টাঙ্গাইল সংবাদদাতা
দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করায় টাঙ্গাইল পৌরসভার বেশ কিছু সড়কে বড় বড় খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। সড়কগুলোতে প্রতিদিনই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা, নষ্ট হচ্ছে যানবাহন। এ ছাড়া একটু বৃষ্টি হলেই সড়কে পানি জমে। ফলে ভোগান্তি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে পৌরবাসীকে। পাশাপাশি গন্তব্যে যেতে দুই থেকে আড়াই গুণ বেশি সময় লাগছে এবং খরচও হচ্ছে বেশি। সড়কটি দ্রুত সংস্কারসহ টেকসই উন্নয়নের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে পৌর এলাকায় মোট ৩৩৫ কিলোমিটার সড়ক রয়েছে। এর মধ্যে ১৭৯ দশমিক ২ কিলোমিটার পাকা সড়ক; যার অর্ধেকের বেশি কার্পেটিং উঠে গেছে।
বেড়াডোমা এলাকার বাসিন্দা শামীম আল মামুন জানান, আগে তাঁদের এই রাস্তা দিয়ে পৌর এলাকা ছাড়াও পশ্চিম টাঙ্গাইলের প্রায় ৩০ হাজার মানুষ যাতায়াত করত। কিন্তু বেহাল সড়কের কারণে এখন মানুষ সড়কটি এড়িয়ে চলেন। ফলে অনেকটা পথ ঘুরে যাতায়াত করতে হচ্ছে। পৌর এলাকায় থেকেও নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
পৌর এলাকার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের আমিনবাগ এলাকার বাসিন্দা খোকন বলেন, পৌরসভায় বাস করেও যদি এমন ভাঙা সড়ক দিয়ে চলাচল করতে হয়, তাহলে পৌর এলাকায় থেকে লাভ কী? চড়কাগমারা প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে এসপি পার্ক পর্যন্ত সড়কটি খানাখন্দে ভরা। অতিরিক্ত ভাড়া দিলেও রিকশাওয়ালারা আসতে চান না।
অটোরিকশাচালক আজগর আলী বলেন, ‘ভাঙা সড়কের কারণে অনেক সময় অটোরিকশা নষ্ট হয়ে যায়। গত মাসে বৃষ্টির পর এসপি পার্কের সামনে সড়কের ওপর পানি থাকায় গর্ত দেখা যায়নি। সেই গর্তে পড়ে আমার অটোরিকশাটি উল্টে যায়। এ সময় কেউ আহত না হলেও রিকশাটি ভেঙে যায়। এতে আমার কয়েক হাজার টাকা ক্ষতি হয়।’
শুধু এই রাস্তা নয়, শহরের প্রাণকেন্দ্র নিউমার্কেট এলাকার সড়কেরও একই অবস্থা। নিউমার্কেট এলাকাটি আবার মেডিসিন মার্কেট হিসেবে পরিচিত। উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ এই মার্কেট থেকে ওষুধ পাইকারি কিনে থাকেন। এর পাশেই রয়েছে শহরের প্রধান কাঁচাবাজার ‘পার্ক বাজার’ ও র্যাব অফিস। তাই এখানে মানুষের চলাচলও বেশি। কথা হয় ওষুধ কিনতে আসা বেড়াবুচনা এলাকার রওশনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ভাঙা সড়কের কারণে তিনি মোটরসাইকেল এখানে আনতে পারেননি।
১৬ নম্বর আকুরটাকুরপাড়া এলাকার বাসিন্দা মো. শাহিন বলেন, তাঁর ছেলে পড়ালেখা করে টাঙ্গাইল প্রি-ক্যাডেট স্কুলে। প্রতিদিন জেলা সদর সড়ক দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। কিন্তু সড়কটি ভাঙা থাকায় প্রতিনিয়ত কষ্ট হচ্ছে। সড়কটি দ্রুত সংস্কারের দাবি জানান তিনি।
একই অবস্থা স্টেডিয়াম মার্কেট রোড, দিঘুলিয়া ব্যাপারী পাড়া রোড, প্যারাডাইস পাড়া রোডসহ অনেক সড়কই খানাখন্দে ভরা।
এ বিষয়ে পৌর মেয়র এসএম সিরাজুল হক আলমগীর বলেন, নিরালা মোড় থেকে ডিস্ট্রিক্ট পর্যন্ত সড়কটি ইতিমধ্যে দুবার সংস্কার করা হয়েছে। কিন্তু বৃষ্টির পানিতে আবার নষ্ট হয়ে গেছে। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা ছিল, বর্ষা মৌসুমে কোনো সড়ক কার্পেটিং করা যাবে না। তাই অক্টোবর পর্যন্ত সড়কে কার্পেটিং করা বন্ধ ছিল। নভেম্বরের দিকে কার্পেটিং করার জন্য ঠিকাদারকে বলা হয়েছে। সব সড়ক দুই লেন করার জন্য জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকে কাজ করার জন্য পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া সড়কে লাইটিংও করা হবে।
মেয়র আরও জানান, ইতিমধ্যে বিভিন্ন প্রকল্পে সড়ক, কালভার্ট, সেতু, লাইটিং, ফুটপাত করার জন্য ১ হাজার ১৭২ কোটি চেয়ে দাখিল করা হয়েছে। আশা করছি দ্রুত সব সমস্যার সমাধান করা হবে।
দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করায় টাঙ্গাইল পৌরসভার বেশ কিছু সড়কে বড় বড় খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। সড়কগুলোতে প্রতিদিনই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা, নষ্ট হচ্ছে যানবাহন। এ ছাড়া একটু বৃষ্টি হলেই সড়কে পানি জমে। ফলে ভোগান্তি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে পৌরবাসীকে। পাশাপাশি গন্তব্যে যেতে দুই থেকে আড়াই গুণ বেশি সময় লাগছে এবং খরচও হচ্ছে বেশি। সড়কটি দ্রুত সংস্কারসহ টেকসই উন্নয়নের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে পৌর এলাকায় মোট ৩৩৫ কিলোমিটার সড়ক রয়েছে। এর মধ্যে ১৭৯ দশমিক ২ কিলোমিটার পাকা সড়ক; যার অর্ধেকের বেশি কার্পেটিং উঠে গেছে।
বেড়াডোমা এলাকার বাসিন্দা শামীম আল মামুন জানান, আগে তাঁদের এই রাস্তা দিয়ে পৌর এলাকা ছাড়াও পশ্চিম টাঙ্গাইলের প্রায় ৩০ হাজার মানুষ যাতায়াত করত। কিন্তু বেহাল সড়কের কারণে এখন মানুষ সড়কটি এড়িয়ে চলেন। ফলে অনেকটা পথ ঘুরে যাতায়াত করতে হচ্ছে। পৌর এলাকায় থেকেও নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
পৌর এলাকার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের আমিনবাগ এলাকার বাসিন্দা খোকন বলেন, পৌরসভায় বাস করেও যদি এমন ভাঙা সড়ক দিয়ে চলাচল করতে হয়, তাহলে পৌর এলাকায় থেকে লাভ কী? চড়কাগমারা প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে এসপি পার্ক পর্যন্ত সড়কটি খানাখন্দে ভরা। অতিরিক্ত ভাড়া দিলেও রিকশাওয়ালারা আসতে চান না।
অটোরিকশাচালক আজগর আলী বলেন, ‘ভাঙা সড়কের কারণে অনেক সময় অটোরিকশা নষ্ট হয়ে যায়। গত মাসে বৃষ্টির পর এসপি পার্কের সামনে সড়কের ওপর পানি থাকায় গর্ত দেখা যায়নি। সেই গর্তে পড়ে আমার অটোরিকশাটি উল্টে যায়। এ সময় কেউ আহত না হলেও রিকশাটি ভেঙে যায়। এতে আমার কয়েক হাজার টাকা ক্ষতি হয়।’
শুধু এই রাস্তা নয়, শহরের প্রাণকেন্দ্র নিউমার্কেট এলাকার সড়কেরও একই অবস্থা। নিউমার্কেট এলাকাটি আবার মেডিসিন মার্কেট হিসেবে পরিচিত। উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ এই মার্কেট থেকে ওষুধ পাইকারি কিনে থাকেন। এর পাশেই রয়েছে শহরের প্রধান কাঁচাবাজার ‘পার্ক বাজার’ ও র্যাব অফিস। তাই এখানে মানুষের চলাচলও বেশি। কথা হয় ওষুধ কিনতে আসা বেড়াবুচনা এলাকার রওশনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ভাঙা সড়কের কারণে তিনি মোটরসাইকেল এখানে আনতে পারেননি।
১৬ নম্বর আকুরটাকুরপাড়া এলাকার বাসিন্দা মো. শাহিন বলেন, তাঁর ছেলে পড়ালেখা করে টাঙ্গাইল প্রি-ক্যাডেট স্কুলে। প্রতিদিন জেলা সদর সড়ক দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। কিন্তু সড়কটি ভাঙা থাকায় প্রতিনিয়ত কষ্ট হচ্ছে। সড়কটি দ্রুত সংস্কারের দাবি জানান তিনি।
একই অবস্থা স্টেডিয়াম মার্কেট রোড, দিঘুলিয়া ব্যাপারী পাড়া রোড, প্যারাডাইস পাড়া রোডসহ অনেক সড়কই খানাখন্দে ভরা।
এ বিষয়ে পৌর মেয়র এসএম সিরাজুল হক আলমগীর বলেন, নিরালা মোড় থেকে ডিস্ট্রিক্ট পর্যন্ত সড়কটি ইতিমধ্যে দুবার সংস্কার করা হয়েছে। কিন্তু বৃষ্টির পানিতে আবার নষ্ট হয়ে গেছে। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা ছিল, বর্ষা মৌসুমে কোনো সড়ক কার্পেটিং করা যাবে না। তাই অক্টোবর পর্যন্ত সড়কে কার্পেটিং করা বন্ধ ছিল। নভেম্বরের দিকে কার্পেটিং করার জন্য ঠিকাদারকে বলা হয়েছে। সব সড়ক দুই লেন করার জন্য জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকে কাজ করার জন্য পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া সড়কে লাইটিংও করা হবে।
মেয়র আরও জানান, ইতিমধ্যে বিভিন্ন প্রকল্পে সড়ক, কালভার্ট, সেতু, লাইটিং, ফুটপাত করার জন্য ১ হাজার ১৭২ কোটি চেয়ে দাখিল করা হয়েছে। আশা করছি দ্রুত সব সমস্যার সমাধান করা হবে।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে