Ajker Patrika

ওটিতে অপেক্ষায় রোগী নেই অ্যানেসথেটিস্ট

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
আপডেট : ১৬ এপ্রিল ২০২২, ১২: ৪৭
ওটিতে অপেক্ষায় রোগী নেই অ্যানেসথেটিস্ট

অপারেশনের জন্য প্রস্তুত অপারেশন থিয়েটার। সিরিয়ালে আছেন রোগীরা। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত রোগীদের অপেক্ষার পর জানানো হয়, অ্যানেসথেটিস্ট না আসায় অপারেশন আজ সম্ভব হচ্ছে না। পরবর্তী কোনো দিন আসতে হবে। সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (সামেক) এই দৃশ্য এক দিনের নয়। প্রায়ই রোগীদের এভাবে হয়রানি ও দুর্ভোগে ফেলা হচ্ছে।

জানা গেছে, গত বুধবার তালা উপজেলার খেশরা ইউনিয়নের অশোকা নামে এক ব্যক্তিকে মেডিসিন ডিপার্টমেন্ট থেকে রেফার করা হয় অপারেশনের জন্য। সকালে তাঁকে অপারেশনের জন্য ওটিতে নেওয়া হয়। অপারেশনের দায়িত্বে ছিলেন অ্যানেসথেটিস্ট রণজিৎ মণ্ডল ও সার্জারি বিভাগের ডা. জেরিন।

কিন্তু সকাল গড়িয়ে বিকেল হওয়ার পর রোগীর স্বজনদের জানানো হয়, অজ্ঞান করার ডাক্তার আসেনি। এখানে থাকলে আপনাদের রোগী বাঁচবে কি না বলা যাচ্ছে না। আপনারা অন্য হাসপাতালে অপারেশন করাবেন নাকি কালকের জন্য অপেক্ষা করবেন? রোগীর অবস্থা খারাপ হওয়ায় তাঁকে পরে শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে রাতেই অপারেশন করানো হয়।

অপরদিকে, গত ২৮ মার্চ অপারেশন করার কথা ছিল শহরের বাঁকাল এলাকার ১৪-১৫ বছর বয়সী এক কিশোরের। ঊরু ভেঙে যাওয়ায় তাকে অপারেশনের জন্য সেদিন সকালে অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হয়। কিন্তু কিছুক্ষণ পর জানানো হয় অ্যানেসথেটিস্ট নেই, আজ অপারেশন না-ও হতে পারে।

একপর্যায়ে আবারও কেবিনে পাঠানো হয় রোগীকে। তাকে অপারেশনের দিন নির্ধারণ করা হয় আরও এক সপ্তাহ পরে। অন্যথায় প্রাইভেট ক্লিনিকে অপারেশন করানোর কথা জানানো হয় তার পরিবারকে।

হাসপাতালের স্টাফদের সঙ্গে কথা বলে ও তথ্য অনুসন্ধানে জানা গেছে, প্রাইভেট ক্লিনিক থেকে কল দিলে ডাক্তাররা সেখানে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। আবার একটা অপারেশন মেডিকেলে না করিয়ে প্রাইভেট হাসপাতালে নিতে পারলে লাভের অংশ অনেক বেশি দেওয়া হয় তাঁদের।

১৩ এপ্রিল অ্যানেসথেটিস্ট ডাক্তারের অনুপস্থিতির কারণে অপারেশন করতে না পারা ডাক্তার জেরিনের সঙ্গে কথা বললে তিনি মোবাইল ফোনে এ ব্যাপারে কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।

অ্যানেসথেটিস্ট রণজিৎ মণ্ডলকে তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তিনি সার্জারি বিভাগীয় প্রধানের সঙ্গে কথা বলতে বলেন।

এ বিষয়ে সার্জারি বিভাগীয় প্রধান শরিফুল ইসলাম সব ঘটনা শুনে নিজের অপারগতা প্রকাশ করে হাসপাতালের পরিচালকের সঙ্গে কথা বলতে বলেন।

তবে এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. কুদরত-ই-খোদার সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত