চিকিৎসকের ভুলে স্থপতির মৃত্যুর অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৮ মার্চ ২০২৪, ১২: ১৭
Thumbnail image

চর্মরোগের চিকিৎসা নিতে গিয়ে চিকিৎসকের ভুলে রাজীব আহমেদ নামের এক স্থপতির মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পরিবারের। দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিষয়টি তদন্তের পর দায়ী ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে এ দাবি জানান রাজীব আহমেদের স্ত্রী স্থপতি সারাওয়াত ইকবাল ও তাঁর সহকর্মীরা।

লিখিত বক্তব্যে রাজীবের সহকর্মী ও স্থপতি ইনস্টিটিউটের সাধারণ সম্পাদক নবী নেওয়াজ খান বলেন, ‘দেড় বছর ধরে রাজীব শমরিতা হাসপাতালের চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ এম ইউ কবীর চৌধুরীর অধীনে চিকিৎসাধীন।

নতুন ওষুধ সেবনের নয় দিনের মাথায় প্রচণ্ড পেটব্যথা হলে রাজীব ডা. কবীর চৌধুরীর নির্দেশে শমরিতা হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানে তাঁর অবস্থা আরও খারাপের দিকে যাওয়ায় স্কয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। শমরিতায় রাজীবের শিরাপথে দুটি অ্যান্টিবায়োটিক এবং স্কয়ারে আটটি অ্যান্টিবায়োটিকসহ মোট ১০টি অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হয়। উভয় হাসপাতালেই চিকিৎসা চলাকালে অব্যবস্থাপনা ছিল এবং কালক্ষেপণ করা হয়েছে।’

ওই সংবাদ সম্মেলনে রাজীবের মৃত্যুর চারটি প্রধান কারণ তুলে ধরেন তাঁর স্ত্রী সারাওয়াত। তিনি বলেন, প্রধান কারণ কবীর চৌধুরীর নির্দেশিত মেথোট্রেক্সেট ইনজেকশনের সঙ্গে এসিট্রেটিন যুক্ত করা। এই দুটি ওষুধের বিরূপ মিথস্ক্রিয়ার কথা আমেরিকা ও ব্রিটিশ মেডিকেল গাইডলাইনে সুস্পষ্টভাবে বলা আছে। দুই চিকিৎসার সময় রাজীবকে চারটি রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাসকারী মেডিসিন দিয়ে আসছিল। এটি রাজীবের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাকে একেবারেই ধ্বংস করে দেয়। তিনি আরও বলেন, ‘রাজীবের চিকিৎসার গুরুত্ব সময়মতো পরিবারকে জানানো হয়নি। এটি হলে তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে স্থানান্তর করা যেত। চিকিৎসাধীন অবস্থায় শমরিতায় দুটি এবং স্কয়ারে আটটি মোট ১০টি অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হয়, যা বহুবিধ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া তাঁর মৃত্যুকে ত্বরান্বিত করেছে বলে মনে করি।’

সারাওয়াত ইকবাল অভিযোগ করে বলেন, কবীর চৌধুরী প্রতিদিন ৭০ থেকে ৮০ জন রোগী দেখেন। তিনি দুজন একসঙ্গে দেখেন। কবীর চৌধুরীর মেথোট্রেক্সেটের সঙ্গে এসিট্রেটিন যুক্ত করার কয়েক দিনের মধ্যেই তাঁর (রাজীব) পেটব্যথা এবং জ্বর শুরু হয়। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত