পরিবারের স্বপ্ন ছিল সাদি মহম্মদ ইঞ্জিনিয়ার হবেন। দুইটি বছর পড়লেনও বুয়েটে। এরপরই গান তাঁকে করল ঘরছাড়া। একবুক স্বপ্ন নিয়ে, মাকে রাজি করিয়ে, ছুটলেন পরদেশে। ভারতের বোলপুরের শান্তিনিকেতনে ছুটে যাওয়া সেদিনের সাদি মহম্মদ একসময় হয়ে উঠলেন দেশের জনপ্রিয় রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী।
পরিবারের যেমন অবদান রয়েছে দেশের জন্য, তেমনি শিল্পী হিসেবেও তিনি দেশকে দিয়েছেন অনেক। বিনিময়ে চেয়েছিলেন সম্মান। তার কতটা পেয়েছেন, সেই হিসাব কষার সময় এসেছে। গত বুধবার সন্ধ্যায় যখন তিনি বুকভরা অভিমান নিয়ে বরণ করে নিলেন স্বেচ্ছামৃত্যুকে, সারা দেশের সংগীতপ্রিয় মানুষ স্তব্ধ হয়ে গেলেন শোকে। গুণী এই শিল্পীকে নিয়ে আজকের পত্রিকার বিশেষ আয়োজন।
একনজরে সাদি মহম্মদ
পুরো নাম: সাদি মহম্মদ ত্বকীউল্লাহ
জন্ম: ১৯৫৭ সালের ৪ অক্টোবর, পলাশী ব্যারাক
বেড়ে ওঠা: মোহাম্মদপুর, ঢাকা
বাবা: সলিম উল্লাহ
মা: জেবুন্নেছা সলিম উল্লাহ
ভাই-বোন: ১০ জন
পড়ালেখা: রবীন্দ্রসংগীত নিয়ে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি
প্রথম অ্যালবাম: মাঝে মাঝে তব দেখা পাই
সুরকার হিসেবে প্রথম অ্যালবাম: আমাকে খুঁজে পাবে ভোরের শিশিরে (২০০৭)
সংগঠক: সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘রবিরাগ’-এর পরিচালক
পুরস্কার: বাংলা একাডেমি রবীন্দ্র পুরস্কারসহ বহু সম্মাননা।
সাদি মহম্মদ যে বড্ড অভিমানী
খুব ভালো মানুষ ছিল আমার ভাই। শুধু একটাই সমস্যা ছিল, ভীষণ অভিমানী, বড্ড অভিমানী। সেই অভিমান নিয়েই চলে গেছে। মনে করত ওকে মূল্যায়ন করেনি কেউ। আমরা বোঝাতাম তোমাকে হাজার কোটি লোক ভালোবাসে, তোমার গান ভালোবাসে, এটাই সবচেয়ে বড় পাওয়া। আমরা তো প্রাপ্তির জন্য কাজ করি না। আমরা কাজ করি ভালোবেসে। আমাদের শিক্ষার্থীরা আমাদের সন্তান। ওদেরকে দেখেই তো আনন্দ হয়। সারা বিশ্বে ওনার শিষ্য। এটা কি বেঁচে থাকা নয়? অনেক বুঝিয়েছি। কিন্তু ভেতরের চাপা কষ্ট ছিল। বিশেষ করে, মা মারা যাওয়ার পর প্রায়ই বলত, মা চলে গেছে আমি আর থাকব না। মা ও বোনকে হারিয়ে সে খুব ট্রমার মধ্যে থাকত। রাষ্ট্রীয় কিছু পদক যদি পেত তাহলে হয়তো তৃপ্ত হতো। ও তো গান নিয়েই ছিল। আর কিছু ওর ছিল না, ভিন্ন কোনো জগৎ ছিল না। কিন্তু সে তো কিছু পায়নি।
এত পদক এত মানুষ পায়, কিন্তু আমার ভাইকে কখনোই কেউ ভাবে না। এটা নিয়ে ওর মনে অনেক কষ্ট ছিল। আমরা দুই ভাই প্রায়ই বলতাম, মৃত্যুর পর আমাদের পুরস্কার দিতে চাইলে আমরা গ্রহণ করব না। আমি এ বছর একুশে পদক পেয়েছি। কিন্তু সাদি মহম্মদ তো আমার বড়। আমি যখন পদক নিতে যাই, সেটা আমার জন্য যে কতটা বিব্রতকর ছিল, বলে বোঝাতে পারব না! আমার কত লজ্জা হয়েছে যেতে! আমি এমনও বলেছি, ভাই আমি নেব না এ পদক। সে আমাকে বলল, কেন তুই নিবি না। তুই তো নাচের জন্য দেশের হয়ে কম করিসনি। আমি তাকে বললাম, তুমিও তো রবীন্দ্রসংগীতের জন্য কম কর নাই।
উত্তরে আমায় বলল, তুই পেলেই আমি খুশি। পদক প্রদান অনুষ্ঠানের দাওয়াত কার্ড এল। ওকে দাওয়াত কার্ড দেওয়ার পর বলল, থাক রে, তুই যা। তুই নিলে আমি অনেক খুশি হব। সেখানে লোকে আমাকে দেখে প্রশ্ন করবে, করুণা দেখাবে; জানতে চাইবে, আপনাকে কেন দেয় না। আমি এগুলো নিতে পারব না।
সত্যি কথা বলতে কি, আমার কাছে এখনো এগুলো কোনো ম্যাটার মনে হয় না। শিল্পীরা কোনো পদক বা প্রাপ্তির জন্য কাজ করে না। মানুষের ভালোবাসাই তাদের সব। কিন্তু আমার ভাই সাদি মহম্মদ যে বড্ড অভিমানী, সেটা তো অস্বীকার করতে পারব না!
—শিবলী মোহাম্মদ,নৃত্যশিল্পী ও সাদি মহম্মদের ভাই
জাতি তাঁর কাছ থেকে আরও অনেক কিছু পেতে পারত
সাদি একজন অনন্য মানুষ ও শিল্পী হিসেবে গড়ে উঠেছিলেন। জাতি এবং শ্রোতারা তাঁর কাছ থেকে আরও অনেক কিছু পেতে পারত। অসময়ে তাঁর এই চলে যাওয়ায় আমরা এমনভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি, যে ক্ষতি কোনো দিন পূরণ হবে না। কখনো ভাবিনি সাদি মহম্মদ এভাবে চলে যাবেন। সত্তর দশকের শেষ থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত প্রায় ৪৫ বছরের মতো কাজ করে গেছেন তিনি। মুক্তিযুদ্ধ, বাঙালি সংস্কৃতি, বাংলা সংগীত, রবীন্দ্রসংগীত, দেশাত্মবোধক—এসবের প্রতি তাঁর যে মমতা, নিবেদন, শ্রম, চর্চা; সবকিছু মিলে সাদি একজন অনন্য মানুষ।
—নাসির উদ্দীন ইউসুফ, চলচ্চিত্র নির্মাতা
চাপা কষ্টগুলো তাঁকে আত্মহননের দিকে নিয়ে গেছে
ছোট হোক বড় হোক, সাদি মহম্মদ তক্বীউল্লাহ কিন্তু একটা নাম। গান বলেন কিংবা শিক্ষকতা—সব করেছেন। কিন্তু সেভাবে স্বীকৃতিটা তিনি পাননি। এটা তাঁর একটা বড় কষ্ট ছিল। এটা খুব স্বাভাবিক। অনেকেই তেমন কিছু না করেও রাষ্ট্রীয় পদক পাচ্ছেন। রাষ্ট্র তো পরের ব্যাপার, আমরাই বা তাঁকে কতটুকু মূল্যায়ন করতে পেরেছি। আমার মনে হয় সেই মনঃকষ্ট থেকেই তিনি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এ ছাড়া মাকে হারিয়ে তিনি ট্রমার মধ্যে ছিলেন। সবকিছু মিলিয়ে চাপা কষ্টগুলো তাঁকে আত্মহননের দিকে নিয়ে গেছে।
—ফরিদা পারভীন, সংগীতশিল্পী
তাঁর ভেতরের কষ্ট, অভিমান সেটা আমরা ছুঁতে পারি নাই
সাদি ভাই পুরো বাংলাদেশকে অনেক কিছু দিয়েছেন। কেন এমন নিষ্ঠুরের মতো সাদি ভাই চলে গেলেন, সেই প্রশ্নটাই খুঁজছি। এই উত্তরটা বোধ হয় তিনিই ভালো দিতে পারতেন। তাঁর ভেতরের যে কষ্ট, অভিমান—সেটা আমরা ছুঁতে পারিনি, বুঝতে পারিনি। এটা হয়তো আমাদের ব্যর্থতা। আমার একটাই চাওয়া, আমরা যেন তাঁকে মনে রাখি, অন্তরে ধারণ করি।
—শামীম আরা নিপা, নৃত্যশিল্পী
বুকভরা অভিমান নিয়ে চলে গেলেন
বসন্ত উৎসবে বিটিভির একটি অনুষ্ঠানে স্যারের সঙ্গে সারা দিন ছিলাম। সারাটা সময় স্যার শুধু অভিমানের কথা বলেছেন। সারাক্ষণ অতীতের কথা, ওনার বাবার মৃত্যুর গল্প করলেন। আমার মনে হলো, স্যার তো এত কথা বলেন না! সে সময় উনি বলেন, তাঁকে যদি মরণোত্তর কোনো পুরস্কার দেওয়া হয় তাহলে তিনি ফিরিয়ে দেবেন। মাত্র ১৫ দিনের ব্যবধানে এভাবে স্যারের মৃত্যু দেখতে হবে, ভাবতে পারিনি। নবাগত শিল্পীদের যে মানুষটা প্রথম দরজায় নিয়ে যান, তিনি সাদি মহম্মদ। আর তিনিই চলে গেলেন বুকভরা অভিমান নিয়ে।
—অনিমা রায়, সংগীতশিল্পী
পরিবারের স্বপ্ন ছিল সাদি মহম্মদ ইঞ্জিনিয়ার হবেন। দুইটি বছর পড়লেনও বুয়েটে। এরপরই গান তাঁকে করল ঘরছাড়া। একবুক স্বপ্ন নিয়ে, মাকে রাজি করিয়ে, ছুটলেন পরদেশে। ভারতের বোলপুরের শান্তিনিকেতনে ছুটে যাওয়া সেদিনের সাদি মহম্মদ একসময় হয়ে উঠলেন দেশের জনপ্রিয় রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী।
পরিবারের যেমন অবদান রয়েছে দেশের জন্য, তেমনি শিল্পী হিসেবেও তিনি দেশকে দিয়েছেন অনেক। বিনিময়ে চেয়েছিলেন সম্মান। তার কতটা পেয়েছেন, সেই হিসাব কষার সময় এসেছে। গত বুধবার সন্ধ্যায় যখন তিনি বুকভরা অভিমান নিয়ে বরণ করে নিলেন স্বেচ্ছামৃত্যুকে, সারা দেশের সংগীতপ্রিয় মানুষ স্তব্ধ হয়ে গেলেন শোকে। গুণী এই শিল্পীকে নিয়ে আজকের পত্রিকার বিশেষ আয়োজন।
একনজরে সাদি মহম্মদ
পুরো নাম: সাদি মহম্মদ ত্বকীউল্লাহ
জন্ম: ১৯৫৭ সালের ৪ অক্টোবর, পলাশী ব্যারাক
বেড়ে ওঠা: মোহাম্মদপুর, ঢাকা
বাবা: সলিম উল্লাহ
মা: জেবুন্নেছা সলিম উল্লাহ
ভাই-বোন: ১০ জন
পড়ালেখা: রবীন্দ্রসংগীত নিয়ে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি
প্রথম অ্যালবাম: মাঝে মাঝে তব দেখা পাই
সুরকার হিসেবে প্রথম অ্যালবাম: আমাকে খুঁজে পাবে ভোরের শিশিরে (২০০৭)
সংগঠক: সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘রবিরাগ’-এর পরিচালক
পুরস্কার: বাংলা একাডেমি রবীন্দ্র পুরস্কারসহ বহু সম্মাননা।
সাদি মহম্মদ যে বড্ড অভিমানী
খুব ভালো মানুষ ছিল আমার ভাই। শুধু একটাই সমস্যা ছিল, ভীষণ অভিমানী, বড্ড অভিমানী। সেই অভিমান নিয়েই চলে গেছে। মনে করত ওকে মূল্যায়ন করেনি কেউ। আমরা বোঝাতাম তোমাকে হাজার কোটি লোক ভালোবাসে, তোমার গান ভালোবাসে, এটাই সবচেয়ে বড় পাওয়া। আমরা তো প্রাপ্তির জন্য কাজ করি না। আমরা কাজ করি ভালোবেসে। আমাদের শিক্ষার্থীরা আমাদের সন্তান। ওদেরকে দেখেই তো আনন্দ হয়। সারা বিশ্বে ওনার শিষ্য। এটা কি বেঁচে থাকা নয়? অনেক বুঝিয়েছি। কিন্তু ভেতরের চাপা কষ্ট ছিল। বিশেষ করে, মা মারা যাওয়ার পর প্রায়ই বলত, মা চলে গেছে আমি আর থাকব না। মা ও বোনকে হারিয়ে সে খুব ট্রমার মধ্যে থাকত। রাষ্ট্রীয় কিছু পদক যদি পেত তাহলে হয়তো তৃপ্ত হতো। ও তো গান নিয়েই ছিল। আর কিছু ওর ছিল না, ভিন্ন কোনো জগৎ ছিল না। কিন্তু সে তো কিছু পায়নি।
এত পদক এত মানুষ পায়, কিন্তু আমার ভাইকে কখনোই কেউ ভাবে না। এটা নিয়ে ওর মনে অনেক কষ্ট ছিল। আমরা দুই ভাই প্রায়ই বলতাম, মৃত্যুর পর আমাদের পুরস্কার দিতে চাইলে আমরা গ্রহণ করব না। আমি এ বছর একুশে পদক পেয়েছি। কিন্তু সাদি মহম্মদ তো আমার বড়। আমি যখন পদক নিতে যাই, সেটা আমার জন্য যে কতটা বিব্রতকর ছিল, বলে বোঝাতে পারব না! আমার কত লজ্জা হয়েছে যেতে! আমি এমনও বলেছি, ভাই আমি নেব না এ পদক। সে আমাকে বলল, কেন তুই নিবি না। তুই তো নাচের জন্য দেশের হয়ে কম করিসনি। আমি তাকে বললাম, তুমিও তো রবীন্দ্রসংগীতের জন্য কম কর নাই।
উত্তরে আমায় বলল, তুই পেলেই আমি খুশি। পদক প্রদান অনুষ্ঠানের দাওয়াত কার্ড এল। ওকে দাওয়াত কার্ড দেওয়ার পর বলল, থাক রে, তুই যা। তুই নিলে আমি অনেক খুশি হব। সেখানে লোকে আমাকে দেখে প্রশ্ন করবে, করুণা দেখাবে; জানতে চাইবে, আপনাকে কেন দেয় না। আমি এগুলো নিতে পারব না।
সত্যি কথা বলতে কি, আমার কাছে এখনো এগুলো কোনো ম্যাটার মনে হয় না। শিল্পীরা কোনো পদক বা প্রাপ্তির জন্য কাজ করে না। মানুষের ভালোবাসাই তাদের সব। কিন্তু আমার ভাই সাদি মহম্মদ যে বড্ড অভিমানী, সেটা তো অস্বীকার করতে পারব না!
—শিবলী মোহাম্মদ,নৃত্যশিল্পী ও সাদি মহম্মদের ভাই
জাতি তাঁর কাছ থেকে আরও অনেক কিছু পেতে পারত
সাদি একজন অনন্য মানুষ ও শিল্পী হিসেবে গড়ে উঠেছিলেন। জাতি এবং শ্রোতারা তাঁর কাছ থেকে আরও অনেক কিছু পেতে পারত। অসময়ে তাঁর এই চলে যাওয়ায় আমরা এমনভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি, যে ক্ষতি কোনো দিন পূরণ হবে না। কখনো ভাবিনি সাদি মহম্মদ এভাবে চলে যাবেন। সত্তর দশকের শেষ থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত প্রায় ৪৫ বছরের মতো কাজ করে গেছেন তিনি। মুক্তিযুদ্ধ, বাঙালি সংস্কৃতি, বাংলা সংগীত, রবীন্দ্রসংগীত, দেশাত্মবোধক—এসবের প্রতি তাঁর যে মমতা, নিবেদন, শ্রম, চর্চা; সবকিছু মিলে সাদি একজন অনন্য মানুষ।
—নাসির উদ্দীন ইউসুফ, চলচ্চিত্র নির্মাতা
চাপা কষ্টগুলো তাঁকে আত্মহননের দিকে নিয়ে গেছে
ছোট হোক বড় হোক, সাদি মহম্মদ তক্বীউল্লাহ কিন্তু একটা নাম। গান বলেন কিংবা শিক্ষকতা—সব করেছেন। কিন্তু সেভাবে স্বীকৃতিটা তিনি পাননি। এটা তাঁর একটা বড় কষ্ট ছিল। এটা খুব স্বাভাবিক। অনেকেই তেমন কিছু না করেও রাষ্ট্রীয় পদক পাচ্ছেন। রাষ্ট্র তো পরের ব্যাপার, আমরাই বা তাঁকে কতটুকু মূল্যায়ন করতে পেরেছি। আমার মনে হয় সেই মনঃকষ্ট থেকেই তিনি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এ ছাড়া মাকে হারিয়ে তিনি ট্রমার মধ্যে ছিলেন। সবকিছু মিলিয়ে চাপা কষ্টগুলো তাঁকে আত্মহননের দিকে নিয়ে গেছে।
—ফরিদা পারভীন, সংগীতশিল্পী
তাঁর ভেতরের কষ্ট, অভিমান সেটা আমরা ছুঁতে পারি নাই
সাদি ভাই পুরো বাংলাদেশকে অনেক কিছু দিয়েছেন। কেন এমন নিষ্ঠুরের মতো সাদি ভাই চলে গেলেন, সেই প্রশ্নটাই খুঁজছি। এই উত্তরটা বোধ হয় তিনিই ভালো দিতে পারতেন। তাঁর ভেতরের যে কষ্ট, অভিমান—সেটা আমরা ছুঁতে পারিনি, বুঝতে পারিনি। এটা হয়তো আমাদের ব্যর্থতা। আমার একটাই চাওয়া, আমরা যেন তাঁকে মনে রাখি, অন্তরে ধারণ করি।
—শামীম আরা নিপা, নৃত্যশিল্পী
বুকভরা অভিমান নিয়ে চলে গেলেন
বসন্ত উৎসবে বিটিভির একটি অনুষ্ঠানে স্যারের সঙ্গে সারা দিন ছিলাম। সারাটা সময় স্যার শুধু অভিমানের কথা বলেছেন। সারাক্ষণ অতীতের কথা, ওনার বাবার মৃত্যুর গল্প করলেন। আমার মনে হলো, স্যার তো এত কথা বলেন না! সে সময় উনি বলেন, তাঁকে যদি মরণোত্তর কোনো পুরস্কার দেওয়া হয় তাহলে তিনি ফিরিয়ে দেবেন। মাত্র ১৫ দিনের ব্যবধানে এভাবে স্যারের মৃত্যু দেখতে হবে, ভাবতে পারিনি। নবাগত শিল্পীদের যে মানুষটা প্রথম দরজায় নিয়ে যান, তিনি সাদি মহম্মদ। আর তিনিই চলে গেলেন বুকভরা অভিমান নিয়ে।
—অনিমা রায়, সংগীতশিল্পী
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
২ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
২ দিন আগে