নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
টাঙ্গাইলের করটিয়ার কাপড়ের হাট ও সরকারি সা’দত কলেজের কথা বিবেচনা করে ২০১৫ সালে করটিয়ার কাছে সোনালিয়া এলাকায় রেলস্টেশন নির্মাণ করে কর্তৃপক্ষ। তবে ৯ বছরেও স্টেশনটি চালু হয়নি। ফলে টাঙ্গাইল সদর, বাসাইল ও সখীপুরের প্রায় ১০ লাখ মানুষ রেলওয়ের সেবা থেকে বঞ্চিত রয়েছে। সোনালিয়া গ্রামের বাসিন্দা সেলিম মিয়া বলেন, এই স্টেশন চালু হলে সা’দত কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের যাতায়াত সহজ হতো। দেশের অন্যতম বৃহৎ কাপড়ের হাটে আসা ক্রেতা-বিক্রেতাদের পরিবহন ব্যয় কমত।
রেলওয়ের টাঙ্গাইলের স্টেশনমাস্টার তারিকুল ইসলাম বলেন, করটিয়া স্টেশনটি এখনো চালু হয়নি লোকবল বরাদ্দ না হওয়ায়। কবে চালু হবে, সে ব্যাপারেও কিছু জানানো হয়নি। ঢাকা রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে বিস্তারিত বলতে পারবে।
করটিয়াসংলগ্ন স্টেশনটির মতো সারা দেশে ১১২টি রেলস্টেশন বন্ধ আছে। বেশির ভাগ স্টেশন বন্ধ জনবল-সংকটের কারণে। অঞ্চলভিত্তিক বিভিন্ন স্টেশন চালু করার উদ্দেশ্যে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হলেও তা কাজে আসছে না।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, রেলওয়েতে এখন প্রকল্প আছে ২৭টি। এর মধ্যে ১২টি হচ্ছে রেললাইন সম্প্রসারণ এবং নতুন করে দুই অঞ্চলের মধ্যে সংযোগ স্থাপন প্রকল্প। পদ্মা সেতু রেল প্রকল্প (আংশিক), চট্টগ্রাম-কক্সবাজার প্রকল্প, খুলনা-মোংলা প্রকল্প ইতিমধ্যে চালু হয়েছে। তবে অধিকাংশ প্রকল্পে পুরোপুরি সেবা দিতে পারছে না রেলওয়ে। আবার সারা দেশে চালু স্টেশনের এক-চতুর্থাংশও আছে অযত্ন-অবহেলায়। দেশে স্টেশন আছে মোট ৫০৪টি। এসবের মধ্যে ১১২টি স্টেশন বন্ধ থাকায় রেলওয়ে রাজস্ব হারানোর পাশাপাশি শিডিউল বিপর্যয়ের শিকার হচ্ছে বেশি। বন্ধ স্টেশন এলাকায় পূর্ণ গতিতে ট্রেন চালানোও সম্ভব হয় না।
সূত্রমতে, রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলে ২৪৩টি স্টেশনের মধ্যে চালু আছে ২০৩টি, বন্ধ ৪০টি। পশ্চিমাঞ্চলে ২৬১টি স্টেশনের মধ্যে চালু আছে ১৮৯টি, বন্ধ ৭২টি। ২০০৮ সালে ১৬টি, ২০০৯ সালে ২৬টি এবং ২০১০ সালে ৩৪টি স্টেশন বন্ধ করা হয়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বন্ধ স্টেশন চালুর উদ্যোগ না থাকলেও নতুন প্রকল্পে বাড়ছে স্টেশনের সংখ্যা।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. হাদিউজ্জামান বলেন, একটা অঞ্চলে স্টেশন থাকলে সেখানে মানুষের ওই স্টেশনকেন্দ্রিক একধরনের নির্ভরশীলতা তৈরি হয়। আবার সেটা বন্ধ হয়ে গেলে সেই অঞ্চলের মানুষ অসুবিধায় পড়ে। যে স্টেশনগুলো বন্ধ আছে, সেগুলো চালু না করে নতুন প্রকল্প নিয়ে আবার স্টেশন তৈরি করা হচ্ছে।
জানা যায়, একটি স্টেশন চালু রাখতে একজন মাস্টার, দুজন সহকারী মাস্টার ও তিনজন পোস্টম্যান লাগে। এতে বন্ধ স্টেশনগুলো চালু করতে ৬৭২ জন লোকবল দরকার। রেলওয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, স্টেশনগুলো খোলা থাকলে টিকিট বিক্রি হতো। সেটা আর হচ্ছে না। আবার স্টেশন বন্ধ থাকায় ক্রসিংয়ে আগে যেখানে লাগত ৫ মিনিট, এখন লাগছে ১০ মিনিট।
পশ্চিমাঞ্চলের স্টেশনগুলোর অবস্থা
নীলফামারী জেলার খয়রাত নগর, নীলফামারী কলেজ, দারোয়ানী, তরনীবাড়ী ও মির্জাগঞ্জ স্টেশন বছরের পর বছর বন্ধ আছে। নীলফামারী কলেজ স্টেশনসংলগ্ন হাড়োয়ার বাসিন্দা জামিয়ার হোসেন বলেন, অনেক বছর ধরে স্টেশনগুলো বন্ধ থাকায় এলাকাবাসীর ভোগান্তি বেড়েছে।
নীলফামারীর সিনিয়র স্টেশনমাস্টার ওবায়দুল ইসলাম রতন বলেন, বন্ধ স্টেশনগুলোর কথা তাঁরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। জনবল পেলে এগুলো আবার চালু করা হবে বলে তাঁদের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, এই অঞ্চলে অনেক স্টেশন আংশিক বন্ধ, আবার অনেকগুলোর অস্তিত্বই নেই। স্টেশনমাস্টারসহ ৬০২টি পদের বিপরীতে আছেন মাত্র ২৯০ জন।
সান্তাহার-চিলাহাটি-সান্তাহার-বোনারপাড়া রুটে ১৭টি স্টেশনের কার্যক্রম বন্ধ আছে। এর মধ্যে ২০১০ সালে লালমনিরহাট-সান্তাহার রেলপথের দেবী চৌধুরাণী ও অন্নদানগর স্টেশন দুটির কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়। প্রতিদিন ওই রেলপথে ১৬টি ট্রেন যাতায়াত করছে। দুই স্টেশনে গড়ে প্রতিদিন পাঁচ শতাধিক যাত্রী ওঠানামা করলেও টিকিট বিক্রির ব্যবস্থা না থাকায় যাত্রীরা টিকিট ছাড়াই চলাচল করছেন।
রেলওয়ের লালমনিরহাট বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, লোকবল না থাকায় স্টেশনগুলো চালু করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে লোকবল নিয়োগ হয়েছে। তাঁদের প্রশিক্ষণ চলছে।
পশ্চিমাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার বলেন, তাঁর সময়ে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল ২২২ জন। এর মধ্যে ১২০ জন চলে গেছেন। বেশির ভাগই ভালো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করা। মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার, পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন এমন বিষয়ে স্নাতকোত্তর করা ছেলেরা এখানে থাকবে না—এটাই স্বাভাবিক। নিয়োগ হলে জনবল-সংকট কাটবে।
কী অবস্থা পূর্বাঞ্চলে
পূর্বাঞ্চলের পরিবহন বিভাগ জানায়, পূর্বাঞ্চলে বন্ধ থাকা ৪০ স্টেশনের মধ্যে ঢাকা অঞ্চলের ২৬টি এবং চট্টগ্রামে ১৪টি। ঢাকার বন্ধ স্টেশনগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—আশুগঞ্জ, শ্রীনিধি, কালিকাপ্রসাদ, নীলগঞ্জ, লস্করপুর। চট্টগ্রামের বন্ধ স্টেশনের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—বাড়বকুণ্ড, বারৈয়াঢালা, মিরসরাই, মাস্তাননগর, শর্শদী, আলিশহর ও ময়নামতি।
কর্মকর্তারা জানান, বন্ধ স্টেশনগুলোর লুপ লাইন, সিগন্যাল সিস্টেম অকেজো হয়ে গেছে। এতে ট্রেন আর আগের গতিতে চলতে পারছে না। ভ্রমণ সময় দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা বেশি লাগছে।
সিলেট-আখাউড়া রেলওয়ে সেকশনের লংলা, ভাটেরা, টিলাগাঁও ও মনু স্টেশন ঝোপঝাড়ে ভরে গেছে। গত কয়েক বছরে কুমিল্লা অঞ্চলের লাকসাম থেকে নোয়াখালী, চাঁদপুর, চট্টগ্রাম ও আখাউড়া রেলপথে ১৭টি স্টেশন বন্ধ হয়েছে। কুমিল্লা জেলায় বন্ধ ৮টি। ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের পাঁচটিকে আধুনিকায়ন করা হলেও ধুঁকছে জনবল-সংকটে। স্টেশনগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ওই এলাকার যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়েছেন। সিলেট-আখাউড়া রেলপথের চারটি স্টেশন বন্ধ আছে মাস্টারের অভাবে।
পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম বলেন, রেলওয়েতে দীর্ঘদিন নিয়োগ না হওয়ায় এই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। নিয়োগপ্রক্রিয়া চলমান আছে। কর্মীর সংকট কেটে গেলে বন্ধ সব স্টেশন পর্যায়ক্রমে চালু করা হবে।
[প্রতিবেদন তৈরিতে সহায়তা করেছেন আজকের পত্রিকার সংশ্লিষ্ট জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধিরা]
টাঙ্গাইলের করটিয়ার কাপড়ের হাট ও সরকারি সা’দত কলেজের কথা বিবেচনা করে ২০১৫ সালে করটিয়ার কাছে সোনালিয়া এলাকায় রেলস্টেশন নির্মাণ করে কর্তৃপক্ষ। তবে ৯ বছরেও স্টেশনটি চালু হয়নি। ফলে টাঙ্গাইল সদর, বাসাইল ও সখীপুরের প্রায় ১০ লাখ মানুষ রেলওয়ের সেবা থেকে বঞ্চিত রয়েছে। সোনালিয়া গ্রামের বাসিন্দা সেলিম মিয়া বলেন, এই স্টেশন চালু হলে সা’দত কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের যাতায়াত সহজ হতো। দেশের অন্যতম বৃহৎ কাপড়ের হাটে আসা ক্রেতা-বিক্রেতাদের পরিবহন ব্যয় কমত।
রেলওয়ের টাঙ্গাইলের স্টেশনমাস্টার তারিকুল ইসলাম বলেন, করটিয়া স্টেশনটি এখনো চালু হয়নি লোকবল বরাদ্দ না হওয়ায়। কবে চালু হবে, সে ব্যাপারেও কিছু জানানো হয়নি। ঢাকা রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে বিস্তারিত বলতে পারবে।
করটিয়াসংলগ্ন স্টেশনটির মতো সারা দেশে ১১২টি রেলস্টেশন বন্ধ আছে। বেশির ভাগ স্টেশন বন্ধ জনবল-সংকটের কারণে। অঞ্চলভিত্তিক বিভিন্ন স্টেশন চালু করার উদ্দেশ্যে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হলেও তা কাজে আসছে না।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, রেলওয়েতে এখন প্রকল্প আছে ২৭টি। এর মধ্যে ১২টি হচ্ছে রেললাইন সম্প্রসারণ এবং নতুন করে দুই অঞ্চলের মধ্যে সংযোগ স্থাপন প্রকল্প। পদ্মা সেতু রেল প্রকল্প (আংশিক), চট্টগ্রাম-কক্সবাজার প্রকল্প, খুলনা-মোংলা প্রকল্প ইতিমধ্যে চালু হয়েছে। তবে অধিকাংশ প্রকল্পে পুরোপুরি সেবা দিতে পারছে না রেলওয়ে। আবার সারা দেশে চালু স্টেশনের এক-চতুর্থাংশও আছে অযত্ন-অবহেলায়। দেশে স্টেশন আছে মোট ৫০৪টি। এসবের মধ্যে ১১২টি স্টেশন বন্ধ থাকায় রেলওয়ে রাজস্ব হারানোর পাশাপাশি শিডিউল বিপর্যয়ের শিকার হচ্ছে বেশি। বন্ধ স্টেশন এলাকায় পূর্ণ গতিতে ট্রেন চালানোও সম্ভব হয় না।
সূত্রমতে, রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলে ২৪৩টি স্টেশনের মধ্যে চালু আছে ২০৩টি, বন্ধ ৪০টি। পশ্চিমাঞ্চলে ২৬১টি স্টেশনের মধ্যে চালু আছে ১৮৯টি, বন্ধ ৭২টি। ২০০৮ সালে ১৬টি, ২০০৯ সালে ২৬টি এবং ২০১০ সালে ৩৪টি স্টেশন বন্ধ করা হয়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বন্ধ স্টেশন চালুর উদ্যোগ না থাকলেও নতুন প্রকল্পে বাড়ছে স্টেশনের সংখ্যা।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. হাদিউজ্জামান বলেন, একটা অঞ্চলে স্টেশন থাকলে সেখানে মানুষের ওই স্টেশনকেন্দ্রিক একধরনের নির্ভরশীলতা তৈরি হয়। আবার সেটা বন্ধ হয়ে গেলে সেই অঞ্চলের মানুষ অসুবিধায় পড়ে। যে স্টেশনগুলো বন্ধ আছে, সেগুলো চালু না করে নতুন প্রকল্প নিয়ে আবার স্টেশন তৈরি করা হচ্ছে।
জানা যায়, একটি স্টেশন চালু রাখতে একজন মাস্টার, দুজন সহকারী মাস্টার ও তিনজন পোস্টম্যান লাগে। এতে বন্ধ স্টেশনগুলো চালু করতে ৬৭২ জন লোকবল দরকার। রেলওয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, স্টেশনগুলো খোলা থাকলে টিকিট বিক্রি হতো। সেটা আর হচ্ছে না। আবার স্টেশন বন্ধ থাকায় ক্রসিংয়ে আগে যেখানে লাগত ৫ মিনিট, এখন লাগছে ১০ মিনিট।
পশ্চিমাঞ্চলের স্টেশনগুলোর অবস্থা
নীলফামারী জেলার খয়রাত নগর, নীলফামারী কলেজ, দারোয়ানী, তরনীবাড়ী ও মির্জাগঞ্জ স্টেশন বছরের পর বছর বন্ধ আছে। নীলফামারী কলেজ স্টেশনসংলগ্ন হাড়োয়ার বাসিন্দা জামিয়ার হোসেন বলেন, অনেক বছর ধরে স্টেশনগুলো বন্ধ থাকায় এলাকাবাসীর ভোগান্তি বেড়েছে।
নীলফামারীর সিনিয়র স্টেশনমাস্টার ওবায়দুল ইসলাম রতন বলেন, বন্ধ স্টেশনগুলোর কথা তাঁরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। জনবল পেলে এগুলো আবার চালু করা হবে বলে তাঁদের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, এই অঞ্চলে অনেক স্টেশন আংশিক বন্ধ, আবার অনেকগুলোর অস্তিত্বই নেই। স্টেশনমাস্টারসহ ৬০২টি পদের বিপরীতে আছেন মাত্র ২৯০ জন।
সান্তাহার-চিলাহাটি-সান্তাহার-বোনারপাড়া রুটে ১৭টি স্টেশনের কার্যক্রম বন্ধ আছে। এর মধ্যে ২০১০ সালে লালমনিরহাট-সান্তাহার রেলপথের দেবী চৌধুরাণী ও অন্নদানগর স্টেশন দুটির কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়। প্রতিদিন ওই রেলপথে ১৬টি ট্রেন যাতায়াত করছে। দুই স্টেশনে গড়ে প্রতিদিন পাঁচ শতাধিক যাত্রী ওঠানামা করলেও টিকিট বিক্রির ব্যবস্থা না থাকায় যাত্রীরা টিকিট ছাড়াই চলাচল করছেন।
রেলওয়ের লালমনিরহাট বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, লোকবল না থাকায় স্টেশনগুলো চালু করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে লোকবল নিয়োগ হয়েছে। তাঁদের প্রশিক্ষণ চলছে।
পশ্চিমাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার বলেন, তাঁর সময়ে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল ২২২ জন। এর মধ্যে ১২০ জন চলে গেছেন। বেশির ভাগই ভালো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করা। মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার, পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন এমন বিষয়ে স্নাতকোত্তর করা ছেলেরা এখানে থাকবে না—এটাই স্বাভাবিক। নিয়োগ হলে জনবল-সংকট কাটবে।
কী অবস্থা পূর্বাঞ্চলে
পূর্বাঞ্চলের পরিবহন বিভাগ জানায়, পূর্বাঞ্চলে বন্ধ থাকা ৪০ স্টেশনের মধ্যে ঢাকা অঞ্চলের ২৬টি এবং চট্টগ্রামে ১৪টি। ঢাকার বন্ধ স্টেশনগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—আশুগঞ্জ, শ্রীনিধি, কালিকাপ্রসাদ, নীলগঞ্জ, লস্করপুর। চট্টগ্রামের বন্ধ স্টেশনের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—বাড়বকুণ্ড, বারৈয়াঢালা, মিরসরাই, মাস্তাননগর, শর্শদী, আলিশহর ও ময়নামতি।
কর্মকর্তারা জানান, বন্ধ স্টেশনগুলোর লুপ লাইন, সিগন্যাল সিস্টেম অকেজো হয়ে গেছে। এতে ট্রেন আর আগের গতিতে চলতে পারছে না। ভ্রমণ সময় দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা বেশি লাগছে।
সিলেট-আখাউড়া রেলওয়ে সেকশনের লংলা, ভাটেরা, টিলাগাঁও ও মনু স্টেশন ঝোপঝাড়ে ভরে গেছে। গত কয়েক বছরে কুমিল্লা অঞ্চলের লাকসাম থেকে নোয়াখালী, চাঁদপুর, চট্টগ্রাম ও আখাউড়া রেলপথে ১৭টি স্টেশন বন্ধ হয়েছে। কুমিল্লা জেলায় বন্ধ ৮টি। ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের পাঁচটিকে আধুনিকায়ন করা হলেও ধুঁকছে জনবল-সংকটে। স্টেশনগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ওই এলাকার যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়েছেন। সিলেট-আখাউড়া রেলপথের চারটি স্টেশন বন্ধ আছে মাস্টারের অভাবে।
পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম বলেন, রেলওয়েতে দীর্ঘদিন নিয়োগ না হওয়ায় এই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। নিয়োগপ্রক্রিয়া চলমান আছে। কর্মীর সংকট কেটে গেলে বন্ধ সব স্টেশন পর্যায়ক্রমে চালু করা হবে।
[প্রতিবেদন তৈরিতে সহায়তা করেছেন আজকের পত্রিকার সংশ্লিষ্ট জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধিরা]
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
২ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
২ দিন আগে