জীবিত বৃদ্ধাকে মৃত দেখিয়ে ভাতা বন্ধ

মনিরামপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৯ নভেম্বর ২০২১, ০৫: ২০
আপডেট : ১৯ নভেম্বর ২০২১, ২০: ১২

চার বছর ধরে রোগাক্রান্ত হয়ে বিছানায় পড়ে আছেন মনিরামপুরের দিগঙ্গা গ্রামের সত্তর বছরের বৃদ্ধা পটল মণ্ডল। বাস্তবে এই বৃদ্ধা জীবিত হলেও সমাজসেবা অফিসের কাছে তিনি মৃত।

পটল মণ্ডলকে মৃত দেখিয়ে দেড় বছর আগে তাঁর বয়স্ক ভাতা বন্ধ করে দিয়েছে উপজেলা সমাজসেবা অফিস। এখন তিনি আর মাসিক বয়স্ক ভাতা পান না। ফলে অসহায় এই নারীর খেয়ে–পরে বেঁচে থাকা কিংবা চিকিৎসা সবই থমকে গেছে।

পটল মণ্ডলের পরিবারের অভিযোগ, হরিদাসকাটি ইউনিয়ন সমাজকর্মী লোকমানুল হক মৃত দেখিয়ে বৃদ্ধা পটল মণ্ডলের ভাতা বন্ধ করে দিয়েছেন। অনেকবার এ সমাজকর্মীর দ্বারস্থ হয়েও ভাতা চালু করতে পারেননি পটল মণ্ডল। তবে লোকমানুল হকের দাবি বিষয়টি তিনি জানেনই না।

গত বুধবার সরেজমিন দিগঙ্গা গ্রামে গিয়ে বৃদ্ধা পটল মণ্ডলকে ঘরের বারান্দায় বসে থাকতে দেখা গেছে। তিনি ওই গ্রামের মৃত বিলাস মণ্ডলের স্ত্রী। চার বছর ধরে পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে বিছানায় পড়ে আছেন এ বৃদ্ধা।

পটল মণ্ডলের ছেলের বউ নমিতা রানী বলেন, ‘আমার স্বামী দয়াল মণ্ডল দিনমজুর। পাঁচ-ছয় বছর আগে আমার শাশুড়ি পটল মণ্ডলকে একটি বয়স্ক ভাতার কার্ড করে দেওয়া হয়।’

নমিতা রানী বলেন, ‘গত বছরের মার্চ মাসে আমার শাশুড়ি ভাতার ৩ হাজার টাকা পেয়েছিলেন। এরপর আর টাকা তুলতে পারিনি। ব্যাংকের এজেন্টের কাছে গেলে বলা হয়েছে এই বৃদ্ধাকে মৃত দেখিয়ে ভাতা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।’

লোকমানুল হক বলেন, ‘বিষয়টা আমি জানি না। কারও বইতো আমি আটকে রাখিনি।’

মনিরামপুর উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা মো. রোকনুজ্জামান বলেন, ‘বৃদ্ধা পটল মণ্ডলের ভাতা বন্ধের বিষয়ে তাঁর স্বজনেরা আমাকে জানাননি।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত