নওশাদ জামিল, ঢাকা
কালজয়ী দুই মহান বাঙালি, বাংলা সাহিত্যের দুই দিকপাল শামসুর রাহমান ও সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁদের মধ্যে ছিল গভীর হৃদ্যতা, ছিল গভীর বন্ধুত্ব। সুনীল তাঁর লেখায় বহুবার তুলে এনেছেন শামসুর রাহমানের কবিতার পঙ্ক্তি।
লিখেছেন তাঁদের বন্ধুত্বপূর্ণ স্মৃতির কথা। শামসুর রাহমানও লিখেছেন সুনীলগঙ্গোপাধ্যায়কে নিয়ে। তাঁদের দুজনেরই জন্ম বাংলাদেশে, প্রায় কাছাকাছি সময়ে; দেশভাগের ফলে বাসিন্দা ছিলেন দুই দেশের। দুই দেশের নাগরিক হলেও কাঁটাতার বাধা হতে পারেনি তাঁদের বন্ধুত্বের মাঝে। আজ রোববার, ২৩ অক্টোবর, দিনটিতে রয়েছে তাঁদের এক আনন্দ-বেদনার মিল। এই ‘২৩ অক্টোবর’ তারিখটি দুজনের বন্ধনেরই এক বিস্ময়কর নিদর্শন। আজ বাংলাদেশের প্রধান কবি শামসুর রাহমানের জন্মদিন। একই তারিখে জীবন থেকে বিদায় নেন বাংলা ভাষার বহুমাত্রিক লেখক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়।
মুক্তিযুদ্ধের উত্তাল দিনগুলোতে কবি শামসুর রাহমান লিখেছিলেন তাঁর কালজয়ী কিছু কবিতা। যুদ্ধের ডামাডোল ও ভয়াবহতার ভেতর কীভাবে মানুষের কাছে পৌঁছাবে তাঁর সৃষ্টি? বাঙালি বিপদাপন্ন, মরণপণ সংগ্রামে লিপ্ত পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে; এমনই সময়ে এগিয়ে এলেন আরেক কবি সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়। শামসুর রাহমানের কবিতাগুলো প্রকাশের ব্যবস্থা করলেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নানা পত্র-পত্রিকায়। ছদ্মনামে ‘দেশ’ পত্রিকায় প্রকাশিত হলেও কবিতাগুলো আলোড়ন তুলল, মুক্তিযুদ্ধে অনুপ্রাণিত করল মুক্তিকামী মানুষকে।
অন্যদিকে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ও লিখেছেন বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রাম নিয়ে। মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি দাঁড়িয়েছিলেন মুক্তিযোদ্ধাদের পাশে। ঘুরেছেন বিভিন্ন শরণার্থীশিবির। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে লিখেছেন প্রবন্ধ, কবিতা, উপন্যাস। যুক্তরাষ্ট্রের কবি অ্যালেন গিনসবার্গকে নিয়ে ঘুরে বেড়ান বনগাঁ শরণার্থীশিবিরে। তখন লিখেন ‘১৯৭১’ নামে একটি কবিতা। মুক্তিযুদ্ধের সময় লিখেছেন ‘অর্জুন’ নামে একটি উপন্যাস। জন্মভূমির জন্য দুই বন্ধুর এ এক উজ্জ্বল প্রেম।
বাংলাদেশের জন্মকে ঘিরে ‘তোমাকে পাওয়ার জন্য হে স্বাধীনতা’, ‘স্বাধীনতা তুমি’ ইত্যাদি অনবদ্য কবিতা যাঁর কলম দিয়ে বেরিয়েছিল, যাঁর কবিতার পঙ্ক্তি বাঙালির সব ধরনের আন্দোলন-সংগ্রামে উজ্জ্বল নক্ষত্রের মতো মিশে আছে; সেই কবির নাম শামসুর রাহমান। তাঁর কবিতা স্লোগান হয়ে ফেরে মানুষের মুখে মুখে, হৃদয়ে হৃদয়ে। ‘আসাদের শার্ট’, ‘এ লাশ রাখবো কোথায়’, ‘অভিশাপ দিচ্ছি’, ‘উদ্ভট উটের পিঠে চলেছে স্বদেশ’, ‘বুক তার বাংলাদেশের হৃদয়’-এর মতো বহু চিরস্মরণীয় কবিতার স্রষ্টা তিনি।
ওদিকে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় ছিলেন বহুপ্রজ লেখক। বিষয়ে বিচিত্র, সংখ্যায় বিপুল তাঁর রচনাসম্ভার। শিল্প-সাহিত্যের নানা শাখায় বীরদর্পে বিচরণ করলেও অনেকেই তাঁকে প্রধানত কবি হিসেবে আখ্যায়িত করতে পছন্দ করেন। ‘কেউ কথা রাখেনি’ সমকালীন বাংলা কাব্যের অন্যতম জনপ্রিয় কবিতা। ‘যদি নির্বাসন দাও’, ‘তুই একবার এসে দেখে যা নিখিলেশ’, ‘হারিয়ে যেও না নীরা’ ইত্যাদি কবিতার জন্য কাব্যানুরাগীদের কাছে সুনীলের খ্যাতি আকাশচুম্বী।
শামসুর রাহমানের জন্ম ১৯২৯ সালের আজকের এই দিনে পুরান ঢাকার মাহুতটুলীর ৪৬ নম্বর বাড়িতে। ২০০৬ সালের ১৭ আগস্ট ৭৭ বছর বয়সে পৃথিবী ছেড়ে চলে যান এই কবি। অন্যদিকে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের জন্ম ১৯৩৪ সালের ৭ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের বৃহত্তর ফরিদপুর জেলার (বর্তমান মাদারীপুর) মাইজপাড়া গ্রামে। হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে ২০১২ সালের আজকের এই দিনে কলকাতায় নিজ বাড়িতে পরলোকগমন করেন তিনি।
কালজয়ী দুই মহান বাঙালি, বাংলা সাহিত্যের দুই দিকপাল শামসুর রাহমান ও সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁদের মধ্যে ছিল গভীর হৃদ্যতা, ছিল গভীর বন্ধুত্ব। সুনীল তাঁর লেখায় বহুবার তুলে এনেছেন শামসুর রাহমানের কবিতার পঙ্ক্তি।
লিখেছেন তাঁদের বন্ধুত্বপূর্ণ স্মৃতির কথা। শামসুর রাহমানও লিখেছেন সুনীলগঙ্গোপাধ্যায়কে নিয়ে। তাঁদের দুজনেরই জন্ম বাংলাদেশে, প্রায় কাছাকাছি সময়ে; দেশভাগের ফলে বাসিন্দা ছিলেন দুই দেশের। দুই দেশের নাগরিক হলেও কাঁটাতার বাধা হতে পারেনি তাঁদের বন্ধুত্বের মাঝে। আজ রোববার, ২৩ অক্টোবর, দিনটিতে রয়েছে তাঁদের এক আনন্দ-বেদনার মিল। এই ‘২৩ অক্টোবর’ তারিখটি দুজনের বন্ধনেরই এক বিস্ময়কর নিদর্শন। আজ বাংলাদেশের প্রধান কবি শামসুর রাহমানের জন্মদিন। একই তারিখে জীবন থেকে বিদায় নেন বাংলা ভাষার বহুমাত্রিক লেখক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়।
মুক্তিযুদ্ধের উত্তাল দিনগুলোতে কবি শামসুর রাহমান লিখেছিলেন তাঁর কালজয়ী কিছু কবিতা। যুদ্ধের ডামাডোল ও ভয়াবহতার ভেতর কীভাবে মানুষের কাছে পৌঁছাবে তাঁর সৃষ্টি? বাঙালি বিপদাপন্ন, মরণপণ সংগ্রামে লিপ্ত পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে; এমনই সময়ে এগিয়ে এলেন আরেক কবি সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়। শামসুর রাহমানের কবিতাগুলো প্রকাশের ব্যবস্থা করলেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নানা পত্র-পত্রিকায়। ছদ্মনামে ‘দেশ’ পত্রিকায় প্রকাশিত হলেও কবিতাগুলো আলোড়ন তুলল, মুক্তিযুদ্ধে অনুপ্রাণিত করল মুক্তিকামী মানুষকে।
অন্যদিকে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ও লিখেছেন বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রাম নিয়ে। মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি দাঁড়িয়েছিলেন মুক্তিযোদ্ধাদের পাশে। ঘুরেছেন বিভিন্ন শরণার্থীশিবির। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে লিখেছেন প্রবন্ধ, কবিতা, উপন্যাস। যুক্তরাষ্ট্রের কবি অ্যালেন গিনসবার্গকে নিয়ে ঘুরে বেড়ান বনগাঁ শরণার্থীশিবিরে। তখন লিখেন ‘১৯৭১’ নামে একটি কবিতা। মুক্তিযুদ্ধের সময় লিখেছেন ‘অর্জুন’ নামে একটি উপন্যাস। জন্মভূমির জন্য দুই বন্ধুর এ এক উজ্জ্বল প্রেম।
বাংলাদেশের জন্মকে ঘিরে ‘তোমাকে পাওয়ার জন্য হে স্বাধীনতা’, ‘স্বাধীনতা তুমি’ ইত্যাদি অনবদ্য কবিতা যাঁর কলম দিয়ে বেরিয়েছিল, যাঁর কবিতার পঙ্ক্তি বাঙালির সব ধরনের আন্দোলন-সংগ্রামে উজ্জ্বল নক্ষত্রের মতো মিশে আছে; সেই কবির নাম শামসুর রাহমান। তাঁর কবিতা স্লোগান হয়ে ফেরে মানুষের মুখে মুখে, হৃদয়ে হৃদয়ে। ‘আসাদের শার্ট’, ‘এ লাশ রাখবো কোথায়’, ‘অভিশাপ দিচ্ছি’, ‘উদ্ভট উটের পিঠে চলেছে স্বদেশ’, ‘বুক তার বাংলাদেশের হৃদয়’-এর মতো বহু চিরস্মরণীয় কবিতার স্রষ্টা তিনি।
ওদিকে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় ছিলেন বহুপ্রজ লেখক। বিষয়ে বিচিত্র, সংখ্যায় বিপুল তাঁর রচনাসম্ভার। শিল্প-সাহিত্যের নানা শাখায় বীরদর্পে বিচরণ করলেও অনেকেই তাঁকে প্রধানত কবি হিসেবে আখ্যায়িত করতে পছন্দ করেন। ‘কেউ কথা রাখেনি’ সমকালীন বাংলা কাব্যের অন্যতম জনপ্রিয় কবিতা। ‘যদি নির্বাসন দাও’, ‘তুই একবার এসে দেখে যা নিখিলেশ’, ‘হারিয়ে যেও না নীরা’ ইত্যাদি কবিতার জন্য কাব্যানুরাগীদের কাছে সুনীলের খ্যাতি আকাশচুম্বী।
শামসুর রাহমানের জন্ম ১৯২৯ সালের আজকের এই দিনে পুরান ঢাকার মাহুতটুলীর ৪৬ নম্বর বাড়িতে। ২০০৬ সালের ১৭ আগস্ট ৭৭ বছর বয়সে পৃথিবী ছেড়ে চলে যান এই কবি। অন্যদিকে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের জন্ম ১৯৩৪ সালের ৭ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের বৃহত্তর ফরিদপুর জেলার (বর্তমান মাদারীপুর) মাইজপাড়া গ্রামে। হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে ২০১২ সালের আজকের এই দিনে কলকাতায় নিজ বাড়িতে পরলোকগমন করেন তিনি।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে