টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
জাতিসংঘের পরিবেশ কর্মসূচির (ইউএনইপি) ২০২২ সালের প্রতিবেদনে বিশ্বের ৬১ শহরে শব্দদূষণের মাত্রা তুলে ধরে তালিকা করা হয়েছে। সেই তালিকায় উঠে এসেছে টাঙ্গাইলের নাম। যেখানে শব্দের তীব্রতা পাওয়া গেছে ৭৫ ডেসিবেল।
এতে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যত্রতত্র শিল্পায়ন, সচেতনতার অভাব ও আইন না মানার কারণে জেলায় শব্দদূষণ বেড়েছে। এখনই সচেতন না হলে সামনে আরও ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ১৯৯৯ সালের গাইডলাইন অনুযায়ী, আবাসিক এলাকার জন্য শব্দের গ্রহণযোগ্য সর্বোচ্চ মাত্রা ছিল ৫৫ ডেসিবেল, বাণিজ্যিক এলাকার জন্য ৭০ ডেসিবেল। ২০১৮ সালের সর্বশেষ হালনাগাদ গাইডলাইনে সড়কে শব্দের তীব্রতা ৫৩ ডেসিবেলের মধ্যে সীমিত রাখার সুপারিশ করা হয়।
শব্দদূষণের মাত্রা ও কারণ খুঁজে বের করতে একটি জরিপ চালানো হয়। সেখানে সহযোগিতা করেন মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশবিজ্ঞান ও সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ও গবেষক ডক্টর এ এস এম সাইফুল্লাহ এবং তাঁর দুই সহযোগী হৃদয় চন্দ্র ও নাজিয়া নওশিন অর্থী নামের দুই শিক্ষার্থী। মার্চ মাসে পরিচালিত সে গবেষণায় দেখা গেছে, দুপুর বারোটা থেকে দেড়টার দিকে শহরের বেশ কয়েক জায়গায় শব্দের মাত্রা ৭০ ডেসিবেল থেকে ১০৩ ডেসিবেল পর্যন্ত হয়ে থাকে, যা স্বাস্থ্যের জন্য চরম ঝুঁকি বলে বিবেচিত।
টাঙ্গাইল নতুন বাস টার্মিনাল এলাকায় যানবাহনের বিকট শব্দে টিকে থাকা দায়। এর মধ্যে একটি বাস দিক ঘোরানোর জন্য পুরো রাস্তা দখল করে নিয়েছে। পেছনে থাকা অপর একটি বাসসহ বেশ কয়েকটি যানবাহন সমানে হর্ন বাজিয়ে চলেছে। সব যানবাহনের হর্নের শব্দে সেখানে চরম শব্দদূষণের সৃষ্টি হয়। আশপাশের লোকজন চরম বিরক্ত হলেও পরিবহন চালকেরা নির্বিকারভাবে হর্ন বাজিয়েই চলেছেন।
কারণ ছাড়াই হর্ন বাজাচ্ছেন কেন জানতে চাইলে অটোরিকশা চালক ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন, ‘হর্ন না বাজালে কি বাস আমাকে সাইড দেবে।’ কথা হয় পাশেই দাঁড়িয়ে থাকা বেশ কয়েকজন পথচারীর সঙ্গে। তাঁরা বলেন শহরে প্রচুর গাড়ি, তাই নিয়মিত যানজটের সৃষ্টি হয়। কিন্তু যানজটের সময় দাঁড়িয়ে থাকা প্রায় সব যানবাহন একসঙ্গে হর্ন বাজায়, এতে প্রচণ্ড রকমের শব্দদূষণ সৃষ্টি হয়। শব্দের তীব্রতায় এই এলাকা দিয়ে চলাচল করা কষ্টকর।
একই অবস্থা শহরের ব্যস্ততম নিরালামোড়, বেবিস্ট্যান্ড এলাকা, পুরোনো বাসস্ট্যান্ড এলাকা। এসব জায়গায় দিনের বেলা প্রায়ই যানজট লেগে থাকে। সেই সঙ্গে প্রতিযোগিতা লেগে যায় হর্ন বাজানোর। এতে করে এসব জায়গায় শব্দের মাত্রা অসহনীয় পর্যায়ে চলে যায়।
আবৃত্তিশিল্পী অরণ্য ইমতিয়াজ বলেন, ‘কিছুদিন আগে শহরের নতুন বাস টার্মিনাল এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় হঠাৎ করে একটি ট্রাক বিকট শব্দে হর্ন বাজালে মুহূর্তে আঁতকে উঠি আমি। কানসহ মাথা ঝিঁঝি করে ওঠে। দীর্ঘ সময় লেগেছে এ ঘোর কাটিয়ে উঠতে।’
এ প্রসঙ্গে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশবিজ্ঞান ও সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক অধ্যাপক ডক্টর মো. সাইফুল্লাহ বলেন, শহরের মান বিচারে এখানে শব্দদূষণ খুব একটা হওয়ার কথা নয়। তারপরও শব্দদূষণে এগিয়ে। এর প্রধান কারণ আইনের প্রয়োগ না থাকা, জনসচেতনতার অভাব ও অপরিকল্পিত নগরায়ণ।
তিনি আরও বলেন, শহরে রাস্তার ধারণক্ষমতার চেয়ে অধিক সংখ্যক যানবাহন চলাচল করায় প্রতিনিয়তই যানজট লেগে থাকে। যানজটে আটকা পড়া পরিবহনগুলো হর্ন বাজিয়ে বিকট শব্দদূষণ সৃষ্টি করছে। এ ছাড়া যানবাহনগুলোতে নিষিদ্ধ হাইড্রোলিক হর্ন রয়েছেই। রিকশা ও অটোরিকশাগুলোতেও এখন ইলেকট্রিক হর্ন ব্যবহৃত হচ্ছে। যেগুলোর শব্দের মাত্রা অনেক বেশি।
টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার বলেন, জেলায় কোনো পরিবহনেই নিষিদ্ধ হাইড্রোলিক হর্ন ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না। সেই সঙ্গে রিকশাতে আর উচ্চশব্দের হর্ন ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না। এ বিষয়ে প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক জমির উদ্দিন বলেন, ‘পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে শব্দদূষণ কমাতে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছি। তবে আমাদের আইন না মানার প্রবণতা বেশি। কোনো কোনো ক্ষেত্রে মোবাইল কোর্টও পরিচালনা করা হয়। ইতিমধ্যে শহরের বিভিন্ন এলাকায় শব্দের মাত্রা পরিমাপের যন্ত্র বসানো হয়েছে।’
জাতিসংঘের পরিবেশ কর্মসূচির (ইউএনইপি) ২০২২ সালের প্রতিবেদনে বিশ্বের ৬১ শহরে শব্দদূষণের মাত্রা তুলে ধরে তালিকা করা হয়েছে। সেই তালিকায় উঠে এসেছে টাঙ্গাইলের নাম। যেখানে শব্দের তীব্রতা পাওয়া গেছে ৭৫ ডেসিবেল।
এতে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যত্রতত্র শিল্পায়ন, সচেতনতার অভাব ও আইন না মানার কারণে জেলায় শব্দদূষণ বেড়েছে। এখনই সচেতন না হলে সামনে আরও ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ১৯৯৯ সালের গাইডলাইন অনুযায়ী, আবাসিক এলাকার জন্য শব্দের গ্রহণযোগ্য সর্বোচ্চ মাত্রা ছিল ৫৫ ডেসিবেল, বাণিজ্যিক এলাকার জন্য ৭০ ডেসিবেল। ২০১৮ সালের সর্বশেষ হালনাগাদ গাইডলাইনে সড়কে শব্দের তীব্রতা ৫৩ ডেসিবেলের মধ্যে সীমিত রাখার সুপারিশ করা হয়।
শব্দদূষণের মাত্রা ও কারণ খুঁজে বের করতে একটি জরিপ চালানো হয়। সেখানে সহযোগিতা করেন মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশবিজ্ঞান ও সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ও গবেষক ডক্টর এ এস এম সাইফুল্লাহ এবং তাঁর দুই সহযোগী হৃদয় চন্দ্র ও নাজিয়া নওশিন অর্থী নামের দুই শিক্ষার্থী। মার্চ মাসে পরিচালিত সে গবেষণায় দেখা গেছে, দুপুর বারোটা থেকে দেড়টার দিকে শহরের বেশ কয়েক জায়গায় শব্দের মাত্রা ৭০ ডেসিবেল থেকে ১০৩ ডেসিবেল পর্যন্ত হয়ে থাকে, যা স্বাস্থ্যের জন্য চরম ঝুঁকি বলে বিবেচিত।
টাঙ্গাইল নতুন বাস টার্মিনাল এলাকায় যানবাহনের বিকট শব্দে টিকে থাকা দায়। এর মধ্যে একটি বাস দিক ঘোরানোর জন্য পুরো রাস্তা দখল করে নিয়েছে। পেছনে থাকা অপর একটি বাসসহ বেশ কয়েকটি যানবাহন সমানে হর্ন বাজিয়ে চলেছে। সব যানবাহনের হর্নের শব্দে সেখানে চরম শব্দদূষণের সৃষ্টি হয়। আশপাশের লোকজন চরম বিরক্ত হলেও পরিবহন চালকেরা নির্বিকারভাবে হর্ন বাজিয়েই চলেছেন।
কারণ ছাড়াই হর্ন বাজাচ্ছেন কেন জানতে চাইলে অটোরিকশা চালক ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন, ‘হর্ন না বাজালে কি বাস আমাকে সাইড দেবে।’ কথা হয় পাশেই দাঁড়িয়ে থাকা বেশ কয়েকজন পথচারীর সঙ্গে। তাঁরা বলেন শহরে প্রচুর গাড়ি, তাই নিয়মিত যানজটের সৃষ্টি হয়। কিন্তু যানজটের সময় দাঁড়িয়ে থাকা প্রায় সব যানবাহন একসঙ্গে হর্ন বাজায়, এতে প্রচণ্ড রকমের শব্দদূষণ সৃষ্টি হয়। শব্দের তীব্রতায় এই এলাকা দিয়ে চলাচল করা কষ্টকর।
একই অবস্থা শহরের ব্যস্ততম নিরালামোড়, বেবিস্ট্যান্ড এলাকা, পুরোনো বাসস্ট্যান্ড এলাকা। এসব জায়গায় দিনের বেলা প্রায়ই যানজট লেগে থাকে। সেই সঙ্গে প্রতিযোগিতা লেগে যায় হর্ন বাজানোর। এতে করে এসব জায়গায় শব্দের মাত্রা অসহনীয় পর্যায়ে চলে যায়।
আবৃত্তিশিল্পী অরণ্য ইমতিয়াজ বলেন, ‘কিছুদিন আগে শহরের নতুন বাস টার্মিনাল এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় হঠাৎ করে একটি ট্রাক বিকট শব্দে হর্ন বাজালে মুহূর্তে আঁতকে উঠি আমি। কানসহ মাথা ঝিঁঝি করে ওঠে। দীর্ঘ সময় লেগেছে এ ঘোর কাটিয়ে উঠতে।’
এ প্রসঙ্গে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশবিজ্ঞান ও সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক অধ্যাপক ডক্টর মো. সাইফুল্লাহ বলেন, শহরের মান বিচারে এখানে শব্দদূষণ খুব একটা হওয়ার কথা নয়। তারপরও শব্দদূষণে এগিয়ে। এর প্রধান কারণ আইনের প্রয়োগ না থাকা, জনসচেতনতার অভাব ও অপরিকল্পিত নগরায়ণ।
তিনি আরও বলেন, শহরে রাস্তার ধারণক্ষমতার চেয়ে অধিক সংখ্যক যানবাহন চলাচল করায় প্রতিনিয়তই যানজট লেগে থাকে। যানজটে আটকা পড়া পরিবহনগুলো হর্ন বাজিয়ে বিকট শব্দদূষণ সৃষ্টি করছে। এ ছাড়া যানবাহনগুলোতে নিষিদ্ধ হাইড্রোলিক হর্ন রয়েছেই। রিকশা ও অটোরিকশাগুলোতেও এখন ইলেকট্রিক হর্ন ব্যবহৃত হচ্ছে। যেগুলোর শব্দের মাত্রা অনেক বেশি।
টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার বলেন, জেলায় কোনো পরিবহনেই নিষিদ্ধ হাইড্রোলিক হর্ন ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না। সেই সঙ্গে রিকশাতে আর উচ্চশব্দের হর্ন ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না। এ বিষয়ে প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক জমির উদ্দিন বলেন, ‘পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে শব্দদূষণ কমাতে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছি। তবে আমাদের আইন না মানার প্রবণতা বেশি। কোনো কোনো ক্ষেত্রে মোবাইল কোর্টও পরিচালনা করা হয়। ইতিমধ্যে শহরের বিভিন্ন এলাকায় শব্দের মাত্রা পরিমাপের যন্ত্র বসানো হয়েছে।’
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১ ঘণ্টা আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৪ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৪ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৪ দিন আগে