খান রফিক, বরিশাল
বরিশাল-ঢাকা নৌপথে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হচ্ছে পদ্মা, মেঘনা ও ডাকাতিয়া—এ তিন নদীর মোহনা। তীব্র স্রোত আর পানির ঘূর্ণির কারণে এই মোহনায় লঞ্চগুলো পৌঁছালে ভয়ে থাকেন যাত্রীদের। ভরা বর্ষায় সেই মোহনায় ১৫ দিন ধরে মধ্যরাতে যাত্রীবাহী লঞ্চ থামিয়ে তল্লাশি চালাচ্ছে নৌ পুলিশ। এ সময় হয়রানির শিকার হওয়ার কথা জানিয়েছেন যাত্রী ও লঞ্চ কর্মচারীরা।
জানা যায়, ট্রলার ও স্পিড বোট থেকে লঞ্চে উঠে পণ্যবাহী মালামাল তল্লাশি করে ১০-১২ জনের দল। এসব ঘটনায় যাত্রীদের মধ্যে ডাকাত-আতঙ্কও দেখা দিচ্ছে। সম্প্রতি অন্তত হাফ ডজন যাত্রীবাহী লঞ্চে মধ্যরাতে তল্লাশির নামে হয়রানির অভিযোগ করেছেন লঞ্চের স্টাফরা। নৌ পুলিশের চাঁদপুর পুলিশ সুপার এ ধরনের অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা স্বীকার করে বলেছেন, যাত্রী হয়রানি রোধে সংশ্লিষ্ট থানা-পুলিশকে সতর্ক করেছেন।
এমভি সুন্দরবন-১০ লঞ্চের মাস্টার মজিবর রহমান জানান, গত ২৮ জুলাই তিনি যাত্রী নিয়ে ঢাকা থেকে বরিশালের উদ্দেশে রওনা দেন। পথিমধ্যে রাত পৌনে ১টায় চাঁদপুরের মোহনায় দুটি বোটে চেপে একদল লোক হুইসেল দিয়ে টর্চ মারতে মারতে কাছে আসেন। তাঁরা এ সময় নৌ পুলিশ পরিচয় দিয়ে লঞ্চ তল্লাশির চেষ্টা করেন। লঞ্চের নিচে থাকা মালামালের প্যাকেট কেটে তল্লাশি করে কিছু না পেয়ে চলে যান। এ সময় কয়েকজন যাত্রী ডাকাত-আতঙ্কে অসুস্থ হয়ে পড়েন বলে জানান মাস্টার মজিবর। তিনি নৌ পুলিশের এসপি এবং ওসিকে বিষয়টি ফোনে অবহিত করলে তাঁরা তাৎক্ষণিক জানান, তাঁদের কোনো দল অভিযান করেনি।
মজিবর বলেন, ২ আগস্টও রাত ১টার দিকে চাঁদপুর মোহনায় লঞ্চে ফের তল্লাশি চালানো হলে তাঁরা চ্যালেঞ্জ করেন। লাঠি হাতে এ সময় ওই টিমের সদস্যরা নিজেদের নৌ-পুলিশ পরিচয় দিলেও এর প্রমাণ দেখাতে পারেননি। মাস্টার মজিবর বলেন, মোহনার মতো ঝুঁকিপূর্ণ স্পটে মধ্যরাতে গত এক সপ্তাহে সুন্দরবন-১১, পারাবাত-১০ লঞ্চেও তল্লাশির ঘটনা ঘটেছে।
চাঁদপুর নৌ থানার ওসি কামরুজ্জামান জানান, যত দূর পরিচয় দেওয়া সম্ভব, সেটুকু দিয়ে তাঁরা নদীপথে এ ধরনের অভিযান করেন। সম্প্রতি সবগুলো অভিযান যে তাঁর থানা দিয়ে করা হয়েছে, তা সঠিক নয়। তবে তাঁরা কারেন্ট জাল, জাটকা, মাদক আসছে—এমন অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালান। তিনি জানান যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা তাঁরা মাথায় রাখেন।
লঞ্চ মালিক সমিতির কেন্দ্রীয় সহসভাপতি সাইদুর রহমান রিন্টু এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘এরা অন্য কোনো দুর্বৃত্ত হলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। মাঝপথে এভাবে লঞ্চ থামিয়ে তল্লাশি বন্ধে তাঁরা নৌ-পুলিশ এবং প্রশাসনকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।’
এ বিষয়ে নৌ পুলিশের চাঁদপুর পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান জানান, তিনি এ ধরনের অভিযোগ লঞ্চের স্টাফদের কাছ থেকে পেয়েছেন। তাঁদের সদর নৌ পুলিশ সম্প্রতি পলিথিন, কারেন্ট জাল জব্দ করতে এ ধরনের অভিযান চালাচ্ছে। অবশ্য তিনি সেখানকার ওসিকে কড়াভাবে সতর্ক করেছেন। বলে দিয়েছেন এভাবে তল্লাশি করলে যাত্রীরা ভয় পাবেন। তল্লাশি করতে হলে আগে থেকে ওই লঞ্চের সঙ্গে কথা বলে নিতে হবে। চ্যানেল সিক্সটিনে বার্তা পাঠাতে হবে। সবার ইউনিফর্ম থাকতে হবে। এসআই পদমর্যাদা দিয়ে এ ধরনের তল্লাশি করা যাবে না। কেননা নৌ-পুলিশেরও ঝুঁকি থাকে। অভিযানকারীরা ডাকাত না পুলিশ, মধ্যরাতে তা কী করে বুঝবে।’
বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের উপপরিচালক মাহমুদুল হাসান বলেন, নদীর মোহনায় যাত্রীবাহী লঞ্চ থামিয়ে কোনো বাহিনী তল্লাশি করতে পারে না। তাঁকেও মাস্টাররা অভিযোগ করেছেন। ডাকাতিয়া, পদ্মা, মেঘনা—এই তিন নদীর মোহনা ঝুঁকিপূর্ণ। এরা পুলিশ নাকি অন্য কেউ, তা খতিয়ে দেখতে তিনি নৌ-পুলিশ এবং কোস্টগার্ডের সঙ্গে কথা বলবেন।
বরিশাল-ঢাকা নৌপথে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হচ্ছে পদ্মা, মেঘনা ও ডাকাতিয়া—এ তিন নদীর মোহনা। তীব্র স্রোত আর পানির ঘূর্ণির কারণে এই মোহনায় লঞ্চগুলো পৌঁছালে ভয়ে থাকেন যাত্রীদের। ভরা বর্ষায় সেই মোহনায় ১৫ দিন ধরে মধ্যরাতে যাত্রীবাহী লঞ্চ থামিয়ে তল্লাশি চালাচ্ছে নৌ পুলিশ। এ সময় হয়রানির শিকার হওয়ার কথা জানিয়েছেন যাত্রী ও লঞ্চ কর্মচারীরা।
জানা যায়, ট্রলার ও স্পিড বোট থেকে লঞ্চে উঠে পণ্যবাহী মালামাল তল্লাশি করে ১০-১২ জনের দল। এসব ঘটনায় যাত্রীদের মধ্যে ডাকাত-আতঙ্কও দেখা দিচ্ছে। সম্প্রতি অন্তত হাফ ডজন যাত্রীবাহী লঞ্চে মধ্যরাতে তল্লাশির নামে হয়রানির অভিযোগ করেছেন লঞ্চের স্টাফরা। নৌ পুলিশের চাঁদপুর পুলিশ সুপার এ ধরনের অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা স্বীকার করে বলেছেন, যাত্রী হয়রানি রোধে সংশ্লিষ্ট থানা-পুলিশকে সতর্ক করেছেন।
এমভি সুন্দরবন-১০ লঞ্চের মাস্টার মজিবর রহমান জানান, গত ২৮ জুলাই তিনি যাত্রী নিয়ে ঢাকা থেকে বরিশালের উদ্দেশে রওনা দেন। পথিমধ্যে রাত পৌনে ১টায় চাঁদপুরের মোহনায় দুটি বোটে চেপে একদল লোক হুইসেল দিয়ে টর্চ মারতে মারতে কাছে আসেন। তাঁরা এ সময় নৌ পুলিশ পরিচয় দিয়ে লঞ্চ তল্লাশির চেষ্টা করেন। লঞ্চের নিচে থাকা মালামালের প্যাকেট কেটে তল্লাশি করে কিছু না পেয়ে চলে যান। এ সময় কয়েকজন যাত্রী ডাকাত-আতঙ্কে অসুস্থ হয়ে পড়েন বলে জানান মাস্টার মজিবর। তিনি নৌ পুলিশের এসপি এবং ওসিকে বিষয়টি ফোনে অবহিত করলে তাঁরা তাৎক্ষণিক জানান, তাঁদের কোনো দল অভিযান করেনি।
মজিবর বলেন, ২ আগস্টও রাত ১টার দিকে চাঁদপুর মোহনায় লঞ্চে ফের তল্লাশি চালানো হলে তাঁরা চ্যালেঞ্জ করেন। লাঠি হাতে এ সময় ওই টিমের সদস্যরা নিজেদের নৌ-পুলিশ পরিচয় দিলেও এর প্রমাণ দেখাতে পারেননি। মাস্টার মজিবর বলেন, মোহনার মতো ঝুঁকিপূর্ণ স্পটে মধ্যরাতে গত এক সপ্তাহে সুন্দরবন-১১, পারাবাত-১০ লঞ্চেও তল্লাশির ঘটনা ঘটেছে।
চাঁদপুর নৌ থানার ওসি কামরুজ্জামান জানান, যত দূর পরিচয় দেওয়া সম্ভব, সেটুকু দিয়ে তাঁরা নদীপথে এ ধরনের অভিযান করেন। সম্প্রতি সবগুলো অভিযান যে তাঁর থানা দিয়ে করা হয়েছে, তা সঠিক নয়। তবে তাঁরা কারেন্ট জাল, জাটকা, মাদক আসছে—এমন অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালান। তিনি জানান যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা তাঁরা মাথায় রাখেন।
লঞ্চ মালিক সমিতির কেন্দ্রীয় সহসভাপতি সাইদুর রহমান রিন্টু এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘এরা অন্য কোনো দুর্বৃত্ত হলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। মাঝপথে এভাবে লঞ্চ থামিয়ে তল্লাশি বন্ধে তাঁরা নৌ-পুলিশ এবং প্রশাসনকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।’
এ বিষয়ে নৌ পুলিশের চাঁদপুর পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান জানান, তিনি এ ধরনের অভিযোগ লঞ্চের স্টাফদের কাছ থেকে পেয়েছেন। তাঁদের সদর নৌ পুলিশ সম্প্রতি পলিথিন, কারেন্ট জাল জব্দ করতে এ ধরনের অভিযান চালাচ্ছে। অবশ্য তিনি সেখানকার ওসিকে কড়াভাবে সতর্ক করেছেন। বলে দিয়েছেন এভাবে তল্লাশি করলে যাত্রীরা ভয় পাবেন। তল্লাশি করতে হলে আগে থেকে ওই লঞ্চের সঙ্গে কথা বলে নিতে হবে। চ্যানেল সিক্সটিনে বার্তা পাঠাতে হবে। সবার ইউনিফর্ম থাকতে হবে। এসআই পদমর্যাদা দিয়ে এ ধরনের তল্লাশি করা যাবে না। কেননা নৌ-পুলিশেরও ঝুঁকি থাকে। অভিযানকারীরা ডাকাত না পুলিশ, মধ্যরাতে তা কী করে বুঝবে।’
বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের উপপরিচালক মাহমুদুল হাসান বলেন, নদীর মোহনায় যাত্রীবাহী লঞ্চ থামিয়ে কোনো বাহিনী তল্লাশি করতে পারে না। তাঁকেও মাস্টাররা অভিযোগ করেছেন। ডাকাতিয়া, পদ্মা, মেঘনা—এই তিন নদীর মোহনা ঝুঁকিপূর্ণ। এরা পুলিশ নাকি অন্য কেউ, তা খতিয়ে দেখতে তিনি নৌ-পুলিশ এবং কোস্টগার্ডের সঙ্গে কথা বলবেন।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
২ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
২ দিন আগে