রাশেদ রাব্বি, ঢাকা
প্রায় ৯ বছর ধরে বকেয়া পাওনা থেকে বঞ্চিত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে কর্মরত ১ হাজার ১৩৬ চিকিৎসক। ২০১৪ সালে এসব চিকিৎসক সিলেকশন গ্রেড পেয়ে ৭ম গ্রেডে উন্নীত হন। এত বছরেও তাঁদের পাওনা পরিশোধ করা হয়নি। এ বিষয়ে ২০২০ সালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালকের (প্রশাসন) পক্ষ থেকে একটি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে প্রয়োজনীয় অর্থও ছাড় করা হয়েছিল। কিন্তু অধিদপ্তরের পরিচালকের (অর্থ) দপ্তর সহযোগিতা না করায় সেই ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বিপুলসংখ্যক চিকিৎসক।
ভুক্তভোগী একাধিক চিকিৎসক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালকের (অর্থ) দপ্তর থেকে জনপ্রতি মোটা অঙ্কের টাকা ঘুষ দাবি করা হয়। এর পরিমাণ বেশির ভাগ চিকিৎসকের প্রাপ্য অর্থের প্রায় সাত ভাগের এক ভাগ। চিকিৎসকেরা সেই টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় নথি আটকে আছে। তাঁরা আরও জানান, একেকজন চিকিৎসক সাড়ে সাত থেকে সাড়ে আট লাখ টাকা পাবেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে কর্মরত সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডা. কাজী রনি এবং ডা. দেওয়ান মো. মেহেদী হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে প্রাপ্য অর্থ আদায়ের চেষ্টা করছেন। কিন্তু পরিচালকের (অর্থ) দপ্তর থেকে কোনো সহযোগিতা করা হচ্ছে না। অথচ অধিদপ্তরের বাইরে বিভিন্ন মেডিকেল কলেজে কর্মরত চিকিৎসকেরা পাওনা বুঝে পেয়েছেন।
জানা যায়, সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্ত ওই চিকিৎসকদের বকেয়া পরিশোধ করতে ২০২২ সালের ১১ ডিসেম্বর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়। মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব সুশীল কুমার পালের সই করা ওই নির্দেশনায় বলা হয়, ১ হাজার ১৩৬ জন চিকিৎসক সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্তির ফলে ৮৯ কোটি ১৪ লাখ ৯৭ হাজার ৬০০ টাকা প্রদানের জন্য অনুরোধ করা হলো। চলতি অর্থবছরে অর্থ বিভাগের অপ্রত্যাশিত ব্যয় ব্যবস্থাপনা খাত থেকে ওই টাকা বরাদ্দ প্রদানে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো। কিন্তু এরপরও পেরিয়ে গেছে চার মাস।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (অর্থ) ডা. ফরিদা ইয়াসমিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মন্ত্রণালয় থেকে অর্থ ছাড় করা হয়েছে এমন কোনো তথ্য আমার জানা নেই। আদেশ পেলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ তিনি মিটিংয়ে থাকায় এর চেয়ে বেশি কিছু বলতে পারেননি।
ভুক্তভোগী কয়েকজন চিকিৎসক জানান, দেশে চিকিৎসকের ঘাটতি পূরণ করতে ২০১০ সালে অ্যাডহক ভিত্তিতে প্রায় চার হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দিয়েছিল সরকার। নিয়োগপ্রাপ্ত চিকিৎসকদের একটি অংশ পরে বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ক্যাডার সার্ভিসে যুক্ত হন। অনেকে চাকরি ছেড়ে চলে যান। ২০১৪ সাল পর্যন্ত যাঁরা ছিলেন, তাঁরা সিলেকশন গ্রেড পেয়ে ৭ম গ্রেডে উন্নীত হন। তবে সবাই যথাসময়ে প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে না পারায় শেষ পর্যন্ত সব চিকিৎসকের নামে অর্থ বরাদ্দ হয়। কিন্তু সেই টাকাও ছাড় করছে না স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালকের (অর্থ) দপ্তর।
২০২০ সালের ২০ সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তৎকালীন পরিচালক (প্রশাসন) ডা. শেখ মোহাম্মদ হাসান ইমাম একটি নোটিশ জারি করেন। তাতে বলা হয়, ‘স্বাস্থ্য ক্যাডার সার্ভিসের/স্বাস্থ্য সার্ভিসের কর্মকর্তাদের ভূতাপেক্ষভাবে সিলেকশন গ্রেডে টাইম স্কেল প্রদানের বিষয়ে নির্ধারিত ছকে তথ্যাদি/কাগজপত্র যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে মহাপরিচালকের বরাবর পাঠাতে অনুরোধ করা হলো।’
এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিষয়টি তাঁর জানা নেই। কেউই তাঁকে এ পর্যন্ত অবগত করেননি। ঈদের ছুটি শুরু হয়ে গেছে, অফিস খুললে তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।
প্রায় ৯ বছর ধরে বকেয়া পাওনা থেকে বঞ্চিত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে কর্মরত ১ হাজার ১৩৬ চিকিৎসক। ২০১৪ সালে এসব চিকিৎসক সিলেকশন গ্রেড পেয়ে ৭ম গ্রেডে উন্নীত হন। এত বছরেও তাঁদের পাওনা পরিশোধ করা হয়নি। এ বিষয়ে ২০২০ সালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালকের (প্রশাসন) পক্ষ থেকে একটি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে প্রয়োজনীয় অর্থও ছাড় করা হয়েছিল। কিন্তু অধিদপ্তরের পরিচালকের (অর্থ) দপ্তর সহযোগিতা না করায় সেই ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বিপুলসংখ্যক চিকিৎসক।
ভুক্তভোগী একাধিক চিকিৎসক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালকের (অর্থ) দপ্তর থেকে জনপ্রতি মোটা অঙ্কের টাকা ঘুষ দাবি করা হয়। এর পরিমাণ বেশির ভাগ চিকিৎসকের প্রাপ্য অর্থের প্রায় সাত ভাগের এক ভাগ। চিকিৎসকেরা সেই টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় নথি আটকে আছে। তাঁরা আরও জানান, একেকজন চিকিৎসক সাড়ে সাত থেকে সাড়ে আট লাখ টাকা পাবেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে কর্মরত সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডা. কাজী রনি এবং ডা. দেওয়ান মো. মেহেদী হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে প্রাপ্য অর্থ আদায়ের চেষ্টা করছেন। কিন্তু পরিচালকের (অর্থ) দপ্তর থেকে কোনো সহযোগিতা করা হচ্ছে না। অথচ অধিদপ্তরের বাইরে বিভিন্ন মেডিকেল কলেজে কর্মরত চিকিৎসকেরা পাওনা বুঝে পেয়েছেন।
জানা যায়, সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্ত ওই চিকিৎসকদের বকেয়া পরিশোধ করতে ২০২২ সালের ১১ ডিসেম্বর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়। মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব সুশীল কুমার পালের সই করা ওই নির্দেশনায় বলা হয়, ১ হাজার ১৩৬ জন চিকিৎসক সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্তির ফলে ৮৯ কোটি ১৪ লাখ ৯৭ হাজার ৬০০ টাকা প্রদানের জন্য অনুরোধ করা হলো। চলতি অর্থবছরে অর্থ বিভাগের অপ্রত্যাশিত ব্যয় ব্যবস্থাপনা খাত থেকে ওই টাকা বরাদ্দ প্রদানে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো। কিন্তু এরপরও পেরিয়ে গেছে চার মাস।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (অর্থ) ডা. ফরিদা ইয়াসমিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মন্ত্রণালয় থেকে অর্থ ছাড় করা হয়েছে এমন কোনো তথ্য আমার জানা নেই। আদেশ পেলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ তিনি মিটিংয়ে থাকায় এর চেয়ে বেশি কিছু বলতে পারেননি।
ভুক্তভোগী কয়েকজন চিকিৎসক জানান, দেশে চিকিৎসকের ঘাটতি পূরণ করতে ২০১০ সালে অ্যাডহক ভিত্তিতে প্রায় চার হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দিয়েছিল সরকার। নিয়োগপ্রাপ্ত চিকিৎসকদের একটি অংশ পরে বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ক্যাডার সার্ভিসে যুক্ত হন। অনেকে চাকরি ছেড়ে চলে যান। ২০১৪ সাল পর্যন্ত যাঁরা ছিলেন, তাঁরা সিলেকশন গ্রেড পেয়ে ৭ম গ্রেডে উন্নীত হন। তবে সবাই যথাসময়ে প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে না পারায় শেষ পর্যন্ত সব চিকিৎসকের নামে অর্থ বরাদ্দ হয়। কিন্তু সেই টাকাও ছাড় করছে না স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালকের (অর্থ) দপ্তর।
২০২০ সালের ২০ সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তৎকালীন পরিচালক (প্রশাসন) ডা. শেখ মোহাম্মদ হাসান ইমাম একটি নোটিশ জারি করেন। তাতে বলা হয়, ‘স্বাস্থ্য ক্যাডার সার্ভিসের/স্বাস্থ্য সার্ভিসের কর্মকর্তাদের ভূতাপেক্ষভাবে সিলেকশন গ্রেডে টাইম স্কেল প্রদানের বিষয়ে নির্ধারিত ছকে তথ্যাদি/কাগজপত্র যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে মহাপরিচালকের বরাবর পাঠাতে অনুরোধ করা হলো।’
এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিষয়টি তাঁর জানা নেই। কেউই তাঁকে এ পর্যন্ত অবগত করেননি। ঈদের ছুটি শুরু হয়ে গেছে, অফিস খুললে তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে