিসের কর্মকর্তারা।
চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়ার বিষয়ে হুমায়ূন কবির বলছিলেন, অসুস্থতার মধ্যেও কোম্পানি চাকরিতে বহাল রাখে। একসময় করোনা সংক্রমণে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাব পড়ে কোম্পানির ওপর। কমতে থাকে উৎপাদন ও বিক্রি। কর্মীদের ছাঁটাই করছিল কোম্পানি। মানবিক দিক বিবেচনা করে আমাকে রাখলেও কোম্পানির কথা চিন্তা করে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে চাকরি থেকে অব্যাহতি নিই।
উপজেলার মিথিলাপুর গ্রামটি সবুজ-শ্যামল হিসেবে পরিচিত। সেখানে কাটতে থাকে হুমায়ূনের সময়। সাত মাস বাড়িতে থেকে দুশ্চিন্তা হুমায়ূনকে আরও অসুস্থতার দিকে ঠেলে দিচ্ছিল। অলস না থেকে কিছু একটা করার চিন্তা আসে হুমায়ূনের মাথায়। বাড়ির আঙিনা ও পরিত্যক্ত জমিতে ফসল করার চিন্তা করেন তিনি।
২০২১ সালের শেষের দিকে স্ত্রীকে নিয়ে বুড়িচং উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয়ে যান হুমায়ূন। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ বানিন রায়ের কাছে খুলে বলেন সবকিছু। সব শুনে হুমায়ূনের বাড়ি পরিদর্শনে আসেন কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা বানিন রায়। বাড়ি পরিদর্শন শেষে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ইসরাফিল আলমকে নির্দেশ দেন বাড়ির আঙিনাসহ পরিত্যক্ত জমিগুলো চাষাবাদের আওতায় আনতে হুমায়ূনকে সহায়তা দেওয়ার জন্য।
হুমায়ূন কৃষি বিভাগের পরামর্শ ও সহযোগিতায় বাড়ির আঙিনা ও পরিত্যক্ত জমিগুলোকে কাজে লাগাতে শুরু করেন। প্রথমে আঙিনায় আম, কাঁঠাল, লেবু, জাম্বুরা, কলা, বিলিম্বু গাছ লাগান। পাশেই বিভিন্ন মৌসুমি সবজি করলা, বেগুন, টমেটো, ঢ্যাঁড়সের চাষ শুরু করেন। এই কাজে সহযোগিতা করেন স্ত্রী ও ছোট ভাই।
পরে জানুয়ারি মাসে কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় বাড়ির পাশের পরিত্যক্ত ৬০ শতক জমিতে ভুট্টা চাষ করেন হুমায়ূন। ভুট্টা গাছের পাতা গবাদিপশুর উৎকৃষ্ট খাদ্য হিসেবে ব্যবহার হয়। তাই হুমায়ূন মনস্থির করলেন, একটি গরুর খামার করবেন। বাড়ি আঙিনার একপাশে পুরোনো একটি ঘর সংস্কার করে গরুর খামার তৈরি করলেন তিনি। প্রথম ধাপে পাঁচটি গরু দিয়ে খামারের যাত্রা শুরু। গরুর খাবার হিসেবে ভুট্টাগাছের পাতা ব্যবহার করেন তিনি।
এদিকে ৬০ শতক জমিতে লাগানো ভুট্টার বাম্পার ফলন হয়েছে। প্রতিটি গাছে দুই থেকে তিনটি মোচা হয়েছে। আর প্রতিটি মোচায় ২০০ থেকে ২৫০ গ্রাম ভুট্টা হবে। হুমায়ূন জানান, এখন পর্যন্ত ১৬ হাজার ৫০০ টাকা খরচ হয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যেই ভুট্টা সংগ্রহ করা যাবে। ৬০ শতক জমিতে প্রায় ৭০ থেকে ৮০ মণ ভুট্টা হবে; যা দিয়ে আগামী এক বছর তিনি গরুর খাদ্যের চাহিদা মেটাতে পারবেন।
হুমায়ূন কবির আরও বলেন, একটা সময় নিজেকে পরিবারের বোঝা মনে হতো। কিন্তু কৃষি বিভাগের পরামর্শে আজ আমি স্বাভাবিকভাবে চলছি।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা বানিন রায় বলেন, হুমায়ূন কবির যখন আমার অফিসে এসেছিলেন, তিনি ভালোভাবে হাঁটতে পারতেন না, কথা বলতেও কষ্ট হতো। কিন্তু তাঁর আগ্রহ ছিল।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে