রবিউল ইসলাম, অভয়নগর
যশোরের অভয়নগর উপজেলায় একসময় মৃৎশিল্পের অনেক কদর ছিল। প্রযুক্তির ছোঁয়া এবং নানা প্রতিকূলতায় ঐতিহ্যবাহী চলিশিয়া পালবাড়ির মৃৎশিল্প এখন বিলুপ্তির পথে। তবু সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে ঘুরে দাঁড়ানোর আশা এ পেশার সঙ্গে জড়িত কুমারদের।
উপার্জন কমে যাওয়ায় কেউ কেউ এ পেশা ছেড়ে দিলেও অনেকে আঁকড়ে আছেন বাপ-দাদার পেশা। যদিও কপালে চিন্তার ভাঁজ নিয়েই চলছে তাঁদের মৃৎশিল্প তৈরির কাজ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, একসময় অভয়নগরে চলিশিয়ার পালবাড়িসহ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে মৃৎশিল্প তৈরি হতো। মৃৎশিল্পীরা সুনিপুণভাবে মাটির পুতুল, হাঁড়ি, পাতিল, বাসন-কোসন, ঢাকনা, কলসি, শিশুদের খেলনাসামগ্রী, পেয়ালাসহ বিভিন্ন পণ্য তৈরি করতেন। তাঁদের তৈরি পুতুল যশোর জেলাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ হতো। বর্তমানে নানা প্রতিকূলতায় ও অভাব অনাটনের কারণে মৃৎশিল্পীরা তাঁদের ঐতিহ্যবাহী বাপ-দাদার আদি পেশা ছেড়ে দিতে বাধ্য হচ্ছেন।
চালিশিয়া গ্রামের পালবাড়ি ঘুরে কারিগরদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রায় দুই শতাধিক পরিবার রয়েছে এখানে। পাড়ার সবাই সনাতন ধর্মাবলম্বী। অর্চনা পাল, শামিত্রি পাল, ববিতা পাল প্রতিমা এবং ছোট ছোট হাঁড়ি তৈরি করছেন। তাঁদের শিক্ষা ও জীবনযাত্রার মান অনুন্নত। এখন মাত্র কয়েকটি পরিবারের কারিগরেরা তাঁদের বাপ-দাদার আদি পেশা কোনোমতে আঁকড়ে ধরে আছেন। এসব মৃতশিল্পীর পেশার দৈন্যদশার সঙ্গে সঙ্গে সংসার জীবনে বিরাট বিপর্যয় নেমে এসেছে। মাটির তৈরি তৈজসপত্রের স্থান দখল করে নিয়েছে অ্যালুমিনিয়াম ও প্লাস্টিকের তৈজসপত্র। অ্যালুমিনিয়াম ও প্লাস্টিকের তৈজসপত্র দাম বেশি হলেও অধিক টেকসই হয়। তাই কদর কমেছে মাটির পাত্রের।
চলিশিয়ার অর্চনা পাল বলেন, ‘আমরা মাটি দিয়ে যে জিনিস বানাই সেগুলো আর আগের মতো বেচতে পারি না। কি করব, আর অন্য কাজও তেমন জানা নেই। তাই বাপ-দাদার পেশা আঁকড়ে ধরেই আছি। এখন আমাদের অবস্থা খুব খারাপ। দেখার কেউ নেই। তবে সরকার যদি একটু সহায়তা করত আমাদের, তাহলে ঘুরে দাঁড়াতে পারতাম।’
মৃৎশিল্পের কারিগর বিষ্ণুপাল বলেন, ‘ঐতিহ্যবাহী মাটির তৈরি তৈজসপত্রের দাম কম থাকায় এ শিল্প এখন ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে। এই শিল্প রক্ষার জন্য সরকারি, বেসরকারি সব মহল যদি একটু সহযোগিতার হাত বাড়াতো, তাহলে আমাদের দুর্দিন থাকত না।’
অভয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মেজবাহ উদ্দীন বলেন, ‘মৃৎশিল্পের বিষয়টি আমার জানা নেই। যদি মৃৎশিল্পের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা এ শিল্পের উন্নয়নের জন্য সহায়তা চান, তাহলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রশিক্ষণসহ প্রয়োজনীয় সহায়তার ব্যবস্থা করা হবে।’
যশোরের অভয়নগর উপজেলায় একসময় মৃৎশিল্পের অনেক কদর ছিল। প্রযুক্তির ছোঁয়া এবং নানা প্রতিকূলতায় ঐতিহ্যবাহী চলিশিয়া পালবাড়ির মৃৎশিল্প এখন বিলুপ্তির পথে। তবু সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে ঘুরে দাঁড়ানোর আশা এ পেশার সঙ্গে জড়িত কুমারদের।
উপার্জন কমে যাওয়ায় কেউ কেউ এ পেশা ছেড়ে দিলেও অনেকে আঁকড়ে আছেন বাপ-দাদার পেশা। যদিও কপালে চিন্তার ভাঁজ নিয়েই চলছে তাঁদের মৃৎশিল্প তৈরির কাজ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, একসময় অভয়নগরে চলিশিয়ার পালবাড়িসহ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে মৃৎশিল্প তৈরি হতো। মৃৎশিল্পীরা সুনিপুণভাবে মাটির পুতুল, হাঁড়ি, পাতিল, বাসন-কোসন, ঢাকনা, কলসি, শিশুদের খেলনাসামগ্রী, পেয়ালাসহ বিভিন্ন পণ্য তৈরি করতেন। তাঁদের তৈরি পুতুল যশোর জেলাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ হতো। বর্তমানে নানা প্রতিকূলতায় ও অভাব অনাটনের কারণে মৃৎশিল্পীরা তাঁদের ঐতিহ্যবাহী বাপ-দাদার আদি পেশা ছেড়ে দিতে বাধ্য হচ্ছেন।
চালিশিয়া গ্রামের পালবাড়ি ঘুরে কারিগরদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রায় দুই শতাধিক পরিবার রয়েছে এখানে। পাড়ার সবাই সনাতন ধর্মাবলম্বী। অর্চনা পাল, শামিত্রি পাল, ববিতা পাল প্রতিমা এবং ছোট ছোট হাঁড়ি তৈরি করছেন। তাঁদের শিক্ষা ও জীবনযাত্রার মান অনুন্নত। এখন মাত্র কয়েকটি পরিবারের কারিগরেরা তাঁদের বাপ-দাদার আদি পেশা কোনোমতে আঁকড়ে ধরে আছেন। এসব মৃতশিল্পীর পেশার দৈন্যদশার সঙ্গে সঙ্গে সংসার জীবনে বিরাট বিপর্যয় নেমে এসেছে। মাটির তৈরি তৈজসপত্রের স্থান দখল করে নিয়েছে অ্যালুমিনিয়াম ও প্লাস্টিকের তৈজসপত্র। অ্যালুমিনিয়াম ও প্লাস্টিকের তৈজসপত্র দাম বেশি হলেও অধিক টেকসই হয়। তাই কদর কমেছে মাটির পাত্রের।
চলিশিয়ার অর্চনা পাল বলেন, ‘আমরা মাটি দিয়ে যে জিনিস বানাই সেগুলো আর আগের মতো বেচতে পারি না। কি করব, আর অন্য কাজও তেমন জানা নেই। তাই বাপ-দাদার পেশা আঁকড়ে ধরেই আছি। এখন আমাদের অবস্থা খুব খারাপ। দেখার কেউ নেই। তবে সরকার যদি একটু সহায়তা করত আমাদের, তাহলে ঘুরে দাঁড়াতে পারতাম।’
মৃৎশিল্পের কারিগর বিষ্ণুপাল বলেন, ‘ঐতিহ্যবাহী মাটির তৈরি তৈজসপত্রের দাম কম থাকায় এ শিল্প এখন ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে। এই শিল্প রক্ষার জন্য সরকারি, বেসরকারি সব মহল যদি একটু সহযোগিতার হাত বাড়াতো, তাহলে আমাদের দুর্দিন থাকত না।’
অভয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মেজবাহ উদ্দীন বলেন, ‘মৃৎশিল্পের বিষয়টি আমার জানা নেই। যদি মৃৎশিল্পের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা এ শিল্পের উন্নয়নের জন্য সহায়তা চান, তাহলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রশিক্ষণসহ প্রয়োজনীয় সহায়তার ব্যবস্থা করা হবে।’
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
৩ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪